OrdinaryITPostAd

ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম ও একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি

ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম-ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি সম্পর্কে অনেকে সঠিক উপায় না জানার কারণে ওয়েব মানি একাউন্ট খুলতে পারেনা। অনলাইনে পেমেন্টের মধ্যে ওয়েব মানি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।

ওয়েব-মানি-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে একটি প্রফেশনাল ওয়েব মানি একাউন্ট খোলা যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম-ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম-ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি

ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম-ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি

আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে ওয়েব মানি হল একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। যারা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ব্যবসা বা অন্য কোন কাজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক লেনদেন ইত্যাদির সাথে যুক্ত তাদের জন্য এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ওয়েব মানি একাউন্ট ফ্রিল্যান্সার, ব্লগার বা ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম।

ওয়েব-মানি-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম

কারণ এতে দ্রুত ও নিরাপদে আন্তর্জাতিক লেনদেন সমূহ খুব সহজেই করা যায়। যারা অনলাইনে কাজ করে থাকেন তাদের জন্য বা তাদের কাজের জন্য পেমেন্ট দেওয়া বা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন সিস্টেম হচ্ছে ওয়েব মানি। কিভাবে একটি ওয়েব মানি একাউন্ট খোলা যায় সে সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।

ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার মোবাইলে ওয়েব মানি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। চাইলে আপনারা সরাসরি www.wmtransfer.com ওয়েবসাইটে ঢুকে ওয়েব মানি একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য ফর্ম পুরণ

প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে ওয়েব মানি অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে।

ইন্সটল করা হয়ে গেলে তা ওপেন করতে হবে।

তারপর সেখানে প্রবেশ করার পর সেখানে দেখতে পাবেন SING UP লিখা সেই সাইন আপ লিখার অপশনে ক্লিক করতে হবে।

সাইন আপ অপশনে প্রবেশ করার পর সেখানে দেখতে পাবেন মোবাইল নাম্বার দেওয়ার অপশন। মোবাইল অপশন এর জায়গায় আপনার মোবাইল নাম্বার দিন এবং তারপর পরবর্তী অপশনে গিয়ে এই মোবাইল নাম্বারে ভেরিফাই করুন। মোবাইল নাম্বার টি অবশ্যই আপনার কাছে থাকতে হবে। কারণ এই মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনাকে ওয়েব মানি একাউন্টের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এরপর পরের অপশনে যেতে হবে এবং সেখানে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে। ফেস ভেরিফিকেশন করার পর আপনাকে আবার পরবর্তী ধাপে পদার্পণ করতে হবে। ফেস ভেরিফিকেশন করার সময় আপনার মুখ চোখ ঘোরাঘুরি করে করে ভেরিফাই করতে হবে।

এরপর ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম এর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে পাসওয়ার্ড দেওয়া। এই ধাপে আপনাকে একটি ইউজার পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই স্ট্রং পাসওয়ার্ড হতে হবে। বড় হাতের অক্ষর ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা সকল চিন্তা করে একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড সেট করুন। পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর পরবর্তী সকল অপশনে আপনার আপডেট চাইবে সকল কিছু আপডেট দিতে হবে। এরপর পরবর্তী সকল ধাপ সম্পন্ন করুন।

ওয়েব মানি একাউন্ট ইনফরমেশন অপশনে গিয়ে আপনার নাম, আপনার ইমেইল এড্রেস এবং অন্যান্য তথ্যগুলো বসিয়ে আপনার একাউন্টে ভেরিফাই করুন। ওয়েব মানি একাউন্ট রাখার জন্য এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার ওয়েব মানি একাউন্ট এর ইনফরমেশন যা কিছু দিবেন তা অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড কিংবা পাসপোর্ট এর সঙ্গে মিল রেখে তারপর দেবেন।

ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট থেকে সকল ইনফরমেশন না দিলে পরবর্তী কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধান করতে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। তাই অবশ্যই সেটিং অপশন থেকে অবশ্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি থাকে সেই কাগজপত্র দিয়ে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে তাহলে আপনার ওয়েব মানি একাউন্ট করা সম্পুন্ন হবে। আসা করি বুঝতে পেরেছেন।

ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়

ওয়েব মানি জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অর্থ লেনদেন করা যায়। ওয়েব মানির মাধ্যমে অনেক সময় ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে যান। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে তার সমাধান করার চেষ্টা করুন। চলুন তাহলে জেনে নেই ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করতে হবে।

প্রথমে Webmoney Access Recovery Wizard ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। Key.wmtransfer.com অথবা WebMoney এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে "Recovering access,"অপশনটি নির্বাচন করুন। 

এরপর আপনার WMID রেজিস্টারকৃত তোর ফোন নাম্বার অথবা ইমেইল ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

ইমেল ঠিকানা প্রদান করা হয়ে গেলে এরপর আপনাকে যাচাই করণ প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে। ফোন নাম্বারে এস.এম.এসের মাধ্যমে যাচাই অথবা ইমেইলের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে।

এসব তথ্য ঠিকভাবে প্রদান করে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। যদি আপনার মোবাইল ফোনে WM keeper অ‍্যাপ ইনস্টল থাকে তবে সেটি থেকেও সহজেই রওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। 
"Settings"এর মধ্যে গিয়ে security অপশনের "Change WMID password"অপশনে গিয়ে সরাসরি নতুন পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। 

পাসওয়ার্ড বের করার সময় আপনাকে আপনার পরিচয় ও একাউন্ট মালিকানা যাচাই করার জন্য কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট চাওয়া হতে পারে। তাই রেজিস্ট্রেশনের সময় পর্যন্ত সকল সঠিক তথ্যগুলো পাশে রাখতে হবে। উপরের এই ধাপগুলো অনুসরণ করলেই সহজে ও নিরাপদে আপনি আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে ওয়েব মানি ব্যবহারের নিয়ম 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক লেনদেন ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন শপিং বা অনলাইন ব্যবসায় বিভিন্ন সাবস্ক্রিপশন সেবার জন্য অনলাইনে পেমেন্ট করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ওয়েব মানি হল একটি জনপ্রিয় ওয়ালেট বা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। যা ব্যবহার করে বিশ্ব ব্যাপী অর্থ লেনদেন করা যায়। এমনই বাংলাদেশ থেকেও ওয়েব মানি ব্যবহার করা যায় তবে কিছু নিয়ম কানুন ও নীতি মেনে তা ব্যবহার করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স একাউন্ট খোলার গাইড 

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ওয়েব মানি ট্রান্সফার। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে দ্রুত ও সহজেই নিরাপদ অর্থ লেনদেন করে থাকে। ব্যবহারকারীরা ওয়েব মানি ওয়ালেট খুলে তাদের একাউন্টে বিভিন্ন মুদ্রার অর্থ অর্জন করতে সক্ষম হয় ও স্থানান্তর করতে পারে। 

বাংলাদেশী নাগরিক ওয়েবমানি ব্যবহার করতে চাইলে। প্রথমে ওয়েব একাউন্ট মানি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে একাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজন। 

রেজিস্ট্রেশনঃ ওয়েব মানি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সাইন আপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

ফোন নাম্বার দরকার। আপনার মোবাইল নাম্বারে প্রবেশ করিয়ে এসএমএস এর মাধ্যমে ভেরিফিকেশন কোড করে তা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। 

আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন এর জন্য আপনার পাসপোর্ট,এনআইডি কার্ড, যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে সে পরিচয় পত্র গুলোর স্কান কপি আপলোড করে সম্পূর্ণ করতে হবে। 

এরপর আপনাকে ওয়ালেট তৈরি করতে হবে। ওয়েব মানি একাউন্টে বিভিন্ন ধরনের ওয়ালেট তৈরি করা যায়। যেমনঃ WMZ (ডলার,) WME (ইউরো) WMR (রুবল) ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশে সাধারণত WMZ অর্থাৎ ডলার ওয়ালেট বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি লেনদেন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ই-ওয়ালেটে সরাসরি অর্থ জমা দেওয়া যায় সীমিত। 

