উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে জানুন
উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারতি জানবো। উইন্ডোজ ১১ সম্প্রতি তাদের আপডেটে অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কিবোর্ড শর্টকার্ট। আমাদের দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করবে এমন কিছু কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে জানবো।
এই আপডেটের পূর্বেও কিবোর্ড শর্টকার্ট থাকলেও কর্মক্ষেত্রে কাজের সুবিধার্থে ও কম্পিউটার ব্যবহারকে আরোও সহজ করতে মাইক্রোসফট কিবোর্ড শর্টকার্ট আরোও অ্যাড করেছে। এখন আমরা পূর্বের ও আপডেটের পরের কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট
- উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট
- ডায়ালগ বক্স এবং টেক্সট এডিটর শর্টকাট
- ডেস্কটপ এবং ভার্চুয়াল ডেস্কটপ শর্টকাট
- কমান্ড প্রম্পট এর প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকাট
- ফাইল এক্সপ্লোরার এর কিছু শর্টকাট
- টাস্কবার এর প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকাট
- উইন্ডোজ ১১-এ স্ক্রিনশট নেওয়ার শর্টকাট
- কোপাইলট ওপেন করার শর্টকাট জানুন
- অ্যাকশান সেন্টার ওপেন করার শর্টকার্ট
- পরিশেষেঃ উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট
উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট
উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে জানবো। আমরা অনেকে হয়ত জেনে থাকবো যে মাইক্রোসফট সম্প্রতি বিশেষ ভাবে উইন্ডোজ ১১ এর জন্য কিছু আপডেট এনেছে। এই আপডেটের মূল লক্ষ্য হলো উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার আরোও সহজ করে তুলা। আমরা আমাদের কম্পিউটারের দৈনন্দিন কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার ব্যবহার করি। অনেক সময় কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন কাজ করার সময় একই অপশনের ভেতর বার বার ম্যানুয়ালি প্রবেশ করতে হয় যা অনেক সময় সাপেক্ষ ও বিরক্তির ব্যাপার। তাই এই কথা চিন্তা করেই আজকে আমরা উইন্ডোজ ১১ এর জন্য কিছু নতুন ও পুরাতন কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে জানবো।
- Alt + F4 - যেকোনো ওপেন উইন্ডো বন্ধ করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়। আর যদি কোনো উইন্ডো না থাকে তাহলে এটি কম্পিউটার বন্ধ, রিস্টার্ট বা স্লিপ মোডে দেওয়ার অপশন দেখায়।
- Win + L - পিসি লক করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Win + D - সব খোলা উইন্ডো মিনিমাইজ করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Tab - এক অ্যাপ থেকে আরেক অ্যাপে দ্রুত সুইচ করার জন্য সেরা শর্টকার্ট।
- Win + Tab - টাস্ক ভিউ ওপেন করে যেখানে সব চালু অ্যাপ ও ডেস্কটপ দেখায়।
- Ctrl + Z - ভুল হলে Undo করে দেওয়া যায় যেমন টেক্সট মুছে গেলে ফিরিয়ে আনা।
- Ctrl + Y - আগের Undo করা অ্যাকশন আবার রিডো করতে পারবেন।
- Ctrl + Delete - সিলেক্ট করা ফাইল রিসাইকেল বিনে পাঠায়।
- Shift + Delete - ফাইল একদম পারমানেন্টলি ডিলিট করে দেয় রিসাইকেল বিনেও থাকবে না।
- Win + X - স্টার্ট বাটনের উপর রাইট ক্লিকের মেনু খুলে দেয়।
- Esc - যেকোনো বর্তমান টাস্ক বন্ধ করতে বা থামাতে।
- F11 - ফুলস্ক্রিন মোডে ঢোকা ও বের হওয়ার শর্টকার্ট।
- F2 - কোনো ফাইল বা ফোল্ডার রিনেম করতে এই শর্টকার্ট।
