OrdinaryITPostAd

নিয়মিত পড়ার রুটিন-ভালো ছাত্রের পড়ার রুটিন

 নিয়মিত পড়ার রুটিনআপনি যদি নিয়মিত পড়ার রুটিন গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের মাঝে অনেকের পড়াশোনায় রুটিন না থাকার কারণে ভালো ফলাফল পাই না। 

নিয়মিত-পড়ার-রুটিনআপনি যদি পড়াশোনার প্রতিদিনের একটি সেরা রুটিন করতে চান তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। আমাদের পোস্টে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নিয়মিত পড়ার রুটিন নিয়ে বিস্তারিত সবকিছু 

নিয়মিত পড়ার রুটিন

নিয়মিত পড়ার রুটিন গড়ে তোলা অনেক ছাত্রের কাছেই কিছুটা কঠিন মনে হয়, কিন্তু একটু চেষ্টা করলে খুব সহজেই এই রুটিন বানানো সম্ভব। আপনি যদি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা করেন, তাহলে মনের মধ্যে একটি অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে। আর এই অভ্যাসই আপনাকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
আমরা অনেকে পড়তে বসে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না। কারণ, আমাদের মাঝে মাঝে কোনও পরিকল্পনা থাকে না। কিন্তু ছোট্ট একটি পড়ার রুটিন থাকলে আমরা সহজেই আমাদের সময়কে কাজে লাগাতে পারব। ধরুন, আপনি সকালে উঠে বিশ মিনিট রিভিশন করলেন, দুপুরে ক্লাসের পড়া শেষ করলেন, আর সন্ধ্যায় হোমওয়ার্ক করলেন এটাই একটি সোজা রুটিন। এখানে একটি সহজ রুটিন:
  • সকাল ৭টাঃ আগের দিনের পড়া রিভিশন
  • দুপুর ২টাঃ নতুন ক্লাসের পড়া
  • সন্ধ্যা ৬টাঃ হোমওয়ার্ক ও অঙ্ক
  • রাত ৯টাঃ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা নোট দেখা
এই রুটিন অনুসরণ করলে আমাদের পড়াশোনা নিয়মিত হবে এবং পরীক্ষার আগে চাপ পড়বে না। অনেকেই ভাবে বেশি সময় পড়তে হবে, কিন্তু আসলে নিয়মিত অল্প অল্প করে পড়লেই ভালো ফল পাওয়া যায়। একদিনে সব পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি যদি ধৈর্য ধরে এই রুটিন মেনে চলেন, তাহলে অনেক তাড়াতাড়িই নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কতটা উন্নতি হচ্ছে। আর আমরা আপনাকে এ বিষয়ে সাহায্য করব। তাই আমাদের সাথেই থাকুন এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। 

১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন

১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন মানেই অনেক বেশি পড়া না, বরং সঠিকভাবে সময় ভাগ করে করে পড়া। আপনি যদি দিনে ১০ ঘন্টা পড়তে চান, তাহলে পুরা সময়টাকে ভেঙে নিয়ে তারপর ছোট ছোট সময় বেছে নিয়ে পড়তে হবে। এতে ক্লান্তি আসবে না এবং মনোযোগ বাড়বে। আপনি চাইলে এই রুটিনটি অনুসরণ করতে পারেনঃ
  • সকাল ৬টা - ৮টাঃ গণিত/বিজ্ঞান
  • সকাল ৯টা - ১১টাঃ বাংলা/ইতিহাস
  • দুপুর ১টা - ২টাঃ রিভিশন
  • বিকেল ৪টা - ৬টাঃ ইংরেজি/ধর্ম
  • রাত ৮টা - ৯টাঃ গুরুত্বপূর্ণ নোট রিভিউ
  • রাত ৯টা - ১০টাঃ প্রশ্ন সমাধান
মাঝে মাঝে ১৫-২০ মিনিট করে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। এতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকবে এবং পড়ায় আগ্রহও বাড়বে। আপনি যদি ধৈর্য ধরে এই রুটিন মেনে চলেন, তাহলে পড়ার মধ্যে একটা সঠিক নিয়ম তৈরি হবে, যেটা অনেক কাজে লাগবে। আপনি আমাদের পোস্ট থেকে আরও ভালো সেরা রুটিনের তালিকা পাবেন। তাই আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।