তবে এর বিকল্প হিসেবে অনেক বাংলাদেশী এক্সচেঞ্জার বা অনলাইন দের মাধ্যমে ওয়েব মানিতে অর্থ সংযোগ দেন। এক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ও লাইসেন্স প্রাপ্ত রিসেলার নির্বাচন করা জরুরী। এছাড়া পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জিত অর্থ ওয়েব মানি একাউন্টে স্থানান্তর করার সুযোগ রয়েছে।

ওয়েবমানি থেকে বাংলাদেশ সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে উত্তোলন সুবিধা বর্তমানে সীমিত। তবে অনেকেই বিভিন্ন এক্সচেঞ্জার রিসেলার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েব মানির অর্থ বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য এক্সচেঞ্জার বা রিসেলার ব্যবহার করা উচিত। 

ব্যক্তিগত তথ্য পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বা আবশ্যক। 

ওয়েব মানির নিয়মিত আপডেটেড নীতিমালা ও ফ্রি স্ট্রাকচার ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। 

ওয়েব মানির আইডি কারো সঙ্গে শেয়ার করা উচিত না সেখানে ক্ষতি হয়। 

বাংলাদেশে ওয়েব মানি ব্যবহার করা সরাসরি নিষিদ্ধ নয়। তবে এটি সরকারের নির্ধারিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা নীতিমালা আওতায় পড়ে। তাই আইনগত সঠিক পদ্ধতিতে লেনদেন করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে লেনদেন করলে কোন সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে না। 

ওয়েব মানি বাংলাদেশ অনলাইন ফ্রিল্যান্সার, ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনে নিরাপত্তা বজায় রেখে এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী অনুসরণ করে চলে ঝুঁকি না থাকায় বলা যায়।

ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার এর সুবিধা

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই বর্তমান যুগে অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি এবং পেমেন্ট দেওয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েব মানি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে ওয়েব মানি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ওয়েব মানি ব্যবহার করে তাদের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ করছেন। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ব্যবসা বিদেশ থেকে অর্থগ্রহণ এবং অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে ওয়েব মানি দ্রুত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়েব মানি তে সব সুবিধা পাওয়া যায়।

ওয়েব-মানি-একাউন্ট-খোলার-এর-সুবিধা
আন্তর্জাতিক লেনদেনের সহস সমাধানঃ ওয়েব মানি একাউন্ট খোলা সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হয়ে যায়। যে কোন দেশ থেকে দ্রুত অর্থ গ্রহণ কিংবা প্রেরণ সহজে করা যায়।

বিশেষ করে যাদের ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন বাবসা, আউটসোর্সিং এর বা অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য প্রয়োজন হয় তাদের জন্য ওয়েব মানি অত্যন্ত অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম। আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ সমাধান হচ্ছে ওয়েব মানি একাউন্ট। বিভিন্ন মুদ্রার ওয়ালেট তৈরি করার সুবিধা। ওয়েব মানি প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন মুদ্রায় ওয়ালেট খোলার সুযোগ রয়েছে। যেমনঃ

  • WMZ - মার্কিন ডলার 
  • WME - ইউরো 
  • WMR - রাশিয়ান রুবল 
  • WMB - বেলারুশিয়ান রুবল 
  • WMY - উজবেক সোম 

বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের মধ্যে ডলার ওয়ালেট বেশি ব্যবহৃত হয়। এই মুদ্রা বৈচিত্র্য ব্যবহারকারীদের তার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মুদ্রায় লেনদেনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। 

নিরাপত্তা ও গোপনীয়তাঃ ওয়েব মানি অত্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিচালিত হয়। এতে ব্যবহারকারী তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হয়। দুই স্তরের অথেন্টিকেশন মোবাইল এসএমএ্‌স, ভেরিফিকেশন, পিন কোড সিক্রেট কিওয়ার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর একাউন্টে রাখা হয় ফলে হ্যাকিং বা প্রতারণার আশঙ্কা তুলনামূল অনেক কম থাকে। 