- F5 - অ্যাকটিভ উইন্ডো বা ডেস্কটপ রিফ্রেশ করতে।
- F10 - যেকোনো অ্যাপের মেনু বার চালু করে।
- Win + I - সরাসরি Windows Settings ওপেন হয়।
- Win + R - রান ডায়ালগ বক্স চালু করতে যেটি দিয়ে বিভিন্ন কমান্ড চালানো যায়।
- Alt + Page Up / Page Down - এক স্ক্রিন উপরে বা নিচে যাওয়ার শর্টকার্ট।
- Ctrl + Shift + Esc - সরাসরি টাস্ক ম্যানেজার খুলে যেখানে চলমান অ্যাপস ও প্রসেস দেখা যায়।
- Win + S / Win + Q - Windows সার্চ চালু করতে ফাইল, অ্যাপ, বা সেটিংস খুঁজুন সহজে।
- Ctrl + P - যেকোনো ডকুমেন্ট বা পেজ প্রিন্ট করতে।
- Shift + Arrow Keys - একাধিক আইটেম সিলেক্ট করতে।
- Ctrl + S - ফাইল সেইভ করার জন্য এই শর্টকার্ট।
- Ctrl + Shift + S - ফাইলকে Save As করে অন্য নামে বা লোকেশনে সেইভ করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + O - বর্তমান অ্যাপে ফাইল ওপেন করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Esc - টাস্কবারের অ্যাপগুলোর মধ্যে ক্রমানুসারে ঘুরে ঘুরে যাওয়া।
- Alt + F8 - লগইন স্ক্রিনে পাসওয়ার্ড দেখতে চাইলে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Spacebar - বর্তমান উইন্ডোর শর্টকাট মেনু ওপেন করে (Minimize, Maximize ইত্যাদি অপশন সহ)।
- Alt + Enter - যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডারের প্রপার্টিজ খুলতে।
- Alt + F10 - সিলেক্ট করা আইটেমের কনটেক্সট রাইট ক্লিক মেনু খুলতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + N - একই অ্যাপের নতুন উইন্ডো চালু করতে।
- Backspace - সেটিংসের সাবমেনু থেকে আগের পাতায় ফিরে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + . বা Win + ; - ইমোজি কিবোর্ড চালু করতে। চ্যাট বা পোস্টে ইমোজি যোগ করতে।
- Win + P - স্ক্রিন প্রজেক্ট করতে যেমন অন্য মনিটরে দেখানো বা ডুপ্লিকেট করা।
- Win + H - ভয়েস টাইপিং চালু করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করতে হয়।
- Win + U - Windows Settings-এর Ease of Access সেন্টার খুলে দেয়।
- Win + + (প্লাস) - ম্যাগনিফায়ার চালু করে স্ক্রিন জুম করে।
- Win + – (মাইনাস) - ম্যাগনিফায়ার দিয়ে স্ক্রিন জুম আউট করে।
- Win + Esc - ম্যাগনিফায়ার বন্ধ করে দেয়।
- Alt + Ctrl + D -ম্যাগনিফায়ারে Docked মোডে সুইচ করে।
- Alt + Ctrl + F -ম্যাগনিফায়ারে ফুলস্ক্রিন মোডে চলে যায়।
- Alt + Ctrl + L -ম্যাগনিফায়ারে লেন্স মোড চালু করে।
- Alt + Ctrl + I -ম্যাগনিফায়ার চালু থাকা অবস্থায় কালার ইনভার্ট করে।
- Alt + Ctrl + M -ম্যাগনিফায়ারের বিভিন্ন ভিউয়ের মধ্যে ঘুরে ফিরে যায়।
- Alt + Ctrl + R -ম্যাগনিফায়ারের লেন্সের আকার মাউস দিয়ে পরিবর্তন করতে দেয়।
- Alt + Ctrl + Arrow Keys -ম্যাগনিফায়ারে স্ক্রিন প্যান করার জন্য।
- Ctrl + Alt + Mouse Scroll -স্ক্রিন জুম ইন বা আউট করতে।
- Win + Enter - ন্যারেটর চালু করে স্ক্রিনে যা আছে তা পড়ে শোনায়।
- Win + Ctrl + O -অন স্ক্রিন কিবোর্ড চালু করে।
- Right Shift ৮ সেকেন্ড ধরে রাখলে - ফিল্টার কী অন/অফ অপশন চালু হয়।
- Left Alt + Left Shift + PrtSc -হাই কনট্রাস্ট মোড অন/অফ অপশন চালু হয়।
- Left Alt + Left Shift + Num Lock -মাউস কীস অন/অফ অপশন চালু হয়।
- Shift কী ৫ বার চাপলে - স্টিকি কীস চালু বা বন্ধ অপশন চালু হয়।
- Num Lock কী ৫ সেকেন্ড ধরে রাখলে - টগল কীস চালু/বন্ধ অপশন চালু হয়।
