ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে ইনকাম করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা
স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনিও খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ডিভাইসের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ এবং সেই সাথে
একটি স্কিল থাকা প্রয়োজন। স্কিল না থাকলে আপনি কোন ভাবেই অনলাইনে ইনকাম করতে
পারবেন না। তাই নিচে কিছু জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পূর্ন স্কিল সম্পর্কে জানার চেষ্টা
করবো।
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
- ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
- ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোন সাইটে বেশি ইনকাম?
- গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে করনীয় কি জানুন
- ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করার সেরা উপায়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ও কিভাবে করতে হয় জানুন
- বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর চাহিদা কেমন?
- অনলাইন টিউশনি করে আয় করা সম্ভব কিনা জানুন
- ডাটা এন্ট্রি কাজ করার সেরা সাইট কোনটি জানুন
- ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন
- পরিশেষেঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। আমরা অনেকে
আমাদের ফ্রি সময় গুলোতে ফেসবুকে স্ক্রল করে ঘন্টার প ঘণ্টা সময় অপচয় করি
কিন্তু আমরা চাইলে এই সময় কেই কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারি। আপনার
কাছে যদি একটি কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোন থাকে এবং সেই সাথে ইন্টারনেট
কানেকশন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছে শক্তি ও কাজ করার আগ্রহ। এখন আমরা
ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ ১০টি উপায় সম্পর্কে জানবো।
- ফ্রিল্যান্সিংঃ বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সব চেয়ে জনপ্রিয় যে উপায় সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, বা অনুবাদের মতো স্কিল জেনে থাকেন তাহলে আপওয়ার্ক, ফাইভার ইত্যাদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কাজ করার আগে অবশ্যই কোন একটি স্কিলে এক্সপার্ট হতে হবে।
- ডাটা এন্ট্রি কাজঃ ঘরে বসে সহজে অনলাইনে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো ডাটা এন্ট্রি। আপনার টাইপিং স্পিড যদি একটু ভালো থাকে তাহলে এই কাজ আপনি খুব সহজে করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ সাধারণত বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ফর্ম ফিলআপের কাজ হয়ে থাকে। ক্লিক ওয়ার্কার, মাইক্রো ওয়ার্কার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে সহজেই এই কাজ গুলো পাওয়া যায়। যারা একদম নতুন তাদের জন্য এই কাজ গুলো পারফেক্ট হতে পারে।
- ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকামঃ বর্তমানে ইউটিউব একটি বড় আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ভিডিও বানানোর ইচ্ছে শক্তি থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে রান্না, গেমিং, শিক্ষা বা টিউটোরিয়াল সম্পর্কিত ভিডিও ট্রেন্ডিং এ রয়েছে। তাই এই ধরনের ভিডিও বানিয়ে আপনিও প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- ব্লগিং করে আয়ঃ আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি ইনকামের মাধ্যম। নির্দিষ্ট একটি বিষয় বা নিস নিয়ে ব্লগ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ করে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি প্যাসিভ ইনকামের উৎস হতে পারে। বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে আসছে।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিসের লিংক শেয়ার করেন এবং কেউ যদি সেই লিংক থেকে কিছু কিনে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করছে। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে মার্কেটিং এর কিছু বিষয় ভালো ভাবে জানতে হবে।
- অনলাইন কোর্স বিক্রিঃ আপনি যদি কোন স্কিল বা বিষয় ভালো জেনে থাকেন তাহলে সেই স্কিল বা বিষয়ের উপর একটি কোর্স তৈরি করে সেই কোর্সটি অনলাইনে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি এই কোর্স বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদিতে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও এই কোর্স গুলো বিক্রি করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস আছে সেখানেও বিক্রি করতে পারেন। এই সার্ভিসে সুবিধা হচ্ছে একবার তৈরি করলে তা থেকে বারবার ইনকাম হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। বর্তমানে বিভিন্ন ছোট বড় ব্র্যান্ড বা উদ্যোক্তারা তাদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম পেজ পরিচালনার জন্য দক্ষ ম্যানেজার খোঁজে। আপনি যদি কন্টেন্ট প্ল্যানিং, পোস্ট ডিজাইন বা মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হতে পারে আপনার আয় করার সেরা একটি উপায়। তবে এই কাজ করতে হলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে হবে।
