জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম সম্পর্কে আজেক আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করা এক দম সহজ কাজ। আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি নিজে নিজেই ভর্তি ফরম পূরণ করতে পারবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু তথ্য লাগবে যে গুলো একদম নির্ভুল ও সঠিক হতে হবে। তাই আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই নিজের কাছে জন্ম নিবন্ধন, পিতা ও মাতার এনআইডি কার্ড রাখা উচিত যাতে কোন তথ্য আবেদন ফর্মে ভুল না হয়ে যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নম্বর বন্টন পদ্ধতি
- অনলাইন আবেদনের জন্য ছবি আপলোডের সঠিক নিয়ম
- ভর্তি বাতিল বা ছবি পরিবর্তন করার সহজ উপায়
- আবেদনের ফর্ম ও ফি কিভাবে কলেজে জমা দিবেন?
- ভর্তি কনফর্ম হলে ভর্তি ফি কত টাকা লাগে জেনে নিন
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা প্রস্তুতি ও সাজেশন
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব
- পরিশেষেঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার জন্য কয়েকটি ধাপ পূরণ করতে হয়। আজকে আমরা কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আবেদন করার জন্য প্রথমেই যেকোন ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করতে হবে nu.ac.bd লিখে। তারপর যে প্রথম ওয়েবসাইট আসবে সেখানে প্রবেশ করতে হবে অথবা আপনাকে সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশও করাতে পারে।
উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর একটু নিচের দিকে স্ক্রল করতে হবে। একটু নিচের দিকে স্ক্রল করলেই উপরে দেখানো ছবির মতো একই ইন্টারফেজ আপনারাও দেখতে পাবেন। এবার এখান থেকে Admission অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। Admission অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরোও একটু নতুন ওয়েবসাইট আসবে। মূলত আপনাকে এখানেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার যাবতীয় সকল কাজ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর Apply Now নামে দুইটি অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি যদি অন ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে চান তাহলে প্রথমটি আর আপনি যদি সাধারণ যে সকল কলেজ রয়েছে সেখানে ভর্তি হতে চান তাহলে দ্বিতীয় অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
আরোও পড়ুনঃ এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম
Apply Now অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে আরেকটি সেকশনে নিয়ে যাবে এবং এখানে আপনাকে ৫টি ধাপ পূরণ করতে হবে। ধাপ গুলো হচ্ছেঃ
০১) SSC এবং HSC সমমান পরিক্ষার তথ্যঃ এখানে আপনাকে SSC এবং HSC সমমান পরিক্ষার কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে। এখানে ২টি সেকশন থাকবে তার প্রথম সেকশনে আপনাকে SSC বা সমমান পরিক্ষার তথ্য দিতে হবে। তথ্য গুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রোল, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, বোর্ড এবং পাসের সাল। সেই সাথে দ্বিতীয় সেকশনে একই রকম করে HSC বা সমমান পরিক্ষার তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। তথ্য গুলো হচ্ছে রোল, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, বোর্ড এবং পাসের সাল। এই সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনাকে দ্বিতীয় ধাপে যেতে হবে।