ডায়ালগ বক্স এবং টেক্সট এডিটর শর্টকাট
আমরা যারা লেখালেখির কাজ করে তাদের এই কিবোর্ড শর্টকাট অনেক কাজে আসতে পারে। আমরা যারা ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, মাইক্রোসফট অফিস, নোটপ্যাড ইত্যাদি জায়গায় লিখালেখি করি তখন আমাদের অনেক সময় লিখা গুলো কপি, পেস্ট, বোল্ড কিংবা লিখার নিচে আন্ডারলাইন ইত্যাদি কাজ করতে হয়। আর এই কাজ গুলো অনেকে ম্যানুয়ালি করে থাকে যা অনেক সময় সাপেক্ষ ও ঝামেলার বিষয়। এখন আপনি চাইলে আপনার কিবোর্ড শর্টকার্ট দিয়ে এই কাজ গুলো মাত্র ১ সেকেন্ডে করে ফেলতে পারবেন। উক্ত কিবোর্ড শর্টকার্ট গুলো নিম্নরূপ দেওয়া হলোঃ
- Ctrl + A - সব কনটেন্ট একসাথে সিলেক্ট করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + C - সিলেক্ট করা টেক্সট বা ফাইল কপি করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + X - সিলেক্ট করা টেক্সট বা ফাইল কাট (Cut) করতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + V - আগে কপি বা কাট করা আইটেম পেস্ট করতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + B - টেক্সট বোল্ড করতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + I - সিলেক্ট করা টেক্সট ইটালিক করতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + U - সিলেক্ট করা টেক্সট আন্ডারলাইন করতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Home - কার্সর বা টাইপিং পয়েন্ট সরাসরি লাইনের শুরুতে নিয়ে যেতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- End - কার্সর সরাসরি লাইনের একেবারে শেষে নিয়ে যেতে করতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
ডেস্কটপ এবং ভার্চুয়াল ডেস্কটপ শর্টকাট
যারা কম্পিউটারে মাল্টিটাস্ক এর কাজ অর্থাৎ একটি কম্পিউটারে একাধিক উইন্ডো নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য এই ফিচারটি অনেক কাজে আসতে পারে। অনেক সময় একাধিক উইন্ডো চালু করার পর একটি ডিসপ্লে থেকে আরেকটি ডিসপ্লেতে ম্যানুয়ালি যেতে অনেক সময় লাগে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এই কিবোর্ড শর্টকার্ট গুলো ব্যবহাত করতে পারেন। এখানে সাধারণ ডেস্কটপ থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল ডেস্কটপের কিছু শর্টকার্ট দেওয়া হলোঃ
- Windows key - স্টার্ট মেনু খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift - কীবোর্ড লেআউট পরিবর্তন করতে (যেমনঃ English থেকে Bangla)।
- Alt + Tab - সব খোলা অ্যাপস একসঙ্গে দেখতে ও একটার পর একটা বদলাতে।
- Ctrl + Arrow keys + Spacebar - ডেস্কটপে একাধিক আইটেম একসঙ্গে সিলেক্ট করতে।
- Win + M - সব খোলা উইন্ডো মিনিমাইজ করতে।
- Win + Shift + M - সব মিনিমাইজ হওয়া উইন্ডো আবার খুলতে।
- Win + Home - এক্টিভ উইন্ডো বাদে সবকিছু মিনিমাইজ/ম্যাক্সিমাইজ করতে।
- Win + Left Arrow - উইন্ডোটি স্ক্রিনের Snap বামে নিতে।
- Win + Right Arrow - উইন্ডোটি স্ক্রিনের Snap ডানে নিতে।
- Win + Shift + Up Arrow - এক্টিভ উইন্ডো টপ টু বটম পর্যন্ত স্ট্রেচ করতে।
- Win + Shift + Down Arrow - এক্টিভ উইন্ডো কেবল ভার্টিক্যালি মিনিমাইজ বা রিস্টোর করতে।
- Win + Tab - ডেস্কটপ ভিউ খুলতে বা সব উইন্ডো ও ভার্চুয়াল ডেস্কটপ দেখতে।
- Win + Ctrl + D - একটি নতুন ভার্চুয়াল ডেস্কটপ তৈরি করতে।
- Win + Ctrl + F4 - অ্যাক্টিভ ভার্চুয়াল ডেস্কটপ বন্ধ করতে।
