OrdinaryITPostAd

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম

 ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো। এসএসসি পাশ করার পর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কারিগরি কোর্স। তাই এই বিষয়ে ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম জানা উচিত।

ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং-এ-ভর্তি-ও-কোর্স-নির্বাচন-করার-নিয়ম

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সাধারণত চার বছরের হয়ে থাকে। তাই একবার যদি কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে যান তাহলে বাধ্যতামূলক ভাবে সেই কোর্স নিয়েই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। তাই ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির আগে কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম জানতে হবে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এসএসসি এর পরে সাধারণত বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক অথবা ব্যবসা শাখা নিয়ে পড়াশুনা করে থাকে। আবার অনেক এই সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থাতে পড়াশুনা না করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায়। তাদের জন্য ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এই কোর্সটি একটি জনপ্রিয় কোর্স। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই বিষয় নিজে পড়াশুনা শেষ করে দেশ ও দেশের বাহিরে চাকরিরত আছেন। আবার অনেকে রয়েছেন বেকার। এর মূল কারণ হচ্ছে সঠিক কোর্স নির্বাচন না করা।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য কোর্স নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা কোর্স নির্বাচন করতে ভুল করলে হয়ত ৪ বছর পর একটি সার্টিফিকেট পাবেন ঠিকই কিন্তু চাকরি পেতে অনেক কষ্টকর হয়ে যেতে পারে। সাধারণত ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল ও আর্কিটেকচার বিভাগগুলো খুবই জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি চাহিদা সম্পূর্ণ। দেশ ও দেশের বাহিরে এই বিষয়গুলোর বর্তমানে অনেক চাহিদা রয়েছে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির কার্যক্রম সাধারণত প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার পর জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যায়। ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি প্রদান করতে হয়। ভর্তি নির্বাচনের জন্য কখনো কখনো মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় এবং কখনো সরাসরি ভর্তি নেওয়া হয়। তবে ২০২৫ সালের ভর্তি কার্যক্রম একটু ভিন্ন হতে পারে। কারণ এবারে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। যেখানে সাধারণত গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি কিছু আনুসাঙ্গিক যোগ্যতাও দেখা হয়ে থাকে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জন্য আপনাকে অবশ্যই এসএসসি বা সমমান পরিক্ষা পাস করতে হবে। এসএসসি বা সমমান পরিক্ষা পাস না করলে আপনি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এই বিষয়ে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান পরিক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে। তবে এই জিপিএ এর মান অনেক সময় কম অথবা বেশিও নিয়ে থাকে।

এসএসসি বা সমমান পরিক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করেছে এমন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অগ্রাধিকার পায়। তবে যারা জিপিএ ৫.০০ এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে এমন শিক্ষার্থীরা মেধা তালিকায় সামনের দিকে অবস্থান করে। ফলে এদের দ্রুত চান্স পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। এই গুলো হলো সরকারি কলেজ গুলর জন্য প্রযোজ্য তবে বেসরকারি কলেজ গুলোতে কম জিপিএ থাকলেও চান্স পাওয়া যায়।

সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে পার্থক্য

সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে রয়েছে বিশাল মাত্রায় পার্থক্য। সাধারণত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলতে আসন সংখ্যা থাকে অনেক কম যার কারণে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলতে ভর্তি হওয়ার প্রতিযোগিতা থাকে অনেক বেশি। যাদের জিপিএ বেশি থাকে আবার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে এমন শিক্ষার্থীরা খুব সহজে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে চান্স পেয়ে থাকে। অপর দিকে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে আসন ফাঁকা থাকে যার কারণে এখানে চান্স পাওয়াও অনেক সহজ হয়ে থাকে।
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং-এ-ভর্তি-ও-কোর্স-নির্বাচন-করার-নিয়ম
বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে চান্স পাওয়ার জন্য রেজাল্ট খুব একটা প্রাধান্য পায় না। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে পড়াশুনার খরচ অনেক কম হয় তুলনা মূলক ভাবে। উদাহরণ স্বরূপ মাসিক টিউশন ফি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মত হয়ে থাকে অপরদিকে বেসরকারি ইনস্টিটিউট গুলোতে মাসিক টিউশন ফি কয়েজ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। সব মিলিয়ে বলা যায় আপনি যদি একান্তই সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি সুযোগ না পান তাহলে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারেন। সব দিক মিলিয়ে দেখলে দেখা যায় সুযোগ সুবিধা ও সার্টিফিকেটের মানের দিক থেকে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো অনেক এগিয়ে রয়েছে।

কোন কোন বিষয়ে ডিপ্লোমা করা যায়?

