OrdinaryITPostAd

ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে? বিস্তারিত জানুন

 ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে এই বিষয় নিয়ে আজকে ছবি সহ বিস্তারিত জানবো। গুগল অ্যাডসেন্স হলো ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে ইনকাম করার সব চাইতে বিশ্বস্ত ও সহজ উপায়। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে লক্ষ্য টাকাও ইনকাম করা যায়।

ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বেশি ইনকাম পাওয়ার জন্য আমাদের জানা উচিত কিভাবে ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করতে হয় এবং কোন অ্যাড গুলো দেখালে বেশি ইনকাম হয়। আজকে আমরা কিভাবে ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করতে হয় সে সম্পর্কে জানবো।

ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে

ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে

ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে এই বিষয় নিয়ে আজকে ছবি সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে এবং একটু নিচের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন লিখা রয়েছে Explore এবার সেখানে প্রবেশ করতে হবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
Explore অপশনটিতে প্রবেশ করলে আপনি কোথায় কোথায় অ্যাড দেখাবেন সেটি নির্বাচন করতে পারবেন। এখান থেকে একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন লিখা রয়েছে Auto Ads এই অপশনটি চালু করে রাখলে গুগল কতৃপক্ষ্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে অ্যাড দেখানো শুরু করবে। কিভাবে কোন জায়গা গুলোতে অ্যাড গুলো দেখাবে সেটি আপনি অপশনটি অন করে প্রিভিও দেখে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
Auto Ads অপশনটি অন করার পর আপনার সামনে অটো অ্যাডের নিচে অনেক গুলো অপশন চলে আসবে। ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করার জন্য এই অপশন গুলো সম্পর্কে কিছু ধারনা রাখা উচিত। এখন আমরা এই অপশন গুলো সম্পর্কে জানবো।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
এই অপশনের প্রথমেই যে বিষয়টি জানা জরুরী সেটি হচ্ছে Overlay formats অপশন। এখান থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় এবং কোন ধরণের অ্যাডস দেখাবেন সেটি নির্বাচন করতে পারবেন। এরপর In-page formats অপশন থেকে আপনি অ্যাডস এর ধরণ নির্বাচন করতে পারবেন। এরপর ওয়েবসাইটের যে অংশে আপনি অ্যাডস দেখাতে চান সেটি সিলেক্ট করতে পারবেন Included Area এর মধ্যে এবং আপনার ওয়েবসাইটের হোমপেজ, ব্লগ পেজ বা কন্টাক্ট পেজ ইত্যাদিতে অ্যাড দেখানোর জন্য Included Pages অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর Excluded areas ও pages থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের যেখানে যেখানে অ্যাডস দেখাতে চান না সেটি সিলেক্ট করতে পারবেন। সব শেষে আপনাকে Add to Site করে দিতে হবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
আপনার অ্যাডসের সকল কিছু সিলেক্ট করার পর এগুলো আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাড করার জন্য উপরে দেখানো ছবির মত একটি Get Code অপশন আসবে এখানে থেকে একটি কোড কপি করে নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবে। আপনি যদি কোডটি আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত না করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল ভেরিফাই করতে পারবে না। তাই এই কোডটি যুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
কোডটি অ্যাড করার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইটের থিম অপশনটিতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর থিম থেকে এডিট HTML অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এডিট HTML প্রবেশ করার পর একটু সাবধানতা অবল্বন করতে। কারণ এখানে কোন কিছু রিমুভ বা ভুল কিছু অ্যাড করলে আপনার সম্পূর্ন থিমটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখানে থিমের যেকোনো এক জায়গায় ক্লিক করে Control+F চাপ দিয়ে <head> লিখে সার্চ দিতে হবে। <head></head> এই কোড দুটির মাঝে যেকোনো জায়গায় কোডটি বসাতে হবে।
কোডটি সফলভাবে বসানো হয়ে গেলে আপনার কাজ মুটামুটি শেষ। এখন আপনার ওয়েবসাইট গুগল কতৃপক্ষ্য যাচাই করে দেখবে যে আপনার সাইটটি অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য পারফেক্ট কিনা। আপনি যখন সব শেষে গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন তখন আপনাকে ইমেইল এর মাধ্যমে গুগল কতৃপক্ষ্য জানিয়ে দিবে।

অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কেমন কন্টেন্ট লাগবে?

