OrdinaryITPostAd

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ - স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা

আপনি কি স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ এবং স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে পোস্টটি পড়ুন।এমনকি আমরা এই পোস্টে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করব।

২৬ মার্চ  মহান স্বাধীনতা দিবস যা আমরা অর্জন  করেছি অনেক ত্যাগ শিকার ত্যাগ স্বীকার ত্যাগ স্বীকার করার পর। এই স্বাধীনতার মর্মার্থে আমরা বিভিন্ন রচনা লিখতে পারি। স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ আমরা এখানে তুলে ধরব।

পেজ সূচিপত্রঃ

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ঃ

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ও রচনা প্রতিযোগিতা এর ব্যবস্থা করা হয়। যেসব শিক্ষার্থী রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চায় তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ এ কি কি বিষয়বস্তু থাকতে পারে সেটা নিয়ে আমরা কথা বলব। যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন তারা চায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রচনাগুলো লেখা হোক। যাদের লেখা তথ্য বহুল তারাই কেবল পুরস্কৃত হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই পোস্টটি তাদের জন্যই বা সে সব শিক্ষার্থীর জন্য যারা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চায় এবং পুরস্কৃত হতে চায়। স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা.২০২৩ এ যে যে বিষয় বস্তু থাকতে-
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
  •  স্বাধীনতা দিবস
  • ২৬শে মার্চ ( স্বাধীনতা দিবস)

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩(৬০০ শব্দ) ঃ

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩(৬০০ শব্দ)
ভূমিকা: বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতায় রয়েছে সুদীর্ঘ বেদনাদায়ক ও রক্তঝরা ইতিহাস। এক সাগর রক্ত ও লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা।

মুক্তিযুদ্ধের আলোচনাঃ
 ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে বাঙালিরা পূর্ব পাকিস্তান লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের উপর তাদের শাসন শোষণ ও বঞ্চনার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানের একটি উপনিবেশে পরিণত করে। 
পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের উপর বিভিন্নভাবে শোষণ করা শুরু করে। এবং এর প্রথম আঘাত হানে আমাদের সংস্কৃতির উপর। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মানুষ স্বাধীনতার আন্দোলনে সোচ্চার হয়। ৫২' এর ভাষা আন্দোলন, তারপর অনুষ্ঠিত হয় ৬২' এর শিক্ষা আন্দোলন,৬৬' এর ৬ দফা, ৬৯'এর গণঅভ্যুত্থান, সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ এর লোমহর্ষক বর্ণনাঃ
পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট নামে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে  এদেশের নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালায়। তারা সেই সময় ঢাকার ইউপিআর সদরদপ্তরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন হল থেকে ছাত্র দের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় আশেপাশে  যাকে তাকেই ক্রসফায়ার করে ঘটনাস্থলে মেরে ফেলে। তারা শুরু করে সবচেয়ে নৃশংসতম গণহত্যা। এরপর বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলে।  বীর বাঙালি তখন  যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। সর্বশেষ   ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।

স্বাধীনতার ঘোষণা:
২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে অর্থাৎ ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। গ্রেপ্তারের পূর্বে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার গঠন: 
১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল মেহেরপুর মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কারন সে সময় বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দি ছিলেন।  তাহলে প্রথম প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে:
 ৪ ডিসেম্বর থেকে মুক্তি বাহিনী ও ভারতের মিত্র বাহিনী যৌথভাবে হানাদার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ৪ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করলে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে। নিশ্চিত পরাজয় দেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর এদেশের জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে। সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে ।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও চূড়ান্ত বিজয়: 
১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকার সোহার্দী উদ্যানে ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ফলে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে।

উপসংহার:
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এর  বিনিময়ে অর্জন করেছে এই স্বাধীনতা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আমরা আমাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব। রুখে দাঁড়াবো স্বাধীনতার বিপক্ষে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে। সকলে মিলে একসাথে কাজ করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনাঃ

