OrdinaryITPostAd

উইন্ডোজ ১১ সেটআপ দেওয়ার নিয়ম

ইতোমধ্যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ তাদের উইন্ডোজ এর নতুন ভার্সন উইন্ডোজ ১১ এর অফিশিয়াল ঘোষণা দিয়ে ফেলেছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে উইন্ডোজ ১১ সেটআপ দেয়ার নিয়ম বা কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ দিতে হয় এসব বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং আলাপ-আলোচনা। 



আপনাদের এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আজকে আমরা আমাদের পোস্টে উইন্ডোজ আপডেট দেয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে উইন্ডোজ ১১ আপডেট করার নিয়ম বা আপনি কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবেন এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এছাড়া আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেন কিভাবে পেনড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ১১ দেওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জানা যায়? আবার অনেকেই বলেন উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যায় অনেক ভোগান্তিতে পড়ছেন। তাই আপনাদের সমস্যার প্রশ্ন এবং উত্তর এর উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের আজকের পোস্টটিতে সমস্ত কিছুর উত্তর দিতে চেষ্টা করব। পাশাপাশি জানাবো উইন্ডোজ ১১তে নতুন ফিচার কি কি রয়েছে? আর উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট আছে? চলুন বিস্তারিত জানতে ভেতরে যাওয়া যাক।

উইন্ডোজ ১১ সেটআপ দেয়ার নিয়ম | কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবো | উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যা | উইন্ডোজ ১১তে নতুন ফিচার 

উইন্ডোজ ১১ আপডেট করার নিয়ম বা কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবো সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে যাওয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে আমরা কি কি সুযোগ সুবিধা উইন্ডোজ ১১ থেকে পেয়ে থাকবো। অর্থাৎ আমরা যদি উইন্ডোজ 11 ব্যবহার করে থাকি তবে আমরা উইন্ডোজ ১১তে নতুন ফিচার হিসেবে কি কি অপশন নতুন পাব। আর সাথে আমাদের এটা জানার প্রয়োজন উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট রিকোয়ারমেন্ট কি কি? আসুন জেনে নেওয়া যাক-

উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কেমন হবে এবং কেমন কাজ করবে এইটা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করছে আজকাল প্রায় সবাই। এর বেশ কিছু নতুন ফিচার এবং বেশকিছু রিকোয়ারমেন্ট সমূহ উল্লেখ করা হলো-

১. মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ এর প্রথমেই যেটি চোখে পড়ার মতো সেটি হলো মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ এর আইকন গুলো। এগুলো প্রায় মাঝখানে থাকবে আর থাকবে ইন বিল্ট ভাবেই। তবে আপনি চাইলে বামেও নিতে পারবেন। মাইক্রোসফট আলাদা উইন্ডোজ ইলেভেন ভার্শন এ সেন্টার বেজড শব্দটিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। তাই স্বভাবতই এর সবকিছুই মাঝখানে অবস্থা থেকে শুরু হবে।

২. পাশাপাশি উইন্ডোজ ইলেভেন আপনি একটি ফ্রাস্টেড গ্লাস লুকিং বা ব্লারি গ্লাসলুকিং ফিল পাবেন।আর এর সমস্ত সাইড গুলোকে রাউন্ডেড এজ ফিনিশিং করা হয়েছে। যেখানে আপনি প্রায়ই সাদৃশ্যপূর্ণ হিসেবে ম্যাক এর সাথে তুলনা করতে পারেন। এটা মূলত প্রায়ই এখন অনেকটাই মর্ডান এবং এস্থেটিক লুক পেয়েছে।

৩. পাশাপাশি উইন্ডোজের যে স্টার্ট মেনু ছিল সেটিকে রিডিজাইন করে আইকন শেপ করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এটির কারণে সমস্যা অনেক সমাধান হয়ে গেছে যে সমস্যাটা আমরা উইন্ডোজ ৮ এর ক্ষেত্রে দেখেছিলাম। এখন দেখার বিষয় উইন্ডোজ ১১ এই আইকনিক সিস্টেম আদৌ কতটা কার্যকর হয়।