গুগল সাধারণত অ্যাডসেন্স ব্লগার জাতীয় ওয়েবসাইট গুলোকেই দিয়ে থাকে। তাই আপনিও যদি আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই কিছু কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট থাকতে হবে। যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভালো কন্টেন্ট না থাকে তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। দ্রুত অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্টে যে যে ধরণের বৈশিষ্ট থাকা দরকার তার ১৫টি বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলো।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
  • ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ইউনিক হতে হবে অর্থাৎ কন্টেন্ট কপি করা যাবে না।
  • প্রতিটি কন্টেন্ট সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের হতে হবে।
  • কনটেন্টে পাঠকের সমস্যা ও তার সমাধান থাকতে হবে।
  • সঠিকভাবে গঠন করা হেডলাইন (H1, H2, H3) ব্যবহার করতে হবে।
  • স্পেলিং ও গ্রামার ঠিক করে কন্টেন্ট লিখতে হবে।
  • ইউজার ফ্রেন্ডলি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে কন্টেন্ট লিখতে হবে।
  • অ্যাডসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ওয়েবসাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে।
  • অন্তত ১৫ - ২০টি মানসম্মত আর্টিকেল বা কন্টেন্ট থাকতে হবে।
  • প্রত্যেক পোস্টে একটি করে প্রাসঙ্গিক ছবি বা মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে।
  • কনটেন্টে প্রয়োজনীয়ভাবে ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করতে হবে।
  • ক্লিকবেইট বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না।
  • পর্নোগ্রাফি, হেইট স্পিচ, কপিরাইট ভঙ্গকারী বা অবৈধ কনটেন্ট লিখা যাবে না।
  • ওয়েবসাইটে অবশ্যই About, Contact, এবং Privacy Policy পেইজ থাকতে হবে।
  • ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড ও ডিজাইন অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
  • কোন ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠিকে অপমান বা নিচু করে এমন কন্টেন্ট দেওয়া যাবে না।

গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার সম্পূর্ণ ধাপ গুলো

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম গুগলে অ্যাডসেন্স লিখে সার্চ দিতে হবে। সার্চ দেওয়ার পর গুগলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। গুগলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর নিচে দেওয়া ছবির মতো হাতের ডান পাশে উপরে অথবা নিচে যেকোনো এক জায়গায় Get Started লিখা রয়েছে। এবার একাউন্ট খোলার জন্য Get Started লিখার উপর ক্লিক করতে হবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
Get Started লিখার উপর ক্লিক করলে আপনাকে একটি ইমেইল সিলেক্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি যে ইমেইল দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করছেন ঠিক সেই ইমেইল ব্যবহার করেই একাউন্ট খুলতে হবে। ইমেইল সফল ভাবে সাবমিট করার পর আপনার সামনে নিচে দেওয়া ছবির মত অপশন আসবে। এবার এখান থেকে আপনাকে Add Site অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
অ্যাড সাইতে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস দিতে হবে। ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস দেওয়ার আগে অবশ্যই কিছু দিক লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমনঃ www.https:// এই লিখা গুলো রিমুভ করে আপনার শুধু ডোমেইন এর নাম এবং শেষে আপনার ডোমেইনের এক্সট্রানশন দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপঃ আপনার ওয়েবসাইটের নাম যদি www.https://ordinaryit.com হয় তাহলে এখানে থেকে www.https:// লিখাটি মুছে ফেলে ordinaryit.com শুধু এইটুকু অ্যাড্রেস সাবমিট করতে হবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
আপনি যদি সফল ভাবে আপনার ওয়েবসাইট অ্যাড করতে পারেন তাহলে উপরে দেখানো ছবির মত করে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট দেখাবে। এরপরের কাজ গুলো হচ্ছে আপনাকে পেমেন্ট অপশনটি বা ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে উপরে দেখানো ছবিতে যে Inter information লিখা রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার সামনে একটি ফর্ম পূরণ করার জন্য চলে আসবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
এবার এখানে প্রবেশ করার পর আপনাকে আপনার কিছু তথ্য দিতে হবে। তবে এখানে যে তথ্য গুলো দিবেন সেগুলো অবশ্যই আসল ও নির্ভুল করে দিতে হবে। কেননা আপনি যখন আপ্লাই করার পর অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন তখন আপনাকে ডাক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠানো হবে যেখানে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাক্টিভ করার জন্য একটি পিন থাকবে। তাই কখনোই এই জায়গায় ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। উক্ত ফর্মের কোথায় কি তথ্য দিতে হবে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • একাউন্ট টাইপঃ একাউন্ট টাইপ অবশ্যই Individual দিতে হবে। তবে আপনার ওয়েবসাইটটি যদি কোন প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক হয় তাহলে Organization দিতে পারেন। তবে Individual দেওয়া ভালো।
  • নামঃ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে যেভাবে আপনার নাম দেওয়া রয়েছে ঠিক একই ভাবে নামটি লিখার চেষ্টা করবেন।
  • অ্যাড্রেসঃ অ্যাড্রেস এর জায়গায় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে থাকা যে ঠিকানা রয়েছে সেটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে আপনার শহর ও পোস্টাল কোড অবশ্যই ঠিক করে প্রদান করবেন।
  • ফোন নাম্বারঃ আপনার একটি সচল ফোন নাম্বার প্রদান করবেন। যাতে অ্যাডসেন্স থেকে ডাক ঘরে চিঠি আসলে সহজেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
  • সাবমিটঃ উপরের সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করা হয়ে গেলে সাবমিট করে দিবেন। এরপর আপনার ওয়েবসাইট যদি অ্যাডসেন্স পেয়ে যায় তাহলে উপরের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী আপনার ডাক ঘরে একটি পিন নাম্বার সহ একটি চিঠি গুগল কতৃপক্ষ পাঠিয়ে দিবে।

কোন ধরনের অ্যাডস ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা উচিত?

আমরা সাধারণত অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ব্যবহার করবো। তাই আমাদের এমন অ্যাড ব্যবহার করতে হবে যার মাধ্যমে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয়। তবে এমনভাবে অ্যাডস ব্যবহার করা যাবে না যাতে কোন পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কন্টেন্ট পড়ার সময় বিরক্তিবোধ করে। তাই ওয়েবসাইটে কোন ধরণের অ্যাডস ব্যবহার করা উচিত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

  • ডিসপ্লে অ্যাডসঃ এই ধরণের অ্যাডস গুলো ওয়েবসাইটের হেডারে, সাইডবারে অথবা কন্টেন্টের মাঝখানে বসানো যায়। এগুলো ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার কারণে এগুলো কম বিরক্তিকর ও এই ধরণের অ্যাডস গুলোতে ইমপ্রেশনও বেশি আসে।
  • অ্যানকর অ্যাডসঃ এই ধরণের অ্যাডস ওয়েবসাইটের একদম সাইডবারে ডানে অথবা বামে যুক্ত করা থাকে। কোন পেজ বা সাইট থেকে স্ক্রল করে নিচের দিকে যাওয়ার সময় এই অ্যাডস ভালোভাবে দেখা যায়।
  • ভিগনেট অ্যাডসঃ সাধারণত এই ধরণের অ্যাডস থেকে বেশি পরিমাণ ইনকাম করা যায়। ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের ভেতরে ইন্টারনাল অথবা এক্সটারনাল লিংক গুলোতে এই অ্যাডস যুক্ত করা থাকে। 

