PSC/NSI/BPSC পরীক্ষার রেজাল্ট মোবাইলে চেক করার স্ক্রিনশট সহ

PSC/NSI/BPSC পরীক্ষার রেজাল্ট মোবাইলে চেক করার স্ক্রিনশট সহ উপায় আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই বাংলাদেশে যেকোনো সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা বা শিক্ষা বোর্ডের রেজাল্ট সহজেই জানা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন হয় শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ইন্টারনেট সংযোগ অথবা আপনি যদি মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে রেজাল্ট দেখতে চান তাহলে সিম কার্ডে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা থাকতে হবে। এখন আমরা উক্ত পরিক্ষা গুলো অর্থাৎ পিএসসি বা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, এনএসআই বা বিপিএসসি বা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পরিক্ষা গুলোর রেজাল্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিভাবে চেক করবেন তা নিচে দেওয়া হলো।

PSC বা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষার রেজাল্টঃ PSC বা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষার রেজাল্ট চেক করার জন্য প্রথমেই মোবাইলের যেকোন একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনাকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য যেকোন ব্রাউজার থেকে Ipemis লিখে সার্চ করতে হবে।এই কথাটি লিখে সার্চ করার পর উপরে দেখানো ছবির মত প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে তার ভেতর প্রবেশ করতে হবে। উক্ত ওয়েবসাইটটি হচ্ছে প্রথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি ওয়েবসাইট। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে এই ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য আরোও অনেক ওয়েবসাইট প্রথমে দেখাতে পারে সেক্ষেত্রে আপনাকে খুঁজে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে ঠিক এই রকম একটি ড্যাশবোর্ড ওপেন হয়ে যাবে। এবার এখান থেকে আপনাকে একটি ফ্রি একাউন্ট বা সাইন আপ করার কথা বলা হতে পারে। আপনি চাইলে আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার ও একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন আপ করে নিতে পারেন। এবার এখান থেকে থ্রি-ডট অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর এখান থেকে ফলাফল অপশনে প্রবেশ করতে হবে।ফলাফলের উপর ক্লিক করার পর আপনাকে ফলাফল বা রেজাল্ট দেখার ড্যাশবোর্ড দেখার অপশন নিয়ে চলে আসবে। এখান থেকে আপনি তিনটি অপশনে রেজাল্ট দেখতে পাবেন। প্রথম অপশনে আপনি শুধু আপনার ১৬ ডিজিটের আইডি নাম্বার দিলেই রেজাল্ট দেখতে পারবেন। এবং দ্বিতীয় অপশনে আপনাকে আপনার রোল, বোর্ড, পরিক্ষার সাল ইত্যাদি দিয়ে রেজাল্ট দেখতে পারবেন। তবে এখানে আপনি শুধু ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের পিএসসি রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

NSI বা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিক্ষার রেজাল্টঃ NSI বা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিক্ষার রেজাল্ট চেক করার জন্য আপনাকে একই নিয়মে মোবাইল ফোনের যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে। এরপর এখানে NSI teletok লিখে সার্চ করতে হবে।এই কথাটি লিখে সার্চ করার পর আপনার সামনে NDR এর একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চলে আসবে। এখন আপনাকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তবে এনডিআর ব্যতীত এনএসআই এর আরোও অনেক ওয়েবসাইট আসবে। আপনি যদি রেজাল্ট চেক অথবা ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড রিকোভার করতে চান তাহলে আপনাকে এই ওয়েবসাইটেই প্রবেশ করতে হবে।এরপর আপনার সামনে রেজাল্ট দেখার ড্যাশবোর্ড চলে আসবে। আপনি এখান থেকে পিলিমিনারি, লিখিত, ব্যবহারিক এবং ভাইভার রেজাল্ট আলাদা আলাদা ভাবে দেখতে পারবেন। প্রথমে আপনি যে পরিক্ষার রেজাল্ট দেখতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে এবং এরপর আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করলেই আপনি আপনার রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