- Win + Ctrl + Right Arrow - ডানদিকে থাকা ভার্চুয়াল ডেস্কটপে যেতে।
- Win + Ctrl + Left Arrow - বামদিকে থাকা ভার্চুয়াল ডেস্কটপে যেতে।
- Ctrl + Shift (drag করে) - কোনো ফাইল বা ফোল্ডার ড্র্যাগ করার সময় শর্টকাট তৈরি করতে।
- Win + Ctrl + Shift + B - গ্রাফিক্স ড্রাইভার রিস্টার্ট করতে ব্যবহার করা হয়।
কমান্ড প্রম্পট এর প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকাট
কম্পিউটারে কমান্ড প্রম্পট এমন একটি টুল যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি সিস্টেমে বিভিন্ন কমান্ড বা টেক্সট দিয়ে বিভিন্ন কাজ করাতে পারেন। কমান্ড প্রম্পট একটু জটিল বিষয় হওয়ার কারণে এটি সাধারণত আমরা ব্যবহার করিনা কিন্তু কম্পিউটারের সাধারণ কিছু সমস্যা সমাধান করার জন্য এই কমান্ড প্রম্পটের কিছু শর্টকাট জেনে থাকা ভালো। এই শর্টকার্ট গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজে কম্পিউটারের সাধারণ ছোট খাটো সমস্যা গুলো নিজে থেকেই সমাধান করতে পারবেন। কম্পিউটার থেকে কমান্ড প্রম্পট ওপেন করার জন্য Win + R বাটন ক্লিক করে cmd লিখে ইন্টার বাটনে ক্লিক করলেই কমান্ড প্রম্পট খুলে যাবে।
- Ctrl + Home - উইন্ডোর একেবারে ওপরে যেতে এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + End - উইন্ডোর একেবারে নিচে চলে যাওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Page Up - কার্সর এক পৃষ্ঠা উপরে নেওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Page Down - কার্সর এক পৃষ্ঠা নিচে নেওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Up Arrow - স্ক্রিন এক লাইন করে ওপরে উঠানোর জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Down Arrow - স্ক্রিন এক লাইন করে নিচে নামানোর জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- trl + A - বর্তমান লাইনের সব লেখা সিলেক্ট করার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Shift + Home - কার্সরকে বর্তমান লাইনের শুরুতে নেওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Shift + End - কার্সরকে বর্তমান লাইনের শেষে নেওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Shift + Page Up - এক স্ক্রিন ওপরে গিয়ে লেখাসহ সিলেক্ট করার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Shift + Page Down - এক স্ক্রিন নিচে গিয়ে লেখাসহ সিলেক্ট করার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Shift + Up/Down Arrow - এক লাইন করে উপরে বা নিচে গিয়ে টেক্সট সিলেক্ট করার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + Arrow Keys - এক শব্দ করে কার্সর সরানোর জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + M - মার্ক মোড চালু করার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Home - লিখার শুরুতে কার্সর নেওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + End - লিখার শেষে কার্সর নেওয়ার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Up / Down Arrow - আগের কমান্ডগুলোর মধ্য দিয়ে ঘোরাফেরা করার জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
- Left / Right Arrow - কার্সরকে কমান্ড লাইনে বামে/ডানে সরানোর জন্য এই শর্টকার্ট ব্যবহার করা হয়।
ফাইল এক্সপ্লোরার এর কিছু শর্টকাট