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই চলে আসে সেই স্বাধীনতার ইতিহাস। আমরা স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করেছি। আমরা এখন স্বাধীনতা দিবস এর ইতিহাস কিছুটা আলোচনা করব-
স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতির জন্য উজ্জ্বলময় আলোকিত দিন। স্বাধীনতা মানে সেই জাতির জন্য স্বর্ণ দুয়ার খুলে যাওয়া। ২৬ মার্চ ১৯৭১ একটি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের দিন। 
পূর্ব পাকিস্তান যখন অত্যাচার অনাচার এর অতিষ্ঠ ঠিক তখনই জাতির জন্য শুভ বার্তা নিয়ে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার অবদানে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ এ আমরা মুক্তি যুদ্ধে শেখ মুজিবের অবদান সম্পর্কে জেনেছি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই চলে আসে এই জাতীয় নেতার কথা।
কেননা তার ডাকে স্বাধীনতার জন্য আমাদের মুক্তিবাহিনীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন আমাদের  জতির জন্য স্বাধীনতার ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ৭ মার্চ সে ঐতিহাসিক ভাষণে সে তার বক্তব্য তুলে ধরে।
তার ডাকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আমাদের এই স্বাধীনতার জন্য তিনি মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের পরোয়া করে নাই।
হানাদার বাহিনীর  সামনে বন্দুকের সামনে দণ্ডায়মান থেকেও আমাদের জন্য ২৫ মার্চ দিবাগত রাতএর অন্তিম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা।
সেই রাতে হানাদার বাহিনী আমাদের নিরস্ত্র বাঙ্গালির উপরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। পুরো পূর্ব পাকিস্তান শহর জুড়ে জ্বালাও-পোড়াও গণহত্যা শুরু হয়। তারপর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জন হয় স্বাধীনতা।

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩(১২০০ শব্দে) ঃ

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩  (১২০০ শব্দ)
ভূমিকাঃ                      
জন্মগতভাবেই একটি মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মে। তার এই জন্মগত অধিকার যখন অন্যের দ্বারা পরিচালিত হয় তখনই সে প্রতিবাদ করে ওঠে। সব কিছুর বিনিময়ে নিজের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়।
 ২০০ বছরের ব্রিটিশ দ্বারা শাসনের পর আবার বাঙালি জাতিকে দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানি হায়নাদের কাছে নির্মম  শোষণের শিকার হতে হয়। পরাধীন সেই বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য মৃত্যুর মুখে দন্ডায়মান হয়। 
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ; তিরিশ লক্ষ প্রাণ আর দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নেয় একটি দেশ বাংলাদেশ। 
২৬ মার্চ স্বাধীনতার পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর এই গৌরবময় দিনটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘মহান স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে সমাদৃত।

ঐতিহাসিক পটভূমি পর্যালোচনাঃ 
বাংলাদেশের  স্বাধীনতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়,১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগের সময়ই বাঙ্গালী স্বাধীনতার দ্বার প্রান্তে দাড়িয়েও স্বাধীনতা পায় নাই। পরবর্তীতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্রমাগত শোষণ, নিপীড়ন, ন্যায্য অধিকার প্রদানে অস্বীকৃতি প্রভৃতি আন্দোলনের যাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এই পরোক্ষ সংগ্রাম পরবরতীতে ১৯৭১ এ এসে বিশাল রূপ ধারন করে। যার ফলপ্রসূ হিসেবে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।

