OrdinaryITPostAd

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি

 বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে আজকে আমরা ধাপে ধাপে জানবো। আবেদন করার জন্য কি কি তথ্য, কত টাকা লাগে সেই সাথে কিভাবে আবেদন করতে হয় সকল বিষয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করেছি আজকের এই টপিকে।

বিআরটিসি-বা-বাংলাদেশ-রেলওয়ে-চাকরির-অনলাইন-আবেদন-পদ্ধতি

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরিটি সরকারি একটি চাকরি হওয়ার কারণে এর চাহিদা বাংলাদেশে অনেক। তবে আবেদন করার পর অনেকের আবেদন শুধু বাতিল হয়ে যায় সঠিক ভাবে ছবি ও সিগনেচার আপলোড না করার কারণে। তাই সঠিক ভাবে আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ।

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি নিয়ে আজকে ছবি সহ বিস্তারিত ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। বিআরটিসি চাকরির আবেদন করার জন্য প্রথমেই যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ করতে হবে Br.Teletok এই কথাটি লিখে অথবা আপন চাইলে বাংলায় "বিআরটিসি চাকরি সার্কুলার" কথাটি লিখে সার্চ করে বিআরটিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন।

উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি অনেক গুলো অপশন দেখতে পাবেন। তার মধ্যে আপনাকে দুইটি অপশন খুঁজে বের করতে হবে। সেগুলোর একটি হচ্ছে সার্কুলার ও আরেকটি হচ্ছে অ্যাপ্লাই অপশন। আবেদন করার জন্য এই দুইটি অপশন লাগবেই কারণ সার্কুলার দেখে আপনাকে নির্বাচন করে নিতে হবে যে আপনি কোন পদে আবেদন করবেন অথবা আপনি যে পদের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটি ফাঁকা আছে নাকি নেই। এরপর সেই অনুযায়ী অ্যাপ্লাই অপশন থেকে আপনি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
সার্কুলার দেখার পর আবেদন করার জন্য আপনাকে অ্যাপ্লাই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এখন আমরা যে পদের জন্য আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়াটি দেখাবো সেটি হচ্ছে সহকারী স্টেশন মাস্টার পদ। আপনি একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার পছন্দ মত যেকোন পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন যে প্রতিটি পদের আবেদন প্রক্রিয়া প্রায় একই। তাই এখন আমরা সহকারী স্টেশন মাস্টার পদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া দেখবো।
বিআরটিসি-চাকরির-অনলাইন-আবেদনের-প্রথম-ধাপ
Apply অপশনটি ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে যে পদ গুলো ফাঁকা রয়েছে সেই পদের তালিকা দেখানো হবে। এবার আপনাকে সেই পদের উপর ক্লিক করে পরবর্তি ধাপে যেতে হবে। আমরা যেহেতু সহকারী স্টেশন মাস্টার পদের জন্য আবেদন করবো তাই এই পদের উপর ক্লিক করতে হবে। উক্ত সহকারী স্টেশন মাস্টার পদের উপর ক্লিক করার পর দেখবেন লিখা আসবে Are  you premium member of Alijobs? অর্থাৎ আপনি "আলিজব" এর প্রিমিয়াম মেম্বার কিনা। আমরা যেহেতু প্রিমিয়াম মেম্বার না তাই এখান থেকে No সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
বিআরটিসি-চাকরির-অনলাইন-আবেদনের-ফর্ম-পূরণ
নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে অনেক বড় একটি ফর্ম চলে আসবে। এবার আপনাকে মনোযোগের সাথে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। কোন প্রকার ভুল করা যাবে না। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ফর্মের ভেতর যে ফাঁকা ঘর গুলোতে স্টার চিহ্ন (*) দেওয়া রয়েছে সেই খালি ঘর অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আর যেগুলোতে এই স্টার চিহ্ন নেই সেই খালি ঘর পূরণ না করলেও চলবে। এখন আপনাকে মনোযোগ সহকারে এই খালি ঘর গুলোতে তথ্য গুলো দিয়ে পূরণ করতে হবে। সকল তথ্য দিয়ে দেওয়ার পর আপনাকে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।