৪. সবচেয়ে নতুন এবং মজার তথ্য হলো উইন্ডোজ ১১ "স্ন্যাপ লি আউট" নামক একটি নতুন ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে যে ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি একসাথে অধিক কাজ অর্থাৎ মাল্টিটাস্কিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আরে মাল্টিটাস্কিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ধরনের ডিজাইন দেওয়া হবে। আপনি আপনার সুবিধামতো ডিজাইন বা লে আউট টি পছন্দ করে আপনি আপনার কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

৫. এরপরের যে মজা ফিচার সেটি হচ্ছে উইজেটস মেনুবার। আমরা এর পরবর্তীতে উইন্ডোজ সেভেন এর ক্ষেত্রে উইজেটস অপশনটি পেয়েছিলাম বেশ ভালোভাবেই। পরবর্তীতে অতটা ভাল ভাবে ইউজ করতে না পারলেও উইন্ডোজ ১১ এ উইজটস অ্যাডভান্স টেকনোলজি সহ বেশ ভালো ভাবেই লঞ্চ করেছে। উইন্ডোজ স্ক্রিনের বাম পাশ থেকে ড্র্যাগ করলেই আপনি আপনার উইজেটস অপশনটি দেখতে পাবেন। আপনি চাইলেএটিকে আপনার ফুল স্ক্রীন করে ফেলতে পারবেন।

৬. করার অপশন টি হল বাই ডিফল্ট অথবা বাই ডিফল্ট বা built-in ভাবেই মাইক্রোসফট টিম মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ তে দেওয়া থাওকে। আপনি চাইলে এর মাধ্যমে টিমের যেকারো সাথে জুম বা ডিরেক্ট ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে অথবা নিজের বন্ধুদের সাথেও কথা বলতে পারবেন। উইন্ডোজ ১১ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এটি। আর সবচেয়ে বড় কথা হল উইন্ডোজ ১১ এর এই ফিচারটি আইওএস বা অন্য কোন সিস্টেমের সাথে ডিরেক্ট কানেকশন করে যোগাযোগ করতে সক্ষম।

৭. এরপরের মূল বিষয়টি হলো উইন্ডোজ ১১ এ অ্যান্ড্রয়েড এর সমস্ত অ্যাপ সরাসরি রান করবে। অর্থাৎ আপনাকে কোন মাধ্যমের সাহায্যে সেই আম গুলোকে আপনার উইন্ডোজ এর মধ্যে রান করানোর কোনো প্রয়োজন নেই আপনি এখন থেকে সরাসরি ভাবেই যেকোনো পছন্দমত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ আপনার উইন্ডোজ ১১ এ প্লে করতে পারবেন। 

তবে এখানে বলে রাখি আপনার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ গুলো গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড হবে না বরং এখানে আপনার অ্যামাজন অ্যাপস স্টোর থেকে ডাউনলোড হবে।

৮. এছাড়া আরো কিছু নতুন ফিচারের মধ্যে রয়েছে গেমিং সিস্টেমের এবং গেম গ্রাফিক এও সমস্ত কিছু আরও স্মুথলি রান করবে এবং পারফরম্যান্স আরো বেশি পাবেন।

এবার অনেকেই প্রশ্ন করেন যে উইন্ডোজ ১১ বাজারে এসেছে কিনা বা আমরা এখনই এটি কম্পিউটারের লঞ্চ করতে পারব কিনা। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ এর লঞ্চ হিসেবে জুলাই প্রথম সপ্তাহ থেকেই এরা আরলি বিটা ভার্সন সচরাচর পাওয়া যাবে। তবে এই বছরের শেষের দিকে অফিশিয়ালি এবং সর্বশেষ আপডেট ভার্সন হিসেবে উইন্ডোজ ১১ মার্কেটপ্লেসে জায়গা করে নিবে।

কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবো | উইন্ডোজ ১১ আপডেট করার নিয়ম | উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যা | উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট

উইন্ডোজের সর্বশেষ আপডেট ভার্সন হিসেবে  উইন্ডোজ ১১ এখন সব মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা শীর্ষে একটি নাম। এখন কমবেশি সবাই চাইবে তার সফটওয়্যারটিকে উইন্ডোজ ইলেভেন ভার্সন আপডেট করার জন্য। এর জন্য আপনাকে আগে দেখতে হবে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ টি উইন্ডোজ ১১ সাপোর্ট করবে কিনা। বেশকিছু উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট দরকার যার উপর ভিত্তি করে আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ চলবে কিনা সেটি বলে দেওয়া যাবে। চলুন দেখে নিই কিভাবে বোঝা যাবে আমার কম্পিউটার টি উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট ফুলফিল করতে পারছে কিনা।

উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট দেখার জন্য বা আপনার কম্পিউটারের হেলথ চেক করার জন্য মাইক্রোসফট আপনাদেরকে একটি নির্দিষ্ট আলাদা সফটওয়্যার প্রোভাইড করছে। যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কম্পিউটারের অবস্থা বর্তমানে কেমন আর সেটি আদৌ আপনার উইন্ডোজ সেটআপ এর জন্য উপযুক্ত কিনা।

উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্টঃ 


আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ 11 সাপোর্ট করার জন্য বেশকিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। সে সমস্ত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বুঝতে পারবেন আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট ফুলফিল করতে পারছিনা চলুন জেনে নিই উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট সমূহঃ



  • প্রসেসরঃ আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ সাপোর্ট এর জন্য অবশ্যই আপনার প্রসেসরকে 1 গিগাহার্জ অথবা এর থেকে বেশি গতিসম্পন্ন ২ অথবা ৩ কোর পাশাপাশি ৬৪ বিটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিস্টেম চিপ হতে হবে।

  • মেমোরিঃ আপনার কম্পিউটারের মেমোরি ধারণক্ষমতা সর্বনিম্ন 4 জিবি র‍্যাম হতে হবে।

  • স্টোরেজঃ আপনার কম্পিউটারে স্টোরেজ বা ধারণক্ষমতা অবশ্যই কমপক্ষে ৬৪ জিবি অথবা এর থেকে আরও বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে।

  • সিস্টেম ফার্মওয়্যারঃ UEFI, Secure Boot capable হতে হবে। যেহেতু সিস্টেম ফর্মওয়্যার সফ্টওয়্যার নির্দেশাবলী একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ইলেকট্রনিক ডিভাইস কীভাবে পরিচালনা করা যায় তা জানাতে ব্যবহৃত হয়। তাই এর আপডেট লেভেল হিসেবে আপনার কম্পিউটারকে নিরাপদে বুট করার মত ক্যাপাবিলিটি থাকতে হবে।

  • টিপিএমঃ এটি অনেকের কাছে একটি নতুন বৈশিষ্ট্য বিচার হতে পারে কারন আমরা অনেকেই টিপিএমের সাথে পরিচিত নয়। টিপিএম ট্রাসটেড প্লাটফর্ম মডিউল এটি মূলত একটি ছোট চিপ এবং কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এ অবস্থায় থাকে। আবার অনেকের কম্পিউটারে দেখা যায় এটি থাকেনা তাদেরকে বাহির থেকে আলাদা ভাবে লাগিয়ে নিতে হয়।

    এটি মূলত আপনার কম্পিউটারের নিরাপত্তা জন্য ব্যবহৃত হয় যার মাধ্যমে বিভিন্ন এনক্রিপশন এগুলোকে একত্র সংরক্ষণ করে রাখার কাজে ব্যবহার হয়। যা অত্যন্ত শক্ত একটি সিকিউরিটি সিস্টেম। আর মাইক্রোসফট ইদানিং সিকিউরিটির দিকে খুব বেশি নজর দিচ্ছে বলে টিপিএম এর 2.0 চিপটি কে খুব বেশি রিকোয়ারমেন্ট করছে।

