OrdinaryITPostAd

উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার সম্পর্কে জানুন

 উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বাড়াতে এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে থাকে।

উইন্ডোজ-১১-এর-নতুন-৮টি-ফিচার

উইন্ডোজ মূলত মাইক্রোসফট কম্পানির একটি অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ ১১ এর অপারেটিং সিস্টেমকে আরোও শক্তিশালী ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট অনেক সময় নানান আপডেট ও ফিচার নিয়ে আসে। এখন আমরা এমনই কিছু ফিচার নিয়ে আলোচনা করবো।

উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার 

উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার 

উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। উইন্ডোজ মূলত মাইক্রোসফট কম্পানির একটি প্রডাক্ট। উইন্ডোজ ১১ এর অপারেটিং সিস্টেমকে আরোও শক্তিশালী ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট নানান আপডেট ও ফিচার যুক্ত করে থাকে। এই ফিচার গুলোর কারণে উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা যেমন বাড়ে ঠিক তেমনি এই অপারেটিং সিস্টেমে যদি কোন গ্লিচ বা বাগ থেকে থাকে সেগুলো ঠিক করে থাকে। আজকে আমরা তেমনি কিছু ফিচার সম্পর্কে জানবো যা উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে নতুন যুক্ত করা হয়েছে।

উইন্ডোজ ১১-এ নতুন যুক্ত করা হয়েছে এমন ফিচার নিয়ে কথা বলতে হলে সবার আগে আসে নতুন ইউজার ইন্টারফেস এর কথা। অতীতের তুলনায় এই ইউজার ইন্টারফেস অনেক বেশি স্মুথ ও সাধারণ করে এবার উপস্থাপন করা হয়েছে। এরপর যে ফিচারটি নিয়ে কথা বলবো সেটি হচ্ছে রিডিজাইন করা স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার। এবারের স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার সম্পূর্ন রিডিজাইন করা হয়েছে। যা দেখতে আকর্ষনীয় হওয়ার পাশাপাশি ইউজার ফ্রেন্ডলি। স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার রিডিজাইন করার পাশাপাশি এনেছে বড় ধরণের আপডেট। সেটি হচ্ছে ইনটিগ্রেটেড মাইক্রোসফট টিমস অ্যাপ ফিচার।

ইনটিগ্রেটেড মাইক্রোসফট টিমস অ্যাপ ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজনীয় সকল মেসেজ, মিটিং ইত্যাদি একত্রে যুক্ত করে রাখতে পারবেন। আপনার যখন প্রয়োজন পড়বে তখন সব গুলো একে একে ওপেন করার কোন প্রয়োজন পড়বে না বরং আপনি এক ক্লিকেই সকল মেসেজ বা মিটিং গুলো চালু করে নিতে পারবেন। এই ফিচারটির যেমন রয়েছে সুবিধা ঠিক তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। অসুবিধা হচ্ছে সব সময় প্রত্যেক মেসেজ বা মিটিং প্রয়োজন হয় না এক্ষেত্রে আপনি যদি এই ফিচার ব্যবহার করেন তাহলে প্রতিবার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো কেটে দিতে হবে। যা বিরক্তিকর লাগতে পারে।
শুধু উপরের দেওয়া ফিচার নয় বরং আরোও কয়েকটি কার্যকরী ফিচার এনেছে মাইক্রোসফট। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হচ্ছে উন্নত গেমিং পারফরম্যান্স সিস্টেম, উইন্ডোজ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সাপোর্ট, নতুন সেটিংস অ্যাপ এবং কাস্টমাইজড ইনফো এক্সেস ইত্যাদি। এই ফিচার গুলোর কারণে যেমন আপনার কম্পিউটার চালানোর অভিজ্ঞতা বাড়াবে ঠিক তেমনি সময় বাঁচাতেও সাহায্য করবে। এখন আমরা এই সকল ফিচার গুলো সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