- অনলাইন টিউশনি করানোঃ বর্তমান সময়কে বলা হয় আধুনিক সময়। তাই অন্যান্য সকল কাজ গুলোর মতই টিউশনিও এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। আপনার মধ্যে যদি পড়ানো ও শেখানোর স্কিল থেকে থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে টিউশনি করিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গুগল মিট বা জুম এর মাধ্যমে অনলাইন টিউশনি করাতে পারবেন।
- গ্রাফিক ডিজাইন ও কনটেন্ট তৈরি করাঃ আপনার যদি ডিজাইনিং বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটিভিটির দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসেই ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে এই কাজ গুলোর প্রচুর চাহিদা থাকলেও আপনি যদি এই কাজ গুলো ভালোভাবে শিখতে না পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে ইনকাম নাও করতে পারেন। বর্তমান এআই আর যুগে কোন স্কিলে এক্সপার্ট না হতে পারলে সেই বিষয়ে কাজ পাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
- সিপিএ মার্কেটিংঃ আপনি যদি অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ বেস্ট অপশন হতে পারে। সিপিএ মার্কেটিং এর কাজের মধ্যে অনেক সেক্টর থাকে। তবে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক বিদেশী মানুষদের কাছে প্রমোট করে তারা যদি সেই লিংক থেকে কোন কিছু ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। এই কাজটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত হলেও কিছুটা আলাদা। বর্তমান সময়ে এই কাজ করেও অনেক মানুষ প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে।
ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোন সাইটে বেশি ইনকাম?
বর্তমান সময়ে সকলের একটি কমন প্রশ্ন সেটি হচ্ছে ফেসবুক নাকি ইউটিউব কোন সাইটে
বেশি ইনকাম হয়। আজকে আমরা এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবো।
সরাসরি সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফেসবুকের তুলনায় ইউটিউব এ সাধারণভাবে বেশি ইনকাম
করার সম্ভাবনা থাকে। তবে এটি অনেক বিষয় ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যেমন
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অনেক গুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে উন্নতম হলো গুগল
অ্যাডসেন্স ইনকাম। সাধারণত এই মাধ্যমেই ছোট চ্যানেল গুলো আয় করে থাকে তবে
চ্যানেল একটু বড় হলে স্পনসরশিপ, পেইড প্রোমোশন থেকে আয়, মেম্বারশিপ ও
সুপারচ্যাটের মাধ্যমে সরাসরি আয় করা সম্ভব।
এছাড়াও ইউটিউবের যদি কোন ভিডিও Evergreen হয় তাহলে সেই একটি ভিডিও থেকে
বারবার ইনকাম করা সম্ভব হয়। এছাড়াও ভিডিওতে সরাসরি অ্যাফিলিয়েট লিংক
ব্যবহার করেও আয় করা সম্ভব। ইউটিউবে প্রায় ১০০০ ভিউতে $১ থেকে $৫
পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব। তবে এই অর্থের পরিমাণ আরোও বাড়তে পারে। আপর দিকে
ফেসবুকে ১০,০০০ ভিউ হলে মাত্র $১ থেকে $২ ডলারের মত আয় করা যায়। যা
ইউটিউবের তুলনায় অনেক কম। আবার ফেসবুকে স্টার ও সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের
মাধ্যমে আয় করা যায়। তবে এর জন্য ব্যবহারকারীকে স্টার ক্রয় করে সেন্ড করতে হয়
তাই এই সিস্টেম থেকে অনেক কম আয় করা সম্ভব। সব মিলিয়ে বলতে গেলে সব কিছু
মিলিয়ে ফেসবুকের তুলনায় ইউটিউবের আয় তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে করনীয় কি জানুন
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে দুই ভাবে আয় করা সম্ভব। তার মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে
ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেই চ্যানেল গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজ করে।
অথবা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স চালু করে সেখান
থেকে আয় করা। বর্তমান সময়ে এই দুই পদ্ধতিতেই গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা
সম্ভব। এখন আমাদের জানা প্রয়োজন এই পদ্ধতিতে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে
করনীয় কি। এখন আমরা নিচে ইউটিউব ও ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে করণীয় কি এই বিষয়ে
বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য প্রথমেই যে জিনিস
লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলে কোন কপি রাইট বা স্ট্রাইক থাকা
যাবে না। এছাড়াও অন্যের ভিডিও ডাউনলোড করে কপিরাইট ফ্রি করে সেই ভিডিও আপলোড
করা যাবে না। আপনি যদি ওয়েবসাইট গুগল অ্যাডসেন্স দ্বারা মনিটাইজ করে আয়
করতে চান তাহলে ওয়েবসাইটে মিনিমাম ২০ থেকে ৩০টি ভাল মানের আর্টিকেল
থাকতে হবে। আবার আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কম করে হলেও ১০০ জন ভিজিটর আসতে
হবে। এছাড়াও সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে Privacy Policy, About Us,
Contact Us এই পেজ গুলো ভালোভাবে লিখা থাকতে হবে। এই নিয়ম গুলো মানলেই
আশা করা যায় আপনি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করতে পারবেন এবং এর থেকে
ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করার সেরা উপায়
বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম
হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা হচ্ছে আপনি
পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে ফ্রিল্যান্সিং নাম শুনে টাকা ইনকাম করা যতটা সহজ মনে হচ্ছে বাস্তবে
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা এতটাও সহজ নয়। কারণ অতীতে সারা
বিশ্বে ফ্রিল্যান্সার ছিলো অনেক কম কিন্তু কাজ ছিল অনেক বেশি। যে কারণে মানুষ
কোন স্কিল ভালোভাবে না শিখে মার্কেটপ্লেস গুলোতে আসলে সহজেই কাজ পেয়ে যেত
কিন্তু বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের পরিমাণ অনেক কম কিন্তু সেই
তুলনায় ফ্রিল্যান্সার অনেক বেশি হওয়ার কারণে কাজ ভালোভাবে জানা থাকার
পরেও কাজ পাচ্ছে না।
একটি রিসার্সের মতে বর্তমানে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায়
১.৫৭ বিলিয়ন এবং শুধু মাত্র বাংলাদেশেই বর্তমানে আনুমানিক ১০ লাখের
বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারের এই সংখ্যা দেখে বুঝতেই
পারছেন ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা যতটা সহজ মনে হচ্ছে ঠিক ততটা সহজ নয়।
তাই ফ্রিল্যান্সিং করে যদি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোন
স্কিল ভালোভাবে শিখতে হবে। বর্তমান সময়ে এবং ভবিষ্যতে যে স্কিল গুলোর চাহিদা
রয়েছে সেই স্কিল গুলো ভালোভাবে শিখতে হবে। এরপর নিজের প্রোফাইল ও
পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখতে হবে। কারণ কম্পিটিশন বেশি থাকার কারণে ক্লায়েন্টরা
এই সকল জিনিস দেখে আপনাকে কাজ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও ইংরেজিতে
যোগাযোগের ভালো স্কিল থাকতে হবে। সব মিলিয়ে এই কয়েকটা দিক লক্ষ্য রাখলেই আশা
করা যায় আপনিও ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ও কিভাবে করতে হয় জানুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি অনলাইন আয়ের পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য
কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিস প্রমোট করে বিক্রি করতে পারলে সেখান থেকে
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কমিশন পাবেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে অনলাইনে কোন একটি
পণ্যের লিংক আপনি যদি অন্য কোন মানুষের কাছে শেয়ার করে এবং সেই লিংক থেকে যদি
ঐ মানুষ সেই পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ অর্থ কমিশন
পাবেন। এই কাজকেই মূলত বলা হয়ে থাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন আমরা
জানার চেষ্টা করবো আপনিও কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে
পারবেন।
প্রথমে আপনাকে যেকোন একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অ্যাড হয়ে নিতে হবে।
বর্তমান সময়ে অনেক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে কিছু
জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো Amazon Associates, Daraz
Affiliate, ClickBank ইত্যাদি। এরপর এখান থেকে আপনাকে এমন একটি
প্রোডাক্ট বা পণ্য বেছে নিতে হবে যেটি বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এরপর
সেই পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক কপি করে নিতে হবে। এরপর সেই লিংক বিভিন্ন
জায়গায় প্রমোট করতে হবে। আপনি চাইলে আলাদা ভাবে একটি ওয়েবসাইট, ইউটিউব
চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ইত্যদি বানিয়ে সেখানেও প্রমোট করতে পারেন। এখন যদি আপনার
এই লিংক থেকে কেউ এই প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখান থেকে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। এভাবেই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়।
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর চাহিদা কেমন?
