নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৫টি সেরা মার্কেটপ্লেসGoogle discover থেকে
ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের কৌশল সম্পর্কে অনেকের অজানা। বর্তমান যুগ
ডিজিটাল যুগ। বর্তমান ডিজিটাল যুগে Google discover
হচ্ছে কন্টেন মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আজকের আর্টিকেলে আমি
আপনাদের সাথে আলোচনা করব
Google discover
থেকে ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের কৌশল সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে
নেই
Google discover থেকে
ট্রাফিক হারানোর পর আবার তা পুনরুদ্ধার করার কৌশল সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ Google discover থেকে ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের
কৌশল
Google discover থেকে ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের কৌশল
বর্তমান ডিজিটাল যুগে গুগল ডিসকভার হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর একটি
গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। গুগল ডিসকভার এমন একটি ফিচার যা যেকোনো মোবাইল
ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের আগ্রহ এবং ওয়েবসাইটে সঠিক ও সুন্দরভাবে কন্টেন্ট
সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে। অনেক সময় দেখা যায় ওয়েবসাইট বা ব্লগ হঠাৎ করেই google
discover থেকে ট্রাফিক হারাতে শুরু করে যা একজন ব্লগার বা ওয়েবসাইট মালিকের জন্য
অনেক হতাশার কারণ হয়ে ওঠে।
আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব গুগল ডিসকভার থেকে ট্রাফিক কীভাবে
হারাই বা কমে যায় এবং কমে যাওয়া ট্রাফিক আবার পুনরুদ্ধারের কৌশল সম্পর্কে। চলুন
তাহলে জেনে নেই Google discover থেকে ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের কৌশল সম্পর্কে।
নিয়মিত কনটেন্ট এডিট বা আপডেট করুনঃ Google discover থেকে ট্রাফিক
হারানোর পর পুনরুদ্ধার করতে কন্টেনের মান, টেকনিক্যাল, SEO এবং ব্যবহারকারীর
অভিজ্ঞতা উন্নত করার ওপর মনোযোগ দিতে হবে। আপনাকে নিয়মিত কন্টেন আপডেট করতে হবে।
মোবাইলে জন্য অপটিমাইজেশন করুন এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি সহজেই
ক্রলযোগ্য এবং আধুনিক। আপনার কনটেন্টের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে এবং উন্নতির
ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করতে হবে। উচ্চমানের ব্যাকলিং তৈরি করে এবং
google
এর অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে আপডেট থাকাও ধরে সহায়তা করে অনেক অংশে।
উচ্চমানের কনটেন্টঃ আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার কন্টেনটি যেন
সুলিখিত তথ্যবহুল হয় এবং আপনার লক্ষ্য থাকতে হবে দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয়
কন্টেন্ট তৈরি করা।
E-E-A-T অনুসরণ করতে হবেঃ Google discover এ টিভিতে কন্টেন্ট