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নাম শুনলে মনে হতে পারে যে এই কোর্সে হয়ত কয়েকটি বিষয় নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করা যায় কিন্তু এই কথাটি সম্পূর্ন ভুল। কেননা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো নিয়ে পড়াশুনা করা হয়। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদি কোর্স হওয়ার কারণে এর বিষয় গুলোও অনেক বিস্তর।  ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল, অন্যান্য কারিগরি ও প্রযুক্তিগত, কৃষি ও অন্যান্য ডিপ্লোমা কোর্স নিয়ে ডিপ্লোমা করা যায়। নিচে বিষয় গুলোর নাম তুলে ধরা হলো।

ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল বিভাগসমূহঃ

  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
  • আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টিরিয়র ডিজাইন
  • টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
  • অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রোমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
কারিগরি ও প্রযুক্তিগত বিভাগঃ

  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ফুড টেকনোলজি
  • রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং
  • মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভেয়িং
  • শিপবিল্ডিং টেকনোলজি
  • ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল টেকনোলজি
  • কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
কৃষি ও অন্যান্য ডিপ্লোমা কোর্সঃ

  • এগ্রিকালচার টেকনোলজি 
  • ফরেস্ট্রি টেকনোলজি
  • লাইভস্টক (পশুসম্পদ)
  • মেডিকেল টেকনোলজি
  • ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি
  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন টেকনোলজি
  • ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
  • বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

কোর্স নির্বাচন করার আগে যেসকল দিক বিবেচনা করা উচিত

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নির্বাচন করার আগে অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো বিবেচনা করা উচিত। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিজের আগ্রহ, দক্ষতা ও স্বপ্ন। আপনার যদি এই কোর্সের প্রতি কোন আগ্রহ না থেকে থাকে বা আপনার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য কোন পেশা হয়ে থাকে তাহলে এই কোর্স আপনার বেছে নেওয়া ঠিক হবে না। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এই কোর্সটি যেহেতু একটি দীর্ঘ মেয়াদি কোর্স তাই আপনি একবার ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে ভর্তি বাতিল করে নয় কোথাও ভর্তি হওয়া এই সকল বিষয়ে যেমন সময়ের অপচয় হবে ঠিক তেমনি আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই প্রধান দিকটি বিবেচনা করা উচিত।
দ্বিতীয় যেই বিষয় বিবেচনা করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যেই পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি করবেন সেই কলেজে পড়তে খরচ কেমন হবে এই বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে। কেননা উক্ত কলেজে আপনাকে ৪ বছর পড়াশুনা করতে হবে তাই উক্ত কলেজের খরচ না জেনে ভর্তি হয়ে গেলে আপনার উপর একটি অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। তাই এই বিষয়টিও ভালোভাবে বিবেচনা করা উচিত। এরপর আপনাকে যেই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার লক্ষ্য। অনেকে বন্ধুদের সাথে তাল মিলিয়ে কোর্স নির্বাচন করে থাকে এবং পরবর্তীতে বুঝতে পারে এই কোর্সটি তার জন্য পারফেক্ট নয় তখন অনেক মানসিক চাপের শিকার হতে হয়। তাই কোর্স নির্বাচন করার আগে এইসকল দিক ভালো করে দিক বিবেচনা করা উচিত।

কাদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করা উচিত নয়?

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং একটি  কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা হলেও কিছু মানুষে এই বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করা উচিত নয়। বিশেষ করে যারা গণিত বা বিজ্ঞান বিষয়ে একটু বেশি পরিমাণ দূর্বল বা এই সকল বিষয় একে বারেই কম বুঝে এমন শিক্ষার্থীর জন্য এই কোর্স নিয়ে পড়াশুনা করলে অনেক কষ্ট দায়ক হতে পারে। আবার যাদের নিয়মিত ক্লাস করার ইচ্ছে নেই তাদের এই কোর্স নিয়ে পড়াশুনা করা উচিত নয়। কেননা এটি একটি কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়ার কারণে এখানে সকল কিছুই হাতে কলমে দেখানো হয় আর আপনি যদি ক্লাস না করেন তাহলে এই সমস্ত কিছুই শিখতে পারবেন না।

এর ফলে আপনি যদি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে পাশ করতেও পারেন তবুও চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে অথবা আপনার কর্ম ক্ষেত্রে এই না জানা বিষয় গুলো অনেক ঝামেলায় ফেলতে পারে। এছাড়াও যারা ডিপ্লোমা শেষ করে সাধারণ কোন বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার কথা চিন্তা করে আছেন তাদেরও এই বিষয় নিয়ে পড়া উচিত নয়। কারণ ৪ বছর ডিপ্লোমা কোর্স করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স বা মাস্টার্স করা প্রায় অসম্ভব একটি বিষয়। পরিশেষে উপরের দেওয়া গুন গুলো যে শিক্ষার্থীর মধ্যে আছে তাদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করা উচিত নয়।