  • গ্রাফিক্স কার্ডঃ আমরা মবেশি সবাই গ্রাফিক ডিজাইন বা গ্রাফিক্স কার্ড এই কথাটির সাথে অনেক বেশি সম্পৃক্ত। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাথে সংশ্লিষ্ট একটি বিষয় যেটি দ্বারা বিভিন্ন ধরনের নকশা ডিজাইন করা সম্ভব আর কম্পিউটারের গ্রাফিক্স এর কাজ আরো সহজ করার জন্য গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

    আর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১ সাপোর্ট করার জন্য গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে DirectX 12 এর সমতুল্য অথবা WDDM 2.x উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট চেয়েছে।

  • ডিসপ্লেঃ মাইক্রোসফ্ট ডিসপ্লের দিক থেকেও অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখেছে কেননা ছোট সাইজের কম্পিউটারগুলোতে বা কম রেজুলেশন ক্ষমতা সম্পন্ন ডিসপ্লেতে উইন্ডোজ ইলেভেন সাপোর্ট করবে না। তাই আপনার কম্পিউটারের ডিসপ্লে অবশ্যই ৯" (নয় ইঞ্চি)-র এইচডি (HD) ডিসপ্লে এবং এর রেজুলেশন কমপক্ষে 720p হতে হবে।

  • ইন্টারনেট কানেকশনঃ আপনার কম্পিউটারে আপনি যদি উইন্ডোজ ১১ সঠিক ভাবে ইন্সটল দিতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই মাইক্রোসফট নিজস্ব একাউন্ট এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ সাপোর্টেড কিনা তা এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য থেকে আপনি সঠিকভাবে জাজ করতে পারবেন। যদি এগুলো কোন কিছু আপনার কম্পিউটারে না থেকে থাকে তাহলে আপনি কোনোভাবেই উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট ফুলফিল করতে পারছেন না সেজন্য আপনি আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ সেটআপ দিতে পারবেন না।

কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবো | পেনড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ১১ দেওয়ার নিয়ম | উইন্ডোজ আপডেট দেয়ার নিয়ম | উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যা 

এতক্ষণ আমরা দেখলাম microsoft-এর নতুন উইন্ডোজ সিস্টেম উইন্ডোজ ১১ এর বিভিন্ন ফিচার সমূহ এবং কোন কম্পিউটারের সাপোর্ট করবে বা কোন কম্পিউটারের সাপোর্ট করবে না তা কিভাবে চেক করতে হয় তার পদ্ধতি। কেননা মাইক্রোসফট কর্তৃক প্রদত্ত উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট যদি আপনি একটিও পূরণ করতে ব্যর্থ হন তবে সেক্ষেত্রে আপনার পুরো সিস্টেম উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যা দেখা দিবে।

তবে কম্পিউটারের ক্ষমতা চেক করার পূর্বে আগে দেখে নিতে হবে আপনার কম্পিউটারে টিপিএম সাপোর্ট করা আছে কিনা। আপনার কম্পিউটারের টিপিএম ভার্শন 2.0 কমপক্ষে হচ্ছে কিনা। যদি পুরনো ভার্সন হয় তাহলে কিন্তু আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ সাপোর্ট করবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার টিপিএম টি চেঞ্জ করতে হবে।

উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যা ও টিপিএম চেক করার পদ্ধতিঃ

১. এজন্য প্রথমে আপনাকে আপনার উইন্ডোজ স্ক্রিনে যেতে হবে এবং একইসাথে "Window Button + R" প্রেস করতে হবে।

২. সেখানে একটি সার্চ অপশন আসলে সেখানে যেয়ে আপনাকে টাইপ করতে হবে "tpm.msc" তারপর সরাসরি ওকে বাটন প্রেস করলে আপনাকে এরপরে ইন্টারফেসে নিয়ে যাবে।