০২) শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যক্তিগত তথ্য পূরনঃ এই ধাপে আপনাকে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কিছু ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করতে হবে। তবে এই সকল তথ্য সাধারণ স্বয়ংক্রিয় ভাবে পূরণ হয়ে যায়। আর যদি তথ্য গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে পূরণ না হয় তাহলে নিজ দায়ত্বে পূরণ করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য বলতে এখানে আপনাকে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম সহ আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হতে পারে। তবে এই সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে নির্ভুল তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনি যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
০৩) কলেজ এবং বিষয় নির্বাচনঃ এই ধাপে আপনি কোন কলেজে আপনার অনার্স বা ডির্গি নিয়ে পড়তে চান সেটি এবং কোন বিষয় নিয়ে পড়তে চান সেই তথ্য গুলো পূরণ করতে হবে। তবে কলেজ নির্বাচন করার পূর্বে জেনে নেওয়া ভালো যে উক্ত কলেজে ভর্তির জন্য নূন্যতম কতে পয়েন্ট প্রয়োজন। কেননা অনেক সময় আপনার রেজান্টের উপর নির্ভর করে কলেজে চান্স হবে নাকি হবে না এটি নির্ভর করে। এর ফলে আপনার প্রথম ধাপেই আপনার সিলেকশন হয়ে যেতে পারে। কলেজ সিলেক্ট করার পর এবার আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়তে চান সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
০৪) কোটা বিষয়ক তথ্যঃ চার নাম্বার স্টেপে আপনার যদি কোন প্রকার কোটা থেকে থাকে তাহলে এখানে সেই সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। আর আপনার যদি কোটা না থাকে তাহলে আপনাকে এটি এড়িয়ে চলে পরের ধাপে যেতে হবে। এক্ষত্রে আপনাকে Do you want to apply for Quota? এখান থেকে No সিলেক্ট করে পরের ধাপে যেতে হবে।
০৫) ছবি আপলোডঃ পাঁচ নাম্বার এবং সর্ব শেষ ধাপ হচ্ছে ছবি আপলোড করা। ছবি আপলোড করার সময় অবশ্যই আপনাকে সম্প্রতি তুলা একটি ছবি আপলোড করতে হবে। অনেক আগের ছবি যেখানে বর্তমানে আপনার চেহারার সাথে অমিল এমন ছবি আপলোড করার ফলে পরিক্ষার হলে সমস্যা হতে পারে। তাই সম্প্রতি তুলা একটি পাসপোর্ট সাইজের সাদা অথবা নীল ব্যকগ্রাউন্ডের ছবি আপলোড করতে হবে। ছবির সাথে আপনার সচল একটি মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে। এই সকল তথ্য দেওয়ার পর Apply Now বাটনে ক্লিক করলেই আপনার অ্যাপ্লাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হয়ে যাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া অথবা না পাওয়া বেশির ভাগ সময় নির্ভর করে আপনি কোন কলেজ সিলেক্ট করেছেন তা উপর কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আপনার কিছু নূন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে। এই নূন্যতম যোগ্যতা না থাকলে আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফর্ম তুলতে পারবেন না। এখন আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা সম্পর্কে সংক্ষেপে জানবো।
এসএসসি ও সমমান পরিক্ষার নূন্যতম যোগ্যতা
পরীক্ষার নাম | জিপিএ |
---|---|
মানবিক | ২.৫ |
বিজ্ঞান | ৩.০ |
ব্যবসা | ৩.০ |
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা
পরীক্ষার নাম | জিপিএ |
---|---|
মানবিক | ২.৫ |
বিজ্ঞান | ২.৫ |
ব্যবসা | ২.৫ |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নম্বর বন্টন পদ্ধতি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে নম্বর বন্টনের বিষয়টি ভালোভাবে জানা জরুরি। এখানে মূলত প্রতিবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হলেও ২০২৫ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। কারণ ২০২৫ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আলাদা ভাবে পরিক্ষা প্রদান করতে হবে। প্রতিবার এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএকে ৪০% ও এইচএসসির জিপিএকে ৬০% হারে গড় করে মেরিট তালিকা নির্ধারণ করা হলেও এবার গড় নাম্বারের পাশাপাশি পরিক্ষায় প্রপ্ত নাম্বারকেও যোগ করে মেরিট তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরোও পড়ুনঃ কিভাবে HSC পরীক্ষার রেজাল্ট দেখবেন