গুলোকে বেশি পরিমাণে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আপনি যে বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেন সে
বিষয়ে লেখকের নাম, বায়ো ও সামাজিক প্রমাণ গুলো সুন্দরভাবে যুক্ত করতে হবে।
কোনরকম প্রাসঙ্গিকতা বা নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে রিপোর্ট সোর্স ব্যবহার করতে হবে।
কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হবে আপনাকে তাহলে আবার
ট্রাফিক বাড়ানো সম্ভব। আপনাকে আপনার কন্টেন এবং সাইটের কাঠামোর মাধ্যমে দক্ষতা,
কর্তৃত্ব এবং বিশ্বস্ততা প্রদর্শন করতে হবে।
নিয়মিত কন্টেন্ট আপডেট করুনঃ সর্বশেষ তথ্য প্রতিফলিত করার জন্য
আপনার কন্টেনকে তাজা এবং এ টু জেড রাখতে রাখার চেষ্টা করতে হবে। কেননা নতুন নতুন
নিয়মিত কোয়ান্টেন্ট আপডেট দিলে আপনার পুরনো ট্রাফিক আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব।
ব্যাকলিংকঃ উচ্চমানের ব্যাকলিংক আপনার সাইটের কর্তৃত্ব বাড়ানোর জন্য
নামি এবং প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক গুলি সংগ্রহ করতে হবে। হারানো
ব্যাকলিঙ্ক গুলো পুনরুদ্ধার করে সনাক্ত করতে হবে। সনাক্তকৃত ব্যাকলিঙ্ক
গুলন Ahrefs বা
Semrush এর মত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে
হবে। নতুন ব্যাকলিংক অঞ্চলের জন্য আউট রিচ, গেস্ট লগইন এবং অন্যান্য গুলির সাথে
সুন্দরভাবে কাজ করতে হবে।
সুন্দর ও আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করাঃ গুগল ডিসকভার মূলত একটি
ভিজুয়াল ফিড। তাই আপনার ওয়েবসাইটের যেন ফিচার ইমেজ খুবই সুন্দর হয় ছবিগুলো
কমপক্ষে যেন ১২০০px হওয়া উচিত এবং মেটাত্যাগ খুব সুন্দর করে দেওয়া উচিত। তাহলেও
আবার ট্রাফিক বানানো বা ফিরে পাওয়া সম্ভব।
কন্টেন্ট ফ্রেশ নেস বজায় রাখাঃ ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন
কোয়ান্টেন পোস্ট করতে হবে। পুরাতন কোন কনটেন্ট থাকলে তা আবার আপডেট করে নতুন করে
প্রকাশ করতে হবে। ব্রেকিং নিউজ কভার সুন্দরভাবে তৈরি করতে হবে। তাহলে আবার
ট্রাফিক আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
কন্টেন্ট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবেঃ বড় বড় কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করতে
হবে যা অনেক কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত ও উপকারী। ইনোগ্রাফিক্স বা বিভিন্ন ধরনের
ভিডিও যোগ করতে হবে। কেননা পার্সোনাল ইনসাইট ও এক্সপেরিয়েন্স যুক্ত করলে
ইউজারদের সাথে এনগেজমেন্ট অনেক বাড়ে।
কনটেন্ট পলিসি নিয়ম ভঙ্গ থেকে বিরত থাকতে হবেঃ গুগলে কন্টেন্ট পলিসি
রয়েছে। যেমনঃ
- Adult কনটেন্ট
- Violence বা গ্রাফিক্স কনটেন্ট
- Misleading ওয়ান টেন
- ভুয়া বা ভুল চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ
ক্লিক - বেইট শিরোনাম এসব নিয়ম ভঙ্গ করলে ডিসকভার থেকে সম্পূর্ণভাবেই আপনার
ওয়েবসাইট বাদ পড়া সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই কনটেন্ট পলিসি নিয়ম ভঙ্গ থেকে সর্বদা
বিরত থাকুন।
