ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। বর্তমান সময়ে ইমেইল মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় এবং টাকা আয় করার অনেক সহজ একটি উপায়। আপনি যদি একটু সময় ও ধৈর্য ধরে এই কাজ করতে পারেন তাহলে সহজে আয় করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করার অনেক ধরণ বা মেথড আছে তার মধ্যে আজকে আমরা সহজ এবং লাভজনক ৫টি মেথড বা উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করা যায় যে আপনি যদি এই নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করেন তাহলে অল্প সময়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
- ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
- ইমেইল মার্কেটিং কি এবং এটি কিভাবে করতে হয়?
- নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য ইমেইল করার টিপস
- কাস্টম সার্ভিস অফার করে ক্লায়েন্ট জেনারেট করার কৌশল
- ইমেইল লিস্ট তৈরির স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- কনভার্সন বাড়াতে ইমেইলে কি ধরনের কনটেন্ট পাঠানো উচিত?
- ইমেইল মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে যেসকল ভুল করা উচিত নয়
- এক সাথে হাজার হাজার ইমেইল সেন্ড করার উপায় জানুন
- গুগল থেকে ইমেইল কালেক্ট করার সেরা উপায়
- পরিশেষেঃ ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার যত গুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে অনেক জনপ্রিয় এবং সহজ উপায় হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। আপনি শুধু ইমেইল মার্কেটিং করে নিজের জন্য ইনকাম করতে পারবেন বিষটি এমন নয়। আপনি চাইলে নিজে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস যেমনঃ ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি প্লাটফোর্মে বিদেশী ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে দিতে পারেন অথবা লোকাল মার্কেটেও কাজ করতে পারেন। তাই এখন আমরা ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সহজ ৫টি উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকামের সব চেয়ে সহজ উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অ্যাফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করে আপনার ইমেইলের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছে পাঠাতে হয়। যদি তারা সেই অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে আপনার সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি কিছু কমিশন পাবেন। আপনি চাইলে Amazon, ClickBank, Affiliate ইত্যাদি সাইটে একাউন্ট খুলে এই পদ্ধতিকে কাজ করতে পারেন।
- নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করাঃ ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকামের আরেকটি সহজ ও কার্যকর উপায় হলো নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করা। এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার তৈরি করা ই-বুক, অনলাইন কোর্স, ডিজাইন টেমপ্লেট, সফটওয়্যার ইত্যাদি প্রোডাক্ট ইমেইলের মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রমোট করতে পারেন। এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একবার প্রোডাক্ট তৈরি করলে তা বারবার বিক্রি করা যায় ফলে এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের উৎস হয়ে ওঠে।
- সার্ভিস প্রমোশন করে ক্লায়েন্ট থেকে আয়ঃ ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকামের আরেকটি কার্যকর উপায় হলো নিজের সার্ভিস প্রোমোট করে ক্লায়েন্ট পাওয়া। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট স্কিল যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, ভিডিও এডিটিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং জানেন তাহলে সেই সার্ভিস ইমেইলের মাধ্যমে প্রোমোট করে সরাসরি ক্লায়েন্ট থেকে ইনকাম করতে পারেন।
- পেইড নিউজলেটার থেকে আয়ঃ নিউজলেটার বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ ও ভ্যালুসমৃদ্ধ কনটেন্ট লিখে সেই কন্টেন্ট ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে পাঠানো এবং এই কাজের জন্য প্রতিমাসে বা দৈনিক টাকা নেওয়া। মূলত এটিকেই বলা হয় পেইড নিউজলেটার। ইমেইল মার্কেটিং করে এই পদ্ধতিতেও প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
- স্পন্সরশিপ ও অ্যাডস দেখিয়ে আয়ঃ ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকামের আরেকটি সহজ ও কার্যকর উপায় হলো স্পন্সরশিপ ও অ্যাডস দেখিয়ে আয় করা। এই পদ্ধতিতে সাধারণত আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে কোনো ব্র্যান্ডের স্পন্সরশিপ গ্রহণ করতে পারেন এবং এই স্পন্সরশিপ ও অ্যাডস ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে পাঠাতে পারেন। তবে এই কাজের জন্য অনেক ইমেইল সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়ে। তবে ইমেইল মার্কেটিং থেকে টাকা আয়ের এটিও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি।
ইমেইল মার্কেটিং কি এবং এটি কিভাবে করতে হয়?
