OrdinaryITPostAd

১৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার - সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমরা আলোচনা করব ২০২২ সালের ১৫ টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর ব্যাপারে। আধুনিক যুগে আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন ধরনের সোসিয়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর সাথে জড়িত। এবং সেই সাথে আমরা প্রায় সবাই আমাদের ভালো লাগার কোনো মুহূর্ত বা কোথাও ঘুরতে গেলে আমরা যে যতটুকু পারি ভিডিও করে থাকি এই ভিডিওগুলো ফেইসবুক অথবা ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্ম আপলোড করে থাকি। এবং আমাদের আশেপাশে এরকম অনেকেই আছেন যারা ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারে নিজেকে প্রফেশনাল "ইউটিউবার/ট্রাভেল ব্লগার/ফুড ব্লগার" হিসেবে পরিচয় দিতে চান। এবং তাদের সবারই নিজেদের ভিডিওগুলো নিজেদেরকেই অনেক ভালো ভাবে এডিট করতে হয় যেনো সবাই তাদের ভিডিওগুলো দেখে বা পছন্দ করে তাই তাদের ভিডিও এডিটিং এর ব্যাপারে অনেক  দক্ষ হতে হয়।


আর আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা হালকা-পাতলা ভিডিও এডিটিং করতে পারে এবং ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে আপলোড করে আর সে ভিডিওগুলো দেখতে মোটামুটি ভালই লাগে। এবং এইটা দেখে অনেকেই মনে করে তাদেরও ভিডিও গুলো যদি এডিট করে পোস্ট করা হতো তাহলে হয়তো ভিডিওটা দেখতে ভালো লাগতো এবং এর পাশাপাশি লাইক, কমেন্ট টাও একটু বেশি পড়তো। কিন্তু প্রথম অবস্থায় তেমন কারোই সেইরকম ধারণা থাকেনা ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে এবং কোন সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিটিং করলে ভালো হবে বা কিভাবে এডিট করলে ভালো হবে এইটা নিয়ে খুব চিন্তায় পরে যায়, তাই আজকে আমি ১৫টি ভিডিও এডিটিং সফটয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাদের সবার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে সম্পুর্ণ ধারণা ক্লিয়ার করে দিবে যে কোন কোন সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করা যায়।


পেজ সুচিপত্রঃ


ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং ম্যাক)

১।  Adobe Premiere Pro

যারা ভিডিও এডিটিং-এর ব্যাপারে অনেক আগ্রহী এবং গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করেছেন তারা নিশ্চয় এই Adobe Premiere Pro-এর নাম শুনেছেন অথবা দেখেছেন। এটি এমন একটি সফটওয়্যার যা সবাই ব্যবহার করে সারা বিশ্বের যতো বড় বড় ইউটিউবার, ট্রাভেল ব্লগার, ফুড ব্লগার আছেন তাদের প্রায় সবাই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও Hollywood এর মতো বড় বড় মুভি ইন্ডাস্ট্রিজের বেশির ভাগ মুভিগুলোর পোস্ট-প্রডাকশনের কাজ গুলোর জন্য এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে।


কারণ এই সফটওয়্যার অনেক Advance এবং User-Interface টা একটু জটিল লাগতে পারে প্রথম প্রথম কিন্তু কাজ করতে করতে সব সহজ মনে হয়ে যাবে। এই সফটওয়্যার সবাই ব্যবহার করার পিছনে অনেক কারণ আছে, যেমনঃ- অনেক ভালো রেজুলেশন (4K)-এ এডিট করে এক্সপোর্ট করা, মাস্কিং করা, অবজেক্ট কি-ফ্রেমিং করে অ্যানিমেট করা, ক্রোমা-কির মাধ্যমে Green Studio-র ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা, কালার গ্রেডিং করা, কাস্টমাইজ ট্রাঞ্জিশান, নতুন ইফেক্ট অ্যাপ্লাই করা, সাউন্ড মিক্সিং এবং এইরকম আরো বেশ কিছু চমৎকার ফিচার আছে যা ভিডিও এডিটিং-এর এক্সপেরিয়েন্স এবং কাজ করার আগ্রহটা আরো অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়।