কনটেন্ট প্রচারঃ সামাজিক মাধ্যম বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার সামগ্রিক প্রচার করতে হবে। সামাজিক সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এ আপনার
সামগ্রী প্রচার করতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং তৈরি করে এবং আপনার গ্রাহকদের কাছে তা
সামগ্রী প্রচার করতে হবে।
ব্লগিং সম্প্রদায় আপনি যে নিশ অনুযায়ী কাজ করছেন আপনার নিচে অন্যান্য ব্লগারদের
সাথে জড়িত হয়ে একে অপরের সামগ্রী প্রচার করতে হবে। এই সকল কৌশল গুলিতে মনোনিবেশ
করে আপনি ট্রাফিক ক্ষতির কারণগুলি কার্যকর ভাবে সমাধানকরতে পারবেন।
গুগল সার্চ কনসোলঃ গুগল ডিসকভারে উন্নতির ক্ষেত্রগুলি সনাক্ত করে
নিয়মিতভাবে গুগল সার্চ কনসোল এ আপনার ওয়েবসাইটের কর্ম ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে
হবে। ওয়েবসাইটের কার্যক্ষমতা বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তিগত সমস্যা গুলি সনাক্ত করতে
হবে। SEO সরঞ্জাম গুলি ব্যবহার করুন
এলগিদম গুগল এর অ্যালগরিদম আপডেট ও সেগুলি আপনার ওয়েবসাইটকে কিভাবে প্রবাহিত
করতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত থাকতে হবে।
গুগল সার্চ কনসোল পারফর্মেন্স সব সময় ট্র্যাক করুন। গুগল সার্চ কনসোল থেকে আপনি
বুঝতে পারবেন কোন কন্টেন্ট কাজ করছে এবং কোন কন্টেনগুলো কাজ করছে না ড্রাউন
হয়েছে। গুগল সার্চ কনসোল এর মাধ্যমে ট্র্যাক করতে হবে এভাবেই আবার হারানো
ট্রাফিক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
উপরের নিয়মগুলো অনুযায়ী ওয়েবসাইটে বা ব্লগারের কাজ করলে অবশ্যই গুগল ডিসকভার
থেকে হারানো ট্রাফিক আবারো ফিরে পাওয়া সম্ভব। হারানোর ট্রাফিক ফিরে পাওয়ার জন্য
উপরের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কন্টেন্ট গুলোকে অবশ্যই গুগল সার্চ কনসলের
মাধ্যমে ট্র্যাক করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারদের সাথে
এংগেজমেন্ট বাড়াতে হবে। E-A-T অনুযায়ী
কাজ করতে হবে এবং পলিসি ভঙ্গ না করার ও নতুন নতুন আপডেট কনটেন্ট তৈরি করে
google discover থেকে হারিয়ে যাওয়া
ট্রাফিক আবার পুনরুদ্ধার করা যাবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
গুগল ডিসকভার কি
ডিসকভার বলতে মূলত একটি নিউজ ফিড যা ব্যবহারকারীর ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস
কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি গুগল সার্চ এর একটি অংশ। গুগল সার্চের একটি
বৈশিষ্ট্য যা ব্যবহারকারীদের আগ্রহের ওপর ভিত্তিতে ভিত্তি করে ব্যক্তিগত কন্টেন্ট
সরবরাহ করা। আরো অন্যভাবে বলতে গেলে সহজ ভাষায় গুগল ডিসকভার হল আমাদের পছন্দের
বিষয়গুলোর একটি নিউজ ফিড যা গুগল
আপনার আগ্রহের অনুযায়ী সক্রিয়ভাবে তৈরি করে এটি আমি আপনি ফোন বা কম্পিউটার গুগল
ক্রম ব্রাউজার গুগোল অ্যাপস থেকে দেখে থাকি। গুগল ডিসকভার কনটেন্ট দেখা এবং
নেভিগেট করা খুব সহজ। গুগল ডিসকভার গুগল ক্রম ব্রাউজার এবং গুগল অ্যাপস এন্ড্রয়েড ও
আই এস আই ও এস উভয় ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারি বা করা যায়।
