OrdinaryITPostAd

মহররম মাসের ১১টি ফজিলত - মহরম মাসের ইতিহাস

পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জানব। আল্লাহ তাআলার কাছে চারটি মাস অনেক পছন্দের মাস তার মধ্যে মহরম মাস অন্যতম একটি। তাহলে বুঝা যায় মহররম মাসের গুরুত্ব কতটা। এ মাসের অনেক ফজিলত রয়েছে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানব।

আপনি যদি মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস জেনে আসি।

পেজ সূচিপত্রঃ মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস

আশুরা কয় তারিখে

মহরম মাসের দশ তারিখ পবিত্র আশুরা। পবিত্র আশুরা হবে আগস্ট মাসের ৯ তারিখে। তাহলে আমরা জানলাম পবিত্র আশুরা মহররম মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ আগস্ট মাসের ৯ তারিখে পালিত হবে। তাহলে আপনি আপনার প্রশ্নের আশুরা কয় তারিখে উত্তর পেয়ে গেলেন।

আরো পড়ুনঃ আশুরা কত তারিখে 2022

আমাদের এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় হল মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জানা। আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই এই সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চলুন এবার মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে আসি।

মহররম মাসের ফজিলত

আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। তাই গুগলের সার্চ করে আমাদের পোস্টে ওপেন করেছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছে আজকের এই পোস্টে আমরা মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেই।

  • মহরম হচ্ছে হিজরী বছরের প্রথম মাস। আল্লাহ তাআলার নিকট চারটি মাস অনেক পছন্দের তার মধ্যে মহরম অন্যতম একটি। মহরম মাসের 10 তারিখ আশুরা নামে খ্যাত। এই দিনে নভোমন্ডলে সৃষ্টিকুলের প্রাথমিক বিভাজন প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। হযরত আদম আলাই সাল্লাম এর সৃষ্টি উত্থান এবং পৃথিবীতে অবতরণ সবকিছুই এই দিনে হয়েছিল।
  • আল্লাহ তায়ালা বলেন," আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা ১২, এরমধ্যে চারটি মাস সম্মানিত"।{ সূরা তওবা আয়াতঃ ৩৬} আশুরার দিন রোজা রাখা সুন্নত। আশুরার রোজা সব নবীর আমলে ছিল। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কায় থাকা অবস্থায় আশুরার রোজা পালন করতেন।
  • হিজরতের পর মদিনা এসে দেখলেন ইহুদীরা ঐদিন রোজা থাকে। প্রিয় নবী (সাঃ) রোজা থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এই দিনে নবী মুশা (আঃ) এবং বনি ইসরাইলদের নিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করেন আর ফেরাউন সেই সাগরে ডুবে মরে যাই। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তারা এই দিনে রোযা পালন করে।
  • তাই আমাদের নবী (সাঃ) ইহুদিদের সঙ্গে সাদৃশ্য না হয় সেই জন্য তিনি মহরমের ৯,১০ অথবা ১০,১১ মিলিয়ে দুটি রোজা রাখতেন। রমজান মাসের রোজার পর আশুরা রোজা সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ফজিলত। এই মাস নফল রোজা ও অন্যান্য এবাদত রমজান মাস ব্যতীত অন্য যে কোন মাস থেকে উত্তম।
  • এই মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা ও আল্লাহতালার কাছে তওবা করা। কারণ এই মাসে তওবা কবুল হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।

মহররম মাসের গুরুত্ব

আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাই আমাদের এই পোস্টে ওপেন করেছেন। ইতিমধ্যে আমরা মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমরা মহররম মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করুন। তাহলে চলুন মহরম মাসের গুরুত্ব জেনে আসি।

আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি মাসের মধ্যে মহরম অন্যতম একটি। মহরম মাসে রোজা রাখার ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণিত রয়েছে। যা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের আশুরার সিয়াম রাখার নির্দেশ দিতেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করতেন। এ বিষয়ে তিনি নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিতেন। যখন রমজান সিয়াম ফরজ করা হলো তখন আশুরা সিয়াম ব্যাপারে তিনি আমাদের নির্দেশ দিতেন না এবং নিষেধ করতেন না। এ বিষয়ে তিনি আমাদের খোঁজখবর নিতেন না। (সহীহ মুসলিমঃ ১১২৮)

আরো পড়ুনঃ রোজার ঈদ ২০২৩

হাদিস অনুযায়ী বোঝা যায় আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব কতটা। এখন আশুরার রোজা নফল কিন্তু আগে এটি ফরজ ছিল। এ থেকে বুঝা যায় অন্যান্য নফল রোজার তুলনায় এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, " আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদান প্রত্যাশা করছি আরাফার সিয়াম বিগত বছর ও আগত বছর গুনাহ মাফ করবে। আরো প্রত্যাশা করছি আশুরার সিয়াম বিগত বছরের গুনাহ মাফ করবে" (সহিহ মুসলিমঃ ১১৬২)

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন," ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে আশুরার সিয়াম ও এ মাসের সিয়াম ও রমজানের সিয়াম এর ওপর আমাদের নবী (সাঃ) যতটা আগ্রহ দেখিয়েছে অন্যান্য মাসের সিয়ামের প্রতি তা দেখায় নি"।

মহররম মাসের ইতিহাস

আমরা অনেকেই মহররম মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাস সম্পর্কে হালকা-পাতলা জানি। আল্লাহতালার কাছে সকল মাস সমান কিন্তু তারপর ও আল্লাহ তাআলার নিকট চারটি মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাদের মধ্যে মহররম মাস অন্যতম। তাই মহরম মাসের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। সেই সম্পর্কেও করে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি মহররম মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উপরের সম্পূর্ণ পড়ুন। এখন আমরা মহররম মাসে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা সম্পর্কে জানব।

  • মহরম মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন। এবং এই দিনে হযরত আদম (আঃ) এর সাথে মা হযরত হাওয়ার সঙ্গে মিলন করিয়ে দেই। এবং এই দিনে হযরত আদম (আঃ) এর তওবা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
  • মহরম মাসের ১০ তারিখে হযরত নূহ (আঃ) এর জাহাজ এসে জুদি পরবর্তী (কারবালা প্রান্তরে) থেমে যায়।
  • মহরম মাসের দশ তারিখে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেন। আল্লাহ তাআলা  তাকে রক্ষা করেন। 
  • মহরম মাসের ১০ তারিখ হযরত মুসা (আঃ) ও বনি ইসরাইল দের আল্লাহতালা সাগরের মধ্য দিয়ে পার করে দেন। এবং ফেরাউন ও তার বাহিনী কে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারেন।
  • মহরম মাসের দশ তারিখ আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর প্রিয় নাতি হযরত হুসাইন (রাঃ) ও তার দুধের শিশু এজিদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
  • মহররম মাসের 10 তারিখের হযরত ইউনুস (আঃ) কে আল্লাহ তাআলা মাছের পেট থেকে রক্ষা করেন। আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে এই পবিত্র দিনে।

শেষ কথাঃ মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস

আপনারা যারা মহররম মাসের ফজিলত - মহররম মাসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য উপরে মহরম মাসের সকল বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url