BPSC বা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন রেজাল্টঃ BPSC বা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন রেজাল্ট দেখার জন্য উপরের একই নিয়মে মোবাইল ফোনের যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে। এরপর এখান থেকে সার্চ করতে হবে BPSC লিখে।এটি লিখে সার্চ করার পর আপনার সামনে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের একটি ওয়েবসাইট চলে আসবে। এবার আপনার এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। মূলত আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে বিপিএসসি এর সকল রেজাল্ট যেমন বিসিএস, নন ক্যাডার ইত্যাদির রেজাল্ট দেখতে পারবেন।উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি অনেক গুলো অপশন দেখতে পারবেন। এখান থেকে একটু নিচের দিকে স্ক্রল করে আসতে হবে। একটু নিচের দিকে আসলে দেখতে পাবেন নোটিশ নামে একটি অপশন আছে। এবার এখানে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করলে আপনি আরোও একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি যে সার্কুলারে এই পরিক্ষাটি দিয়েছেন সেটি সিলেক্ট করে ডাউনলোড পিডিএফ লিখার উপর ক্লিক করলে সেটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। এবার এই পিডিএফ ওপেন করে আপনাকে দেখতে হবে আপনার রোল নাম্বার আছে কিনা। যদি আপনার রোল থাকে তাহলে আপনি পাশ করেছেন আর যদি এখানে আপনার রোল না থাকে তাহলে আপনি পাশ করতে পারেননি। রেজাল্ট সঠিক কিনা শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনি সরাসরি হেল্প লাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

এসএমএস এর মাধ্যমে PSC রেজাল্ট চেকঃ এসএমএস এর মাধ্যমে পিএসসি এর রেজাল্ট দেখার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এরপর মেসেজ অপশনে DPE <space> Student ID লিখে ১৬২২২ নাম্বারে সেন্ড করতে হবে। স্টুডেন্ট আইডি সাধারণত ১৬ ডিজিটের হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ আপনার স্টুডেন্ট আইডি যদি 12345678901 এটি হয় তাহলে মেসেজ অপশনে DPE 12345678901 এই ভাবে লিখে ১৬২২২ নাম্বারে সেন্ড করলে কিছুক্ষনের মধ্যে আপনার রেজাল্ট চলে আসবে। তবে এই ভাবে রেজাল্ট দেখার জন্য আপনার সিম কার্ডের ব্যালেন্সে অবশ্যই দুই থেকে তিন টাকার মত ব্যালেন্স থাকতে হবে।

উপরের পরিক্ষা গুলোর রেজাল্ট চেক করার সময় খুব বেশি তথ্যের প্রয়োজন হয় না। অনেকে এইরেজাল্ট গুলো প্রথম বার দেখার সময় অথবা সার্ভার হ্যাং হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক দ্রুত টাইপ করতে যেয়ে অনেক সময় ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে রেজাল্ট আসে না বা অন্য কোন সমস্যার মধ্যে পড়েন। তাই রেজাল্ট চেক করার সময় অবশ্যই সাবধানতার সাথে সঠিক ভাবে তথ্য গুলো দিতে হবে। এখন আমরা কি কি তথ্য গুলো লাগে এই বিষয়ে সংক্ষেপে জানবো। তবে আগেই বলে রাখা ভালো ক্ষেত্র বিশেষে অথবা পরিক্ষার ধরণ অনুযায়ী নিচে দেওয়া তথ্য ছাড়াও আরোও অনেক তথ্য লাগতে পারে।

সাধারণত এই সকল পরিক্ষার রেজাল্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই দেখা হয়ে থাকে। যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে রেজাল্ট গুলো দেখে থাকে তারা তুলনা মূলক দ্রুত রেজাল্ট পেয়ে যায়। এর অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য যে কারণ সেটি হচ্ছে ইন্টারনেটের স্পিড। সাধারণত মোবাইলের তুলনায় কম্পিউটার গুলোতে অনেক সময় ইন্টারনেট স্পিড বেশি থাকার কারণে কম্পিউটারে রেজাল্ট দ্রুত চলে আসে। তবে এটি সব সময় সঠিক নাও হতে পারে। কারণ রেজাল্ট প্রকাশের সময় লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে ওয়েবসাইটে ঢোকে ফলে সার্ভার চাপ নিতে না পেরে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই এখন আমরা জানবো মোবাইলে রেজাল্ট দেখতে কোন কোন সমস্যা হতে পারে এই সম্পর্কে।