বর্তমান সময়ে আপনি শুনে থাকবেন যে এআই এর কারণে এখন আর সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট কাজের চাহিদা তেমন নেই। আসলে এই কথাটি সম্পূর্ন ভুল। কেননা
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশি এবং
সামনে যত দিন আসবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর চাহিদা আরোও বেশি
হবে। এর অন্যতম কারন হচ্ছে দিন যত সামনের দিকে অগ্রসর হবে অনলাইনে ব্যবসা বা
ব্র্যান্ড দাঁড় করানোর প্রবণতা তত বৃদ্ধি হবে। আর এই সকল ছোট ছোট ব্যবসা
বা ব্র্যান্ডের প্রমোট সাধারণত ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লিংকডিন ইত্যাদি
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এই সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্র্যান্ড
প্রমোট ও ম্যানেজমেন্ট করার জন্য একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের
ভূমিকা অনেক।
তাই সময় যত সামনের দিকে যাবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর চাহিদা
আরোও বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। তবে এই কাজ গুলো করার জন্য অবশ্যই
মানুষ দক্ষ কাউকে খুঁজবে। তাই আপনি যদি এই কাজ ভালোভাবে না শিখেন তাহলে কাজ
পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই কাজের জন্য কন্টেন্ট
প্ল্যানিং, পোস্ট ডিজাইন, হ্যাশট্যাগ
রিসার্চ, রিপ্লাই, অ্যাডস চালানো ইত্যাদি স্কিল অনেক ভালোভাবে
শিখতে হবে। বর্তমানে যে ছোট ব্যবসা বা ব্র্যান্ড গুলো রয়েছে তারা তাদেরকে
প্রমোট করার জন্য ফেসবুক, ইউটিউব বা গুগল অ্যাডস ব্যবহার করে থাকে। তাই
বিভিন্ন প্লাটফোর্মে অ্যাডস কিভাবে চালাতে হয় এই স্কিলে নিজেকে এক্সপার্ট
করতে হবে। পরিশেষে এক কথায় বলতে গেলে বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট এর চাহিদা অনেক এবং ভবিষ্যতেও এই চাহিদা আরোও বাড়তে পারে।
অনলাইন টিউশনি করে আয় করা সম্ভব কিনা জানুন
বর্তমান সময়ে অনলাইন টিউশনির পরিমাণ দিন দিন বাড়তে আছে। তাই আপনি
যদি অনলাইন টিউশনি করে আয় করতে চান তাহলে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন যে জিনিস সেটি হচ্ছে আপনি যে
বিষয়ে টিউশনি করাতে চান সেই বিষয়ে আগে নিজেকে এক্সপার্ট করতে হবে। আপনি
যদি নিজেই সেই জিনিস ভালোভাবে না পারেন বা অল্প জেনে অনলাইন টিউশনি
করাতে চান তাহলে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি ইংরেজি
ভালোভাবে জানেন তাহলে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গুলোতেই টিউশনি
করাতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমানে যে ট্রেন্ডিং বিষয় রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে
জানলে অনলাইন টিউশনি করে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। কি কি
বিষয়ে পড়িয়ে আয় করা যায় তা নিচে দেওয়া হলো।
- স্কুল বা কলেজের গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি।
- ভাষা শেখানো।
- প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার শিক্ষা।
- ইসলামি শিক্ষা, হিফজ, কোরআন শিক্ষা।
- ইউনিভার্সিটি লেভেলের সাবজেক্ট ইত্যাদি।
ডাটা এন্ট্রি কাজ করার সেরা সাইট কোনটি জানুন
ডাটা এন্ট্রি হলো এমন একটি কাজ যেখানে নির্দিষ্ট তথ্য এক জায়গা থেকে অন্য
জায়গায় টাইপ বা কপি পেস্ট করতে হয়। ডাটা এন্ট্রি কাজের অনেক ধরণ
থাকে তার মধ্যে ফর্ম পূরণ করা, এক্সেল বা গুগল শিটে ডাটা
বসানো, ইমেইল লিস্ট তৈরি, প্রোডাক্ট ইনফো কপি করা, ডকুমেন্ট
টাইপ করা, ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি বেশি জনপ্রিয়। ডাটা
এন্ট্রির কাজ করা অন্যান্য সকল কাজের চাইতে অনেক সহজ। তবে ডাটা এন্ট্রির