ডিসকভার হল একটি গুগল সার্চের অংশ যা ব্যবহারকারীদের আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত
কনটেন্ট সরবরাহ করে। আপনি যদি গুগল ডিভাইস ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল আপস বা ক্রম ব্রাউজারটি সাইন আপ করে এটি এক্সেস করতে
পারেন।
গুগল ডিসকভার কিভাবে কাজ করে
গুগল ডিসকভার সম্পর্কে আমরা জানি এটি একটি কনটেন্ট ফিড বা নিউজ ফিড। যা গুগল
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের হোম পেজ বা যেখানে গুগল সার্চ অ্যাপে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি
ব্যবহারকারীর আগ্রহ সার্চ হিস্টরি ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্ল্যান অনুযায়ী বিভিন্ন
ধরনের কনটেন্ট দেখায়। গুগল ডিসকভার সাধারণত তিনটি বিষয়ের উপর প্রকাশ করে বেশি
কাজ করে। গুগল ডিসকভার মূলত মেশিন রানিং এবং ইউজার প্রেফারেন্স ব্যবহার করে
ইলেভেন কনটেন্ট দেখায়। যেমনঃ
যেকোনো নতুন বা পপুলার কনটেন্টঃ গুগল ডিসকভার কেবল নিউজ নয় বরং বাঘ টিউটোরিয়াল
ভিডিও এবং অন্যান্য ধরনের কনটেন্ট দেখায় যা ব্যবহারকারী পছন্দের সাথে অনেক মিল
থাকে।
বিষয়ভিত্তিক প্রাসঙ্গিক কনটেন্টঃ কোন কন্টেনের ডিসকভার অ্যালগরিদম কেবলমাত্র
কিওয়ার্ড নয় বরং বিষয়ে ভিত্তিক এবং কনটেন্ট গুণগত মান বিবেচনার উপর নির্ভর
করে।
ব্যবহারকারীর আগ্রহের উপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজেশনঃ আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট লগইন
থাকা অবস্থায় আপনি যা খুঁজে দেখেন বা
google এ কোন কিছু খুঁজে পড়েন বা দেখেন
তার ওপর ভিত্তি করে গুগল আপনার জন্য একটি ইলেভেন কন্টেন সাজায়।
মেশিন লার্নিং ও AI অ্যালগরিদমঃ ডিসকভার গুগলের একটি শক্তিশালী মেশিন লার্নিং
পদ্ধতি ব্যবহার করে। সে প্রতিনিয়তই সবকিছু শিখে নিচ্ছে বুঝে নিচ্ছে।
আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট বেশি বেশি
দেখছেন, কোন ধরনের কন্টেইনে বেশি সময় দেন, কোন লিংকে বেশি বেশি ক্লিক করেন আবার
আপনি কোন টপিক স্কিপ করেন এগুলো ডিসকভার ফিডে আপনার আপডেট দিতে থাকে AI
অ্যালগরিদম।
লোকেশন অনুযায়ী কন্টেনঃ গুগল ডিসকভার ব্যবহারকারী লোকেশন এর উপর ভিত্তি করে
স্থানীয় খবর, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর অফার ও ট্রাফিক
সাজায়। যেমনঃ আপনি ঢাকায় থাকেন তবে ডিসকভার আপনার ফিডে ঢাকা ভিত্তিক ট্রেনিং
নিউজ ও ব্লগ গুলো বেশি বেশি দেখাবে।
ডিসকভার এমন একটি স্মার্ট ফিচার যা আপনাকে প্রতিদিনের কনটেন্ট খুঁজে বেড়ানোর
ঝামেলা থেকে অনেকাংশে মুক্তি দেয়। ডিসকভার এটি আপনার আগ্রহ ও আচরণ বিশ্লেষণ করে
প্রতিনিয়ত নিউজ ফিডে আপডেট দিয়ে থাকে।
সময়ের সাথে সাথে গুগল ডিসকভার ট্রাফিক কেন কম হতে পারে
বর্তমান সময়ে অনেক ব্লগার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর গুগল ডিসকভার কে একটি বড়
ট্রাফিক্স হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে মোবাইল ইউজারদের কাছে সহজ ভাবে