ভালো ছাত্রের পড়ার রুটিন

ভালো ছাত্রের পড়ার রুটিন সব সময় ঠিক থাকে। তারা শুধু পড়ে না, তারা কীভাবে পড়লে মনে থাকে সেইভাবে পড়ে। আপনি যদি ভালো ছাত্র হতে চান, তাহলে আপনাকেও একটি গুছানো রুটিন তৈরি করতে হবে। নিয়মিত পড়ার রুটিন আপনাকে একজন ভালো ছাত্র হতে সাহায্য করবে। একটি উদাহরণ রুটিনঃ
  • সকাল ৭টাঃ আগের দিনের পড়া রিভিশন
  • সকাল ৮টাঃ আজকের টপিক শিখা
  • দুপুর ১টাঃ প্রশ্নপত্র সমাধান
  • বিকেল ৫টাঃ পড়া লিখে লেখা অনুশীলন
  • রাত ৮টাঃ ক্লাস নোট পড়া ও মুখস্ত
  • রাত ৯টাঃ পরের দিনের প্রস্তুতি
এই রুটিনে আপনি নিয়মিত পড়লে সব বিষয়ে ভালো করতে পারবেন। রুটিন মেনে চলা মানেই পড়ায় একটি সঠিক নিয়ম আনা। এতে আপনি শুধু নম্বরেই ভালো করবে না, বরং আপনি এখান থেকে শেখার আনন্দও পাবেন। এটাই সফলতার চাবিকাঠি। আর এই চাবিকাঠি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

পড়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত

পড়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত এই প্রশ্ন অনেক ছাত্রই করে। রুটিন এমন হওয়া উচিত যেন তাতে সব বিষয়ের জন্য সময় থাকে এবং বিশ্রামও থাকে। অর্থাৎ আপনি একটি পড়া পরছেন। এখন যদি একটানা কোনো কিছু পড়তে থাকেন তাহলে আপনি একঘেয়েমি অনুভব করবেন। তাই আপনার উচিৎ মাঝে মাঝে পড়ায় ব্রেক নেওয়া। একটি সঠিক রুটিনে যা থাকা দরকারঃ
  • সময় ভাগ করে পড়া।
  • প্রতিদিন কিছু সময় সারাদিনের পড়া রিভিশনের জন্য রাখা।
  • কঠিন বিষয় সকালে পড়া।
  • পড়ার মাঝে বিশ্রাম রাখা (প্রতি এক ঘন্টায় পনেরো মিনিট)।
  • রাতে হালকা পড়া রাখা।
  • এক বিষয় একটানা এক ঘন্টার বেশি না পড়া।
  • একটি রুটিন হতে পারেঃ
    • সকাল ৭টা - ৮টাঃ কঠিন বিষয়
    • দুপুর ১টা - ২টাঃ গাণিতিক অনুশীলন
    • বিকেল ৪টা - ৫টাঃ মুখস্থ পড়া
    • রাত ৮টা - ৯টাঃ লেখার অনুশীলন
    • রাত ৯টা - ৯:৩০টাঃ রিভিশন দেওয়া
এভাবে পড়লে আপনার জন্য নিয়মিত পড়ার সময়সূচি তৈরি হবে। এই সহজ রুটিন অনুসরণ করে আপনি নিজের মতো করেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আপনি আমাদের দেখানো রুটিন অনুযায়ী পড়লে এক সময় আপনার পড়াকে ভালো লাগবে।