কাজ করতে দ্রুত এবং নির্ভুল টাইপিং স্কিল থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
এই স্কিল না থাকলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ সহজে করতে পারবেন না। এখন
আমরা ডাটা এন্ট্রি কাজ করার সেরা কিছু সাইট সম্পর্কে জানবো।
- Fiverr
- Upwork
- Freelancer.com
- Clickworker
- Microworkers
- PeoplePerHour
- Remotasks
- Guru
- Toptal
- Amazon Mechanical Turk
এই সাইট গুলো ছাড়াও আপনি ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, লিংকডিন ইত্যাদি সোশ্যাল
মিডিয়া থেকে সরাসরি দেশি অথবা বিদেশী ক্লায়েন্টদের কাছে থেকে ডাটা
এন্ট্রি কাজ পেতে পারেন। তবে মার্কেটপ্লেসের বাহিরে যে কাজ গুলো দেওয়া হয়
সেই কাজ গুলো অনেক ক্ষেত্রে স্ক্যাম হতে পারে। তাই কাজ নেওয়ার পূর্বে এই
বিষয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে তারপর কাজ নিতে হবে।
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। বিশেষ
করে যারা নতুন এবং অনলাইনে ইনকাম করতে চান তারা এই প্রশ্ন আরোও বেশি করে
থাকেন। ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন এবং
ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। এই দুইটি জিনিস থাকলে আপনিও ঘরে বসে ইনকাম করতে
পারবেন। তবে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইনকাম করা গেলেও আপনার যদি
একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে এই কাজ গুলো মোবাইল ফোনের তুলনায় আরোও
বেশি ভালোভাবে করতে পারবেন। তবে কম্পিউটার দিয়ে যে কাজ গুলো করা সম্ভব মোবাইল
ফোন দিয়ে সেই কাজ গুলো করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ডিভাইস এর পর আপনার যে গুরুত্বপূর্ন জিনিস প্রয়োজন সেটি হচ্চে স্কিল। স্কিল
ছাড়া আপনি কোন ভাবেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন না। তাই কোন স্কিল বর্তমান
সময়ে বেশি চাহিদা সম্পূর্ন এবং ভবিষ্যতেও এর চাহিদা থাকবে সেই স্কিল ভালোভাবে
শিখতে হবে। স্কিল শিখার পর প্রয়োজন একটি মার্কেটপ্লেস। আমরা যেহেতু ঘরে বসে
অনলাইনে আয় করবো তাই মার্কেটপ্লেস ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব নয়। বর্তমানে
ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস খুবই জনপ্রিয় আপনি এই
সকল মার্কেটপ্লেসেও কাজ করতে পারেন। এরপর আপনার ইনকাম করা অর্থ নেওয়ার জন্য
একটি পেমেন্ট মেথড প্রয়োজন হবে। পেমেন্ট মেথড হিসেনে পেওনিয়ার, স্ক্রিল
ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। সব মিলিয়ে এই কয়েকটি জিনিস থাকলেই আপনি ঘরে
বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
পরিশেষেঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। উপরের আলোচনা ভালোভাবে পড়লে আপনিও ঘরে বসে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা আইডিয়া
পেয়ে যাবেন বলে আশা করা যায়। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে বর্তমানে এই সকল কাজের
চাহিদা যেমন বেশি ঠিক তেমনই প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। তাই আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম
করতে চান তাহলে যেকোন একটি স্কিলে নিজেকে এক্সপার্ট করতে হবে। তা না হলে আপনি
প্রতিযোগিতায় নিজেকে ধরে রাখতে পারবেন না যার ফলে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার
সম্ভাবনাও কমতে থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করা যায় যে উপরের তথ্য গুলো ভালোভাবে
পড়লে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায় সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে
পারবেন। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url