OrdinaryITPostAd

সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী ১২ই রবিউল আউয়াল

আমরা সকলেই জানি যে আর কিছুদিন পর পালিত হবে ঈদে মিলাদুন্নবী। তাই আজকে আমরা সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সকলেই জানি যে ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী। মুসলমান জাতির কাছে ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজকে আমরা সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আলোচনা করব।

আপনি যদি মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরী না করে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী

ঈদে মিলাদুন্নবী

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করছি। কিছু মুসলমান রয়েছে যারা ঈদে মিলাদুন্নবী কে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী বলে থাকেন। বিশেষ করে তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। আজকের এই পোস্টে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কিছু ধারনা তুলে ধরব। তাহলে চলুন সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ রবিউল আউয়াল মাসে রোজা রাখার সমস্ত বিধান

আমাদের দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলাতে এটি পালিত হয়ে থাকে। এই রাতে খাওয়া-দাওয়া আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠা ইত্যাদি এভাবেই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়। কিছু কিছু লাগাতে দেখলে মনে হবে যে ঈদে মিলাদুন্নবী হল মুসলমানদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব।

১২ই রবিউল আউয়াল ও ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আরও কিছু পোস্ট

তাই তারা সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী। কিন্তু আপনি চিন্তা করুন বাস্তবে কি তাই? ইসলামে ঈদ কয়টি? আমাদের নবী করিম সাঃ এর জন্মতারিখ ১২ রবিউল আউয়াল? অথচ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যু দিবস হল ১২ রবিউল আউয়াল। তাহলে আমরা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর দিনে আনন্দ উৎসবের সাথে পালন করছি। বিষয়টা এভাবে দাঁড়াচ্ছে।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্ম দিবস কখন

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। অনেকের মতে তার জন্মদিন হলো ১২ রবিউল আউয়াল আবার অনেকেই বলে থাকে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মদিন ৯ রবিউল আউয়াল। কিন্তু সকলেই একমত যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসে সোমবার জন্মগ্রহণ করেন।

কিন্তু তারিখ নিয়ে সকলের মতবাদ এখনো রয়ে গেছে। এখন একটি বিষয় জোরালো দাবি হচ্ছে যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ৫৭১ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন সেই হিসাবে ৯ রবিউল আউয়াল সোমবার হচ্ছে। তাই এখন অনেকেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্মদিন ৯ রবিউল আউয়াল এই বিষয়টি গ্রহণ করছে।

আল্লামা শিবলী নোমানী ও সাইয়েদ সুলাইমান নদভী রহ সাড়াজাগানো সীরাত গ্রন্থ হল সিরাতুন্নবী। এ গ্রন্থে বলা হয়েছে নবী করিম সাঃ এর জন্ম দিবস সম্পর্কে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাহমুদ পাসা এক পত্রিকা রচনা করেছিলেন। সেখানে তিনি প্রমাণ করেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম ৯ রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার হয়েছিল। বিভিন্ন রকম গবেষণায় দেখা যায় যে ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার ছিল না বৃহস্পতিবার ছিল।

আরো পড়ুনঃ মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ কি - মিলাদুন্নবী পালনের বিধান

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবারের দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বেশ জোরালো দাবি হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৮ রবিউল আউয়াল থেকে ১২ রবিউল আউয়াল এর মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ১২ রবিউল আওয়ালে মৃত্যুবরণ করেন।

তাহলে যারা বলে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ মিলাদুন্নবীকে অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে তারা অজান্তেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর দিনটি পালন করছে ধুমধামের সঙ্গে। তাই সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী কথাটি যথার্থ নয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম দিনের ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছে। আমরা অনেকের ধারণা রাখে যে ইসলাম জন্মদিন পালনের ব্যাপারে কি বলেন। ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ প্রিয় নবীর জন্মদিন। কোন ব্যক্তির জন্ম দিবস পালন করা ইসলাম সমর্থন নয়। এটা সাধারণত অমুসলিমদের কাজ। তাই একজন মুসলমান কখনোই এসব কাজের মধ্যে নিজেকে জড়াতে পারে না।