৩. যদি আপনার কম্পিউটারে ইনবিল্ট টিপিএম চিপ টিকে থাকে তবে আপনাকে সেটি ডিটেইলস সহ দেখিয়ে দিবে। আর যদি না থেকে থাকে তবে আপনাকে সেখানে বলে দিবে "Compatible TPM cannot be found"  অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারে কোন টিপিএম চিপ নেই অথবা এমনও হতে পারে আপনার কম্পিউটারে টিপিএম চিপ আছে কিন্তু BIOS থেকে সেটি ইনেবল করা নেই।

এমন অবস্থায় আপনাকে বাহির থেকে অতিরিক্ত টিপিএম চিপ কিনে নিয়ে সেটি আপনার কম্পিউটারে ইনবিল্ট করে নিতে হবে। অথবা বায়োস অপশনে যেয়ে আপনাকে টিপিএম চিপ অন বা ইনেবল করে নিতে হবে। এটি তে এএক্সেস নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের মডেল বা ল্যাপটপের মডেল লিখে সার্চ করবেন তাহলেই পেয়ে যাবেন কিভাবে BIOS এ এএক্সেস নিতে হয়।


৪. BIOS ওপেন করার পরে আপনাকে সিকিউরিটি অথবা এডভান্স দুইটা অপশন এ যেয়ে খুঁজতে হবে কোথায় টিপিএম আছে। এসব জায়গায় আপনি বেশ কয়েকটি ভাবে টিপিএম দেখতে পাবেন। যেমন- টিপিএম চিপ/ সিকিউরিটি চিপ/ ইনটেল সিকিউরিটি চিপ ইত্যাদি। যে নামে আপনার চিপটি থাকুক না কেন সেটিকে ইনাবল করে দিন তাহলেই হবে।

৫. এছাড়া যারা এএমডি প্রসেসর ইউজ করেন তাদের জন্য দুটি অপশন থাকে- একটা ফার্মওয়্যার টিপিএম এবং অপরটি হল ডিস্কক্রিট টিপিএম। এক্ষেত্রে আপনাদের মধ্যে থাকবে এবং দুটি টিপিএম ই আপনাকে চেক করে দেখতে হবে কোনটির মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার পারমিশন পাচ্ছে।

৬. এরপরেও যদি আপনি কোন চিপ না পেয়ে থাকেন তবে বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটারের কোন ইনবিল্ট টিপিএম নেই। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বাহির থেকে কোন একটি 2.0 ভার্সনের টিপিএম কি না সেটা কি আপনার কম্পিউটারের মধ্যে মাদারবোর্ড করে নিতে হবে। 




আর এরপরেও যদি আপনার কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনার সমস্যা তুলে ধরুন। আমরা চেষ্টা করব ordinaryIT.com এর পক্ষ থেকে আপনাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান দিতে।

উক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি আপনার কম্পিউটারের জন্য উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট সম্পূর্ণ করতে পারেন।

উইন্ডোজ ১১ আপডেট করার নিয়ম | উইন্ডোজ ১১ সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্ট | উইন্ডোজ সেটআপ সমস্যা | কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবো

এতক্ষণ আমরা জানলাম উইন্ডোজ ১১ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়। এখন আসি মূল বিষয়ে। আপনারা ঠিকই ধরেছেন উইন্ডোজ 11 কিভাবে ল্যাপটপে ইন্সটল দিতে হয় বা কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ দিতে হয় সেই সম্পর্কে যাবতীয় ডিটেলস আমরা এখন জানব।