বাংলাদেশের সেরা ৫টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অনেক গুলো ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে তার মধ্যে কিছু সরকারি ও বেসকারি। এই কলেজ গুলোর মধ্যে অনেক কলেজ জনপ্রিয় বা লোক মুখে শুনা গেলেও সেগুলো কিন্তু পড়াশুনার জন্য সেরা নয়। সেরা বলতে বোঝায় পড়াশুনার মান, অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ল্যাব সুবিধা এবং চাকরির বাজারে ভালো অবস্থানের জন্য পরিচিত এমন কলেজ। এখন আমরা জানবো বাংলাদেশের সেরা ৫টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য পলেটেকনিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে।
  • ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন?

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয়। একটি নির্দিষ্ট নাম্বার পেয়ে পাশ করলে তবেই ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য যেকোনো একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য অবশ্যই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। পরীক্ষা সাধারণত ১০০ মার্কের হয়ে থাকে যেখানে সাধারণত গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। প্রত্যেক বিষয়ের জন্য ২৫ নম্বর করে বরাদ্দ থাকে এবং প্রতিটি ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য ০.২৫ করে মার্কে মাইনাস করা হয়ে থাকে।
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং-এ-ভর্তি-ও-কোর্স-নির্বাচন-করার-নিয়ম
যেহেতু সাধারণত গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে তাই এই বিষয় গুলোর পাঠ্য বই ভালোভাবে পড়তে হবে। কারণ বেশির ভাগ প্রশ্ন গুলো পাঠ্য বইয়ের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়ে থাকে। বাংলা বিষয়ের জন্য ব্যাকরণ, গল্প ও কবিতাগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে বিশেষ করে ব্যারনের উপর বেশি জোর দিতে হবে। এরপর বিজ্ঞানে সাধারণত রসায়ন ও পদার্থ মিশ্রন করে দেওয়া থাকে। তাই এই বিষয়ের উপরেও গুরুত্ব দিতে হবে। সব শেষে গণিত ও ইংরেজি পাঠ্য বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো পড়তে হবে। বিশেষ করে ইংরেজির গ্রামারটিক্যাল অংশগুলো গুরুত্ব সহকারে পড়েত হবে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
উত্তরঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি চার বছর মেয়াদি কারিগরি শিক্ষা প্রোগ্রাম, যেখানে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ কোন কোন বিষয়ে ডিপ্লোমা করা যায়?
উত্তরঃ সাধারণত ডিপ্লোমা সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, টেলিকমিউনিকেশন, আর্কিটেকচারসহ আরও অনেক বিষয়ের উপর কোর্স করা যায়।

প্রশ্নঃ সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিকে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ সরকারি পলিটেকনিকে ফি কম এবং সুযোগ সুবিধা তুলনামূলক একটু বেশি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও মানসম্মত শিক্ষা পাওয়া যায় তবে খরচ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মেয়াদ কত বছর?
উত্তরঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর যা ৮টি সেমিস্টারে বিভক্ত হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে চাকরি পাওয়ার সুযোগ কেমন?
উত্তরঃ  ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করলে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল পদে চাকরির ভালো সুযোগ থাকে।

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা শেষ করে কি বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ ডিপ্লোমা শেষ করে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিএসসি টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।

প্রশ্নঃ  ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের সুযোগ আছে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ সরকারি স্কলারশিপ যেমন টিএফ বা Technical Education স্কলারশিপ ও বিভিন্ন এনজিওর স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে  কোন পলিটেকনিকগুলো ভালো?
উত্তরঃ ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ বড় শহরের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো সাধারণত ভালো বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ  ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা কি?
উত্তরঃ সাধারণ এসএসসি বা সমমান পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হয়।

প্রশ্নঃ বছরের কোন সময়  ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি শুরু হয়?
উত্তরঃ সাধারণত প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর জুন থেকে জুলাই মাসে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

পরিশেষেঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করা যায় যে উপরের লিখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির সকল বিষয় ও আপনার জন্য কোন কোর্সটি ভালো হবে এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। আমরা শুধু উপরে ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার কথা তুলে ধরিনি বরং কোন কোন বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা নিয়ে পড়াশুনা করা যায় এই বিষয় থেকে শুরু করে কাদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করা উচিত নয় এই বিষয়েও আলোচনা করেছি। এরপর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উপরের লিখা গুলো ভালোভাবে পড়লে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি ও কোর্স নির্বাচন করার নিয়ম এই বিষয়ে অনেক কিছুই নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url