বিআরটিসি চাকরির অনলাইন আবেদনের জন্য যে তথ্য গুলো প্রয়োজন

আমরা ইতিমধ্যমে জেনেছি যে বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন করার জন্য একটি বিশাল ফর্ম পূরণ করতে হয়। এই ফর্মে কি কি তথ্য দিতে হয়ে এটি আমাদের জানা উচিত। কেননা কি কি তথ্য লাগে এটি না জেনে আবেদন করতে বসলে পরে সেই তথ্য আপনার কাছে না থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে সেই তথ্যে অনুসন্ধান করার প্রয়োজন হতে পারে। যা একটি বিরক্তিকর কাজ বলে আমি মনে করি। এখন আমরা কি কি তথ্য প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে একটি তালিকা প্রকাশ করবো যা থেকে আপনি একটি স্পষ্ট ধারনা পেতে পারেন।

  • আপনার নাম
  • আপনার বাব ও মায়ের নাম
  • জন্ম তারিখ
  • জন্ম স্থান
  • লিঙ্গ
  • জাতীয়তা
  • জাতীয় পরিচয় পত্র (যদি থাকে)
  • জন্ম নিবন্ধন (যদি থাকে)
  • পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • ধর্ম
  • বৈবাহিক অবস্থা
  • কোটা
  • প্রতিবন্ধী কিনা
  • এই সেক্টরে আপন জন চাকরি করে কিনা
  • বর্তমান ঠিকানা
  • স্থায়ী ঠিকানা
  • মোবাইল নাম্বার
  • ইমেইল অ্যাড্রেস
  • SSC বা সমমান পরিক্ষার তথ্য
  • HSC বা সমমান পরিক্ষার তথ্য
  • স্নাতক বা সমমান পরিক্ষার তথ্য 
  • মাস্টার্স বা সমমান পরিক্ষার তথ্য (প্রয়োজন হলে)
  • কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেই তথ্য ইত্যাদি।

ছবি ও সিগনেচার আপলোড করার সঠিক পদ্ধতি

অনলাইন আবেদন করার সময় সব চেয়ে বেশি সমস্যায় যে বিষয়ে পড়তে হয় সেটি হচ্ছে ছবি ও সিগনেচার আপলোড করার সময়। অনেক সময় ছবি ও সিগনেচার সঠিক সাইজের না হওয়ার কারণে ছবি ও সিগনেচার ফর্মে ভালোভাবে ফিট হয়না এবং এই বিষয়টি অনেক ঝামেলায় ফেলে। এখন আমরা সহজ পদ্ধতিতে ছবি ও সিগনেচার আপলোড করার নিয়ম জানবো।
photopea-ব্যবহার-করার-নিয়ম
ছবি ও সিগনেচার আপলোড করার আগে এটিকে সঠিক মাপের করে নিতে হবে। এর জন্য আমরা একটি সফটওয়্যার এর সাহায্য নিতে পারি। সেটি হচ্ছে ফটোশপ। আর আপনার কাছে যদি এই সফটওয়্যারটি না থাকে তাহলে এর বিকল্প হিসেবে Photopea ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি ফটোশপ এর সকল কাজ করতে পারে এবং এটি ডাউনলোড করারও প্রয়োজন নেই বরং এটি ব্রাউজারেই ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করার জন্য যেকোন ব্রাউজারে গিয়ে Photopea লিখে সার্চ করতে হবে। 
photopea-ব্যবহার-করার-নিয়ম
প্রথমে Photopea ওপেন করে নিতে হব। এরপর Open from Computer এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার কম্পিউটারে যে জায়গায় আপনার আবেদনের জন্য ছবিটি রেখেছেন সেটি সিলেক্ট করে ফটোপিয়াতে ওপেন করে নিতে হবে। এরপর আপনি চাইলে কিছু এডিট করতে পারেন তবে না করলেও হবে। এরপর হাতের বাম পাশে File নামে যে অপশনটি আছে সেটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর অনেক গুলো অপশন আসবে তার মধ্যে Export as এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ছবির ফরমেট JPG বা PNG রেখে Width ও Height ৩০০ করে দিতে হবে। এরপর কোয়ালিটি ১০০% করে সেভ করে নিতে হবে। ঠিক একই নিয়মে সিগনেচারও এইভাবে ঠিক করে নিতে হবে। এখানে শুধু Width ৩০০ ও Height ১৮০ করে নিতে হবে।