নতুন ইউজার ইন্টারফেস

উইন্ডোজ ১১-এ প্রথম যেটি চোখে পড়ে তা হলো এর একেবারে নতুন ইউজার ইন্টারফেস। আগের আপডেট গুলোর তুলনায় এটি এখন অনেক বেশি ক্লিন এবং ভিজ্যুয়ালি স্পষ্ট। প্রতিটি কোণকে রাউন্ড করে আরও সফট লুক আনা হয়েছ যা দেখতেই একদম নতুন এবং আকর্ষনীয় মনে হচ্ছে। কালার প্যালেট আগের থেকে অনেক বেশি হালকা করা হয়েছে ফলে দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে কাজ করলেও চোখে চাপ কম পড়ে। সেই সাথে নতুন কিছু এনিমেশন যুক্ত করা হয়েছে যা দেখতেও ক্লিন ও মডার্ণ।
নতুন ইউজার ইন্টারফেস
নতুন ইউজার ইন্টারফেসের আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো স্টার্ট মেনু ও টাস্কবারকে মাঝখানে নিয়ে আসা। এই ডিজাইনটা অনেকটা ম্যাক ডিভাইসের মতো হলেও মাইক্রোসফট নিজেদের মতো করে এটি উপস্থাপন করেছে। প্রতিটি এলিমেন্ট এখন আরও বেশির সাজানো গোছানো ও কাস্টমাইজ যোগ্য। অর্থাৎ আপনি চাইলে প্রায় সব কিছু নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। এছাড়াও নোটিফিকেশন ও কুইক সেটিংস প্যানেলকে এমনভাবে আপডেট করা হয়েছে যেন প্রয়োজনীয় অপশনগুলো খুব দ্রুত পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে উইন্ডোজ ১১-এর নতুন ইউজার ইন্টারফেস একটি আধুনিক ও স্মার্ট বলে আমি মনে করি।

রিডিজাইন করা স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার

উইন্ডোজ ১১-এর সার্ট মেনুতে এবার একটু অন্যরকম পরিবর্তন এনেছে। আগের ভার্সনে যে  লাইভ টাইলস সিস্টেমটি ছিল তা আপডেট করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আগের স্টার্ট মেনু ছিলো হাতের বাম পাশে এবং আপডেট করার পর সেই স্টার্ট মেনু ডিসপ্লে এর মাঝামাঝি অবস্থানে রাখা হয়েছে। এর ফলে দেখতে আগের তুলনায় সুন্দর লাগছে। এছাড়াও এখন ডিসপ্লে এর পাশাপাশি টাস্কবারেও সফটওয়্যার গুলো পিন করে রাখা যাবে। যদিও পিন করার লিমিটেশন রয়েছে তবুও এটি গুরুত্বপূর্ন সফটওয়্যার গুলো খুব সহজে খুঁজে পেতে অনেক সাহায্য করবে।
রিডিজাইন-করা-স্টার্ট-মেনু-এবং-টাস্কবার
স্টার্ট মেনুর পাশাপাশি টাস্কবারেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। এবার সব আইকন মাঝখানে এনে ডিজাইনটিকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং আধুনিক করা হয়েছে। যদিও এই ডিজাইন ম্যাক কিংবা ক্রোম ওএস এর সাথে অনেকটা মিল খায় তবুও মাইক্রোসফট এটিকে তাদের নিজস্ব স্টাইলে উপস্থাপন করেছে। নতুন টাস্কবারে যুক্ত হয়েছে ইনবিল্ট মাইক্রোসফট টিমস, সার্চ বাটন এবং কাস্টমাইজড উইজেটসের সুবিধা। আগের ভার্সনে তেমন কোন পরিবর্তন না আনলেও এই ভার্সনের আপডেটের পর আপনি চাইলে টাস্কবার সম্পূর্ন নিজের মত করে কাস্টমাইজেশন করার পাশপাশি ট্রন্সপারেন্টও করতে পারবেন।