পরিক্ষা মূলত ১০০ নাম্বারের হওয়ার কথা। যেখানে বাংলা, ইংরেজি, গনিত ও সাধারণ জ্ঞান এর উপর পরিক্ষা নেওয়া হতে পারে। প্রত্যেক বিষয়ের উপর ২৫টি করে প্রশ্ন থাকবে এবং প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য ১ নাম্বার করে প্রদান করা হবে। সেই সাথে ভুল উত্তর দিলে ০.২৫ নাম্বার করে কাটা হতে পারে। পাশ নাম্বার ৪০ অর্থাৎ ৪০ পেলে আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যোগ্য হবেন। তবে বলে রাখা ভালো যে উপরের তথ্য গুলো সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি তাই আপনি চাইলে এই নির্দেশনা অনুযায়ী পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
অনলাইন আবেদনের জন্য ছবি আপলোডের সঠিক নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদনের পর আবেদন প্রক্রিয়া সচ চাইতে বেশি রিজেক্ট বা বাতিল হয় যে কারণে সেটি হচ্ছে সঠিক ভাবে ছবি আপলোড না করার কারণে। অনেকে যে ভুল গুলো করে থাকেন তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু ভুল হচ্ছে অনেক পুরাতন ও অস্পষ্ট ছবি আপলোড করে থাকেন। যার কারণে মুখমণ্ডল ভালো ভাবে না বুঝার কারণে ছবি বাতিল হয়ে যায়। তাই আজকে আমরা অনলাইন আবেদনের জন্য ছবি আপলোডের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানবো যার ফলে আপনি প্রথম বার আবেদনের পর সেই আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে।
অনলাইন আবেদনের জন্য ছবির সাইজ হতে হবে পাসপোর্ট সাইজের বা ১২০x১২০ Pixels এবং ছবিটি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে। এছাড়াও আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ছবি যেন অনেক পুরাতন না হয়। পুরাতন ছবি আপলোড না করে নতুন সম্প্রতি একটি ছবি তুলে সেটি ব্যবহার করতে হবে। ছবিতে মুখমন্ডল ভালো ভাবে বুঝা যাচ্ছে এমন ছবি ব্যবহার করতে হবে। সব শেষে ছবিটির ব্যকগ্রাউন্ড সালা বা নীল করে ব্যবহার করতে হবে। আশা করা যায় এই টিপস গুলো ফলো করে অনলাইন আবেদনের জন্য ছবি আপলোড করলে ছবি রিজেক্ট জনিত সমস্যা আর হবে না।
ভর্তি বাতিল বা ছবি পরিবর্তন করার সহজ উপায়
ভর্তি বাতিল বা ছবি পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর Honours tab-এ প্রবেশ করতে হবে। এরপর এখান থেকে Apllication Login (Honours) অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনাকে আপনার রোল ও পিন নাম্বার দিয়ে লগইন করতে হবে। উক্ত পিন ও রোল নাম্বার আবেদন চুড়ান্ত বা আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করার পর দিয়ে থাকে। উক্ত পিন ও রোল নাম্বার দিয়ে লগইন করে নিতে হবে।
লগইন করার পর লক্ষ্য করবেন Form Cancel বা Photo Change এই অপশন গুলো লিখা রয়েছে। এবার আপনি যদি চান আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করবেন তাহলে প্রথম অপশন আর আপনি যদি চান আপনার ছবি পরিবর্তন করবেন তাহলে দ্বিতীয় অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর Generate the Security key অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি আবেদনের সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন সেই নাম্বারে একটি কোড যাবে কোডটি বসিয়ে দিলেই আপনার কাজ শেষ। তবে বলে রাখা ভালো আপনি এই সুযোগ মাত্র একবার পাবেন তাই ভালোভাবে বুঝে শুনে ভুল গুলো সংশোধন করবেন।
আবেদনের ফর্ম ও ফি কিভাবে কলেজে জমা দিবেন?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি আবেদন করার পর আপনি যখন চুড়ান্ত ভাবে কোন কলেজে আবেদন করবেন তখন আপনাকে সেই আবেদন ফর্মটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। আবেদন ফর্মটি প্রিন্ট করার পর আপনার উক্ত কলেজে গিয়ে ফি সহ আবেদন ফর্মটি জমা দিতে হবে। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো শুধু ফর্ম জমা দিলেই হবে না বরং এর সাথে আনুসাঙ্গিক আরো কিছু কাগজ পরে লাগবে। সেগুলো হচ্ছে মধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বর পত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত কপি এবং সেই সাথে প্রথমিক আবেদন ফি ২৫০ টাকা। এই টাকার পরিমাণ কম অথবা বেশি হতে পারে।