কম খরচে লেনদেনঃ অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।ওয়েব মানিতে অন্যান্য অনেক  আন্তর্জাতিক পেমেন্ট  গেটওয়ের মধে তুলনামূলকভাবে খরচ কম। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের টাকা তুলতে গেলে প্ল্যাটফর্ম উচ্চ কমিশন কেটে রাখে। সেখানে ওয়েব মানি তুলনামূলক সাশ্রয়ী যা ব্যবহারকারীদের বেশি আয় ধরে রাখতে সহযোগিতা করে।

বৈচিত্রময় সেবাঃ ওয়েব মানি শুধুমাত্র অর্থ প্রেরণ বা গ্রহণের মাধ্যম নয় এর মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ, অনলাইন শপিং আরও অনেক সেবা পাওয়া যায়। ব্যবসায়িক লেনদেন ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবেও ওয়েব মানি কার্যকর ভাবে কাজ করে।

তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেনঃ ওয়েব মানিতে প্রায় লেনদেন আধুনিকভাবে সম্পন্ন হয়। কোন ব্যাংক ছুটির দিন, ছুটি বা আন্তর্জাতিক সময় ব্যবধান এর উপর প্রভাব ফেলে না। জরুরী ভিত্তিতে অর্থ প্রয়োজন হলে একটি উত্তম মাধ্যম হল ওয়েব মানি।

দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতাঃ ১৯৯৮ সাল থেকে ওয়েব মানি বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্ততা দক্ষতা ব্যবস্থাপনার কারণে এটি ব্যবহারকারীদের মাঝে দিন দিন আস্থা অর্জন করছে। 

ব্যবহার করার প্রক্রিয়া সহজঃ ওয়েব মানি একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ব্যবহারে পুরো প্রক্রিয়ায় সহজ এবং ব্যবহার বান্ধব। মোবাইল অ্যাপ ও ডেস্কটপ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সহজেই সব কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। নতুন ব্যবহারকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে এটি ব্যবহার করতে শিখে যান। 

বাংলাদেশ ও বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে একাউন্ট খোলা এখন খুব সহজ এর মাধ্যমে দ্রুত নিরাপদ ও সরাসরিভাবে অর্থ লেনদেন করা যায়। বিশেষ করে ফ্রীলান্সার, ডিজিটাল মার্কেট ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক লেনদেনযুক্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়েব মানি একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। তবে সময় সতর্ক থেকে এবং সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা লেনদেন করা আমাদের উচিত। 

ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার অসুবিধা 

ওয়েব মানি একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ওয়ালেট এবং পেমেন্ট সিস্টেম। যা ফিনান্সার বা অনলাইন উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট গ্রাহকদের কাছে পরিচিত। ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অনেক ক্ষেত্রে ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে প্রবাহিত করতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 

বাংলাদেশের সরাসরি অর্থ যোগ করা জটিলতা। বাংলাদেশের মানি ব্যবহারকারী সরাসরি ব্যাংক বা ডেবিট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে তাদের ই-ওয়ালেটে অর্থ যোগ করতে পারে না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক ই-ওয়ালেটের সরাসরি ব্যবহারকারীদের ফ্রন্ট লোড করার অনুমতি দেয় না। এজন্য ব্যবহারকারীদের স্থানীয় রিসেলার বা থার্ড পার্টি এক্সচেঞ্জারের উপর নির্ভর করতে হয়। যা আবার অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকপূর্ণ হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ জিমেল ছাড়া ফাইভার অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে কি ভাবে জানুন 

আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন জটিলতাঃ ওয়েব মানি একাউন্ট খুলতে গেলে আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন করতে হয়। ওয়েব মানিতে পূর্ণ সুবিধা পেতে হলে আইডেন্টিফিকেশন করতে গেলে পাসপোর্ট বা সরকারি পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি জমা দিতে হয় যা অনেকের জন্য অনেক জটিল ও সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। কখনো কখনো ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হতে অনেক সময় লাগে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

প্রতারণার ঝুঁকিঃ যেহেতু অনেক ব্যবহারকারী তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি সাথে অর্থ লেনদেন করে থাকেন তাই প্রতারিত হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা অনির্ভরযোগ্য বা পরিচিত এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করেন তাদের অর্থ হারানোর ঝুঁকি প্রবণতা বেশি থাকে।

ইন্টারফেস এবং ভাষাগত জটিলতাঃ ওয়েব মানির ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের রাশিয়ান ভাষার আদিত্য রয়েছে। যদিও ইংরেজি সংস্করণ আছে। এই ক্ষেত্রে সেটি স্পষ্ট নয় বা বিভ্রান্তিকর নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য পুরো সিস্টেমটাই কিছুটা জটিল ও বোঝার মত মনে হয়।

সাপোর্ট সিস্টেম দুর্বলঃ ওয়েব মানি কাস্টমার সাপোর্ট অনেক কম। দ্রুত সাড়া দেয় না। বিশেষ করে যদি কোন ঝামেলা দেখা যায় সে ক্ষেত্রে তো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার হয়ে পড়ে। 

লেনদেন ফ্রি বা চার্জঃ যদিও একবারে ফ্রি তুলনামূলকভাবে কম তবে কিছু ক্ষেত্রে লুকানো চার্জ বা অতিরিক্ত কমিশন যুক্ত হতে পারে। বিশেষ করে রিসেলার বা এক্সচেঞ্জার ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত ফ্রি চার্জ বেশি লাগে। 

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিমালা পেয়েছি। এইসব নীতিমালা মেনে ব্যবহার করা অনেকটাই কঠিন সরকার যদি কখনো ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় তবে ওয়েব মানিতে থাকা অর্থ আটকে যেতে পারে। তাই সরকারি নীতিমালা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একাউন্ট খোলার মাধ্যমে অনেক সুবিধা মিললেও অনেক অসুবিধাও রয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্য বেশি। 

ওয়েব মানি একাউন্ট ব্যবহার করে যেসব কাজ করা যায় 

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। বর্তমান ডিজিটাল যুগের অর্থ লেনদেন পেমেন্ট সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ  সবই হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি নির্ভরশীল। এ পক্ষে ওয়েব মানি একটি বিশ্বস্ত ও বহুল ব্যবহৃত। ই-ওয়ালেট যা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত বা পেশার ও ব্যবসায়িক নানা কার্যক্রম সম্পাদন করা যায়।

আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গ্রহণ ও পাঠানো ওয়েব মানি সবচেয়ে প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার মাধ্যম। আন্তর্জাতিক পেমেন্ট লেনদেন আমরা সকলেই জানি ফ্রিল্যান্সার, অনলাইন উদ্যোক্তা, ডিজিটাল মার্কেটাররা ওয়েবমানি মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারে। একইভাবে আপনি কাউকে অর্থ পাঠাতেও পারবেন এটি দ্রুত নিরাপদ ও তুলনামূলকভাবে কম খরচে সম্পন্ন করে।

অনলাইনে কেনাকাটা করা বা বিল পরিশোধ করাঃ ওয়েব মানি ব্যবহার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনলাইন শপ থেকে যেকোনো ই-কমার্স থেকে সহজে পণ্য ক্রয় করা যায়। অনেক অনলাইন সার্ভিস যেমনঃ হোস্টিং, ডোমেইন, সাবস্ক্রিপশন, ভিপিএন ইত্যাদির বিল ওয়েব মানির মাধ্যমেও আমরা পরিশোধ করে থাকি। 