ফাইল এক্সপ্লোরার আমাদের সবাইকে কম বেশি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়। ফাইল এক্সপ্লোরার আমরা সাধারণত কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডার বা এক কথায় ডেটা রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকি। আমরা অনেক সময় কোন ফোল্ডার বানানোর জন্য বা কোন ফাইলের নাম পরিবর্তন করার জন্য সাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আপনি এই কাজটি মাত্র ১ সেকেন্ডে কিবোর্ড শর্টকার্ট দিয়েই করতে পারবেন কোন রকম মাউসের ব্যবহার ছাড়াই।
- Window + E - ফাইল এক্সপ্লোরার ওপেন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + E / Ctrl + F - ফাইল এক্সপ্লোরারে সার্চ বক্স সিলেক্ট করতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + D / F4 - অ্যাড্রেস বারের উপর ফোকাস নিতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Left Arrow / Backspace - আগের ফোল্ডারে ফিরে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Right Arrow - পরবর্তী ফোল্ডারে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Up Arrow - বর্তমান ফোল্ডারের ভেতরের আরেকটি ফোল্ডারে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + N - নতুন ফোল্ডার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Mouse Scroll - ফাইল বা ফোল্ডারের আইকনের সাইজ পরিবর্তন করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + Shift + (1 থেকে 8) - বিভিন্ন ধরণের ফোল্ডার ভিউতে Details, List, Tiles ইত্যাদি পরিবর্তন করতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + P - প্রভিও প্যানেল চালু বা বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + N - বর্তমান অবস্থানে নতুন ফাইল এক্সপ্লোরার উইন্ডো খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl + W - এক্টিভ উইন্ডো বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
- F6 - বাম ও ডান পাশের ফোকাস পরিবর্তন করতে ব্যবহার করা হয়।
- Right Arrow - বাম পাশে থাকা ফোল্ডার ট্রি এক্সপ্যান্ড করতে বা সাবফোল্ডার দেখাতে ব্যবহার করা হয়।
- Left Arrow - ফোল্ডার ট্রি কল্যাপ্স করতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Enter - যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডারের Properties দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Home - অ্যাক্টিভ উইন্ডোর একেবারে ওপরে যেতে ব্যবহার করা হয়।
- End - অ্যাক্টিভ উইন্ডোর একেবারে নিচে যেতে ব্যবহার করা হয়।
টাস্কবার এর প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকাট
আমরা প্রতিদিন কম্পিউটারে কাজ করার সময় স্ক্রিনের নিচে একটি বার দেখতে পাই এটিকে বলা হয় টাস্কবার। এটি হলো এমন একটি জায়গা যেখানে আমাদের ওপেন থাকা অ্যাপ, টাইম, নোটিফিকেশন এবং স্টার্ট মেনু থাকে। অনেকেই হয়তো জানেন নর এই টাস্কবারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় কিবোর্ড শর্টকার্ট। শর্টকার্ট ব্যবহারে কাজ হয় দ্রুত এবং হাতে মাউস না থাকলেও টাস্কবারে সহজে নেভিগেট করা যায়। তাই সময় বাঁচাতে ও স্মার্টলি কাজ করতে টাস্কবার শর্টকার্ট জানা খুবই জরুরি। এখন আমরা টাস্কবার এর প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকাট সম্পর্কে জানবো।