পদের নাম ও বেতন স্কেল সম্পর্কে জানুন

পদের নামগ্রেডবতন (টাকা)
সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন)গ্রেড-৯২২০০০-৫৩০৬০
সহকারী পরিচালক (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা)গ্রেড-৯২২০০০-৫৩০৬০
সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল)গ্রেড-৯২২০০০-৫৩০৬০
সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল ও পরিচালন)গ্রেড-৯২২০০০-৫৩০৬০
সহকারী পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট)গ্রেড-৯২২০০০-৫৩০৬০
উপ-সহকারী পরিচালক (আইটি)গ্রেড-১০১৬০০০-৩৮৬৪০
উপ-সহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব)গ্রেড-১০১৬০০০-৩৮৬৪০
উপ-সহকারী পরিচালক (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা)গ্রেড-১০১৬০০০-৩৮৬৪০
উপ-সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল)গ্রেড-১০১৬০০০-৩৮৬৪০
উপ-সহকারী পরিচালক (লাইসেন্স)গ্রেড-১০১৬০০০-৩৮৬৪০
উপ-সহকারী পরিচালক (পরিদর্শন)গ্রেড-১০১৬০০০-৩৮৬৪০
ব্যক্তিগত কর্মকর্তাগ্রেড-১১১২৫০০-৩০২৩০
কম্পিউটার অপারেটরগ্রেড-১৩১১০০০-২৬৫৯০
হিসাবরক্ষকগ্রেড-১৩১১০০০-২৬৫৯০
ক্যাশিয়ারগ্রেড-১৩১১০০০-২৬৫৯০
অফিস-সহকারী- কাম কম্পিউটার অপারেটরগ্রেড-১৬৯৩০০-২২৪৯০
গাড়িচালকগ্রেড-১৬৯৩০০-২২৪৯০
ইলেকট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ানগ্রেড-১৮৮৮০০-২১৩১০
পরিচ্ছন্নতাকর্মীগ্রেড-২০৮২৫০-২০০১০
অফিস সহায়কগ্রেড-২০৮২৫০-২০০১০

কোন পদের জন্য কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে?

কোন পদের জন্য কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে এটি মূলত চাকরির সার্কুলারে দেওয়ায় থাকে তবুও একটি নির্দিষ্টি ধারনা দেওয়ার জন্য একটি সার্কুলার থেকে কোন পদের জন্য কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে এটি আপনাদের সামনে তুলে ধারা হলো। যেহেতু বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির বেশিভাগ সার্কুলার স্নাতক বা সমমান পরিক্ষায় নির্দিষ্ট নাম্বার পেয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় সেহেতু আমরা এই ধরণের কিছু সার্কুলার থেকে ধারনা নেওয়ার চেষ্টা করবো।
কোন-পদের-জন্য-কেমন-শিক্ষাগত-যোগ্যতা-লাগবে

বিআরটিসি চাকরির জন্য বয়সসীমা কত বছর?

বিআরটিসি চাকরির জন্য পরীক্ষার্থীর বয়স সার্কুলারের সময় অনুযায়ী ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে। পূর্বে ১৮ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকলেও ২০২৫ সালে তা সংস্করণ করে ১২ থেকে ৩২ বছর করে হয়েছে। আর এই বয়সটি  মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে উল্লিখিত জন্ম তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স গণনা করা হয়ে থাকে। তবে বলে রাখা ভালো যে প্রায় সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হয়না।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শর্তাবলী সম্পর্কে জানুন

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী থাকে এই শর্তাবলী যদি আপনার মধ্যে না থাকে বা আপনি যদি না মানতে চান তাহলে আপনি এই পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। সেই সাথে আপনার পরিক্ষার ফি এর টাকা ফেরত যোগ্য হবে না। তাই এখন আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কিছু শর্তাবলী সম্পর্কে জানবো।
বিআরটিসি-বা-বাংলাদেশ-রেলওয়ে-চাকরির-অনলাইন-আবেদন-পদ্ধতি
  • প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।
  • পদভেদে এসএসসি, এইচএসসি কিংবা স্নাতক পাস হতে হবে।
  • চালক বা কনডাক্টর পদের জন্য নির্দিষ্ট উচ্চতা, দৃষ্টিশক্তি ও স্বাস্থ্য মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।
  • চালক পদে আবেদন করতে হলে বৈধ ও আপ টু ডেট ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
  • চাকরি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পরিক্ষায় পাস করতে হবে।
  • পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় সকল সনদপত্র ও ছবি জমা দিতে হবে।
  • সরকারি চাকরির সাধারণ নিয়মকানুন ও নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে ইত্যাদি।

