জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করব। ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের শোক দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি অন্ধকার দিন হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জানব।

আপনি যদি জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য জেনে আসি।

১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস নিয়ে আরো পোস্ট


পেজ সূচিপত্রঃ জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য

জাতীয় শোক দিবস কখন?

বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বেশিরভাগই জানে বাংলাদেশে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। আগস্ট মাসে বাঙালি জাতির জন্য শোকাহত মাস হিসেবে ধরা হয়। ১৫ ই আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনের কলঙ্কময় একটি দিন। এই দিনে আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ ঈদ মোবারক স্ট্যাটাস

শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নয় তখন তার বাড়িতে উপস্থিত থাকা সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের সকল বাঙালি শোক দিবস হিসেবে পালন করে। এ দিনে প্রত্যেক বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করব।

জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়?

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট আমাদের প্রাণপ্রিয় বাঙালি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনে বাংলাদেশের সকল বাঙালি শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে স্মরণ করে। তাই ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস 2022

এই দিনে আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়। এটিকে কেন্দ্র করে বাঙালি নানান ধরনের অনুষ্ঠান ও শোকাবহ মিছিলের আয়োজন করে থাকে।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য

আজকে আমাদের এই পোষ্টের মূল আলোচনার বিষয় হল জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য। অনেকে আছে এই দিনে স্কুল-কলেজ বা কোন প্রতিষ্ঠান এ বক্তব্য দিয়ে থাকে। তাই বক্তব্য গুলো দেখার জন্য গুগলের সার্চ করে থাকেন। তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী হবে। কারণ এই পোস্টে আমরা জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য তুলে ধরবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যঃ

আসসালামু আলাইকুম,

প্রথমে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তারপরে আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এই অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছে সবাই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সমবেত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল নিষ্ঠুর সেনা সদস্যরা আমাদের প্রিয় নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ দশটি শুভ সকাল সোমবার এর ছবি

তারা সেইদিন বাঙালির ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ করেছিল। আজ সেই শোকাহত দিনটি পালন করার জন্য আমরা সবাই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে একসাথে উপস্থিত হয়েছি। এ দিনটিতে বাংলাদেশের সকল বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।

এখানে উপস্থিত আমার ভাই ও বোনেরা,

১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা বাঙালির জাতির জন্য কলঙ্কময় একটি দিন। আপনারা জানেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি একত্রিত হয়ে পশ্চিম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার সংগ্রাম করে। তিনি পুরো বাঙালি জাতি কে সাথে নিয়ে আজকের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে।

বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের সাড়া প্রদান করেছিল বাংলাদেশের লাখো বাঙালি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে বীর বাঙ্গালী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছিল। সংগ্রাম স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ এরপরেও তাকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়। শোকের সাগরে ভেসে যায় দেশবাসী। কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না। কিন্তু এটাই বাস্তবতা।

আজকের শোক দিবস পালনের অর্থ বঙ্গবন্ধুর জন্য অশ্রুপাত নয়। আমাদের প্রিয় নেতা বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল আমরা যদি সেই সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি তার স্বপ্নকে পূরণ করতে পারি তাহলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।

তো আসুন আজকে শোক দিবস কি শোক প্রকাশের দিন হিসেবে বিবেচনা না করে বাঙালি জাতির প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দিন হিসেবে বিবেচনা করি। এবং প্রতিজ্ঞা করি আমাদের দেশকে উন্নত এবং সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সব সময় চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক, আসসালামু আলাইকুম।

শেষ কথাঃ জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য জানার জন্য আমাদের এই পেজটি ওপেন করেছিলেন। আপনাদের জন্যও করে জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য - জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য আলোচনা করা হয়েছে। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url