- Ctrl + Shift + Left click - এই শর্টকার্ট টাস্কবার থেকে কোনো অ্যাপ অ্যাডমিন হিসেবে চালু করতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + Ctrl + Shift + সংখ্যা (0 থেকে 9) - এই শর্টকার্ট টাস্কবারে থাকা কোনো অ্যাপের দ্বিতীয় অ্যাডমিন হিসেবে চালু করতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + সংখ্যা (0 থেকে 9) - এই শর্টকার্ট টাস্কবারে যেভাবে অ্যাপ পিন করা আছে সেই অনুযায়ী অ্যাপ চালু করতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + T - এই শর্টকার্ট টাস্কবারে থাকা সব অ্যাপের মধ্যে একটার পর একটা ঘুরে ঘুরে দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + Alt + D - এই শর্টকার্ট টাস্কবারে থাকা সময় ও তারিখ দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Shift + Right click - এই শর্টকার্ট একই অ্যাপের একাধিক উইন্ডো থাকলে তাদের জন্য উইন্ডো মেনু দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Shift + Left click - এই শর্টকার্ট একই অ্যাপের আরেকটি নতুন উইন্ডো খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + B - এই শর্টকার্ট টাস্কবারের নোটিফিকেশন এরিয়া আরোও বড় করে দেখতে ব্যবহার করা হয়।
- Alt + Win + সংখ্যা (0 থেকে 9) - এই শর্টকার্ট টাস্কবারের নির্দিষ্ট অ্যাপের বর্তমান লিস্ট খুলতে ব্যবহার করা হয়।
- Win + Shift + সংখ্যা (0 থেকে 9) - এই শর্টকার্ট টাস্কবারের একই অ্যাপের কপি বানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
- Win + Ctrl + সংখ্যা (0 থেকে 9) - এই শর্টকার্ট টাস্কবারের পিন করা অ্যাপের শেষবার খোলা উইন্ডোতে সরাসরি যেতে ব্যবহার করা হয়।
উইন্ডোজ ১১-এ স্ক্রিনশট নেওয়ার শর্টকাট
স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আমরা অনেকে আমাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন থার্ড পার্টি টুল ইনস্টল করে থাকি। আবার যদি কোন ব্রাউজারে বিশেষ করে ক্রোম, মজিলা, অপেরা মিনি ইত্যাদি ব্রাউজারে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য বিভিন্ন এক্সটেনশন ইনস্টল করতে হয়। আপনি জানলে অবাগ হবেন যে যেকোন স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য বা স্ক্রিন ভিডিও করার জন্য আলাদা করে থার্ড পার্টি টুল বা এক্সটেনশন ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই বরং উইন্ডোজ ১১ এর বিল্ড ইন টুল দিয়ে এর কিবোর্ড শর্টকার্ট ব্যবহার করে মাত্র ১ সেকেন্ডে হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ন স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আপনার কিবোর্ড থেকে Window+Shift+S এই তিনটি বাটন এক সাথে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার সাথে সাথে তিনটি অপশন চলে আসবে। এর প্রথমটা হচ্ছে স্ক্রিনশট এর জন্য এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে ভিডিও এর জন্য আর তিন নাম্বার হচ্ছে আপনি স্ক্রিনের কত টুকু জায়গা নিয়ে স্ক্রিনশট বা ভিডিও করবেন এটি সিলেকশন করার টুল। এখান অনেকের এই ফিচার এক্টিভ নাও থাকতে পারে। এই ফিচারটি এক্টিভ করার জন্য টাস্কবার থেকে Snipping Tool লিখে সার্চ দিয়ে যে সফটওয়্যার আসবে সেখানে একবার প্রবেশ করলেই পরবর্তি সময় থেকে Window+Shift+S এই শর্টকার্ট দিয়ে স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
কোপাইলট ওপেন করার শর্টকাট জানুন