মোবাইল রিচার্জ ও ইউটিলিটি বিল পেমেন্টঃ ওয়েব মানি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকে মোবাইল ফোন রিচার্জ, ইন্টারনেট বিল, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল এবং পরিশোধ করা যায়। যদিও কিছু সেবা নির্দিষ্ট দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ তবে অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিকভাবে আমরা তা কার্যকর করে থাকি।

বিনিময় বা এক্সচেঞ্জ সেবাঃ ওয়েব মানিতে অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে ওয়েব মানি থেকে এক মুদ্রা থেকে অন্য মুদ্রায় রূপান্তরের সুবিধা রয়েছে। আপনি চাইলে WMZ (ডলার) থেকে WME (ইউরো) বা WMR ৯রুবল) এ রুপান্তর করতে পারেন। এছাড়া অনেক তৃতীয় পক্ষ আছে যারা ওয়েব মানি থেকে বিকাশ, নম্বর বা রকেটের মাধ্যমে স্থানান্তর করে থাকে। 

ডিজিটাল গিফট ও পেমেন্ট কার্ড প্রদানঃ ওয়েব মানির মাধ্যমে আমরা অন্য কাউকে ডিজিটাল গিফট প্রিপেইড কার্ড বা অর্থ উপহার দিতে পারি। এটি বন্ধু জাতীয় বা ক্লায়েন্টকে সহজভাবে পেমেন্ট বা উপহার দেওয়ার একটি ভাল মাধ্যম। 

ওয়েব মানি একাউন্ট সিকিউরিটি ব্যবস্থা 

সবকিছু লেনদেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিরাপত্তা। যেহেতু ওয়ালেটগুলোতে বাস্তব অর্থ লেনদেন হয় তাই কোন ঝুঁকি বা দুর্বলতা ব্যবহারকারী আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ওয়েব মানি এই ঝুঁকিকে সর্বনিম্ন মতে নামিয়ে একাউন্ট সিকিউরিটি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে যা ব্যবহারে যে তথ্য ও অর্থ সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। 

ওয়েব মানি একাউন্টে প্রবেশ করার সময় শুধু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও হয় না দ্বিতীয় স্থানে নিরাপত্তা রয়েছে। এসএমএস অথেন্টিফিকেশন অথবা ব্যবহার করা হয়। এতে ব্যবহারকারীকে প্রতিবার লগইন করার সময় একটি কোড ওটিপি প্রবেশ করতে হয়। যা শুধু তার মোবাইল ফোনেই যায় এতে ভালোভাবে বোঝা যায় যে পাসওয়ার্ড জেনে ফেললেও কোন ওয়েব মানি অ্যাকাউন্ট এর অ্যাক্সেস পাবে না। 

WM keeper নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ ওয়েব মানি তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য কয়েকটি ভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন যাকে বলা হয় WM keeper .

WM keeper standard (Web-based)

WM keeper WinPro(ডেক্সটপ অ্যাপস)

WM keeper mobile (মোবাইল অ্যাপ)

প্রতিটি কৃপা এক্সারস এর সময় নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবহার করতে হয়। যেমন পিন, ডিজিটাল সার্টিফিকেট, হার্ডওয়ার ডিভাইস, অথেন্টিফিকেশন ইত্যাদি।

ওয়েট মানি টু বিকাশ 

ওয়েব মানি হলো একটি আন্তর্জাতিক ই-ওয়ালেট। ডিজিটাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ওয়েব মানি। কিন্তু নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি P2P এক্সটেন সার্ভিস ব্যবহার করে আপনি সহজে ওয়েব মানির টাকা বিকাশে পাঠাতে পারবেন।