Adobe Premiere Pro-এমনই একটা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেটা নিয়ে কথা বলা শুরু করলে হইতো সহজে শেষ হবেনা। তাই যারা মনে করছেন যে ভিডিও এডিটিং শুরু করতে কোন সফটওয়্যার দিয়ে শুরু করবেন তারা চোখ বন্ধ করে এই Adobe Premiere Pro সিলেক্ট করতে পারেন। সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মধ্যে Adobe Premiere Pro একটি।

এই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে কিনে নিতে হবে। তবে আপনি চাইলে সফটওয়্যার টি না কিনে প্রথমে ৭ দিন ফ্রি ব্যবহার করে দেখতে পারেন তারপর ভালো লাগলে কিনে ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে গেলে প্রতি মাসে আপনাকে $ ২০.৯৯ ডলার পে করতে হবে এছাড়াও আরো অনেক আরো কিছু পার্চেস প্ল্যান আছে যেইটা Adobe-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।

Support Operating System:- Windows, Linux & IOS 

Adobe Premiere Pro সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন



২। DaVinci Resolve

DaVinci Resolve- ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি এখন মোটামোটি প্রায় জনপ্রিয়। এই সফটওয়্যারটি রিলিজ হয় ২০০৪ সালে এবং ২০০৯ সালে "Blackmagic Design" ডিজাইন করে। এই সফটওয়্যার এর ফিচারগুলো প্রায় Adobe Premiere Pro-এর মতো তবে কিছু ফিচার আছে যেইগুলো Adobe Premiere Pro-এ নেই।


এই সফটওয়্যার টি নতুন জন্য এমন একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা দিয়ে 8K রেজুলেশন ভিডিও এডিটিং, ইউনিক ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, কালার কারেকশন-গ্রেডিং এবং অডিও এডিটিং সহ আরো ফিচার আছে যা ভিডিও এডিটিং-কে অনেক সহজ করে তোলে। এই সফটওয়্যারের আরেকটা বাড়তি বৈশিষ্ট্য হলো এটিতে Node Base-এডিটিং প্যানেল আছে, যারা নতুন ভিডিও এডিটিং শিখতে চাচ্ছেন তারা এই Node Base-এডিটিং প্যানেল টি নাও বুঝতে পারেন। কিন্তু যারা কাজ করেন বা Node Base সফটওয়্যারে কাজ করেছেন তারা জানেন Node Base-প্যানেলে কাজ করার মজা আলাদা। তাই অনেকেই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পছন্দ করছেন।

আর মজার ব্যাপার হলো অনেক বড় বড় ক্রিয়েটর রা এখন Adobe Premiere Pro থেকে Davinci Resolve-এ শিফট করছে। তার মানে এই না যে Adobe Premiere Pro ভালো না, এইটা বলার কারণ হলো সব সফটওয়্যার ভালো কিন্তু যার কাছে যেইটা ব্যবহার করতে ভালো লাগে। তবে আমার কাছে মনে হয় Davinci Resolve সফটওয়্যার টা Adobe Premiere Pro-র থেকেও অনেক কঠিন। তবে আপনার যদি মনে হয় আপনি খুব সহজে এই সফটওয়্যারটিকে নিজের আয়ত্তে করে নিতে পারবেন তাহলে এই সফটওয়্যারটি দিয়েই আপনার ভিডিও এডিটিং-এর যাত্রা শুরু করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি আপনি ফ্রি ভার্শন টা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আর আপনার যদি মনে হয় এই সফটওয়্যারটির ফুল ভার্শন টাই লাগবে সেক্ষেত্রে আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে থেকে পার্চেস করতে পারেন। সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে আপনি DaVinci Resolve দিয়ে ভিডিও এডিটিং শুরু করতে পারেন।

Support Operating System:- Windows, Linux & IOS

DaVinci Resolve সফটওয়্যার টি ফ্রি/পেইড ভার্শন ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৩। Wondershare Filmora