পৌঁছানোর জন্য গুগল ডিসকভার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। তবে
অনেকেই খেয়াল করেছেন যে কিছু সময় পরপর তাদের ডিসকভার ট্রাফিক ধীরে ধীরে কমে
যাচ্ছে। এটি স্বাভাবিক হলেও পেছনে বেশ কিছু টেকনিক্যাল ও কনটেন্ট সম্পর্কিত
কোয়ালিটির কাজ করছে। যেমনঃ
কনটেন্ট এর সময়সীমা
google discover এমন কন্টেন্ট কে অগ্রাধিকার দেয় যা নতুন এবং ট্রেন্ডিং সাম্প্রতিক। আপনি
যদি পুরনো কন্টেন্ট রিপ্লেস না করেন তাহলে সেই কনটেন্ট ডিসকভার ধীরে ধীরে ট্রাফিক
হারাবে। তাই আপনাকে পুরনো পোস্ট আপডেট করতে হবে সাম্প্রতিক তথ্য যুক্ত করে পাবলিশ
করতে হবে। যে পরিবর্তন করতে হবে নিয়মিতভাবে নতুন ও প্রাসঙ্গিক এবং ট্রেন্ডিং
টপিক নিয়ে লিখতে হবে।
ব্যবহারকারীদের ইন্টারেস্ট পরিবর্তন হলেঃ গুগল ডিসকভার ফিডে ব্যক্তিগতভাবে সাজানো
হয় ইউজারের ব্রাউজিং ও সার্চ আচরণের উপর ভিত্তি করে। ফলে যদি আপনার কনটেন্ট কোন
ইউজার বা ব্যবহারকারীদের আগ্রহের সঙ্গে আর না মিলে তবে গুগল সেই কন্টেন্ট আর
দেখাবে না। তাই আপনাকে অডিয়েন্স এর চাহিদা অনুযায়ী চাহিদা বুঝে কন্টেন তৈরি
করতে হবে। গুগল ফ্রেন্ডস এবং সার্চ কনসোল ব্যবহার করে জনপ্রিয় কি ওয়ার্ড খোঁজে
তাই সেই প্রাসঙ্গিক এ লিখতে হবে।
এনগেজমেন্ট কমে যাওয়াঃ আপনার কনটেন্ট যদি ডিসকভারে ভালো ক্লিক রেট এনগেজমেন্ট না
পাই তবে গুগল সেটিং নিচে নামিয়ে দেয়। আপনাকে আকর্ষণীয় হেডলাইন ব্যবহার করতে
হবে। হাই কোয়ালিটি ও সম্পর্কযুক্ত ছবি দিন মেটা ডেসক্রিপশন ভালো ভাবে সাজান।
ডিসকভার এলগরিদম আপডেটঃ মাঝে মাঝে তাদের অ্যালগরিদম আপডেট করে যা আপনার কন্টেনের
ভিজিবিলিটি কমাতে পারে কিছু সময়। অ্যালগরিদম পরিবর্তনের ফলে আগে ভালো
পারফরম্যান্স করা কন্টেন্ট হঠাৎ হারিয়ে যায়। গুগল নিউজ ডিসকভার পলিসি ভঙ্গ করে
আপনার কন্টেন্ট যদি ভুল নিউজ এর গাইডলাইন বা ডিসকভার কন্টেন পলিসি লঙ্ঘন করে
তাহলে তার নিউজফিড থেকে হারিয়ে যাই বা সরিয়ে ফেলা হয়। এভাবেই সময়ের সাথে সাথে
ডিসকভার থেকে ট্রাফিক কমে যায়।
সাইট টেকনিক্যাল সমস্যাঃ যদি আপনার সাইটে লোডিং স্পিড কম হয় মোবাইল ফ্রেন্ডলি না
হয় বা স্কলিং সমস্যা থাকে তাহলে গুগল ডিসকভার ট্রাফিক অনেক অংশ কমে যায়।
গুগল নিউজ থেকে ট্রাফিক বাড়ানোর নিয়ম
আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল নিউজ এর জন্য প্রস্তুত করতে হবে। সমাপোযোগী সংবাদ রিপোর্ট
লিখতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উৎস দিয়ে লেখকের নাম,
প্রকাশনার তারিখ, সংস্থার পরিচয়, যোগাযোগের পৃষ্ঠা সমস্ত কিছু যোগ করতে হবে
ওয়েবসাইটে। গুগল ডিসকভার এর
নিউজ এর মাধ্যমে ট্রাফিক বাড়ানো যায়। ট্রাফিক বানানোর জন্য
google কে বুঝতে সাহায্য নিউজ আর্টিকেল সাইট ম্যাপ গুগল নিউজ সাইট মাপ তৈরি করতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে সমস্ত আর্টিকেল
SEO Sarch Eingine Optimizition করতে হবে। ভিজিটর বা ট্রাফিক বানানোর জন্য হাই কোয়ালিটি ইমেজ ও হেড লাইন
ব্যবহার করতে হবে নিউজ ফিডে। প্রতিদিন রেগুলার এবং ফ্রি কুয়েন্ট নিউজ প্রকাশ