প্রতিদিন কত ঘন্টা পড়াশোনা করা উচিত

প্রতিদিন কত ঘন্টা পড়াশোনা করা উচিত, এই প্রশ্নটি অনেক শিক্ষার্থীর মনে থাকে। আসলে নির্দিষ্ট ঘন্টা না দেখে বুঝে পড়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে একজন ছাত্রের জন্য দিনে গড়ে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়া ভালো। আপনি এই রুটিনটি অনুসরণ করতে পারেনঃ
নিয়মিত-পড়ার-রুটিন
  • সকাল ৭টা - ৮টাঃ আগের দিনের পড়া
  • সকাল ৯টা - ১০টাঃ নতুন টপিক
  • দুপুর ২টা - ৩টাঃ অনুশীলন প্রশ্ন
  • বিকেল ৫টা - ৬টাঃ ক্লাস নোট রিভিশন
  • রাত ৮টা - ৯টাঃ লেখার অনুশীলন
এইভাবে পড়লে পড়াশোনা নিয়মিত করা যায়। এতে আপনি ক্লান্ত হবেন না বরং ধীরে ধীরে নিয়মিত পড়ায় মনোযোগী হবেন এটি আপনার পরীক্ষার আগেও কাজে লাগবে। আপনি আমাদের দেখানো নিয়ম মেনে পড়লে ভালো ছাত্র বা ছাত্রী হতে পারবেন।

সফল মানুষ দিনে কত ঘন্টা পড়াশোনা করে

সফল মানুষ দিনে কত ঘন্টা পড়াশোনা করে, এটা জানলে আপনি নিজেও পড়াশোনা করার উৎসাহ পাবেন। সফল মানুষেরা পড়ার সময়ের চেয়ে পড়ার রুটিনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তারা নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করে। তাদের সাধারণ রুটিন এরকম হয়ে থাকেঃ
  • সকাল ৬টা - ৭টাঃ গুরুত্বপূর্ণ পড়া
  • সকাল ৮টা - ৯টাঃ রিভিশন
  • দুপুর ১২টা - ১টাঃ অনুশীলন
  • বিকেল ৫টা - ৬টাঃ প্র্যাকটিস
  • রাত ৯টা - ১০টাঃ রিকল এবং রিভিউ
তারা দিনে গড়ে ৬ ঘণ্টার মতো পড়ে। কিন্তু তা অনেক ফলদায়ক হয়। আপনি চাইলে এমন একটি নিয়মিত পড়ার সময়সূচি বানাতে পারেন, যা আপনাকেও সফলদের পথে নিয়ে যেতে পারে। আর সফলতা পেতে আমরা এই পোস্টে আপনাকে সম্পূর্ণ সাহায্য করবো।

পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তোলার কৌশল

পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তোলার কৌশল জানতে হলে আপনাকে বুঝতে হবে কীভাবে ধীরে ধীরে পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়। একদিনে সব কিছু সম্ভব নয়। নিয়মিত পড়ার রুটিন মেনে চললে এটি করা সম্ভব। এই কৌশলগুলো কাজে লাগাতে পারেনঃ
  • প্রতিদিন একই সময়ে পড়া শুরু করুন
  • ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন
  • মোবাইল বা অন্য কিছু দূরে রাখুন
  • সময়মতো বিশ্রাম নিন
  • পড়া শেষে নিজেকে পুরস্কৃত করুন
  • পড়ার রুটিন করা। যেমন:
    • সকাল ৭টাঃ আগের দিনের রিভিশন
    • সকাল ৮টাঃ নতুন অধ্যায়
    • দুপুর ২টাঃ অনুশীলন
    • বিকেল ৫টাঃ গ্রুপ স্টাডি
    • রাত ৮টাঃ নিজে নিজে পরীক্ষা
এই অভ্যাস মেনে চললে ধীরে ধীরে নিয়মিত পড়াশোনার মনোভাব তৈরি হবে, যা আপনার পড়ার প্রতি আগ্রহ ও দক্ষতা বাড়াবে। আপনি যদি এই নিয়ম মেনে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনি এক সময় সফল ব‍্যক্তি হয়ে উঠতে পারবেন। আপনার পড়ায় মন বসাতে আমাদের সাথেই থাকুন।

