বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন আবেদন পদ্ধতি ২০২৫
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি অনেক সহজ। বর্তমান সময়ে বয়স্ক ভাতার আবেদন করার জন্য কারো কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বরং আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার দিয়েই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আজকে আমরা জানবো বয়স্ক ভাতা কিভাবে খুব সহজেই আবেদন করা যায় এবং কারা কারা এই আবেদন করতে পারবেন। সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন না করলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই নিচে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী সঠিক ভাবে আবেদন করতে পারেন।
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি
- বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি
- অনলাইন অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম পূরণ পদ্ধতি
- অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্যতা ও শর্তাবলী
- যারা বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন না
- সরকারি ভাবে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
- আবেদন করার পর কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন জেনে নিন
- বয়স্কভাতার কালানুক্রমিক সম্পর্কে জেনে নিন
- শেষ কথাঃ বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই। কারণ আগেকার দিন গুলোর মত আর বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য কম্পিউটারের দোকানে বা কারো কাছে গিয়ে বসে থাকতে হবে না। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার দিয়েই আপনার পরিচিত কারো জন্য বয়স্ক ভাতা আবেদন করে দিতে পারবেন।
বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য প্রথমেই একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে অথবা কম্পিউটার দিয়েও এই কাজ করতে পারবেন। উভয় ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়া একই। এরপর সার্চ অপশন গিয়ে সার্চ করতে হবে dss-bhata.gov.bd এই কথাটি লিখে। এই কথাটি লিখে সার্চ করতে পারেন অথবা বাংলায় "বয়স্ক ভাতা আবেদন" লিখে সার্চ করলেও হবে।সার্চ করার পর প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে উপরে দেখানো একই রকম একটি ফর্ম আপনার সামনে চলে আসবে। এবার ফর্ম থেকে কার্যক্রম অপশনটিতে গিয়ে সেখানে বয়স্ক ভাতা সিলেক্ট করতে হবে। বয়স্ক ভাতা অপশনটি সিলেক্ট করার পর আপনার আর কোন কাজ নেই এবার আপনাকে এবার শুধু একটু নিচের দিকে স্ক্রল করতে হবে এবং দেখতে পাবেন লিখা রয়েছে যাচাই করনের ধরণ। এবার এখান থেকে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র নাকি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে যাচাই করবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।এবার আপনি চাইলে এখান থেকে যেকোন একটি মাধ্যমে সিলেক্ট করে আপনার যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করতে পারেন। তবে এখানে সাজেশন থাকবে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়েই যাচাই করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনি যদি পরবর্তিতে ট্রাকিং নাম্বার ভুলে যান তাহলে খুব সহজে সেটি রিকোভার করে নিতে পারবেন। এরপর এনআইডি নাম্বার অথবা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দেওয়ার পর একটি ছোট ক্যাপচা পূরণ করার পর পরবর্তি থাপে অগ্রসর হতে হবে।
আরোও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
এরপর যাচাই করুন বা পরবর্তি যেই অপশনটিই আসুক না কেন সেটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনার সকল তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে। যেমনঃ আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্র দেন তাহলে আপনার নাম, আপনার বাবা ও মায়ের নাম, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে। আর আপনি যদি ভুল এনআইডি নাম্বার দিয়ে থাকেন তাহলে এই সকল তথ্য আপনার সামনে আসবে না। তাই ভালোভাবে দেখে শুনে তারপর এই প্রসেসটি কমপ্লিট করতে হবে।
এই প্রসেসটি সফলভাবে কমপ্লিট করার পর আপনাকে আর কিছু তথ্য বা কয়েকটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখন আমরা জানবো কিভাবে কোন জায়গায় কোন তথ্য দিতে হবে এই বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করবো।