করতে হবে। ব্রেকিং নিউজ বা ট্রেন্ডিং টপিক কভার করে আর্টিকেল তৈরি করতে হবে।
ডিসকভার ফিড থেকে অনেক ট্রাফিক আসে আপনাকে সংক্ষিপ্ত ইমোশনাল ও ইউনিক হেডলাইন
ব্যবহার করতে হবে।
গুগল ডিসকভার থেকে ট্রাফিক কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ
গুগল ডিসকভার থেকে ট্রাফিক কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। যেমনঃ
SEO ও গুগল অনুসারে সবচেয়ে অসাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো হলো সময়
প্রতিযোগিতা হারানো গুগল ডিসকভার মূলত নতুন টেন্ডিং প্রসঙ্গিক কন্টেন্ট শো করে।
যদি আপনার কন্টেন্ট পুরনো হয় বা আপডেট না করা হয় তাহলে ডিসকভার সেটিং দেখানো
বন্ধ করে দেয়।
আপনার কনটেন্ট যদি লো কোয়ালিটি হয় তাহলে তা ডিসকভার থেকে ট্রাফিক কমে যায়।
গুগল ডিসকভার এ বড় আকর্ষণীয় ইমেজ পছন্দ করে আপনার কনটেন্ট যদি ছোট ছবি,
অস্পষ্ট, কম ভ্যালুর হয় তাহলে গুগল অনুসরণ না করে তা ডিসকভারে দেখায় না। ছবির
সাইজ কমপক্ষে ১২০০ পিক্সেল হতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্টের যদি হেডলাইনে এমন কিছু দাবি করে যা মূল লেখায় নেই
ক্লিক রেট তাহলে ডিসকভার ট্রাস্ট হারায়। কনটেন্ট হেডলাইন অবশ্যই সত্যনিষ্ঠ ও
আকর্ষণীয় হতে হবে ভুয়া কোন তথ্য বা অতিরঞ্জিত ভাষা দিলে এটি বিভ্রান্তকর সৃষ্টি
করে এবং ডিসকভার থেকে তা ট্রাফিক হারায়। টেকনিক্যাল কিছু প্রবলেম এর কারণে আপনার
পেজে লোড হতে বেশি দেরি করে AMP ত্রুটি
থাকে
এবং গুগল আপনার কন্টেন ইনডেক্স করতে না পারে তাহলে ডিসকভার তা দেখায় না এভাবে
ট্রাফিক কমে যায়। আপনার ওয়েবসাইটে যদি স্টাম্প বা কপি কনটেন্ট বা অন্য কারো কোন
গাইডলাইন লংঘন করেন বা পলিসি ভঙ্গ করেন তাহলে গুগল ডিসকভার থেকে সাইট বাদ দিয়ে
দেওয়া হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
গুগল ডিসকভার কোথায় দেখা যায়
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য গুগল একটি
অত্যন্ত কার্যকারী ফিচার এনে দিয়েছে তা হল গুগল ডিসকভার। এটি এমন একটি আপনি কিছু
না খুঁজে আপনার আগ্রহ অনুযায়ী খবর, ব্লগ বা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আরও অনেক কিছু
সরাসরি আপনার চোখের সামনে এনে দেয় এই গুগল ডিসকভার। ডিসকভার হল এটি
পার্সোনালাইজড কনটেন্ট ফিড Google AI
বা আপনার সার্চ ব্রাউজিং হিস্ট্রি অনুযায়ী সাজানো হয়ে থাকে।
গুগল ডিসকভার এর মাধ্যমে আপনি নতুন ব্লগ, টেন্ডিং নিউজ, ইউটিউব ভিডিও, রিভিউ
কন্টেন্ট এগুলো সার্চ না করেও আপনার সামনে দেখতে পান পাবেন। এখন প্রশ্ন হল গুগল
ডিসকভার কোথায় দেখা যায়। আমরা সকলেই স্মার্টফোন ব্যবহার করি। আমাদের মোবাইলে
থাকা গুগল অ্যাপস খুললেই নিচের দিকে ক্রল করলে আপনি ডিসকভার ফিড দেখতে পাবেন।
আবার ক্রম ব্রাউজারে(মোবাইল ভার্সনে) আপনি যদি ক্রম ব্রাউজারে নিউজ অ্যাপস খুলে
নিচের দিকে ক্রল করেন।
তাহলে আপনি গুগল ডিসকভার সুইচ অন আছেই দেখতে পাবেন। এটি গুগল অ্যাপস মতন কাজ করে
থাকে। আবার অনেক এন্ড্রয়েড ফোনে বিশেষ করে পিক্সেল ডিভাইসে হোম স্ক্রিনের বাম