আরোও পড়ুনঃ বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন আবেদন পদ্ধতি
এই সকল কাগজ পত্র একত্রে গুছিয়ে নিয়ে কলেজে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পর যাচাই বাছাই করে আপনি যদি উক্ত কলেজে চান্স পেয়ে যান তাহলে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর আপনি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসএমএস না পান তাহলে বুঝতে হবে আপনি উক্ত কলেজে চান্স পাননি। আবার অনেক সময় আবেদনের সময় ভুল মোবাইল নাম্বার দেওয়ার কারনেও এসএমএস না আসতে পারে। তাই মোবাইল নাম্বার ভালো করে সাবমিট করতে হবে। সব ঠিক থাকার পরেও যদি আপনি যদি এসএমএস না পান তাহলে উক্ত কলেজে যেয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
ভর্তি কনফর্ম হলে ভর্তি ফি কত টাকা লাগে জেনে নিন
ভর্তি কনফর্ম হলে ভর্তি ফি কত টাকা এটি অনেক সময় আপনি কোন কলেজে চান্স পেয়েছেন তার উপর নির্ভর করে। নির্দিষ্ট কলেজে চান্স পাওয়ার পর উক্ত কলেজে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে ভর্তি কনফর্ম করতে কত টাকা লাগবে। তবুও একটি নির্দিষ্ট ধারনা পাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে ভর্তি কনফর্ম করতে এই বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
সাধারণত অনলাইনে আবেদন করার জন্য ২৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এটি সম্পূর্ন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন। এরপর ভর্তি কনফর্ম করতে সরকারি কলেজ গুলোতে ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে আবার বেসরকারি কলেজ গুলোতে ৫০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। ভর্তি কনফর্ম করতে কত টাকা লাগবে এটি সম্পূর্ন কলেজের ফি-এর পরিমাণ, অবকাঠামো গত অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা প্রস্তুতি ও সাজেশন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা প্রস্তুতি হিসবে আপনাদের উচিত হবে পাঠ্য পুস্তক বই গুলো ভালো করে পড়া। কারণ প্রতিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন না হলেও এবারে একটু ব্যতিক্রম ভাবে পরিক্ষার আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আপনাদের উচিত হবে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরিক্ষার পাঠ্যপুস্তক ভালো করে পড়া। এখন আপনাদের নিচে কিছু সাজেশন দেওয়া হবে আপনি চাইলে নিজের প্রস্তুতির পাশাপাশি এই সাজেশন গুলো পড়তে পারেন।
- আকাশ শব্দটি কোন কারকে ব্যবহৃত?
- ইংরেজি ভাষায় Present Perfect কালে ক্রিয়ার রূপ কেমন হয়?
- ১৫ ও ২০ এর গ.সা.গু কত?
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয় কত সালে?
- যদি সুযোগ পাই — এটি কোন ধরনের বাক্যাংশ?
- প্রস্তাবনার ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি?
- ৩ এর বর্গফল কত?
- Padma কোন ধরনের নদী?
- Because শব্দটি কোন parts of speech?
- √৯ এর মান কত?
- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের প্রথম লাইন কী?
- Honest শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?
- একটি বর্গের এক পাশে ৪ মিটার, এর ক্ষেত্রফল কত?
- She has gone – এখানে tense কী?
- বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী কে?
- উৎসাহ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
- Write শব্দের Past Participle কী?
- দশমিক ০.৭৫ – ভগ্নাংশে প্রকাশ করো।
- উন্নয়ন শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
- জাতিসংঘের সদস্য দেশ কয়টি?
