OrdinaryITPostAd

জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে কীভাবে জানুন

 জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে খুব সহজে। অনেকের এই বিষয়ে ভুল ধারণা রয়েছে যে জিমেইল ছাড়া হয়তো ফাইভার একাউন্ট খোলা সম্ভব নয়। এটি আসলে একটি ভুল ধারণা জিমেইল ছাড়াও আরোও অনেক মাধ্যম রয়েছে যার সাহায্যে ফাইভার একাউন্ট খোলা সম্ভব।

জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে

অনেকে জিমেইল ব্যতীত অন্যান্য মাধ্যম যেমন ফেসবুক, অ্যাপেল আইডি অথবা অন্য কোন ইমেইল দিয়ে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চায়। তাই আজকে আমরা জিমেইল ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যমে ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানবো।

জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে

জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে

জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে কিনা এটি নিয়ে বিশেষ করে নতুন ফ্রিল্যান্সার দের চিন্তার শেষ নেই। জিমেইল ছাড়াই আরো অনেক মাধ্যমে ফাইভারে একাউন্ট তৈরি করা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক হচ্ছে একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফোর্ম যেটি ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি ফাইভারে একাউন্ট খুলতে পারবেন। ফেসবুক দিয়ে ফাইভার একাউন্ট খুলার একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে ফাইভারে আর আলাদা ভাবে আপনাকে অতিরিক্ত ইনফর্মেশন দিতে হবেনা বরং ফেসবুকে আপনি যে তথ্য গুলো দিয়ে রেখেছেন সেগুলোই ফাইভার একাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে।

ফেসবুকের পর অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপেল আইডি দিয়ে ফাইভার একাউন্ট তৈরি। আপনি যদি অ্যাপেল এর কোন ডিভাইস যেমন আইফোন, ম্যাকবুক, আই প্যাড ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার কাছে একটি অ্যাপেল আইডি অবশ্যই থাকতে হবে। আর এই অ্যাপেল আইডি ব্যবহার করেই আপনি খুব সহজে একটি ফাইভার একাউন্ট খুলতে পারবেন। অ্যাপেল আইডি ব্যবহার করে ফাইভার একাউন্ট খুলার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এর শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অ্যাপেল আইডি হ্যাক করা অনেক কঠিন হওয়ার কারণে আপনার ফাইভার একাউন্ট সহজে কেউ হ্যাক করতে পারবেনা।

এখন আপনার যদি অ্যাপেল আইডি না থাকে তাহলে আরোও অনেক মাধ্যম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে ফাইভার একাউন্ট খুলতে পারবেন। তার মধ্যেও জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম গুলো হচ্ছে আউটলুক, ইয়াগু, হটমেইল, ইয়ান্ডেক্স ইত্যাদি। এই গুলো সবই হচ্ছে আলাদা আলাদা ইমেইল সার্ভিস। জিমেইল যেমন একপ্রকার ইমেইল ঠিক তেমনই উপরের দেওয়া নাম গুলোও একপ্রকারের ইমেইল। উক্ত ইমেইল গুলো দিয়েও আপনি খুব সহজে ফাইভার একাউন্ট খুলতে পারবেন। এখন আমরা নিচে ধাপে ধাপে জানবো ফাইভার একাউন্ট খুলতে কী কী দরকার হয় এবং কিভাবে জিমেইল ছাড়াই একটি ফাইভার একাউন্ট খুলতে হয়।
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
জিমেইল ছাড়াই ফাইভার একাউন্ট খোলার জন্য আমাদের সর্বপ্রথম ফাইভারে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য যেকোনো ব্রাউজার থেকে গুগলে fiverr.com লিখে সার্চ করলে সরাসরি ফাইভার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। এরপর এখান থেকে আমাদের একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। ফাইভারে প্রবেশ করার পর You dont have account থেকে join here এই অপশনে ক্লিক করার পর একাউন্ট খুলতে পারবেন অথবা উপরে দেখানো ছবির মত Continue with email এই অপশন থেকেও একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

এখন আমরা জিমেইল ছাড়া Yandex ইমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলবো। তাই উপরে দেখানো যেকোন একটি অপশনে ক্লিক করলে আপনাদের সামনে দুইটি ফাঁকা ঘর আসবে। একটি হচ্ছে Your Mail এবং অপরটি হচ্ছে Password এবার এখান থেকে আপনার Yandex ইমেইল প্রথমে বসাতে হবে। ইয়ানডেক্স ইমেইল মূলত example@yandex.com এই রকম দেখতে হয়। ইয়ানডেক্স ইমেইল দেওয়ার পর এবার একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে Continue বাটনে ক্লিক করলেই আপনার ফাইভার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।

ফাইভার একাউন্ট খুলতে কী কী দরকার হয়?