পরীক্ষার ফি ও এসএমএস পাঠানোর সঠিক নিয়ম

আবেদন করার পর আবেদনের কিছু ফি পরিশোধ করতে হয়। তা না হলে আবেদন গ্রহণ যোগ্য হয় না। ফি এর পরিমাণ হচ্ছে সর্বোনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে যা সম্পূর্ন নির্ভর করে পদের উপর ও টেলিটকের চার্জের উপর। তবে বলে রাখা ভালো এই ফি এর পরিমাণ সময়ের সাথে কম অথবা বেশিও হতে পারে। এখন আমরা এসএমএস পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে জানবো।

  • প্রথমে BR লিখে স্পেস দিয়ে আপনার ইউজার আইডি লিখে সেন্ড করতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।
  • এরপর  Applicant's Name, TK Will be charged as application fee. Your PIN is 12***** এই রকম মেসেজ পাবেন।
  • এরপর আপনাকে ফিরতি আরোও একটি মেসেজ পাঠাতে হবে।
  • মেসেজটি হবে এইরকমঃ BR স্পেস Yes স্পেস  PIN লিখে সেন্ড করতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।
উক্ত মেসেজ দেওয়ার আপনি ফিরতি আরোও একটি এসএমএস পাবেন সেটি হবে মূলত এইরকম  Congratulations আপনার নাম, Payment completed successfully Application for Post(আপনার পদের নাম) User ID is (আপনার ইউজার আইডি) and Password (*****) এই এসএমএস যখন পাবেন তখন আপনাকে বুঝতে হবে এবার আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ। এখন শুধু পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

মৌখিক পরীক্ষার জন্য কি কি  কাগজ জমা দিতে হয় জানুন

মৌখিক পরীক্ষার জন্য সাধারণত অনেক কাগজ পত্র জমা দিতে হয়। কারণ মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলে চাকরি প্রায় পাকাপোক্ত হয়ে যায় তাই এই সময় সকল কাগজ বিআরটিসি কতৃপক্ষ নিয়ে থাকে। এখন আমরা জানবো মৌখিক পরীক্ষার জন্য কি কি  কাগজ জমা দিতে হয় এই সম্পর্কে।
বিআরটিসি-বা-বাংলাদেশ-রেলওয়ে-চাকরির-অনলাইন-আবেদন-পদ্ধতি
  • সকল শিক্ষাগত মূল সার্টিফিকেট সহ একটি করে সত্যায়িত করা কপি।
  • আসল আবেদন পত্রের ফর্ম ও তার সত্যায়িত করা একটি ফটোকপি।
  •  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র বা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কাছে থেকে সত্যায়িত করা সনদ পত্র।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত করা একটি ফটোকপি ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ সার্কুলার প্রতিবছর একই থাকে না তাই কাগজ পত্রের ধরণের পরিবর্তন হতে পারে। ঠিক এই কারণে সার্কুলার ভালো ভাবে পড়ে কি কি কাজগ লাগবে এটি জেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পরিশেষেঃ বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি

বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা আশা করি যে আপনি যদি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করেন তাহলে কোন ঝামেলা ছাড়াই সহজেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলতে পারবেন। আবেদন করার সময় সব চাইতে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন সকলে হয়ে থাকেন সেটি হচ্ছে ছবি ও সিগনেচার নিয়ে। আমরা এই বিষয়েও ছবি সহ ব্যাখ্যা করেছি। এছাড়াও পরীক্ষার ফি ও এসএমএস পাঠানোর সঠিক নিয়ম ও  পরীক্ষার শুরু থেকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য কি করতে হয় এই সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই উপরের লিখাটি ভালো ভাবে পড়লে আশা করা যায় যে বিআরটিসি বা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরির অনলাইন আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। 250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url