- He is taller than me – বাক্যটি কোন ধরণের তুলনা?
- π এর মান আনুমানিক কত?
- বাংলাদেশের মোট জেলা কয়টি?
- Go শব্দটির noun রূপ কী?
- একটি সংখ্যা ৩ দ্বারা গুণ করলে ২১ হয়। সংখ্যাটি কত?
- Book শব্দটি কোন Gender বোঝায়?
- ৪x + ৫ = ২১ হলে x এর মান কত?
- Honesty is the best policy – এটি কোন ধরনের বাক্য?
- বাংলাদেশের জাতীয় ফুল কোনটি?
- Whose book is this? – বাক্যটি কোন WH-word দিয়ে শুরু?
- ১ থেকে ১০ এর মধ্যে মৌলিক সংখ্যা কয়টি?
- Fast শব্দটি কোন Parts of Speech হিসেবে ব্যবহার হয়?
- বাংলায় Democracy শব্দের অর্থ কী?
- একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৬ এবং প্রস্থ ৩, ক্ষেত্রফল কত?
- To err is human – বাক্যটিতে infinitive কোনটি?
- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগর কোনটি?
- Let us go – এটি কোন mood-এর উদাহরণ?
- একটি দড়ির দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার, সেটি তিন সমান ভাগে ভাগ করলে প্রতিটির দৈর্ঘ্য কত?
- শব্দের মূল অর্থকে কী বলে?
- ১০০ কে ২৫% বাড়ালে ফলাফল কত হয়?
- He can swim. – এখানে can কী বোঝায়?
- বাংলাদেশের মুদ্রার নাম কী?
- Think শব্দটির noun form কী?
- তুমি কোথায় যাচ্ছ? – ইংরেজি অনুবাদ কোনটি?
- ৫ এর ঘনফল কত?
- কোন শব্দটি সার্বনাম নয়?
- বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে কবে?
- They are playing – কোন tense?
- Teacher শব্দের বিপরীত কোনটি?
- ১২ ও ১৫ এর ল.সা.গু কত?
- He is known to me – এখানে voice কী?
- শতকরা ২০ বাড়লে ৫০-এর নতুন মান কত?
- In spite of rain, he went out – বাক্যে In spite of কোন ধরনের connector?
- শব্দটি চিনে নাও: এটি কেবল বস্তু নয়, ব্যবহারও।
- বাংলাদেশে প্রথম সংবিধান প্রণয়ন হয় কবে?
- ইংরেজিতে চেষ্টা শব্দের অনুবাদ কী?
- এক কেজি আপেলের দাম ৮০ টাকা হলে, ২.৫ কেজির দাম কত?
- বাক্যে verb কাকে বলে?
- Beautiful শব্দটি কোন adjective রূপে ব্যবহৃত?
- None of them came – বাক্যটিতে none কোন ধরনের pronoun?
- ৮০ এর ১০% কত?
- খেলা শব্দের বিপরীত কী হতে পারে?
- My father is a doctor – এখানে subject কোনটি?
- He runs fast – বাক্যে fast কীভাবে ব্যবহৃত?
- Democracy শব্দটির উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
- √২৫ + √১৬ = ?
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কয় মাস স্থায়ী ছিল?
- She does not know the answer – কোন tense?
- Brave শব্দের noun রূপ কী?
- বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কে?
- To be or not to be – বাক্যটি কার লেখা?
- ৩৫ এর ২০% কত?
- He looks tired – এখানে looks কোন verb form?
- বাংলাদেশের সংসদ কবে গঠিত হয়?
- গণতন্ত্র শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
- ইংরেজিতে নদী কী?
- কোনটি গুণের সূত্র নয়?
- Reading books is my hobby. – এখানে Reading কী?
- বাংলাদেশ কবে জাতিসংঘে যোগ দেয়?
- He gave me a pen – বাক্যটিতে Object কতটি?
- ৬০ কে ৪ ভাগে ভাগ করলে একটি ভাগের পরিমাণ কত?