এক্সেল গুলো আপনাকে একটি ওয়েব মানি এডভাইস দিবে যেখানে আপনি আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ USD পাঠাবেন এরপর তারা নির্ধারিত রেট অনুযায়ী টাকাটি আপনার বিকাশে নাম্বারে পাঠিয়ে দিবে। এই প্রক্রিয়াটি করতে প্রায় ১০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। জনপ্রিয় কিছু সার্ভিস এর মধ্যে হল AZ wallet, Exchange Bari, Doller Buy sell BD ইত্যাদি রয়েছে। অবশ্যই তাদের বিশ্বাসও করা ও যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়েব মানি থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সুবিধা হবে। দ্রুত ট্রান্সফার সাশ্রয়ী চার্জ এবং সহজ প্রক্রিয়া। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিচিত অতি বহুল এক্সপিরিয়েন্স ব্যবহার করা উচিত না হলে সমস্যায় পড়তে হবে। সঠিক তথ্য ও সচেতনতার মাধ্যমে আপনি বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

ওয়েট মানে একাউন্ট ভেরিফিকেশন না করলে কি হয়

ওয়েব মানি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক প্রমেন্ট মাধ্যম। যার মাধ্যমে আমরা অনলাইন লেনদেন পেমেন্ট এবং টাকা আদান-প্রদান করে থাকি। এ প্লাটফর্মে একাউন্ট খোলার পর ব্যবহারকারীকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সম্পন্ন করতে হয়। ভেরিফিকেশন না করলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়।

  1. প্রথমত লেনদেন সীমা অনেক কমে যায়। 
  2. আন ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দৈনিক বা মাসিক লেনদেন সীমিত থাকে। 
  3. অনেক ফিচার লক থাকে। 
  4. এক্সচেঞ্জ এর অসুবিধা হয়। 
  5. বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়। 
  6. একাউন্ট ব্লক হওয়ার যদি প্রবণতা বেশি থাকে। 
  7. শুধুমাত্র ছোট ছোট অনলাইন পেমেন্টের জন্য ব্যবহার করা যায়। 

ওয়েব মানি ভেরিফিকেশন না করেও ব্যবহার করা সম্ভব। তবে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দের জন্য ভেরিফিকেশন করা ভালো। 

ওয়েবমানি একাউন্ট কারা বেশি ব্যবহার করে 

ওয়েব মানি একটি ডিজিটাল অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম। ওয়েট মানি মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ আদান-প্রদান করা হয়। 

FIVVER.COM, UP WORK, Freelancer.com ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা আয় করা  টাকা গ্রহণ করতে পারে।

আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের থেকে পেমেন্ট নেওয়া বা সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। 

গেমিং, সফটওয়্যার, প্লাগ ইন, ডিজিটাল কোড কিনতে ব্যবহার করে থাকে গ্ল্যামার ও ডিজিটাল ক্রিয়েটরা।

আউটসোর্সিং কোম্পানি ও এজেন্সির আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ম্যানেজ করতে ওয়েব মানি  অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। 

প্রবাসীর আত্মীয়রা ওয়েব মানি ব্যবহার করে থাকে। তবে বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়রা এটিকে বিকাশ বা নগদের  রূপান্তর করে ব্যবহার করেন।

যারা আন্তর্জাতিকভাবে অনলাইনে আয় করেন বা পেমেন্ট গ্রহণ করেন অ্যাকাউন্ট বেশি ব্যবহার করে থাকেন এতে দ্রুত ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়ায় অনেক পেশাদার একে প্রাথমিক ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

উপসংহার ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম-ওয়েব মানি একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করনীয় কি

ওয়েব মানে কি বিশ্বস্ত পৃথিবীতে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সার, অনলাইন ব্যবসায়ী ও জাতীয় লেনদেনকারী আন্তর্জাতিক লেনদেন কারীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদ ভাবে টাকা লেনদন করা সম্ভব হয়। তবে এর পূর্ণ সুবিধা নিতে অবশ্যই উপরের ওয়েব মানি একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী মেনে করতে হবে।

তাহলে ওয়েব মানি একাউন্টে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনি এটি দিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গ্রহণ ট্রান্সফার বা এক্সটেন সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন অতি সহজে। সব সময় আপনার তথ্য লক দিয়ে রাখুন এবং প্রতারণামূলক সমস্যা থেকে দূরে থাকুন। এভাবেই সহজে ওয়েব মানি একাউন্ট খোলা যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। id 250535

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url