ফাইভার একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন সেটা হলো একটি সক্রিয় এবং নিরাপদ ইমেইল অ্যাড্রেস। যদিও অনেকেই মনে করেন শুধুমাত্র জিমেইল দিয়েই ফাইভারে একাউন্ট খোলা যায় কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনি ইয়াহু, আউটলুক বা হটমেইল ব্যবহার করেও সহজেই একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে শুধু ইমেইল অ্যাড্রেস থাকলেই হবে না সেই ইমেইলটি যেন ভেরিফাই করা এবং আপনার নিজের ব্যবহৃত হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এরপর দরকার হবে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড যেটা নিরাপদ এবং অনুমান করা কঠিন হয়। অনেকেই এখানে সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ভবিষ্যতে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়েন তাই প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া উচিত।
এরপর যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে একটি ভালো মানের প্রোফাইল ছবি, আপনার নাম এবং একটি সংক্ষিপ্ত অথচ আকর্ষণীয় ডেসক্রিপশন। যেটি আপনার ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার পরিচিতি হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও ফাইভার একাউন্ট খোলার সময় আপনার একটি মোবাইল নম্বরও লাগতে পারে যেটি দিয়ে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হয়। যেহেতু ফাইভার একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস তাই আপনি যে ঠিকানা ও তথ্য দেবেন সেগুলো যেন বাস্তব এবং সঠিক হয়। অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে একাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে তা স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। তাই একাউন্ট খোলার সময় থেকেই সঠিক তথ্য দিয়ে ফাইভারে একাউন্ট খোলাই ভালো।

আউটলুক দিয়ে ফাইভারে একাউন্ট খোলার নিয়ম

আউটলুক দিয়ে ফাইভারে একাউন্ট খোলার আগে আমরা অনেকে জানি না যে আউটলুক কি অথবা আউটলুক একাউন্ট কীভাবে খুলতে হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আউটলুক হচ্ছে জিমেইল এর মতোই মাইক্রোসফট এর একটি ইমেইল। জিমেইল দিয়ে আপনি যা যা করতে পারবেন ঠিক তেমনি আউটলুক দিয়েও সেই একই রকমের কাজ করতে পারবেন। এখন আসি কীভাবে একটি আউটলুক ইমেইল খুলা যায় খুব সহজেই।
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
প্রথমে আপনাকে যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করতে হবে "microsoft outlook account create" এটি লিখে। এরপর আপনার সামনে যে প্রথম মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট আসবে এবার সেখানে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করার পর নিচের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন লিখা রয়েছে "ক্রিয়েট নিউ ইমেইল অ্যাড্রেস" এবার সেখানে আপনার পছন্দ মতো একটি ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে দিতে হবে। এরপর আপনার নাম ও জন্ম তারিখ সহ কিছু ক্যাপচা পূরণ করা লাগতে পারে। পাসওয়ার্ড সেট করার সময় অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করে নিবেন যেখানে একটি বড় হাতের লেটার, সংখ্যা ও সিম্বল ব্যবহার করতে পারেন।