স্ন্যাপ লেআউট এবং মাল্টিটাস্কিং 

আমরা যখন একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করি যেমন ব্রাউজারে রিসার্চ চালানো, ওয়ার্ডে লেখালিখি করা কিংবা ভিডিও দেখা ঠিক তখন তখন প্রয়োজন হয় স্ক্রিনকে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা। উইন্ডোজ ১১ এই বিষয়টিকে সহজ করে তুলেছে Snap Layouts ফিচারের মাধ্যমে। আপনি শুধু মাউসটি স্ক্রিনের কোনায় নিলেই বিভিন্ন লেআউট অপশন দেখতে পারবেন। দুই, তিন বা চারটি অ্যাপ একসাথে সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে এই অপশনটিতে। এটি কেবল সময় বাঁচায় না বরং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত মাল্টিটাস্কিং করেন তাদের জন্য এটি একটি অনেক গুরুত্বপূর্ন টুল বলে বিবেচিত হতে পারে।
উইন্ডোজ-১১-এর-নতুন-৮টি-ফিচার
অফিসিয়াল কাজ থেকে শুরু করে ঘরের টুকটাক কাজ সব ক্ষেত্রেই এখন মাল্টিটাস্কিং হয়ে উঠেছে জীবনের অংশ। উইন্ডোজ ১১ বুঝেছে এই বাস্তবতা আর তাই শুধু স্ন্যাপ লেআউট নয় বরং এর সাথে যুক্ত করেছে উন্নত মাল্টি মনিকর ও ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ব্যবস্থাপনা। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট কাজের জন্য আলাদা ডেস্কটপ তৈরি করতে পারবেন। একটিতে অফিসিয়াল ফাইল, অন্যটিতে বিনোদনের অ্যাপ, আবার আরেকটিতে পার্সোনাল নোটস আপনার ইচ্ছে মত সাজিয়ে নিতে পারবেন। এতে কাজের পরিবেশ যেমন গুছানো থাকে, তেমনি মানসিক চাপও অনেকটাই কমে আসে। এক কথায় উইন্ডোজ ১১ স্ন্যাপ লেআউট এবং মাল্টিটাস্কিং ফিচার আপনার কাজকে আরোও সহজ করে দিতে পারে।

ইনটিগ্রেটেড মাইক্রোসফট টিমস অ্যাপ

বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল যোগাযোগ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পেশাগত ক্ষেত্রে। এই চাহিদাকে পূরণ করতে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১১-এ মাইক্রোসফট টিমস অ্যাপটিকে সরাসরি টাস্কবারে সংযুক্ত করেছে। এই স্মার্ট ইন্টিগ্রেশনের ফলে ব্যবহারকারীদের আর আলাদাভাবে অ্যাপ খোলার প্রয়োজন হয় না বরং মাত্র একটি ক্লিকে কল, চ্যাট বা মিটিং শুরু করা যাবে। এই বৈশিষ্ট্যটি বিশেষভাবে উপকারী তাদের জন্য যারা প্রতিদিন টিম মিটিং, ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলোচনা বা বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়াল যোগাযোগে নিয়োজিত থাকেন। এটি সময় বাঁচানোর পাশাপাশি এই ধরণের কাজকে অনেক সহজ ও ঝামেলা মুক্ত করে দেয়।
মাইক্রোসফট টিমস এখন আর শুধু অফিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যও সমানভাবে কার্যকর। ব্যবহারকারীরা এখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কল, বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ চ্যাট বা তাৎক্ষণিক বার্তা আদানণ প্রদানের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতে পারেন। টিমসের ইন্টারফেসটি সহজ এবং অনেক দ্রুত যা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্যও সহজে বোধগম্য। এই ইন্টিগ্রেশনটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এটি ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন ভার্চুয়াল যোগাযোগকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে।
ইনটিগ্রেটেড-মাইক্রোসফট-টিমস-অ্যাপ
উপরে আমরা মাইক্রোসফট টিমস অ্যাপ এর একটি ইন্টারফেজ দেখতে পাচ্ছি। এখান থেকে Chat অপশন থেকে আমরা একে অন্যকে মেসেজ করতে পারবো। আপনি যদি কারোও সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে বা মিটিং করতে চান তাহলে আপনি Meet অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনি যদি কাউকে আপনার চ্যাটিং লিস্টে অ্যাড অথবা টিমে অ্যাড করতে চান তাহলে Invite to Team অপশনটি ব্যবহার করে অ্যাড করতে পারবেন। সব মিলিয়ে এটি গুগল মিট এর দারুন ব্যতিক্রমি একটি অপশন হতে পারে।