দিকে সোয়াইফ করলে সরাসরি ডিসকভার ফিল্ড দেখতে পাওয়া যায়। গুগল ডিসকভার আবার
ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ ফিডে দেখানো যায় না। এটি শুধুমাত্র মোবাইল যারা ব্যবহার করে
তাদের জন্যই প্রযোজ্য আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
গুগল আপডেটের পর ওয়েব সাইটে ট্রাফিক কিভাবে বাড়াবেন
গুগল আপডেটের পর ওয়েবসাইটের মালিক ও ব্লগারদের মধ্যে একটা প্রশ্ন শোনা যায় আমার
ওয়েবসাইটে ট্রাফিক করে কমে গেল কেন বা আমি এখন কি করব। আমি আপনি সকলেই জানি
ওয়েবসাইট আপডেটের পর ট্রাফিক ওঠানামা করার স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই সঠিক
পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করলে আগের চেয়ে বেশি ট্রাফিক পেতে পারেন গুগল অ্যাপস আপডেটের
পর ট্রাফিক কমে যেতে পারে সেটি বাড়ানোর নিয়ম হলো। যেমনঃ
কনটেন্টের মানঃ গুগল এখন আপডেটের পর ট্রাফিক ফেরানোর জন্য কন্টেনের গুণগত মান
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে E-E-A-T এর উপর ভর কর করে রাঙ্কিং হয়ে থাকে। লেখক নিজে বিষয়টি ব্যবহার করে অভিজ্ঞ কিনা
লেখাটি লিখেছেন যে একজন সে বিশেষজ্ঞ কিনা বা কনটেন্ট ছাড়ানো হয়েছে সাইটের
বিশ্বাসযোগ্যতা তথ্যের সত্যতা নির্ভরযোগ্যতা এক্ষেত্রে অনেকটাই কাজ করে। তাই
আমাদের উচিত লেখকের নাম, অভিজ্ঞতা যুক্ত করে উৎস ও রেফারেন্স যুক্ত করে কোনরকম
স্ট্যাম্প বা অতিরঞ্জিত না করে সঠিকভাবে কন্টেনের মান ঠিক রাখা।
পুরনো কনটেন্ট আপডেটঃ পুরনো কোন কনটেন্ট থাকলে তা আপডেট করতে হবে। আপনার
ওয়েবসাইটে থাকা পুরনো পোস্টগুলো গুগল আপডেটে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। ফলে তাদের
র্যাঙ্ক অনেক কমে যায়। তাই আপনাকে পুরনো আর্টিকেলগুলো রিভিউ করে হালনাগাদ তথ্য
যোগ করতে হবে লাস্ট আপডেটের তারিখ দিয়ে নতুন ছবি ও টাইটেল দিয়ে তৈরি করতে হবে।
সার্চ কনসোল তৈরিঃ গুগল চাই আপনি যেটা লিখছেন সেটা যেন কাজ করা মানুষের উদ্দেশ্যে
ইনটেন্ট পূরণ করে। যে কী ওয়ার্ডে র্যাংক পেতে চান সেটা গুগলে সার্চ করে যেন
মানুষ খুব সহজেই পায় সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে।
কন্টেন্ট রিপ্লেস করাঃ গুগল ডিসকভার থেকে ট্রাফিক বাড়ানো খুব সাধারণ । ডিসকভার
থেকে পুরনো ট্রাফিক ফিরাতে নতুন নতুন ছবি আপডেট করে, ব্লগের হেডলাইন সুন্দর করতে
হবে। পুরাতন কনটেন্ট কে নতুন কনটেন্ট তথ্য দিয়ে রিফ্রেস করতে হবে।
গুগল আপডেট মানে আতঙ্ক নয়। এটা আসলে আপনার ওয়েবসাইটা আরো একটু সুন্দরভাবে করার
সুযোগ। আপনাদের যদি ইচ্ছা থাকে নিয়মিত উন্নতির তাহলে এই আপডেট আপনাকে অন্যদিকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
গুগল থেকে ট্রাফিক পেতে কত সময় লাগে
অনেক ব্লগার ওয়েবসাইট মালিকের মনে একটা প্রশ্ন জাগে যে গুগলে কন্টেন্ট পাবলিশ
করার পর কতদিনে ট্রাফিক আসে। এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই নির্ভর করে ওয়েবসাইটের
ধরন SEO অবস্থা গুগলের আপডেট ও কন্টেনের