এখন আমরা জানবো কীভাবে এই আউটলুক ইমেইল দিয়ে একটি ফাইভার একাউন্ট খুলবেন। এরজন্য সবার আগে আপনাকে ফাইভারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ডান পাশে লক্ষ্য করবেন লিখা আছে জয়েন অথবা সাইন আপ বাটন এবার সেখানে প্রবেশ করতে হবে। এরপর একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনাকে ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে বলা হবে। সেখানে আপনি আপনার আউটলুক ইমেইলটি লিখে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করবেন। 
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
এরপর আপনাকে একটি ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে। ইউজারনেমটি এমনভাবে নির্বাচন করুন যাতে তা আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হন তবে আপনার ইউজারনেমে ডিজাইন শব্দটি রাখতে পারেন। সব কিছু পূরণ করে ফেললে আপনার আউটলুক ইমেইলে ফাইভারের পক্ষ থেকে একটি কনফার্মেশন লিংক পাঠানো হবে। সেই লিংকে ক্লিক করলেই আপনার ফাইভার একাউন্টটি একটিভ হয়ে যাবে। এরপর আপনি চাইলে নিজের প্রোফাইল সাজিয়ে নিতে পারেন এবং নতুন গিগ তৈরি করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনেকেই হয়তো জানেন না ফাইভারে শুধু ইমেইল দিয়েই নয় বরং চাইলে সরাসরি ফেসবুক একাউন্ট দিয়েও একাউন্ট খোলা যায়। এটি নতুনদের জন্য খুবই সহজ এবং ঝামেলাহীন একটি পদ্ধতি। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদম নতুন এবং এখনও ইমেইল ভেরিফিকেশন বা পাসওয়ার্ড নিয়ে দ্বিধায় থাকেন তাদের জন্য এটি একটি বেস্ট পদ্ধতি। ফাইভারের হোমপেজে ঢুকলে উপরে জয়েন বাটনে ক্লিক করলে একাধিক অপশন চলে আসে। যেমন গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল অথবা ইমেইল দিয়ে সাইন আপ। আপনাকে সেখান থেকে Continue with Facebook বাটনে ক্লিক করতে হবে।
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
এরপর একটি পপ-আপ উইন্ডো আসবে যেখানে আপনাকে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করতে বলা হবে। আপনি লগইন করলে ফাইভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম, প্রোফাইল ছবি ও ইমেইল সংগ্রহ করে একটি একাউন্ট তৈরি করে ফেলবে। এরপর আপনাকে শুধু আপনার ইউজারনেম, প্রোফাইল তথ্য এবং পছন্দের কাজের ক্যাটাগরি নির্বাচন করে প্রোফাইলটি পূরণ করতে হবে। এই পদ্ধতিতে ফাইভারে একাউন্ট খোলা অনেকটাই সময় সাশ্রয়ী এবং তাড়াতাড়ি শুরু করার জন্য আদর্শ। তবে মনে রাখতে হবে যে আপনার ফেসবুক একাউন্টটি যেন আসল ও নিরাপদ হয়। তা না হলে পরবর্তিতে লগইন করতে সমস্যা হতে পারে।

অ্যাপল আইডি দিয়ে ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমান সময়ে অনেক ব্যবহারকারী তাদের বিভিন্ন অনলাইন একাউন্ট গুলোতে গুগলে বা ফেসবুক ছাড়াও অ্যাপেল আইডি ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এটি নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার দিক থেকে অনেকটাই উন্নত একটি মাধ্যম। ফাইভারও এই সুবিধা দিয়েছে যাতে আপনি চাইলে সরাসরি আপনার অ্যাপল আইডি দিয়েই একাউন্ট খুলতে পারেন। প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে ফাইভারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবং উপরের ডান পাশে থাকা জয়েন বাটনে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে কন্টিনিউ উইথ অ্যাপেল অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এটি নির্বাচন করার পর আপনার অ্যাপল একাউন্টে লগইন করার একটি উইন্ডো আসবে।
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
আপনি যদি আগেই আপনার ব্রাউজারে অ্যাপল আইডিতে লগইন করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই ফাইভার আপনার অ্যাপল প্রোফাইল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করে ফেলবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে নিজের ইমেইল গোপন রাখার সুবিধাও পাবেন যেটা শুধুমাত্র অ্যাপল আইডি ব্যবহারের ক্ষেত্রেই সম্ভব। একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে আপনার ইউজারনেম নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রোফাইল ছবি যুক্ত করতে হবে এবং আপনি কোন কাজের মাধ্যমে ফাইভারে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান সেটি নির্ধারণ করতে হবে। অ্যাপল আইডির মাধ্যমে ফাইভারে একাউন্ট খোলার এই পদ্ধতিটি খুবই সহজ এবং নিরাপদ। বিশেষ করে যারা অ্যাপেল ইকোসিস্টেম ব্যবহার করছেন তাদের জন্য এটি একটি সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হতে পারে ফাইভারে একাউন্ট খোলার জন্য।