ইমেইল মার্কেটিং কি এই বিষয়ে অনেকেই জানে না। ইমেইল মার্কেটিং হল এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল যেখানে ইমেইলের মাধ্যমে মানুষের কাছে পণ্য, সেবা বা তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়। আপনি নিশ্চয়ই অনেক সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইট থেকে ইমেইল পেয়েছেন ওটাই মূলত ইমেইল মার্কেটিং। ইমেইল মার্কেটিং শুধু বিক্রির উদ্দেশ্যে নয় বরং সম্পর্ক তৈরি, ব্র্যান্ড বিল্ডিং এবং আপডেট জানাতেও ব্যবহার করা হয়। কম খরচে অনেক মানুষকে একসাথে পৌঁছানো যায় বলে এটি এখন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে যারা অনলাইন বিজনেস করেন তাদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী মার্কেটিং টুল হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ পাচ্ছে।
এখন আমরা জানবো ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়। ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে যাকে বলা হয় ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং। এটি করার জন্য আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ফর্ম দিতে পারেন বা ফ্রি গাইড অথবা ডিসকাউন্ট অফার করে সাবস্ক্রাইবার সংগ্রহ করতে পারেন। এরপর নিয়মিত ভ্যালু সমৃদ্ধ ইমেইল পাঠাতে হবে যেন পাঠক আপনাকে বিশ্বাস করে। আপনি চাইলে Mailchimp, ConvertKit বা MailerLite এর মতো টুল ব্যবহার করে ইমেইল পাঠাতে পারেন। সময়মতো রিলেভেন্ট অফার দিলে এখান থেকেই আপনি আয় করতে পারবেন। এটি ছিল মূলত ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয় করার একটি উপায়। উপরে আরোও অনেক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনি চাইলে সেগুলোও পড়তে পারেন।
নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য ইমেইল করার টিপস
নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাইলে শুধু ইমেইল পাঠালেই হবে না বরং কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে আপনার অডিয়েন্স আসলে কি চায় বা কোন জিনিসের উপর বেশি আগ্রহী। এরপর তাদের সমস্যা বা আগ্রহ বুঝে সেই অনুযায়ী ইমেইলের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ইমেইলের শুরুতেই আকর্ষণীয় একটা হেডলাইন বা সাবজেক্ট লাইন ব্যবহার করতে হবে যাতে তারা মেইলটা ওপেন করে। এরপর ভেতরে সংক্ষেপে বোঝাতে হবে আপনার প্রোডাক্ট কি এবং এটি তাদের কোন সমস্যার সমাধান দিতে পারে। সবশেষে অবশ্যই একটি পরিষ্কার ও চোখে পড়ার মতো Call to Action যেমনঃ এখনই কিনুন বা আরও জানুন ইত্যাদি বাটন দিতে হবে।
এরপর আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ইমেইলের ভাষা যেন প্রফেশনাল হয় যেন পাঠক মনে করে আপনি তার উপকার করতে চান। অনেকেই ভুল করে শুধু সেলস কেন্দ্রিক কথা বলেন এতে পাঠক বিরক্ত হয়ে যায়। এটি না করে বরং আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে এক থেকে দুই লাইন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা রিভিউ যোগ করতে পারেন। মাঝে মাঝে ডিসকাউন্ট, ফ্রি বোনাস বা লিমিটেড টাইম অফার যুক্ত করলে রেসপন্স অনেক বেড়ে যায়। আর নিয়মিত ফলোআপ মেইল পাঠানো খুব গুরুত্বপূর্ন কাজ তবে স্প্যাম না করে গ্যাপ রেখে পাঠাতে হবে যাতে পাঠক আগ্রহ ধরে রাখে। এই পদ্ধতিতে আপনি যদি ইমেইল পাঠান তাহলে আশা করা যায় যে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন।
কাস্টম সার্ভিস অফার করে ক্লায়েন্ট জেনারেট করার কৌশল