মানের উপর। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই এই ব্লগে আমরা সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেবো।
আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয় তাহলে এক থেকে তিন মাসের মধ্যে আনুমানিক গুগল
ট্রাফিক আসতে থাকে। Google প্রতিনিয়ত
ওয়েবসাইট গুলো ক্রল করে। নতুন ওয়েবসাইট গুগলের দ্রুত ভরসা পাই না। তাই এক থেকে
তিন মাস ট্রাফিক পেতে সময় লাগে। তবে সময়ের সাথে তা বাড়বে। আপনার ওয়েবসাইট যদি
সঠিকভাবে SEO করা না হয় তাহলে
গুগল বুঝতে পারবে না
আপনার কনটেন্ট কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি তাই আপনাকে আপনার কন্টেনের টাইটেল, মেটা
ট্যাগ, কি-ওয়ার্ড, ইমেজ আলট্রা-ট্যাগ ইত্যাদি সবকিছুই সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে।
Google যদি কন্টেন্ট ইনডেক্স না
করে তাহলে কখনোই ট্রাফিক আসবেনা তাই গুগল সার্চ কনসোলে URL এক্সপেকশন করে রিকুয়েস্ট
ইন্ডেক্সিং করতে হবে। আপনার কন্টেন গুগল ডিসকভার বা নিউজ ব্যবহার করেন না তাদের
কন্টেন ইনডেক্স হতেও ট্রাফিক পেতে বেশি সময় লাগে।
ওয়েবসাইটে নতুন নতুন কনটেন্ট টেন্ডিং টপিক কভার, মোবাইল ফ্রেন্ডলি ও দ্রুত লোডিং
ওয়েবসাইট তৈরি যদি হয়ে থাকে তাহলে কিছুটা সময় কম লাগতে পারে। গুগল থেকে
ট্রাফিক পাওয়ার জন্য ধৈর্য ও নিয়মিত কন্টেন আপডেট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। আপনি যদি গুগল থেকে ট্রাফিক পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার
ওয়েবসাইটের কন্টেনগুলো SEO করতে হবে। পুরনো কনটেন্ট কে নতুন করে আপডেট করতে হবে। ইনডেক্সিং নিশ্চিত
করতে হবে। ডিসকভার ও নিউজ এর দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে তাহলে অল্প সময়ের
মধ্যেই আপনি গুগল থেকে ট্রাফিক পেতে পারেন।
মন্তব্য Google discover থেকে ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের কৌশল
গুগল ডিসকভার একটি বিশাল ট্রাফিক সোর্স হলেও এটি অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। গুগল
ডিসকভার কোন লটারির মত নয় বরং কন্টেনের মান আপনার কন্টেন্টের বিশ্বস্ততা এবং
ব্যবহারকারী বা ইউজারদের ভ্যালু এখানে বেশি মূল্য পেয়ে থাকে। গুগল ডিসকভার থেকে
ট্রাফিক হারানো মানেই সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয় বরং এটি আপনার কাছে একটি সুযোগ
এবং ব্যবহারকারীর এক্সপেরিয়েন্স আরো উন্নত করায়।
আমার মতে সঠিক পরিকল্পনা নিয়মিত কন্টেন আপডেট এবং ডিসকভার এর নিয়ম নীতি মেনে
চললে আপনার আবারো আগের জায়গায় আপনি যেতে পারবেন। মনে রাখবেন গুগল ডিসকভার এমন
কন্টেনই তুলে ধরে যা সত্যিকারের মানুষের উপকারে আসে এবং ব্যবহারকারীরা ব্যবহার
করে উৎসাহিত হয়। গুগল ডিসকভারের নিয়ম নীতি মেনে কাজ করলে আপনার ট্রাফিক হারানো
পর আবার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আশা করি বুঝতে পেরেছেন
Google discover
থেকে ট্রাফিক হারানোর পর পুনরুদ্ধারের কৌশল সম্পর্কে । ভালো থাকুন। সুস্থ
থাকুন। 250535
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url