OrdinaryITPostAd

কোরবানি কাদের উপর ওয়াজিব - কোরবানি কার নামে দিতে হয়

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হবে। একজন মুসলমানের ওপর কুরবানী কখন ওয়াজিব হয়? তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার তা সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলে বলা হবে। 

তো চলুন তাহলে কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। কুরবানী কার উপর ওয়াজিব এবং কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার ছাড়াও আরো জানতে পারবেন কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া, কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় তা সম্পর্কে। 

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: কুরবানী কার উপর ওয়াজিব - কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার  

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব 

মুসলমানদের একটি ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদ উল আযহা। এ সময় আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য গরু, খাসি দুম্বা, উট বা নির্দিষ্ট কোন প্রাণীকে কুরবানি করা হয়। তবে আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের কুরবানি দেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। যার ওপর ওয়াজিব সেই ব্যক্তির কুরবানী দিতে হবে। 

আরো পড়ুন: ১০টি কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কি কি জানুন

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া, কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া তে এ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তো চলুন তাহলে দেখে নেই কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া সম্পর্কে কী জানা যায়। কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া: 

আরো পড়ুন: কোরবানি কি ও কেন - কোরবানি কেন দেওয়া হয় - কুরবানি কেন করা হয়

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া হতে জানা যায় যে কোনো ব্যাক্তির কাছে যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ থাকে বা উক্ত পরিমাণ সম্পদের মালিক হন তাহলে সে ব্যাক্তির জন্য কুরবানী দেয়া অত্যাবশ্যক। বর্তমান বাজার অনুযায়ী সাড়ে বায়ান্ন তোলা স্বর্ণের মূল্য ৫৮,১৭০ টাকা। 

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার এবং কুরবানী কখন ওয়াজিব হয়

আপনারা অনেকেই কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যারা কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের কে এই ধাপে কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার সম্পর্কে বলা হবে। কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার:

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার হতে জানা যায়, কোনো ব্যাক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার ওপর কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব। নিসাব পরিমাণ সম্পদের পরিমাণ এর কথা আগেই বলেছি। এছাড়াও কুরবানী দিতে হলে প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে। 

আরো পড়ুন: কুরবানির ঈদ ২০২২ - ঈদুল আজহা ২০২২ কত তারিখে বাংলাদেশ

টাকা পয়সা, স্বর্ণ, রূপা, জমি, অতিরিক্তি বাড়ি, অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সবকিছুই নিসাব এর হিসাবযোগ্য। কুরবানীর তিন দিন যদি কোনো ব্যাক্তির নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলেই ঐ ব্যাক্তির ওপর কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যাবে। এজন্য সাড়া বছর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি নয়। 

কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় 

কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আহলে হক মিডিয়া ও কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার সম্পর্কে তো এতক্ষনে জানলাম। এখন বলা হবে কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় এটাও জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনার ওপর কুরবানী ওয়াজিব না হলে আপনার কুরবানী না দিলেও চলবে। আর যদি আপনার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই কুরবানি দিতে হবে।

  • যদি কোনো ব্যাক্তি অসুস্থ মস্তিষ্ক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হয়ে থাকে কিন্তু নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য কুরবানী ওয়াজিব নয়। তবে তার পক্ষ থেকে তার মা বাবা নিজ সম্পদ দিয়ে দিতে পারবেন।
  • কুরবানীর তিন দিনে মুসাফির কোনো ব্যাক্তির জন্য কুরবানী ওয়াজিব করা হয় নি। ৪৮ বা ৭৮ মাইল যাওয়ার জন্য নিজ এলাকা ত্যাগ করলে তাকে মুসাফির বলে।  
  • দরিদ্র কোনো ব্যাক্তি যে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন। তার জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব করা হয় নি। কিন্তু তারা যদি কুরবানী করার নিয়তে কোনো নির্দিষ্ট পশু কিনে কুরবানী দেয় তাহলে তার কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যাবে। 
  • কোনো ব্যাক্তি যদি কুরবানীর পশু কিনে রাখেন এবং সেই পশু যদি চুরি হয়ে যায় তখন উক্ত ব্যাক্তি ধনী হলে তার আরেকটি পশু কুরবানী দিতে হবে। আর যদি গরীব হয় তাহলে তার জন্য কুরবানী ওয়াজিব নয়। 

কুরবানী করা কি ওয়াজিব এবং কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

কুরবানী করা ওয়াজিব। কারো কাছে যদি কুরবানীর তিন দিন নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব। আর যদি সাড়া বছর ই তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে তার ওপর যাকাত দেয়া ফরজ। অতএব জাকাত দেয়া ফরজ আর কুরবানী দেয়া ওয়াজিব। 

কুরবানী করা কি ওয়াজিব এবং কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব তা আপনাকে বলা হয়েছে। কুরবানী করা কি ওয়াজিব এবং কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব আশা করি তা জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা: কুরবানী কার  উপর ওয়াজিব - কুরবানী কার উপর ওয়াজিব আলকাউসার

বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে তারাও জানতে পারে কুরবানী কখন ওয়াজিব হয় তা সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আজ আর নয়। ২২০৭০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url