গুগল অ্যাডসেন্স আয় বাড়ানোর কিছু কার্যকর টিপস

ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম শুরু হলেও অনেকেই আয় নিয়ে হতাশ হন। কারণ শুধু অ্যাড বসিয়ে রাখলেই হবে না বরং অ্যাডস কেমনভাবে এবং কোথায় ব্যবহার করছেন, ট্রাফিক কোথা থেকে আসছে, ভিজিটর কেমন আচরণ করছে এসব বিষয়ের ওপর ইনকাম নির্ভর করে। নিচে কিছু কার্যকর টিপস শেয়ার করা হলো যা অনুসরণ করলে আপনার অ্যাডসেন্স আয় ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে বলে আশা করা যায়।

  • অ্যাড এমন জায়গায় বসাতে হবে যেখানে পাঠকের চোখ যায়। যেমনঃ কনটেন্টের মাঝখানে, শুরুতেই একটি ইন আর্টিকেল অ্যাড এবং ডিসপ্লে অ্যাড ইত্যাদি।
  • যেসব কিওয়ার্ডের ক্লিকের রেট (CPC) বেশি যেমনঃ ইনশুরেন্স, ক্রেডিট কার্ড, ডিজিটাল মার্কেটিং এসব টপিকে কনটেন্ট তৈরি করলে ইনকামও বেশি হবে।
  • মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ভালো রাখতে রেসপনসিভ অ্যাড কোড ব্যবহার করতে হবে।
  • গুগল নিজে থেকে আপনার কনটেন্ট অ্যানালাইসিস করে সঠিক জায়গায় অ্যাড বসাবে এতে CTR (Click Through Rate) বাড়তে পারে।
  • স্লো সাইটে ভিজিটর বেশি সময় থাকে না ফলে অ্যাড ইমপ্রেশন কমে যায়। গুগল পেজস্পিড ইনসাইটস ব্যবহার করে স্পিড অপটিমাইজ করতে হবে।
  • অনেক ভিজিটর অ্যাডব্লকার ব্যবহার করেন যার ফলে আপনার ইনকাম কমে যেতে পারে। চাইলে আপনি সাবস্ক্রিপশন অফার করতে পারেন।
  • রিটারনিং ভিজিটর বেশি থাকলে তারা অ্যাডস উপেক্ষা না করে ক্লিকও করতে পারে। তাই কনটেন্টে মান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
  • গুগল, ইউটিউব বা ইমেইল মার্কেটিং থেকে আসা অর্গানিক ট্র্যাফিক সাধারণত অ্যাড ক্লিকে বেশি কনভার্ট করে। তাই আপনাকে ট্রাফিক সোর্স লক্ষ্য রাখতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি

আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে যখন ১০ ডলার ইনকাম হবে, তখন গুগল আপনার ঠিকানায় একটি পিন (ভেরিফিকেশন কোড) পাঠাবে। সেই পিন হাতে পাওয়ার পর তা অ্যাকাউন্টে দিয়ে ঠিকানা ভেরিফাই করতে হবে। এটা একটি বাধ্যতামূলক ধাপ। এরপর যখন আপনার মাসিক ইনকাম ১০০ ডলার বা তার বেশি হবে তখন গুগল আপনাকে সেই অর্থ উত্তলন করতে দিবে। তবে তার আগে আপনাকে একটি পেমেন্ট মেথড সেট করে দিতে হবে। বাংলাদেশে অ্যাডসেন্স পেমেন্ট নেওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হলো ব্যাংক ট্রান্সফার।

ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে টাকা নেওয়ার জন্য আপনার ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংকের নাম, SWIFT কোড, শাখার ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য অ্যাডসেন্স একাউন্টে যুক্ত করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের ২১ তারিখের পর পেমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করে। তাই আপনি যখন টাকা উত্তলন করার জন্য আবেদন করবেন তার ২ থেকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার টাকা ব্যাংকে পৌঁছে দিবে। তবে সঠিক ভাবে তথ্য না দিলে পেমেন্ট বাতিলও হয়ে যেতে পারে। তাই তথ্য গুলো দেওয়ার আগে সাবধানতা অবল্বন করতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাপ্লাই বাতিল হওয়ার কারণ গুলো

গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্লাই করার কিছু দিনের মধ্যে যদি আপনার অ্যাপ্লাই বাতিল হয়ে যায় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল অ্যাডসেন্স এর কোন নিয়ম ভঙ্গ করেছে অথবা আপনার কন্টেন্টে সমস্যা রয়েছে। এখন আমরা গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাপ্লাই বাতিল হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ গুলো জানার চেষ্টা করবো।

  • কপি করা বা প্লাগারিজম যুক্ত কন্টেন্ট পাবলিশ করা।
  • কন্টেন্টের পরিমাণ অনেক কম থাকা।
  • বেশির ভাগ কন্টেন্ট কম শব্দের পাবলিশ করা।
  • ওয়েবসাইট মোবাইল রেসপনসিভ না হওয়া।
  • টপ লেভেল ডোমেইন না থাকার কারণে।
  • About, Contact, Privacy Policy ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পেজ না থাকা।
  • ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও নেভিগেশন দুর্বল হওয়া।
  • ওয়েবসাইট মোবাইল রেসপনসিভ না হওয়ার কারণে।
  • ওয়েবসাইট অ্যাডসেন্স পলিসি ভঙ্গ করলে।
  • ওয়েবসাইটে গেম হ্যাক, পর্ন, ড্রাগ, কপিরাইটেড ম্যাটেরিয়াল অথবা হেইটফুল কনটেন্ট থাকা।

অ্যাডসেন্স অ্যাড ব্লক হওয়ার কারণ ও সমাধান জানুন

অনেক সময় দেখা যায় ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভড হওয়ার পরও ওয়েবসাইটে কোনো বিজ্ঞাপন বা অ্যাডস দেখায় না এটিকেই মূলত অ্যাড ব্লক হওয়া বলে। অ্যাডসেন্স অ্যাড ব্লক হওয়ার কারণ অনেক গুলো হতে পারে তাই সংক্ষিপ্ত ভাবে কারণ গুলো আলোচনা করা হলো।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
  • ওয়েবসাইটের পেজ বা কন্টেন্ট গুগলের নীতিমালা লঙ্ঘন করলে।
  • ওয়েবসাইটে অ্যাড কোড ভুলভাবে বসানোর কারণে।
  • ওয়েবসাইটে খুবই অল্প ট্রাফিক আসার কারণে।
  • ওয়েবসাইটে robots.txt বা ক্যাশিং জনিত সমস্যার কারণে।
  • ফেক ট্রাফিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানোর কারণে।
  • ইনভ্যালিড ক্লিক করার কারণে।
উপরের সমস্যা গুলো ছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাড ব্লক হয়ে যেতে পারে। এখন আমরা অ্যাডসেন্স অ্যাড ব্লক হওয়ার কিছু সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। উক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার আগে আপনার উচিত হবে গুগল কতৃপক্ষকে আপনার সমস্যার কারণ জানিয়ে একটি ইমেইল করা।
  • সাইটের কনটেন্ট ও নীতিমালা ঠিক করা।
  • ওয়েবসাইটে অ্যাড কোড ঠিকঠাক ভাবে বসানো।
  •  robots.txt ফাইল বা ক্যাশিং সেটিংস গুলো পরিক্ষা করা।
  • ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রন্ডলি করা।
  • অ্যাডসেন্স পলিসি লঙ্ঘন করেছে কিনা যাচাই করা।
  • ওয়েবসাইটে বেশি বেশি অরগানিক ট্রাফিক নিয়ে আসা ইত্যাদি।