অনলাইনে ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন মনে হলেও সঠিকভাবে কাস্টম সার্ভিস অফার করতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। প্রথমে বুঝতে হবে আপনি কোন সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন এবং এই কাজ কোন ধরনের মানুষের প্রয়োজন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ কেননা মনে করেন একজন মানুষের প্রয়োজন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কিন্তু আপনি তাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অফার দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিসের অফার দিয়ে ইমেইল পাঠাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই মানুষ আপনার ইমেইল এর উপর গুরুত্ব দিবে না। আবার অনেক সময় এই ধরনের ইমেইল উপরের টপিক দেখেই ডিলিট করে ফেলে অনেক মানুষ। তাই আপনাকে প্রথমেই ভালোভাবে রিসার্স করে নিতে হবে যে আপনি যে সার্ভিস দিচ্ছেন সেটি কোন মানুষের প্রয়োজন।
আরোও পড়ুনঃ ক্যানভা প্রো ফ্রিতে এক্টিভ করার সহজ উপায়
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যে অফারটি পাঠাবেন সেটি যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে ইমেইলের মাধ্যমে অনেক স্ক্যামার ফিশিং বা হ্যাকিং মেইল পাঠায় যার কারণে আপনি যদি বিশ্বাসযোগ্য ভাবে ইমেইল না পাঠান তাহলে সেগুলো থেকে রেসপন্স আসার সম্ভাবনা করে কমে যাবে। আর আপনার টার্গেট যদি ইউরোপ বা আমেরিকার দেশ গুলো হয় তাহলে আপনাকে আরোও সতর্কতার সাথে ইমেইল পাঠাতে হবে। কেননা এই উন্নত দেশ গুলোর মানুষ প্রত্যেক ইমেইল খুব সতর্কতার সাথে দেথে থাকে। তাই আপনি যদি ভালোভাবে ইমেইল না পাঠান তাহলে সেই ইমেইল খুলে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি।
ইমেইল লিস্ট তৈরির স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ইমেইল মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে প্রথম কাজ হলো একটা ভালো ও এক্টিভ ইমেইল লিস্ট তৈরি করা। কেননা আপনি চোখ বন্ধ করে একটি অনেক বড় ইমেইল লিস্ট অনেক সময় ব্যয় করে ও কষ্ট করে তৈরি করলেন কিন্তু আপনি জানেন না এই ইমেইল গুলো ভ্যালিড কিনা এবং এই মানুষ গুলো আসলেই আপনার সার্ভিস নিবে কিনা। এখন অনেকে ভ্যালিড ইমেইল সম্পর্কে জানে না। ভ্যালিড ইমেইল বলতে বোঝায় যে ইমেইল গুলোতে ইমেইল পাঠালে ইমেইল ওই মানুষের কাছে ঠিকভাবে পৌছাবে এমন এমাইলকেই ভ্যালিড ইমেইল বলে। অনেক সময় আমরা যখন ইমেইল সংগ্রহ করি অনেকে ভুল ইমেইল বা এমন ইমেইল দেয় যেগুলো বন্ধ বা কেউ ব্যবহার করে না। এই সকল ইমেইলে মেইল পাঠালে সেগুলো যায় না।
এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য বর্তমান সময়ে অনেক ইমেইল ভ্যালিডেটর আছে। সেগুলোতে আপনার সমল ইমেইল চেক করে দেখে নিতে পারেন কোন ইমেইল গুলো সচল এবং কোন গুলো বন্ধ। অনেক ফ্রি টুল থাকার কারণে নিশ্চিন্তে এই টুল গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার যে সার্ভিস সেখানে ল্যান্ডিং পেজ বা ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপশন ফর্ম রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফর্মটা যেন একদম সহজ হয়। শুধু নাম আর ইমেইল থাকলেই হবে বেশি তথ্য না চাওয়ায় ভালো। এরপর যারা সাইন আপ করবে তাদেরকে ওয়েলকাম ইমেইল দিয়ে শুরু থেকেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আপনি এই কাজ গুলো ফেসবুক অ্যাডস, ইউটিউব ভিডিও, ব্লগ ইত্যাদি থেকে ট্রাফিক এনে করতে পারেন। তবে ভিউ এর চাইতে যেত বেশি মানুষ ইনগেজ হবে তত ইনকাম হবে তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ন।
কনভার্সন বাড়াতে ইমেইলে কি ধরনের কনটেন্ট পাঠানো উচিত?