সকালে পড়ার সুবিধা

সকালে পড়ার সুবিধা অনেক বেশি, কারণ এই সময়ে মস্তিষ্ক একদম ফ্রেশ থাকে। ঘুম থেকে উঠে মন সতেজ থাকে, তাই যা পড়বেন তা অনেক ভালোভাবে মনে থাকবে। সকালের সময়টা খুবই নিরিবিলি থাকে। বাইরের কোনো শব্দ বা মনোযোগ নষ্ট করার মতো কম থাকে। এছাড়া এই সময় শরীরও অনেক শক্তি নিয়ে উঠে, ফলে আপনি তাড়াতাড়ি পড়ায় মন দিতে পারবেন।

সকালে আপনি যদি ১ থেকে ২ ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন, তাহলে পুরো দিনের অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়। কারণ যে টপিক আপনি সকালেই আয়ত্ত করবেন, তা দিনের শেষে রিভিশন দিলেই মনে গেঁথে যাবে। সকালের এই সময়টা ধরেই আপনি যদি একটানা একটি নিয়মিত পড়ার রুটিন তৈরি করেন, তবে আপনার পড়াশোনার অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো হবে। তাই সকালের সময়টা কখনোই অযথা ভাববেন না।

পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায় জানা থাকলে পড়া সহজ আর আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। মনোযোগ না থাকলে আপনি পড়লেও তা মনে থাকবে না। মনোযোগ ধরে রাখতে হলে প্রথমেই নিরিবিলি পরিবেশ বেছে নিতে হবে। পড়ার সময় মোবাইল দূরে রাখলে মন অনেকটা স্থির থাকে। সময় ভাগ করে ছোট ছোট সময়ে পড়া শুরু করা যায়, যেমন ২৫ মিনিট পড়া ও ৫ মিনিট বিরতি। এতে ক্লান্তি কম আসে।
নিয়মিত-পড়ার-রুটিনমনোযোগ রাখতে হলে প্রতিদিন একই সময়ে পড়া শুরু করা ভালো। এতে মাথা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। দিনের শুরুতে কঠিন বিষয় আর শেষে সহজ বিষয় রাখলে মন হালকা থাকে। এইভাবে ধাপে ধাপে অভ্যাস করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার নিয়মিত অধ্যয়নের রুটিন তৈরি হয়েছে এবং তাতে মনোযোগ সহজেই ধরে রাখা সম্ভব।

পরীক্ষার প্রস্তুতিতে রুটিনের গুরুত্ব

পরীক্ষার প্রস্তুতিতে রুটিনের গুরুত্ব অনেক বড়। রুটিন না থাকলে কী পড়বেন, কখন পড়বেন তা বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে যায়। রুটিন করলে আপনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট বিষয় পড়তে পারবেন। এতে সময় নষ্ট হবে না আর পড়াও ছড়িয়ে যাবে না। পরীক্ষার আগে সময় খুব কম থাকে, তখন এই রুটিনই আপনাকে পড়া শেষ করতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কিছু সময় পুরনো পড়া, কিছু সময় নতুন বিষয় এবং কিছু সময় অনুশীলনের জন্য রাখা উচিত। এইভাবে পড়লে আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে কোনো কিছু বাদ পড়ছে না। পরীক্ষার সময় ভয় না পেতে চাইলে আগেই একটানা একটি নিয়মিত পড়াশোনার রুটিন তৈরি করা খুবই দরকার। আমাদের এই পোস্টে দেখানো রুটিন অনুসরণ করলে পরীক্ষায় ভালো ফল পাবেন।

পরিশেষে আমার মতামত 

পড়াশোনায় সাফল্য পেতে হলে প্রথমেই দরকার একটি নিয়মিত পড়ার রুটিন। রুটিন ছাড়া আপনি কখন কী পড়বেন, সেটাই বুঝতে পারবেন না। আমি মনে করি, আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট পড়ার রুটিন তৈরি করে তা মেনে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনি পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন। আপনার উচিৎ আপনার সুবিধা মতো রুটিন তৈরি করা। এছাড়াও আমাদের পোস্টে দেখানো রুটিন মেনে চলতে পারেন। পড়াশোনায় ভালো করতে আমাদের পক্ষ থেকে আপনার জন‍্য শুভেচ্ছা। [250412]

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url