OrdinaryITPostAd

স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে - স্বৈরাচারী নেতৃত্ব কি জানুন

স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? এটি একটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। কিন্তু  স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এই আর্টিকেলে  স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে  স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? তা জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে

স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালেঃ উপস্থাপনা

বাংলাদেশের স্বৈরশাসক ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সেনাপ্রধান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। দীর্ঘ আন্দোলন করার পরে তার স্বৈরশাসন এর অবসান ঘটে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিল। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা  স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? এ বিষয়ে জানব।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জাতীয় আয়কর দিবস কবে - আয়কর দিবস কেন পালিত হয়

এছাড়া স্বৈরাচারী শব্দের অর্থ কি? স্বৈরাচারী নেতৃত্ব কি? সহ আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকে এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন আমাদের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

স্বৈরাচারী শব্দের অর্থ কি?

বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে কত সালে? তা জানার আগে আপনাকে প্রথমে স্বৈরাচারী শব্দের অর্থ কি তা জেনে নিতে হবে। তাহলে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় আপনার সহজ হবে। একজন ব্যক্তির শাসন হচ্ছে স্বৈরতন্ত্র। এটি একটি বিশেষ ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা যিনি দেশের জনগণ সংবিধান আইন রীতিনীতি গ্রহণ না করে এককভাবে ক্ষমতায় গ্রহণ করেন।

এর সাথে তার একক নির্দেশনায় দেশকে শাসন করা হয় তাই সে শাসনব্যবস্থাকে এই স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। যখন একটি রাষ্ট্রের একজন ব্যক্তির ক্ষমতার মাধ্যমে শাসন বিভাগের সকল কাজ সম্পন্ন করা হয় তখন তাকে স্বৈরশাসন বলে। যে নেতা দেশের সকল নিয়ম-কানুনকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং দেশ পরিচালনা করে তাকেই স্বৈরাচারী বলে।

স্বৈরাচারী নেতৃত্ব কি?

বাংলাদেশের স্বৈরশাসক ছিলেন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। ইতিমধ্যে স্বৈরাচারী শব্দের অর্থ কি? এই বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। স্বৈরাচারী নেতৃত্ব কোন নেতা যখন সকল ক্ষমতা নিজের কাছে রাখে এবং ইচ্ছামতো তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং দেশ পরিচালনা করে তাকেই স্বৈরাচারী নেতৃত্ব বলা হয়।

স্বৈরাচারিনী দূরত্ব হলো এমন এক ব্যবস্থা যেখানে সকল ক্ষমতার উৎস এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে। দেশের সকল ধরনের ক্ষমতা সহ এক ব্যক্তির দ্বারা সরকার ব্যবস্থা কে বলা হয়। যেখানে সরকারের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থাকে একজন ব্যক্তির ওপর।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস এর ইতিহাস - ডায়াবেটিস রোগের ৬ লক্ষণ

স্বৈরতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য -  স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালেঃ

  • একক ব্যক্তির সরকার যা সামরিক ও পেশাদার হতে পারে।
  • সমস্ত রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক এবং সামরিক ক্ষমতা ধারণ করে।
  • স্বৈরতান্ত্রিক দেশ কোন বিরোধী দল থাকতে পারে না।
  • এ ধরনের শাসন ব্যবস্থা কে বলা হয় রাজতন্ত্র অর্থাৎ একনায়কতন্ত্র।
  • এ সরকার গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় না।

স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে

১৯৯২ সালের ২৪শে মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন তখন থেকেই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এর সূচনা করা হয়। সেসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপির মনোনীত ও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বিচারপতি আব্দুল সাত্তার। হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে সামরিক আইন জারি করেন।

ওই আইনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিল ছাত্রসমাজ। বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলে সেনাবাহিনীর হামলায় বেশ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী নিহত হয়েছিলেন। তখন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ এর বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।

হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ যখন বাংলাদেশের ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করে তখন থেকে তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন শুরু করা হয়েছিল। যতদিন হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় ছিল ততদিনে আন্দোলন চলেছিল। সকল ধরনের ছাত্রসংগঠন মিলিত হয়ে শক্তিশালী আন্দোলন শুরু করেন যেখানে সেনা বাহিনী সমর্থিত জেনারেল এরশাদ টিকতে পারেনি।

হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ ঘোষণা করে এবং ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সবথেকে আলোচিত ব্যক্তি হলেন নূর হোসেন। যিনি ইতিহাসের পাতায় এখনো রয়ে গিয়েছেন এবং যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তিনিও থাকবেন।

দীর্ঘ 9 বছর পরিচালিত আন্দোলন ১৯৯০ সালে এসে গণ আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। এই কোন আন্দোলনের চাপে হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। তাহলে  স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? এ প্রশ্নের উত্তর হবে স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।

স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে স্বৈরাচারী শব্দের অর্থ কি এবং স্বৈরাচারী নেতৃত্ব সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এখন আমরা স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করব। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা হলো একজন ব্যক্তির দ্বারা শাসন ব্যবস্থা। যেখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে একজন ব্যক্তি ক্ষমতাধর থাকে। এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কোন ধরনের বিরোধী দল থাকে না।

একজন ব্যক্তি দেশের কোন ধরনের নিয়ম কানুন না মেনে তার ইচ্ছামত দেশ পরিচালনা করে। এখানে মানুষের কোন ধরনের স্বাধীনতা থাকে না সেই শাসনব্যবস্থাকে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। এখন আমরা স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস কবে - বিশ্ব শিশু দিবস ২০২২

১। এ ধরনের শাসন ব্যবস্থা তে মানুষ তার মু্ক্তচিন্তা ব্যক্ত করতে ভয় পায়।

২। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।

৩। রাষ্ট্রীয় সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৪। মানুষের চলাফেরা কথাবার্তা বলার কোন ধরনের স্বাধীনতা থাকে না।

৫। দরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় এবং সরকারের সমালোচনা করলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে গণ্য করা হয়।

স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালেঃ শেষ কথা

 স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে কত সালে? এছাড়া স্বৈরাচারী সম্পর্কে আরো অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। আশা করি আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url