অনলাইন অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম পূরণ পদ্ধতি
উপরের সকল ধাপ্ন সফলভাবে শেষ করলে আপনার সামনে নিচে দেওয়া ছবির মত একটি অপশন চলে আসবে। এখন আপনাকে খুব সাবধানতার সাথে এই ফর্মের তথ্য গুলো পূরণ করতে হবে। ফর্মের বাম পাশে বাংলায় এবং ডান পাশে ইংরেজিতে তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। উক্ত দুই পাশের তথ্য একই হতে হবে। আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রদান করার পর এবার আমাদের আরোও কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।এবার ফর্মে কিছু অংশ যেমন জাতীয়তা, বয়স ও লিঙ্গ অটোমেটিক পূরণ হয়ে যাবে। এই তথ্য গুলো পরিবর্তন করা যাবে না। এখানে বাঁকি যেই ফাঁকা ঘর আছে সেগুলো পূরণ করতে হবে। যেমনঃ ধর্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা ইত্যাদি। এই তথ্য গুলো দেওয়ার পর যোগাযোগের ঠিকানা দিতে হবে। যোগাযোগের ঠিকানার ফর্ম নিচে দেওয়া হয়েছে। অনুরূপ একটি ফর্ম আপনাকেও পূরণ করতে হবে।যোগাযোগের ঠিকানায় আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী দিতে হবে। যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে আপনাকে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। বর্তমান ঠিকানা বলতে আপনি এখন যেখানে বসবাস করছেন এবং স্থায়ী ঠিকানা বলতে আপনার জন্ম সূত্রের ঠিকানাকে বোঝায়। এই দুই তথ্য ভালো করে পূরণ করার পর এবার আপনাকে বয়স্ক ভাতার জন্য নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিতে হবে।এই ফর্মে আপনাকে আপনি কত টুকু জমির মালিক, স্বাস্থ্যগত বা কর্মগত কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হন কিনা, আপনার বার্ষিক আয় কত টাকা, আপনি সরকারি অথবা বেসরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা পান কিনা ইত্যাদি বিষয়ে কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি পূরণ করার পর আপনাকে একজন নমিনির তথ্য দিতে হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় তাই বিশ্বস্ত কাউকে নমিনি করাই ভালো।নমিনির তথ্য দেওয়ার পর আপনার কাজ প্রায় শেষ। এখন আপনাকে শেষ বারের মত আরেকটি ফর্ম পূরণ করতে হবে সেটি হচ্ছে বয়স্ক ভাতা আবেদনের যোগ্যতার তথ্য দিতে হবে। এর মানে এখানে অনেক গুলো প্রশ্ন থাকবে যেগুলোকে আপনার মত করে উত্তর দিতে হবে এবং যাচাই করে যদি কতৃপক্ষ আপনাকে উপযুক্ত মনে করেন তাহলে আপনাকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হবে। আশা করি সম্পূর্ন ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়াটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
উপরে আমরা শুধু আবেদন প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে ছবি সহ বিস্তারিত জেনেছি কিন্তু আমাদের এই আবেদনটি করতে কি কি কাগজপত্র দরকার সে সম্পর্কে আলোচনা করিনি। আমাদের উচিত হবে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতের কাছে রাখা যাতে পরবর্তিতে আবেদনের মাঝখানে উক্ত কোন কাগজের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ না হয়ে যায়।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন।
- ২ কপি প্রার্থীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- নাগরিক সনদপত্র।
- একজন নমিনি ও তার তথ্য।
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র।
- নমিনির ২ কপি প্রার্থীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পার্থির অসচ্ছলতার প্রমাণ ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ উপরের কাগজপত্র গুলো অনলাইন অথবা অফলাইন উভয় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়তে পারে।
বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্যতা ও শর্তাবলী
বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে যা তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এই ভাতা কর্মসূচির মাধ্যমে বয়োজ্যেষ্ঠ, দুস্থ এবং কর্মক্ষমতাহীন ব্যক্তিরা মাসিক আর্থিক সহায়তা পান। এটি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করে এবং পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি করে। ভাতা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা ও শর্তাবলী পূরণ করতে হয়। এখন আমরা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্যতা ও শর্তাবলী সম্পর্কে জানবো।