কনভার্সন বাড়াতে ইমেইলে কি ধরনের কনটেন্ট পাঠাতে হবে এই বিষটি জানা অনেক গুরুত্বপূর্ন। কেননা এই বিষয় গুলো না জেনে আপনি যদি দিনে হাজার হাজার ইমেইল পাঠান তবুও আপনার কনভার্সন নাও আসতে পারে। আর আপনার যদি কনভার্সন না আসে তাহলে আপনার শুধু পরিশ্রম হবে কিন্তু কোন টাকা আয় হবে না। তাই কাউকে ইমেইল পাঠানোর আগে অবশ্যই ভালোভাবে রিসার্চ করে সুন্দর ভাবে একটি কন্টেন্ট লিখে তারপর আপনাকে সেগুলো সেন্ড করতে হবে। এখন আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে জানার চেষ্টা করবো কনভার্সন বাড়াতে ইমেইলে কি ধরনের কনটেন্ট পাঠানো উচিত এই সম্পর্কে।
- সমস্যা ও সমাধান ভিত্তিক কনটেন্ট মেইল করা।
- ক্লায়েন্ট রিভিউ ও কেস স্টাডি শেয়ার করা।
- ডিসকাউন্ট, অফার বা লিমিটেড টাইম ডিল দেওয়া।
- ফ্রি রিসোর্স অথবা ই-বুক মেইল করা।
- প্রশ্নভিত্তিক বা ইন্টার্যাকটিভ ইমেইল পাঠানো।
- Step by step গাইড বা How to কনটেন্ট পাঠানো।
- ব্যক্তিগত গল্প বা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দেওয়া।
- Before vs After ফলাফল দেখানো।
- প্রশ্নোত্তর ফরম্যাটে ইমেইল পাঠানো।
- একটি Call to Action বা CTA বাটন রাখা ইত্যাদি।
ইমেইল মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে যেসকল ভুল করা উচিত নয়
ইমেইল মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে অনেক গুলো দিক লক্ষ্য রাখতে হয়। এই দিক গুলো যদি সঠিকভাবে অনুসরণ না করেন তাহলে আপনি কখনোই ইমেইল মার্কেটিং এর কাজে সফল হতে পারবেন না। তাই আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ নতুন হন তাহলে এই দিক গুলো আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে তা না হলে আপনার সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি পরিশ্রম ঠিকই হবে কিন্তু টাকা আয় করতে পারবেন না। তাই এখন আমরা জানার চেষ্টা করবো ইমেইল মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে যেসকল ভুল করা উচিত নয়।
- একসাথে অনেককে স্প্যামিং করে ইমেইল পাঠানো উচিত নয়।
- সাবজেক্ট লাইন দুর্বল বা বিভ্রান্তিকর রাখা উচিত নয়।
- ইমেইলে ব্যক্তিগত বা আনপ্রফেশনাল তথ্য রাখা উচিত নয়।
- প্রতি ইমেইলে একাধিক Call to Action বা CTA রাখা উচিত নয়।
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন না করা উচিত নয়।
- ভ্যালু না দিয়ে শুধু সেলস পিচ পাঠানো উচিত নয়।
- Unsubscribe অপশন রাখা একদম উচিত নয়।
- ইমেইল লিস্ট সেগমেন্ট করা বা সবাইকে একই মেসেজ পাঠানো উচিত নয়।
- ইমেইল সেন্ডিং টাইম অপ্রাসঙ্গিক বা এলোমেলো হওয়া উচিত নয়।
- রিপোর্ট ও ওপেন রেট ট্র্যাক না করে ব্লাইন্ডলি চালিয়ে যাওয়া একদম উচিত নয়।
এক সাথে হাজার হাজার ইমেইল সেন্ড করার উপায় জানুন
আমরা যারা একসাথে অনেক গুলো ইমেইল পাঠাতে যায় তখন সবাইকে আলাদা আলাদা করে ইমেইল পাঠানোর জন্য অনেক সময় ও পরিশ্রম করতে হয়। এখন আপনি এই কাজ মাত্র এক ক্লিকে করতে পারবেন অর্থাৎ একটি ইমেইল আপনি মাত্র এক ক্লিকে এক সাথে হাজার হাজার মানুষকে পাঠাতে পারবেন। এক সাথে হাজার হাজার ইমেইল সেন্ড করার অনেক গুলো উপায় রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং প্লাটফোর্ম ব্যবহার করা। নিচে কিছু ইমেইল মার্কেটিং প্লাটফোর্মের না তুলে ধরা হলো।