ঐতিহাসিক পটভূমির  ক্রমান্বয় ধারাঃ 
১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে ভারত-পাকিস্তান দু’টি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মাইল মাইল দূরত্ব সত্ত্বেও শুধুমাত্র ধর্মের বাহানা দিয়ে পাকিস্থান ও বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত হয় নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান। অদ্ভুত ২টি জাতি আলাদা তৈরির ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানের শাসকদের অনাচার-অত্যাচার আর সর্বক্ষেত্রে চরম বৈষম্য এর স্বীকার হয় বাঙালি জাতি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কেবল অর্থনৈতিক শোষণই নয় বাঙালি সংস্কৃতি এর ওপরও নিপীড়ন শুরু করে। 
১৯৫২ সালে উর্দুকে আবারও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রজনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি ক্ষুব্ধ ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকে। শহিদদের এই পবিত্র রক্তই যেন বাঙালির মনে স্বাধীন সবুজ রাষ্ট্রের মানচিত্র এঁকেছিল।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা কোন অবস্থাতেই এই জয় মেনে নিলোনা।এই অবস্থায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিশাল সমাবেশের ডাক দেন। সমাবেশের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি- ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ বলে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এমন একটি উৎকণ্ঠিত আহ্বানের জন্যই এতদিন যেন অপেক্ষা করেছিল বাঙালি। সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি সমগ্র  বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে এই ডাক। সব জায়গায় শুরু হয় তুমুল আন্দোলন।
অপারেশন সার্চলাইটঃ 
২৫ মার্চের অন্ধকার রাতে বর্বর পাকিস্তানি পশুশক্তি নিরস্ত্র-ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্মম হ্ত্যা শুরু করে। সে পরিকল্পনা মতোই ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানি আর্মি অপারেশন সার্চলাইট আরম্ভ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি প্রতিরোধ  শেষ দেয়া। এরই অংশ হিসাবে সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করা হয়, ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজ নিধন করা হয় এবং সারা বাংলাদেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়।
স্বাধীনতার তাৎপর্যঃ
স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠা, ছিল স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। এই দিনটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে আনন্দ-বেদনার অনুভূতি। একদিকে সব  হারানোর কষ্ট অন্যদিক স্বাধীনতা পাওয়ার মত এত বড় আনন্দ। 
বর্তমান অবস্থাঃ
একান্ন বছর পেরিয়ে গেছে স্বাধীনতার।  কিন্তু আমাদের এখনও সুখ-সমৃদ্ধ আসে নাই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, বেকারত্বে এখনও আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি। মূল্যবোধের অবক্ষয়, সীমাহীন দুর্নীতি প্রভৃতি স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নাটাই টেনে ধরে আছে। স্বাধীনতার চেতনা যেন সবার মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আর আমরা আরো পিছিয়ে যাচ্ছি ।
সংকট থেকে মুক্তির উপায়ঃ
সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য আমাদের নতুনদের জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পিছনের আসল রহস্য। যখন তারা বুঝবে কতটা ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা তখন তারা এই স্বাধীনতার মর্যাদা দিতে পারবে। তখন তারা নিজেকে যথেষ্ট উদ্দমি করে গড়ে তু্লবে এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। এই সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে নিজেকে মুক্তি যুদ্ধের আদর্শে গড়ে তোলা।
উপসংহারঃ            
অর্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমাদের একসাথে উদ্দমি হয়ে কাজে লাগতে হবে।অঙ্গিকারবদ্ধ হতে হবে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য । দেশ গড়ার কাজে উদ্দমি হতে হবে আমাদের। আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত  করব এটাই জেন হয় আমাদের নবীনদের মুল লক্ষ্য।

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩এবং স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনাঃ

স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ আলোচনা করতে গেলে আমাদের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা চলে আসে। প্রত্যেকটা রচনা একটা ধারাবাহিকতা থাকে স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমরা এর একটা ধারাবাহিকতা অবশ্যই রাখবো ।যেমন একটা রচনার শুরু হয় ভূমিকা তারপর থাকে মুন আলোচনার বিষয় যেমন স্বাধীনতা দিবস নিয়ে রচনা লিখতে গেলে আমরা স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করব।
স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ আমরা অবশ্যই বর্তমান অর্থাৎ ২০২৩ এ দেশের অবস্থা বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করব।

শেষ কথা: স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ঃ

একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন সহজতর বিষয় না ।অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জন করতে হয় স্বাধীনতা। সামান্য কয়েক শ বা কয়েক হাজার শব্দে আমরা স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি না। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা কলমের উপরে কলম শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আমরা এই ত্যাগ এর গল্প শেষ করতে পারবো না।
তবুও আমরা সামান্য পরিসরে স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর কিছু কিছু বিষয় বস্তু নিয়ে সামান্য পরিসরে আলোচনা করেছি। আপনাদের রচনাটি পড়ে কেমন লাগল আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

আপনার জন্য এই ধরণের আরো কিছু পোস্ট

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url