জিমেইল ছাড়া একাউন্ট খোলার আরোও ২টি উপায়

জিমেইল ছাড়া একাউন্ট খোলার জন্য আমরা ইতিমধ্যে উপরে আউটলুক, ফেসবুক, অ্যাপেল আইডি দিয়ে কীভাবে ফাইভার একাউন্ট খুলতে হয় সে সম্পর্কে জেনেছি। উপরের মাধ্যম গুলো ছড়াও আপনি যদি চান অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে ফাইভারে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন সেক্ষত্রে নিচে দেওয়া দুইটি মাধ্যম আপনার কাজে আসতে পারে। যদিও প্রফেশনাল মানুষরা ফাইভারের মত মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলার জন্য যে মাধ্যম গুলো ব্যবহার খুব কম করেন তবুও আপনাদের জানা ও শেখার উদ্দেশ্যে মাধ্যম দুটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরন দেওয়া হলো। আশা করা যায় যে জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে কিনা এই বিষয়ে সকল উত্তর পেয়ে যাবেন।
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
  • Yahoo বা Hotmail ইমেইল ব্যবহার করে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করাঃ যদিও Yahoo বা Hotmail আগের মতো তেমন জনপ্রিয় নয়। তবে এখনো অনেকেই ব্যক্তিগত কিংবা অফিসিয়াল কাজে Yahoo বা Hotmail ব্যবহার করে থাকেন। ফাইভার এই ইমেইল প্ল্যাটফর্মগুলোকেও সমানভাবে গ্রহণ করে। আপনি চাইলে উপরে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে Yahoo বা Hotmail ইমেইল ব্যবহার করে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
  • Yandex Mail ইমেইল ব্যবহার করে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করাঃ Yandex Mail হচ্ছে রাশিয়ার একটি জনপ্রিয় ইমেইল সার্ভিস। আপনি চাইলে এই ইমেইল ব্যবহার করেও ফাইভার একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এই ইমেইলটিতে শক্তিশালী স্পাম ও ফিসিং প্রযুক্তি থাকার কারণে আপনি নিশ্চিন্তে এই ইমেইল ব্যবহার করেও ফাইভার একাউন্ট খুলতে পারেন।

জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলার সুবিধা ও অসুবিধা

জিমেইল ছাড়া ফাইভারে একাউন্ট খোলার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিকল্প মাধ্যম ব্যবহারের স্বাধীনতা। অনেক সময় দেখা যায় যে কারো জিমেইল আইডি নেই বা সেটি বন্ধ হয়ে গেছে তখন ফেসবুক, অ্যাপল আইডি, আউটলুক কিংবা ইয়াহু ইমেইলের মতো মাধ্যম গুলো তাদের জন্য বড় সহায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও ফেসবুক বা অ্যাপল আইডি ব্যবহার করলে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যায়। কারণ ফাইভার সরাসরি প্রোফাইল তথ্যগুলো ফেসবুক বা অ্যাপেল আইডি থেকেই নিয়ে নেয়। এতে সময় সাশ্রয় হয় এবং সাইন আপ প্রক্রিয়াটিও দ্রুত শেষ করা যায়। পরিশেষে যারা জিমেইল ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ না বা অতিরিক্ত গুগল অ্যাকাউন্ট খুলতে চান না তাদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা।

তবে এক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও রয়েছে যেগুলো মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত ফাইভারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন বা কনফার্মেশন মেইল যদি ফেসবুক বা অ্যাপল আইডির সাথে লিংক করা ইমেইলে না আসে তবে সেটি হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে আউটলুক বা ইয়াহু ইমেইলে নোটিফিকেশন আসতে দেরি হতে পারে। এছাড়াও ফেসবুক আইডি বা অ্যাপল অ্যাকাউন্ট যদি কখনও হ্যাক বা ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় তবে ফাইভার একাউন্টে লগইন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকেই ভুল করে এমন ইমেইল বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন যেটি পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা যায় না। ফলে পুরো ফাইভার একাউন্টই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই জিমেইল ছাড়া অন্যান্য মাধ্যম গুলো ব্যবহার করলে সচেতন থাকতে হবে।