- তরুণ সমাজ – শব্দদ্বয়ের মাঝে কী সম্পর্ক?
- Had I known, I would have gone – এটি কোন ধরণের বাক্য?
- উন্নয়ন শব্দের বিপরীত কী হতে পারে?
- ৭ বর্গের ফল কত?
- Did কোন tense বোঝায়?
- She sings beautifully – এখানে beautifully কীভাবে ব্যবহৃত?
- বাংলাদেশ কোন ধরণের সরকার ব্যবস্থা অনুসরণ করে?
- He is an honest man – বাক্যে article কোনটি?
- ২০-এর ৫০% এর সাথে ৩০ যোগ করলে ফলাফল কত?
- He went there – বাক্যে adverb কোনটি?
- সুশাসন শব্দটি কোন প্রকারের?
- ২, ৪, ৬, ৮ – ধারাটির সাধারণ পার্থক্য কত?
- He came after I had left – কোন ধরনের বাক্য?
- Big শব্দের comparative ও superlative রূপ কী?
- বাংলাদেশের জাতীয় পাখি কোনটি?
- He has a car – এখানে has কোন ধরনের verb?
- ৯৯ কে ৩ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল কত?
- They themselves did it – বাক্যে pronoun কোনটি?
- Reading newspaper enriches knowledge – বাক্যে subject কী?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কী?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (National University) হলো বাংলাদেশের একটি সরকার পরিচালিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা দেশের বিভিন্ন কলেজে অনার্স, ডিগ্রি, মাস্টার্সসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়। এটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান কার্যালয় গাজীপুরে অবস্থিত।
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা কী?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য মানবিক বিভাগের জন্য এসএসসি-তে ২.৫ এবং এইচএসসি-তে ২.৫ পেতে হবে। বিজ্ঞান/ব্যবসা বিভাগের জন্য এসএসসি-তে ৩.০ এবং এইচএসসি-তে ২.৫ পেতে হবে।
প্রশ্নঃ কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দেখা যায়?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দেখতে হলে nu.ac.bd/results ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও পরীক্ষার সাল দিয়ে ফলাফল দেখা যায়।
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন কোন কোর্স রয়েছে?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে অনার্স, মাস্টার্স, ডিগ্রি পাস কোর্স, প্রফেশনাল কোর্স (BBA, B.Ed ইত্যাদি)। এছাড়া অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্সও রয়েছে।
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করতে হয়?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভর্তির আবেদন করতে হয়। এই বিষয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত ছবি সহ আবেদন প্রক্রিয়া দিয়ে রেখেছি। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন।
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের সিলেবাস কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষসহ সব বর্ষের সিলেবাস nu.ac.bd ওয়েবসাইটে Curriculum/Syllabus সেকশনে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কতগুলো কলেজ রয়েছে?
উত্তরঃ বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ২,২০০+ কলেজ রয়েছে যেখানে অনার্স, ডিগ্রি ও মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে।
প্রশ্নঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাস কোর্স কত বছর মেয়াদী?
উত্তরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাস কোর্সের মেয়াদ ৩ বছর। তবে সেশনজট বা ব্যাকলগের কারণে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
পরিশেষেঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত ছবি সহ ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করা যায় যে আপনি যদি আমাদের দেওয়া পদ্ধতি গুলো ভালো করে পড়ে ও বুঝে নেন তাহলে আপনাকে এই আবেদন করার জন্য অন্য কারো কাছে যাওয়া লাগবে না। আপনি নিজে নিজেি ঘরে বসে আপনার কম্পিউটার বা হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করে ফেলতে পারবেন। আমরা উপরে শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম সম্পর্কে কথা বলিনি বরং কিছু সাধারণ সমস্যা ও কিছু সাজেশন নিয়েও আলোচনা করেছি। তাই আশা করা যায় যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সাধারণ প্রশ্নের কিছু উত্তর পেয়ে যাবেন।250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url