একমাত্র ধর্ম হলো ইসলাম যেটি এখন পর্যন্ত বিকৃত হয়নি। এবং ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত হবে না। ইসলামের সকল হুকুম-আহকাম আচার-আচরণ সবকিছুই সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মদিন ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কোথাও ধারনা নেই। তাই ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা একটি বেদাতি কর্ম। আর এটি হচ্ছে জঘন্যতম একটি গুহা।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জন্মদিন পালনের প্রস্তাব সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক প্রত্যাক্ষিত হয়েছে। একদিন হযরত ওমর রাঃ সকল সাহাবাদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন। কেউ কেউ প্রস্তাব করলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম তারিখ থেকে সাল গণনা শুরু করা যেতে পারে। হযরত ওমর রাঃ এ প্রস্তাবকে বাতিল ঘোষণা করলেন কারণ এটি হলো খ্রিস্টানদের পদ্ধতি। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হিজরত থেকে ইসলামী সন গণনা আরম্ভ করলেন।

জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন রকম আচার-অনুষ্ঠান উৎসব এগুলো হচ্ছে খ্রিস্টান হিন্দু বুদ্ধ এবং অন্যান্য অমুসলিমদের ধর্মীয় রীতিনীতি। তাই একজন মুসলমান কখনো এগুলোকে গ্রহণ করতে পারে না। অমুসলিমদের রীতিনীতি আচার-অনুষ্ঠান যতই ভালো হোক না কেন একজন মুসলিম এর জন্য কখনো এগুলো জায়েজ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, " যে ব্যক্তি কোন জাতির সাদৃশ্য ঘোষণা করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে"।

ইসলামে ঈদ কয়টি

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করছি। ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে বিশেষ করে একদল লোক সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী এই স্লোগানটি দিয়ে থাকেন। তাই আজকে আমরা সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করছি। এখন আমরা ইসলামে ঈদ কয়টি সেই সম্পর্কে জানব।

সাহাবী আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন মদীনায় আসলেন তখন দেখলেন বছরের দুটির দিনের মদিনাবাসী আনন্দ ফুর্তি করছে। তিনি এ সম্পর্কে জানতে চাই এই দিন দুই টি কি? এ প্রশ্নের জবাবে তারা বললেন, আমরা ইসলামপূর্ব মুর্খতার যুগে দুটি আনন্দ ফুর্তি করতাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আল্লাহতালা দুই দিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুইদিন তোমাদের দিয়েছেন। তা হল ঈদ উল আযহা ও ঈদুল ফিতর।

আরো পড়ুনঃ রবিউল আউয়াল মাসের কত তারিখ রোজা রাখতে হবে

তাহলে এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে সর্বোত্তম দিন হল এবং সর্বোত্তম ঈদ হল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। যখন কেউ বলে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী তখন এ কথার মানে হচ্ছে যে সকল ঈদের সেরা হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী। এটা কখনো সম্ভব নয় কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই বলেছেন ঈদ উল আযহা ও ঈদুল ফিতর হল সর্বোত্তম।

তার পরেও যদি সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে হয় তাহলে তা ১২ রবিউল আউয়াল হওয়া উচিত নয়। কারণ এখনো সঠিক ভাবে প্রমানিত না যে আমাদের নবী কোন দিনটিকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সবাই একমত হয়েছে যে নবীজী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সোমবারের দিন জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু তারিখ নিয়ে এখনও মতভেদ রয়েছে। ইসলামে ঈদ হল দুইটি ঈদ-উল-আযহা ও ঈদুল ফিতর।

শেষ কথাঃ সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী

আপনারা যারা সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী মেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার পড়া উচিত। তাহলে আপনার এ সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে। আমি বলছি না যে আমারটা সঠিক এবং আপনার টা ভুল কিন্তু আপনার সম্পর্কে অবশ্যই ভালোমতো পড়াশোনা করা দরকার।

তাই সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম পোস্ট আরও করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url