তবে উইন্ডোজ ১১ সেটআপ দেওয়ার আগে জেনে নিই আমাদের জন্য এটি সেটআপ দেওয়া কতটা নিরাপদ এবং কতটা উপযুক্ত হবে? বলে রাখি উইন্ডোজ ইলেভেন এর আপডেট ভার্সন টি আমরা বর্তমানে হাতে-পায়ে সেটি কিন্তু এখনো ইনসাইডার প্রোগ্রাম বা ডেভলপার ভার্শন এমন কি এটা বেটা ভার্শনো না যেটা সচরাচর আমরা পাবলিক ইউজ করে থাকি। এটা শুধুমাত্র ডেভেলপারদের জন্য যেটা বলা যেতে পারে বেটা ভার্সনেরও আগের ভার্সন। 

আসুন এবার দেখে নেই আমরা আমাদের কম্পিউটারে অথবা কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করবো?
আমরা এখন আপনাদেরকে যেভাবে উইন্ডোজ টেন থেকে উইন্ডোজ ১১ এ কনভার্ট করা দেখাব সেটার জন্য আপনার কোন আইওএস ফাইল কিংবা পেনড্রাইভ থেকে নিয়ে ট্রান্সফার করা বা এরকম কোন ধরনের ঝামেলা লাগবে না। সুতরাং আপনারা সরাসরি উইন্ডোজ টেন থেকে সরাসরি উইন্ডোজ ১১ ডাউনলোড করে সেটা সেটআপ দিয়ে ফেলতে পারবেন। এখন চলুন বিস্তারিত আলোচনায় চলে যায়-

১. এজন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে "Star menu" তে যেয়ে সার্চ অপশন "Settings" লিখে সার্চ দিব। এরপর যে ইন্টারফেস পাবো সেখান থেকে সর্বশেষ অপশন "Update & Security" তে প্রেস করব।

২. এরপর সেখান থেকে বাম সাইডের সর্বশেষে একটি অপশন আছে যার নাম "Windows Insider Program" সেখানে ক্লিক করব। তাহলে দেখতে পাব ডান পাশে "Get start" নামক একটি অপশন দেখিয়েছে সেখানে সরাসরি ক্লিক করব। 


৩. তাহলে আপনার থেকে সরাসরি এবার আপনার মাইক্রোসফট পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট রয়েছে হতে পারে সেটা হট মেইল অথবা স্কাইপি অথবা আউটলুক যেকোনো একটি অ্যাকাউন্ট হতে পারে আপনাকে আপনার সেই একাউন্টে লগইন করতে হবে। সেখান থেকে সরাসরি আমার অ্যাকাউন্ট খুলতে যে ইমেইল ব্যবহার করা হয়েছিল সেই ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করব।

আর যদি সেই মেইল দিয়ে আপনি এর পূর্বে ইনসাইডার প্রোগ্রামে জয়েন না করে থাকেন তাহলে সেখানে নতুন করে "Register" অপশন টা দেয়া হবে। সেখানে "register" অপশনটিতে ক্লিক করে আপনাকে সাইন আপ করতে হবে। এরপর আপনি সরাসরি টার্মস অন্ড পলিসিজ অপশনটি "Ok" করে সরাসরি সাবমিট করে ফেলবেন।

তখন আপনাকে লেখা দেখাবে "you are good to go". এবার আপনার কি অপশন টি ক্লোজ করে দিতে হবে। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার ইন্টারফেসে কিছু লোডিং নিচ্ছে। এই লোডিং এর সময়টা বেশ কিছুটা দীর্ঘায়ন হতে পারে।

৪. সম্পূর্ণ লোড হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে মোট তিনটা অপশন দেখাবে। যেমন- a) Dev Channel, b) Beta Channel, c) Release Preview Channel. নিজের এখন শুধুমাত্র ডেভ চ্যানেল টাই অ্যাভেলেবল আছে তাই আপনাকে ডেভ চ্যানেলে ক্লিক করতে হবে। এবং সেটি কনফার্ম করবেন। এরপর দ্বিতীয়বার আপনাকে আবার কনফার্ম করতে বলবে। অতঃপর আপনাকে আবার কনফার্ম করতে হবে।