গুগল অ্যাডসেন্সের বিকল্প অ্যাডসটেরা থেকে আয় করুন

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আমাদের গুগলের অনেক গুলো শর্ত পূরণ করতে হয়। আপনি যদি চান এত ঝামেলা ছাড়া মাত্র এক মিনিটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে টাকা ইনকাম করা শুরু করেন তাহলে অ্যাডসটেরা হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি চয়েজ। অ্যাডসটেরা মূলত অ্যাডসেন্সের মত অ্যাড এজেন্সি যারা বিভিন্ন অ্যাড দেখিয়ে থাকে ঠিক অ্যাডসেন্সের মতই।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
অ্যাডসটেরাতে একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে গুগলে Adsterra লিখে সার্চ দিতে হবে। এরপর এদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমবার প্রবেশ করার ফলে উপরে দেখানো ছবির মত আপনাকেও একই ইন্টারফেজ দেখাতে পারে। এরপর কুকিজ একসেপ্ট করতে বললে একসেপ্ট করে নিতে পারেন। এরপর উপরে লিখা সাইন আপ লিখা অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করলে নিচে দেখানো অপশন গুলো আপনার সামনেও চলে আসবে।
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
এরপর আপনার সামনে দুইটি অপশন চলে আসবে। এর মধ্যে প্রথমটা হচ্ছে আপনি যদি তাদের কাছে থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক কিনতে চান তাহলে প্রথমটা অর্থাৎ Buy Top Traffic সিলেক্ট করতে হবে। আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে তাদের অ্যাড দেখিয়ে ইনকাম করা। যেহেতু আমরা আমাদের ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে ইনকাম করবো তাই আমাদের দ্বিতীয়টা সিলেক্ট করতে হবে। 
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
দ্বিতীয় অপশন সিলেক্ট করে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি ফর্ম চলে আসবে। এখন আপনাকে এই ফর্মটি পূরণ করতে হবে। ফর্মে আপনার ইমেইল, নাম, পেমেন্ট মেথড দিয়ে সবমিট করলেই আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে। 
ওয়েবসাইটে-গুগল-অ্যাডসেন্স-অ্যাড-করবেন-কিভাবে
একাউন্ট খুলা হয়ে গেল আপনার সামনে একটি ড্যাশবোর্ড আসবে। এবার এখান থেকে অ্যাড ওয়েবসাইটে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস দিতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর কোন ধরণের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে দেখাবেন সেটি সিলেক্ট করে অ্যাড করলেই আপনার কাজ শেষ। এবার উক্ত অ্যাডস গুলোর কোড আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাড করলেই আপনার ওয়েবসাইটটি মনিটাইজ হয়ে যাবে এবং যে ভিজিট প্রতি যে ইনকাম হবে সেটি সাথে সাথে আপনার অ্যাডসটেরা একাউন্টে জমা হতে থাকবে। আপনার সর্বনিম্ন ৫$ হলেই উঠাতে পারবেন।

পরিশেষেঃ ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে

ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড করবেন কিভাবে এই বিষয় নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত ছবি সহ বর্ননা করেছি। আমরা আশা করি যে আপনি যদি উপরে নির্দেশনা গুলো ভালো করে দেখেন তাহলে আপনিও খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাড করতে পারবেন। আমরা শুধু কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স ওয়েবসাইটে অ্যাড করতে হয় সেটি আলোচনা করিনি বরং কিভাবে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম বাড়াতে পারবেন এবং কিছু সমস্যা ও সমাধান নিয়েও আলোচনা করেছি। 

এছাড়াও আপনি যদি গুগল অ্যাডসেন্স আবেদন করার পর না পান তাহলে কিভাবে বিকল্প উপায় ব্যবহার করে ওয়েবসাইট মনিটাইজ করবেন সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি চাইলে উপরের লিখা গুলো ভালোভাবে পড়তে পারেন যার ফলে গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তার উত্তত পেয়ে যাবেন বলে আশা করা যায়। আপনি চাইলে এই লিখাটি আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে পারেন যাতে আপনার পাশাপাশি আপনার বন্ধুও ওয়েবসাইট গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে মনিটাইজ করে টাকা ইনকাম করতে পারে।  250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url