আরোও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে ৬৫ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর হতে হবে।
- দুঃস্থ, স্বল্প আয়ের বা কর্মক্ষমতাহীন হতে হবে।
- বার্ষিক গড় আয় অনূর্ধ্ব ১০,০০০ টাকা হতে হবে।
- আবেদনকারীর বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে ইত্যাদি।
যারা বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন না
যারা বয়স্ক ভাতা একটি গুরুত্বপূর্ন কর্মসূচি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ সরকার বিশেষভাবে বিবেচনা করে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার উপযোগী পার্থি নির্বাচন করে থাকেন। সরকারের কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় এমন অনেকেই আছেন যারা চাইলেও এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। মূলত যাদের আর্থিক বা সামাজিক অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো কিংবা যারা ইতিমধ্যে অন্য কোনো সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন এমন মানুষ এই ভাতা পান না। এই শর্তগুলো নির্ধারিত হয়েছে যেন প্রকৃত দরিদ্র ও দুঃস্থরা সুযোগ পায়। নিচে এই অযোগ্যতার বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
- বর্তমানে বা পূর্বে সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ছিলেন এবং পেনশনভোগী।
- অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী যারা নিয়মিত পেনশন পান।
- ইতোমধ্যে অন্য কোনো সরকারি ভাতা বা সুযোগ সুবিধা পান।
- ভিজিডি বা ভিজিএফ কার্ডধারী যারা নিয়মিত ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন।
- উচ্চ আয়ের উৎস রয়েছে বা বার্ষিক আয় নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি।
- বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নির্ভরশীল নন।
- বাসিন্দা না হয়ে অন্য এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করছেন এমন ব্যক্তি।
- আবেদনে ভুয়া তথ্য বা মিথ্যা নথিপত্র প্রদান করেছেন এমন ব্যক্তি।
সরকারি ভাবে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সরকারি এই ভাতা কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক বৈষম্য কমানো এবং বয়স্ক নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষা করা। অনেকেই বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরিবারে অবহেলার শিকার হন সেই জায়গা থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা এটি। এছাড়াও এই উদ্যোগ প্রবীণদের সমাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও মানসিক শান্তি আনতে সহায়তা করে। সরকারের প্রত্যাশা এই সহায়তা পেয়ে তারা যেন নিজেদের বোঝা না ভেবে আত্মসম্মানে জীবন কাটাতে পারেন। ফলে এটি একটি মানবিক ও টেকসই সমাজ গঠনের পথও তৈরি করে।
এছাড়াও সরকারি এই ভাতা প্রদানের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে বয়স্ক মানুষদের একটি বড় অংশ আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটান। তাদের অনেকেই কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন এবং পরিবার থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা পান না। এসব বাস্তবতা থেকে সরকার বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি চালু করেছে যাতে তারা অন্তত ন্যূনতম আর্থিক নিরাপত্তা পান। মূল লক্ষ্য হচ্ছে তাদের সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়া। এটি শুধু আর্থিক সহায়তা নয় বরং তাদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনের একটি প্রক্রিয়া।
অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
বয়স্ক ভাতা অনলাইনে আবেদন করার সময় অনেকেই কিছু সাধারণ সমস্যার মুখোমুখি হন। এর মধ্যে প্রথমেই আসে ইন্টারনেট সংযোগ সমস্যা। অনেক সময় ধীর গতির ইন্টারনেটের কারণে আবেদন ফরম সঠিকভাবে জমা দিতে অসুবিধায় পড়েন। এছাড়াও আবেদনকারীর তথ্য ভুলভাবে পূরণ করা বা তথ্য গুলো স্ক্যান কপি সংযুক্ত না হওয়াও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিছু মানুষ আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ ভুলভাবে স্ক্যান করে আপলোড করে যার ফলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