উন্নত গেমিং পারফরম্যান্স সিস্টেম

এই ফিচারটি আশার পূর্বে কম্পিউটারে গেম খেলার সময় আমাদের অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হতো। বিশেষ করে পপ আপ অ্যাডসের। আর এই সাথে তো কম্পিউটার হ্যাং করার মতো সমস্যা লেগেই ছিলো। কারণ কম্পিউটারে একাধারে অনেক গুলো সফটওয়্যার রান করার কারণে গেম খেলার সময় গেম হ্যাং করত। বর্তমান সময়ে উইন্ডোজ এর এই নতুন ফিচারটির কারণে এখন গেম অনেক স্মুথ ভাবে খেলা সম্ভব।
উন্নত-গেমিং-পারফরম্যান্স-সিস্টেম

প্রথমে সেটিংস-এ প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেটিংস থেকে গেমিং অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। গেমিং অপশন সিলেক্ট করলে আমরা তিনটি আরোও নতুন অপশন দেখতে পাবো। সেগুলো হচ্ছে গেম বার, ক্যাপচার ও গেম মোড। এখন আমরা এই তিনটি অপশনের মধ্যে গেম মোড এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
উন্নত-গেমিং-পারফরম্যান্স-সিস্টেম
আপনি যদি চান গেম খেলার সময় আপনার কম্পিউটার হ্যাং বা ল্যাগিং না করুক তাহলে গেম মোড অপশন থেকে গেমিং মোড চালু করে রাখতে হবে। এতে করে আপনার কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি অন্যান্য সফটওয়্যার চলে তবুও আপনার কম্পিউটারের র‍্যাম সব সময় গেম এর উপর ফোকাস করবে যার কারণে গেম ল্যাগিং বা হ্যাং করা কমে যাবে। এছাড়াও আপনি যে কাজটি করতে পারেন সেটি হচ্ছে গেমিং মোড চালু করার পাশাপাশি আপনি যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করেন না বা কম ব্যবহার করেন সেই সফটওয়ার গুলোকে গ্রাফিকস অপশন থেকে Optimization for windows game অপশনটি অফ করে রাখবেন এবং আপনি যে গেমটি খেলবেন সেই গেমের জন্য এই অপশনটি অন করে রাখতে পারেন।

উইন্ডোজ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সাপোর্ট

মারক্রোসফট স্টোরে আগে ইমুলেটর সরাসরি ডাউনলোড করা যেত না। ইমুলেটর হচ্ছে একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনে যে অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে সেই সকল অ্যাপ ইন্সটল করতে পারবেন। আগে এই  ইমুলেটর ডাউনলোড করার জন্য বিভিন্ন ব্রাউজারে গিয়ে অনেক থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে উইন্ডোজ ১১ এর এই নতুন ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই মারক্রোসফট স্টোর থেকেই  ইমুলেটর ডাউনলোড করতে পারবেন তাও আবার বিনামূল্যে।
উইন্ডোজ-স্টোরে-অ্যান্ড্রয়েড-অ্যাপ-সাপোর্ট
এর জন্য সবার আগে মারক্রোসফট স্টোরে গিয়ে সার্চ করতে হবে android emulator লিখে। এরপর আপনার সামনে অনেক গুলো সফটওয়্যার চলে আসবে। এই সব গুলোই মূলত কাজ করে। তবে এখানে একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে এখান থেকে ফ্রি সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করতে হবে এবং অনেক পেইড সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে প্রতিমাসে অনেক টাকা খরচ হতে পারে। তাই এবার একটি ফ্রি ইমুলেটর সফটওয়্যার ডাউনলোড করে খুব সহজে আপনিও আপনার কম্পিউটারে মোবাইল ফোনের অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