টুল | সুবিধা | ফ্রি নাকি পেইড |
---|---|---|
MailerLite | সহজ ইন্টারফেস, অটো অ্যানসার ফিচার | ফ্রি |
ConvertKit | অটোমেশন ও সাবস্ক্রাইবার ম্যানেজমেন্ট ফিচার | ফ্রি |
Mailchimp | জনপ্রিয় ও কাস্টম ডিজাইন | ফ্রি |
Sendinblue | এসএমএস ও ইমেইল একসাথে সেন্ড করা যায় | ফ্রি |
GetResponse | Webinar সহ অনেক সুবিধা পাওয়া যায় | ফ্রি |
গুগল থেকে ইমেইল কালেক্ট করার সেরা উপায়
আমরা সাধারণত অনেক নিয়মে ইমেইল কালেক্টের কাজ করে থাকি। যেমনঃ ফেসবুক অ্যাডসের মাধ্যমে, ইউটিউব থেকে, ওয়েবসাইটে ফর্মের মাধ্যমে ইত্যাদি। এই পদ্ধতি গুলো ছাড়াও আরোও অনেক পদ্ধতি সাধারণত ইমেইল কালেক্ট করা হয়ে থাকে। যেগুলোর বেশির ভাগ কালেক্ট করতে অনেক সময় লাগে অথবা টাকা খরচ করার প্রয়োজন হয়। যেমনঃ আপনি যদি ফেসবুক অ্যাডসের মাধ্যমে টার্গেট করে ইমেইল কালেক্ট করতে চান তাহলে আপনাকে টাকা ব্যয় করে এই ক্যাম্পাইন গুলো চালাতে হবে। তবে আপনি যদি টাকা ছাড়াই ইমেইল কালেক্ট করতে চান তাহলে আপনার জন্য সেরা উপায় হতে পারে গুগল থেকে ইমেইল কালেক্ট করা।গুগল থেকে ইমেইল কালেক্ট করার জন্য প্রথমেই আপনাকে কিছু এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হবে।
এই কাজ করার জন্য আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই ব্রাউজারে এক্সটেনশন ব্যবহার করা অনেক সহজ এবং কাজও দ্রুত করা যায়। আমাদের প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে ইমেইল খুঁজে পাওয়ার কিছু এক্সটেনশন ব্রাউজারে অ্যাড করে নিতে হবে। আপনি চাইলে Email Extractor, GetProspect, Snov.io এই এক্সটেনশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনি যাদের টার্গেট করে ইমেইল কালেক্ট করবেন তাদের কাজ গুলো লিখে সার্চ করতে হবে। যেমনঃ আপনি যদি নিউ ইয়োর্ক শহরের রেস্টুরেন্ট মালিকদের ইমেইল কালেক্ট করতে চান তাহলে restaurant New York contact লিখে সার্চ করলেই হবে। এখন শুধু আপনাকে স্ক্রল করতে হবে তাহলেই ইমেইল গুলো এক্সটেনশনের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কালেক্ট হতে থাকবে।
পরিশেষেঃ ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়
ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায় নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরের আলোচনা ভালো ভাবে পড়লে আশা করা যায় যে ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি খুব ভালো একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আমরা উপরে শুধু ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করিনি বরং সেই সাথে ইমেইল মার্কেটিং আসলে কি এবং এই মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ইমেইল মার্কেটিং করার কিছু স্ট্রাটেজি থেকে শুরু করে ইমেইল কালেক্ট করার উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উপরের লিখা ভালোভাবে পড়লে ইমেইল মার্কেটিং এর বেসিক সকল তথ্য পেয়ে যাবেন বলে আশা করা যায়। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url