বাংলাদেশে PSC/NSI/BPSC এই তিনটি পরিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ন হওয়ার কারণে প্রতিবার যখন এই রেজাল্ট গুলো দেয় তখন কতৃপক্ষ এক সাথে সকলকে রেজাল্ট দিতে ব্যার্থ হয়ে যায়। কারণ এই পরিক্ষা গুলো প্রতিবছর লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ দিয়ে থাকে। তাই যখন এই রেজাল্ট গুলো দেওয়ার দিন ও তারিখ আগে থেকে বলে দেওয়া হয় তখন এক সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ রেজাল্ট দেখার জন্য চেষ্টা করলে উক্ত কতৃপক্ষের সার্ভার কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে রেজাল্টের জায়গায় রেজাল্ট না দেখিয়ে error বা result not found এই সমস্যা গুলো দেখাতে পারে। এখন আমরা জানবো এই সমস্যা গুলো দেখালে করনীয় কি।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি গুলোর মধ্য NSI বা National Security Intelligence বাংলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা চাকরির অনেক চাহিদা রয়েছে। ঠিক এই কারণেই প্রতিবার সার্কুলার ছাড়া হলে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এই চাকরির জন্য আবেদন করে থাকে। এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা যা দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করে। এটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর অধীনে পরিচালিত হয় এবং এদের মূল কাজ হলো দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরি করা। এখন আমরা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা চাকরির পরিক্ষা দেওয়ার নূন্যতম যোগ্যতা সম্পর্কে জানবো।

বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক এবং আকাঙ্ক্ষিত একটি ক্ষেত্র হলো BPSC বা Bangladesh Public Service Commission বাংলায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক পরিচালিত চাকরি। বিশেষ করে BCS বা Bangladesh Civil Service পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাস্টমস, ট্যাক্স ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হয়। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যার মূল দায়িত্ব হলো সরকারি চাকরির জন্য জনবল নিয়োগ, নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা সরবরাহ, নিয়োগে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন নিশ্চিত করা ইত্যাদি। এখন আমরা BPSC চাকরির ধরন সম্পর্কে জানবো। সাধারণত BPSC চাকরির ধরন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে যেমনঃ 

NSI ও BPSC চাকরির নূন্যতম যোগ্যতা সম্পর্কে আমরা উপরে কিছুটা আলোচনা করলেও এখন আমরা আরোও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করবো। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সরকারী চাকরি গুলোর মধ্যে NSI ও BPSC এই দুই চাকরিই মূলত অনেক জনপ্রিয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে স্নাতক বা সমমান পরিক্ষায় পাশ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। এই স্বপ্নটি মূলত পূরণ করতে হলে বিপিএসসি পরিক্ষার মাধ্যে যেতে হয় আবার অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে গোয়েন্দা হওয়ার। এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে এনএসআই পরিক্ষা পাশ করে সকল দিক থেকে নির্বাচিত হতে হয়। এখন আমরা সংক্ষেপে এই দুইটি চাকরির নূন্যতম যোগ্যতা সম্পর্কে জানবো।

প্রথমেই আসি এনএসআই চাকরির নূন্যতম যোগ্যতা সম্পর্কে। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে এনএসআই চাকরির বিভিন্ন পদ থাকে এবং এই পদ গুলোর উপর নির্ভর করে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শারীরিক যোগ্যতা। বিশেষ করে এই চাকরীর ৯ম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেড পর্যন্ত যে সার্কুলার দেওয়া হয় সেখানে শারীরিক যোগ্যতার তেমন প্রয়োজন না হলেও পরিক্ষার্থীকে অবশ্যই স্নাতক বা সমমান পরিক্ষায় পাশ করতে হয়। অপর দিকে বিপিএসসি পরিক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্নাতক বা সমমান পরিক্ষায় নির্দিষ্ট রেজাল্ট নিয়ে পাশ করতে হবে। এই পরিক্ষা সাধারণত তিনটি ধাপে হয়ে থাকে। ধাপ গুলো হচ্ছে প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা। এই সকল পরিক্ষায় আলাদা আলাদা ভাবে পাশ করতে হয়।