নতুন সেটিংস অ্যাপ এবং সহজ কন্ট্রোল ফিচার

এই ফিচারটি আশার আগে কম্পিউটারের সেটিংস গুলো ছিলো অনেক এলোমেলো তাই কোন সেটিংস দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য সার্চ করার প্রয়োজন পড়তো। আবার যদি আপনি কোন সেটিংসে প্রবেশ করবেন এটি ভুলে যান তাহলে আরো এক ঝামেলায় পড়তে হয়। কিন্তু এই ফিচারটি আশার কারণে খুব সহজে সকল সেটিংস চোখের সামনে পড়ে যায়। তাই নির্দিষ্ট কোন সেটিংস খুঁজে বের করার জন্য আলাদা ভাবে সার্চ করার প্রয়োজন পড়ে না।
নতুন সেটিংস অ্যাপ এবং সহজ কন্ট্রোল ফিচার
সেটিংসে প্রবেশ করলেই আপনি দেখতে পাবেন সকল কিছু সুন্দরে করে সাজানো রয়েছে। হাতের বাম পাশে রয়েছে সকল গুরুত্বপূর্ন সেটিংস এবং হাতের ডান পাশে আপনি যে সেটিংস সিলেক্ট করবেন তার মেনু বের হয়ে আসবে। এখন আপনার যদি নেটওয়ার্ক এর কোন সমস্যা হয় তাহলে নেটওয়ার্ক এন্ড ইন্টারনেট সেটিংসটি সিলেক্ট করলেই নেটওয়ার্ক জাতীয় সকল সেটিংস আপনার সামনে চলে আসবে। আলাদা করে আর অন্য কোথাও খুঁজতে হবে না। তাই এক কথায় বলা যায় যে উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার এর মধ্যে এই ফিচারটি আপনার কাছে সেরার তালিকায় থাকতে পারে।

উইজেটস এর মাধ্যমে কাস্টমাইজড ইনফো এক্সেস

উইজেটস এর মাধ্যমে কাস্টমাইজড ইনফো এক্সেস এই কথাটি অনেক জটিল মনে হলেও এটি একটি অনেক কাজের ও সহজ ফিচার। আমরা যখন আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের হোম স্ক্রিনে থাকে তখন কখনো না কখনো ভুল করে হলেও হাতের বাম পাশের নিচের দিকে ক্লিক করেছি এবং সাথে সাথে একটি নিউজ পোর্টালের মতো কিছু সামনে চলে এসেছে এটিই মূলত উইজেটস। এই উইজেটস কাস্টমাইজ করে আমরা চাইলে বিভিন্ন ইনফো এক্সেস রাখতে পারি।
উইন্ডোজ-১১-এর-নতুন-৮টি-ফিচার
কাস্টমাইজড ইনফো রাখার জন্য হাতের বাম পাশে একটি ছোট প্লাস চিহ্ন দেখতে পাবেন। এবার সেখানে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করলে অনেক গুলো অপশন সামনে চলে আসবে। এখান থেকে আপনি আবহাওয়া, ট্রাফিক, খেলাধুলা, খবর, সময়, কাউন্টডাউন সহ আরোও অনেক গুলো অপশন পেয়ে যাবেন। এখন আপনার পছন্দ মতো উইজেটস সিলেক্ট করে দিলেই সেটি আপনার হোম স্ক্রিনে দেখাতে শুরু করবে। বিশেষ করে যারা সময়ের কাজ সময়ে করতে পছন্দ করে তাদের জন্য টাইমার উইজেটস এবং যারা খেলেধুলা পছন্দ করে তাদের জন্য স্পোর্টস উইজেটস বেশ কার্যকর হতে পারে। এখন আপনি চাইলে আপনার পছন্দ মতো উইজেটস কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারেন।

পরিশেষেঃ  উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার 

উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ৮টি ফিচার নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উক্ত ফিচার গুলোর কারণে যেমন কম্পিউটার চালানোর অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি হয় ঠিক তেমনি সময় বাঁচাতেও সাহায্য করে। আগে এমন ফিচার না থাকার কারণে অনেক সহজ কাজ গুলো ম্যানুয়ালি করতে অনেক সময় লেগে যেত যা ছিল একটি বিরক্তিকর কারণ। বর্তমান সময়ে এমন হেল্পফুল ফিচার আসার কারণে অনেক জটিন কাজগুলো মাল্টিটাস্কিং এর মত ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজে সমাধা করা যায়। বিশেষ করে উইন্ডোজ স্টোরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সাপোর্ট করায় আপনার হাতে থাকা স্মার্টফন দিয়ে যে অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতেন সেই সকল অ্যাপ আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারেও ব্যবহার করতে পারবেন। সব মিলিয়ে উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ফিচার গুলো অসাধারণ। 250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url