এই সমস্যাগুলোর সমাধান হিসেবে আবেদনকারীদের আগে থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলোর সঠিক স্ক্যান কপি প্রস্তুত রাখা উচিত। এছাড়াও আপনি যদি নিজে থেকে আবেদন না করতে পারেন বা প্রথমে বার এই আবেদনটি করতে জান তাহলে বিশেষ সতর্কতার সাথে ফর্ম গুলো পূরণ করতে হবে। কেননা বেশিরভাগ আবেদন বাতিল হয়ে যায় ভুলভাবে ফর্ম পূরণ করার কারণে। তবে এই ধরণের আবেদন করার জন্য একটি এক্সপার্ট মানুষের কাছে থেকে সাহায্য নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আবেদন করার পর কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন জেনে নিন
আপনি বয়স্ক ভাতা আবেদন করার পর স্ট্যাটাস চেক করার জন্য কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। প্রথমত আপনি যেই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করেছেন সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এরজন্য উক্ত ওয়েবসাইট বা dss-bhata.gov.bd এই কথাটি লিখে আবেদন করার সময় যেভাবে প্রবেশ করেছিলেন ঠিক একই ভাবে প্রবেশ করতে হবে। আমরা যেহেতু আগে একবার আবেদন করেছি তাই এবার যে জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। লগইন করলেই আপনি সেখানে আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। এছাড়াও আবেদনের পর যাচাই করা হয়ে গেলে মোবাইল নাম্বারেও এসএমএস ের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই সেই দিকও লক্ষ্য রাখতে হবে। আশা করি কিভাবে আবেদন করার পর কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন এ বিষয়ে যে প্রশ্ন ছিলো তার উত্তর পেয়ে গেছেন।
বয়স্কভাতার কালানুক্রমিক সম্পর্কে জেনে নিন
বয়স্কভাতার কালানুক্রমিক বৃদ্ধি বলতে বুঝায় কত কোন অর্থবছরে হাজারে কত জনকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়েছিল এবং প্রতি মাসে ভাতার হার ও সে বছর বার্ষিক বাজেট কত টাকা ছিল। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যকের উচিত এই সকল সরকারি বিষয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখা।
অর্থবছর | প্রতি হাজারে কত জন | জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার টাকায় | বার্ষিক বাজেট ( কোটিতে) |
---|---|---|---|
১৯৯৭-১৯৯৮ | ৪০৩.১১ | ১০০ | ১২.৫০ |
১৯৯৮-১৯৯৯ | ৪০৩.১১ | ১০০ | ৪৮.৫০ |
১৯৯৯-২০০০ | ৪১৩.১৯ | ১০০ | ৫০.০০ |
২০০০-২০০১ | ৪১৫.১৭ | ১০০ | ৫০.০০ |
২০০১-২০০২ | ৪১৫.১৭ | ১২৫ | ৪৯.৯২ |
২০০২-২০০৩ | ৫০০.৩৯ | ১৫০ | ৫০.৫৮ |
২০০৩-২০০৪ | ৯৯৯.৯৯ | ১৬৫ | ১৭৯.৯৯ |
২০০৪-২০০৫ | ১৩১৫.০০ | ১৮০ | ২৬০.৩৭ |
২০০৫-২০০৬ | ১৫০০.০০ | ২০০ | ৩২৪.০০ |
২০০৬-২০০৭ | ১৬০০.০০ | ২২০ | ৩৮৪.০০ |
২০০৭-২০০৮ | ১৭০০.০০ | ২৫০ | ৪৪৮.৮০ |
২০০৮-২০০৯ | ২০০০.০০ | ৩০০ | ৬০০.০০ |
২০০৯-২০১০ | ২২৫০.০০ | ৩০০ | ৮১০.০০ |
২০১০-২০১১ | ২৪৭৫.০০ | ৩০০ | ৮৯১.০০ |
২০১১-২০১২ | ২৪৭৫.০০ | ৩০০ | ৮৯১.০০ |
২০১২-২০১৩ | ২৪৭৫.০০ | ৩০০ | ৮৯১.০০ |
২০১৩-২০১৪ | ২৭২২.৫০ | ৪০০ | ৯৮০.১০ |
২০১৪-২০১৫ | ২৭২২.৫০ | ৪০০ | ১৩০৬.৮০ |
২০১৫-২০১৬ | ৩০০০.০০ | ৫০০ | ১৪৪০.০০ |
২০১৬-২০১৭ | ৩১৫০.০০ | ৫০০ | ১৮৯০.০০ |
২০১৭-২০১৮ | ৩৫০০.০০ | ৫০০ | ২১০০.০০ |
২০১৮-২০১৯ | ৪০০০.০০ | ৫০০ | ২৪০০.০০ |
২০১৯-২০২০ | ৪৪০০.০০ | ৫০০ | ২৬৪০.০০ |
২০২০-২০২১ | ৪৯০০.০০ | ৫০০ | ২৯৪০.০০ |
২০২১-২০২২ | ৫৭০১.০০ | ৫০০ | ৩৪৪৪.৫৪ |
২০২২-২০২৩ | ৫৭০১.০০ | ৫০০ | ৩৪৪৪.৫৪ |
২০২৩-২০২৪ | ৫৮০১.০০ | ৬০০ | ৪২০৫.৯৬ |
২০২৪-২০২৫ | ৬০০০.০১ | ৬০০ | ৪৩৫০.৯৭ |
শেষ কথাঃ বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত ছবি সহ ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি। আশা করা যায় যে আপনি যদি উপরের লিখাগুলো পড়ার পাশাপাশি ছবি গুলো লক্ষ্য করেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন জায়গায় কোন ধরণের তথ্য দিতে হয়। আমরা আবেদন পদ্ধতি জানার পাশাপাশি কারা আবেদন করতে পারবে এবং কারা পারবে না এই বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছি। এছাড়াও আবেদন করার পর কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করতে হয় ও আরোও গুরুত্বপূর্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই উপরের লিখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করা যায় বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন পদ্ধতি সম্পর্কে সকল বিষয় বুঝতে পারবেন। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url