৫. দ্বিতীয়বার কনফার্ম করার পরে আপনাকে ইন্টারফেসের দেখাবে কম্পিউটারটি রিস্টার্ট করতে হবে। আপনি এরপর সরা রিস্টার্ট আলাদাভাবে না করে সেই অপশনে ক্লিক করে রেজিস্টার করবেন।

৬. এখনো আপনার কাজ শেষ হয়নি এবার আপনার কম্পিউটারটি রিস্টার্ট হয়ে চালু হওয়ার পর আপনাকে আবার একটু কাজ করতে হবে। সেটি হল পুনরায় আপনাকে আবার সেটিংস থেকে সে একই অপশনে যেতে হবে। অর্থাৎ জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে "Star menu" তে যেয়ে সার্চ অপশন "Settings" লিখে সার্চ দিব। এরপর যে ইন্টারফেস পাবো সেখান থেকে শুরুতেই "Windows Update" অপশনটি দেখাবে।

এবার সেখানে দেখবেন আপনার স্ক্রিনে লেখা আছে "heck for Updates". সরাসরি সেখানে প্রেস করুন। তাহলে একটু লোডিং নিবে লোডিং নেওয়া শেষ হলে আপনাকে দেখাবে আপনার আপডেট করার জন্য কি কি জিনিস বাকি আছে। এটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার ইন্টারনেট স্পিড এর উপর। আপনি শুরুতেই দেখতে পাবেন আপনার উইন্ডোজ 11 ভার্সন অলরেডি ডাউনলোড হতে শুরু করেছে। এবার অপেক্ষা করুন ডাউনলোড শেষ হওয়া পর্যন্ত।

৭. আপনার ডাউনলোড ১০০% হওয়ার পর অটোমেটিক ভাবে কম্পিউটার আবার আপনার কাছ থেকে রিস্টার্ট চাইবে। আপনি দেরি না করে সাথে সাথে ঐ স্টার্ট বাটনে প্রেস করুন। এবার আপনি কম্পিউটার ওপেন করলে সাথে সাথে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ ভার্সন চালু হয়ে গেছে।

এজন্য আপনার কোন কিছুই চেঞ্জ হবে না শুধুমাত্র আপনার উইন্ডোজ এর আপডেট ভার্সন হিসেবে উইন্ডোজ ১১ এ যেসব পরিবর্তনসমূহ আছে শুধুমাত্র সেগুলোই হবে। এর অতিরিক্ত আপনার কোন ফাইল ডিলেট হবেনা কোন ফাইলের পরিবর্তন হবে না।


এই ছিল মোটামুটি ভাবে উইন্ডোজ ১১ আপডেট করার নিয়ম বা উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়ার নিয়ম। আমরা চেষ্টা করেছি কিভাবে ল্যাপটপে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে হয় তার সর্বোচ্চ সহজ পদ্ধতিতে আপনাদের সামনে বিষয়বস্তু তুলে ধরার। এর জন্য পেন ড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ১১ দেওয়ার নিয়ম জানার কোন প্রয়োজন নাই। আপনি সরাসরি আপনার কম্পিউটারের সেটিংস এবং আপডেট এন্ড সিকিউরিটি অপশন থেকে আপনার উইন্ডোজ আপডেট করতে পারবেন।

তবে আপনাদের সুবিধার জন্য একজন আইটি এক্সপার্ট হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই, যেহেতু এখনও সাধারণ পাবলিকের জন্য উইন্ডোজ ১১ মার্কেটে আসেনি তাই আপনার জন্য এখনই এই ভার্সনটি আপডেট আমার পার্সোনাল মত অনুযায়ী না করাটাই ভালো। এখানে বেশ কিছু বাগ সহ বেশ কিছু দিন আমি লক্ষ্য করেছি যেগুলো উইন্ডোজ ১০ এ স্মুথলি এখনি চলে। যেহেতু বছরের শেষের দিকে আমরা এর পুরোপুরি অফিশিয়াল ভার্শন হাতেম তাই আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করাই মনে হয় সুবিধাজনক হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url