SEO ফ্রেন্ডলি গিগ পাবলিশ করার গোপন টিপস

ফাইভারে সফল হতে হলে শুধু গিগ তৈরি করলেই হবে না বরং সেই গিগটি যেন সার্চ রেজাল্টে সহজে ভেসে উঠে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য দরকার এসইও ফ্রেন্ডলি গিগ তৈরি করা। প্রথমেই যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ। আপনি যেই সার্ভিসটি দিচ্ছেন সেটার জন্য মানুষ কীভাবে সার্চ করছে তা গুগল কীওয়ার্ড প্ল্যানার বা ফাইভার সার্চ সাজেশন ব্যবহার করে বের করে নিতে হবে। তারপর সেই মূল কিওয়ার্ডটি গিগ টাইটেল, ট্যাগ, ডিসক্রিপশন এবং FAQ অংশে সাবলীলভাবে ব্যবহার করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে গিগটি অপ্রাকৃতিক লাগতে পারে এবং ক্লায়েন্টদের কাছে তা প্রফেশনাল নাও লাগতে পারে।
আরেকটি গোপন টিপস হলো গিগ ইমেজ এবং ভিডিওর মাধ্যমে নিজের গিগকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা। গিগ ইমেজে অবশ্যই পরিষ্কার টেক্সট, নিজস্ব ডিজাইন এবং কিওয়ার্ড যুক্ত করা উচিত যেন তা ভিজ্যুয়ালি মানুষকে আকৃষ্ট করে। অনেক ফ্রিল্যান্সার গিগ ভিডিও তৈরি করেন না অথচ ফাইভারে ভিডিও সহ গিগের র‍্যাংক অনেক দ্রুত হয়। পাশাপাশি আপনার গিগ ডিসক্রিপশনে স্পষ্টভাবে সার্ভিস সম্পর্কে লিখুন এবং প্রশ্ন থাকলে FAQ অংশে উত্তর দিন। যত বেশি প্রাসঙ্গিক তথ্য আপনি গিগে দেবেন তত বেশি তা সার্চ ইঞ্জিন এবং ক্লায়েন্ট উভয়ের কাছেই ভালো মনে হবে। এই টিপসগুলো অনুসরণ করলেই আপনি সহজেই নিজের গিগ এসইও ফ্রেন্ডলি করে র‍্যাংক করাতে পারবেন বলে আশা করা যায়।

নতুন ফাইভার একাউন্ট খুলে দ্রুত অর্ডার পাওয়ার টিপস

নতুন ফাইভার একাউন্ট খুলে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ শুরুতে কোনো অর্ডার আসতে চায় না। তবে কিছু কৌশল মেনে চললে আপনি সহজেই প্রথম অর্ডার পেতে পারেন। প্রথমেই যেটি করতে হবে তা হলো প্রফেশনাল এবং আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি। প্রোফাইল পিকচার হতে হবে স্পষ্ট এবং প্রফেশনাল যাতে ক্লায়েন্ট আপনার উপর আস্থা রাখতে পারেন। প্রোফাইল বায়ো তে সংক্ষিপ্তভাবে আপনি কী সার্ভিস দেন, কেন ক্লায়েন্ট আপনাকে বেছে নেবে সেগুলো পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে। এরপর গিগ টাইটেল, ডিসক্রিপশন এবং ট্যাগগুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং লেখাটি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন হয়।
জিমেইল-ছাড়া-ফাইভার-একাউন্ট-খোলা-যাবে
দ্রুত অর্ডার পাওয়ার আরেকটি কার্যকরী টিপস হলো বায়ার রিকোয়েস্ট বা ব্রিফে নিয়মিত রিপ্লাই দেওয়া। আপনি প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে বায়ার রিকোয়েস্টে প্রফেশনাল এবং ক্লিয়ার প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন। এতে আপনার প্রোফাইল ভিজিবিলিটি বাড়বে এবং ক্লায়েন্টদের চোখে পড়বে। এছাড়াও নতুন হিসেবে আপনার প্রাইসিং অন্যদের তুলনায় কিছুটা কম রাখলে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আরেকটি গোপন কৌশল হলো আপনার সার্ভিসের সঙ্গে মিল আছে এমন কিছু জনপ্রিয় গিগ স্টাডি করা এবং বুঝে নিজের গিগ কন্টেন্ট ও স্ট্রাকচার সেইভাবে সাজানো। এইসব স্ট্র্যাটেজি ফলো করলে খুব অল্প সময়েই আপনি প্রথম অর্ডার পেয়ে যেতে পারেন।

পরিশেষেঃ জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে

জিমেইল ছাড়া ফাইভার একাউন্ট খোলা যাবে কিনা এই বিষয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ফাইভার একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস হওয়ার কারণে শুধু জিমেইল ছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতিতে একাউন্ট খোলার অপশন রেখেছে। আপনি চাইলে জিমেইল এর পরিবর্তে যেকোনো ইমেইল, ফেসবুক একাউন্ট অথবা অ্যাপেল আইডি দিয়েও ফাইভারের একাউন্ট খোলা সহ মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ করতে পারবেন। কীভাবে জিমেইল ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যম গুলো দিয়ে ফাইভার একাউন্ট খুলবেন সে বিষয়ে উপরে বিস্তারিত ছবিসহ পড়ে আসতে পারেন ও চাইলে এই গুরুত্বপূর্ন তথ্যটি আপনার আপনজন ও বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। 250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url