আমরা কম্পিউটারে কাজ করার সময় অনেকেই AI ব্যবহার করে থাকি। বর্তমান সময়ে এআই এর কথা উঠলে সকলে শুধু চ্যাটজিপিট এর কথা মাথায় আনে। এই ধারনাটি সম্পূর্ন ভুল কেননা চ্যাটজিপিটি ছাড়াও আরোও অনেক শক্তিশালী এআই চ্যাটবট রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাইক্রোসফটের কোপাইলট। এটি একটি শক্তিশালী এআই এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি আপনি ব্রাউজার ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআই ব্যবহার করতে যেমন ব্রাউজারে লগইন করতে হয় এটি ঠিক তার বিপরীত।
কোপাইলট ওপেন করার জন্য আপনাকে শুধু Window + C এক সাথে ক্লিক করতে হবে। উক্ত বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে স্ক্রিনের ডান পাশে কোপাইলট এর একটি প্যানেল খুলে যাবে যেখানে আপনি যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন বা ভয়েস কমান্ডও দিতে পারবেন। কেউ কেউ এই শর্টকার্ট চাপলেও কিছুই না দেখতে পেতে পারেন তাদের জন্য দরকার হবে এই ফিচারটি একবার অ্যাক্টিভ করে নেওয়া। এজন্য আপনি Start Menu থেকে Copilot লিখে সার্চ দিয়ে এবং একবার ওপেন করে নিতে হবে। এরপর থেকে শর্টকার্ট দিয়ে সহজেই এই স্মার্ট এআই চ্যাটবট ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাকশান সেন্টার ওপেন করার শর্টকার্ট
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অ্যাকশান সেন্টার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। বিশেষ করে উইন্ডোজ ১১ এর জন্য এটি আরোও গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কেননা উইন্ডোজ ১১ এর সকল গুরুত্বপূর্ন সেটিংস যেমন WiFi, Bluetooth, Brightness, Focus Assist, Volume, Flight mode ইত্যাদি থেকে শুরু করে নোটিফিকেশন ও দ্রুত সেটিংস এর ভেতরে প্রবেশের মত প্রয়োজনীয় সকল ফিচার এই অ্যাকশান সেন্টারে দেওয়া আছে। যে কারণে এই শর্টকার্ট সম্পর্কে আপনাদের জানা উচিত।
দ্রুত অ্যাকশান সেন্টার ওপেন করার শর্টকার্ট হচ্ছে Window + A এই দুই বাটন এক সাথে ক্লিক করলে আপনার অ্যাকশান সেন্টার ওপেন হয়ে যাবে। যদিও এই ফিচারটি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে ছিল কিন্তু কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির ছিল। উদাহরণ স্বরূপ উইন্ডোজ ১১ তে যেমন Window + A শর্টকার্ট ব্যবহার করলে সম্পূর্ন অ্যাকশান সেন্টার ওপেন হয়ে যায় এবং এখান থেকে ওয়াইফাই, ব্রাইটনেস, সেটিংস ইত্যাদি কন্ট্রোল করা যায় কিন্তু উইন্ডোজ ১০ তে কন্ট্রোল সেন্টার এবং নোটিফিকেশন প্যানেল একই সাথে খুলে দিত।
পরিশেষেঃ উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট
উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মাইক্রোসফটের আপডেটের ফলে নতুন কিছু শর্টকার্ট যুক্ত করা হয়েছে সেগুলোও এর মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এই শর্টকার্ট গুলো দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটারে আমাদের কাজকে আরোও সহজ করা এবং কিছুটা সময় বাঁচানো। কেননা আমরা যারা কম্পিউটারে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে থাকি অনেক সময় আমাদের একই টাস্ক করার জন্য বার বার ম্যানুয়ালি সেই অপশনে যেতে হয়। ঠিক এই সমস্যা সমাধান এক সেকেন্ডে করার জন্য এই শর্টকার্ট গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আশা করা যায় যে আপনি যদি উইন্ডোজ ১১ এর ১৫০+ কিবোর্ড শর্টকার্ট সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে কম্পিউটারে কাজ করতে অনেক সহজ মনে হওয়ার পাশাপাশি সময়ও বাঁচাবে। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url