Wondershare Filmora-এই সফটওয়্যারটি এখন বেশ জনপ্রিয় প্রায় সবার কাছে। কারণ এই সফটওয়্যারটি অনেক লাইট বা হাল্কা অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো ভারি না। Adobe Premiere Pro বা Davinci Resolve-এর মতো অ্যাডভান্স সফটওয়্যারে এডিটিং করতে হলে একটু ভালো মানের পিসি দরকার, যদি আপনার পিসি একটু লো বাজেটের বা কম কনফিগারেশনের হয়ে থাকে তাইলে এডিটিং এর সময় অনেক হ্যাং করবে। কিন্তু Wondershare Filmora সফটওয়্যারে এই সমস্যা হয়না। 

আপনার যদি লো বাজেটের বা কম কনফিগারেশনের হয়ে থাকে তাইলে এই সফটওয়্যারটি আপনার জন্য। এই সফটওয়্যারের User Interface-টা অনেক সুন্দর এবং এটি ব্যবহার করাও অনেক সহজ। এই সফটওয়্যারের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে যে এই সফটওয়্যারের Default কিছু Transition, LUT, Effect এবং Control Panel আছে যা দিয়ে অনেক সজহেই যে কোন ভিডিও অনেক সুন্দর করে এডিটিং করা যায়। এই সফটওয়্যারে আপনি খুব সহজে কোন ভিডিও ক্লিপের বাড়তি অংশ কেটে ফেলা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করা, স্লো-মোশান ভিডিও এক্সপোর্ট করার পাশাপাশি Chroma Key-র মতো ইফেক্ট ব্যবহার করে Green Studio-র ভিডিও ক্লিপ গুলো এডিট করা যায়। 


যারা খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি এডিটিং শিখে কাজ করতে চান তাদের জন্য Wondershare Filmora-টি বেস্ট। এইটা দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবেই এডিটিং করতে পারবেন। সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে এটি আপনার জন্য বেস্ট। আর এর Default Feature গুলো দিয়ে এডিট করতে পারলে আপনার ভিডিওর লেভেল টা অন্য পর্যায়ে চলে যাবে। এই সফটওয়্যারটি ফ্রি ভার্শন এবং পেইড ভার্শন উভয় Available আছে। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো যে কোন ভার্শন ব্যবহার করতে পারেন তবে পেইড ভার্শনে আপনি সব ধরণের আপডেট ফিচার গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

Support Operating System:- Windows, Linux & IOS

Wondershare Filmora-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৪। PowerDirector

PowerDirector সফটওয়্যারটি অনেকটাই Filmora-র মতো এইটার User Interface-টাও প্রায় একইরকম। এই সফটওয়্যার টিও বেশ ভালোই জনপ্রিয় এবং অনেক সহজ। যেহেতু PowerDirector সফটওয়্যারটি Filmora-র মতো সেহেতু এটিরও Default সব Transition, Effect, LUT, Control Panel আছে যার আরণে খুব সহজে ভিডিওর অপর এই ফিচার গুলো অ্যাপ্লাই করা যায়। 

তবে এইটার একটা এক্সট্রা ফিচার আছে যেটা Filmora-তে নাই, সেইটা হলো ক্লাউড স্টোরেজ। যা আপনার কাজ করা ফাইল গুলো গুগল ড্রাইভের মতো করে সেভ করে রাখবে এবং আপনি সেইগুলোকে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে যখন তখন অ্যাক্সেস নিতে পারবেন। এবং এইটার কারণে আপনার প্রোজেক্ট ফাইল কোথায় সেভ করে রাখছেন এইটা নিয়ে আপনার কোন চিন্তা থাকবেনা।

কারণ অনেক সময় দেখা যায়, আপনার পিসির হার্ড ডিস্কের কোন একটা ড্রাইভের ফোল্ডারে সেইটা সেভ করা আছে। এবং কোন কারণে কিছু দিন পর অথবা কয়েকমাস পর আপনার হার্ড ডিস্ক নস্ট হয়ে গেলো তখন সেই ফাইল গুলোও ডিলিট হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে আপনি চাইলেও ওই প্রোজেক্ট টা আর পাবেন না। তাই আপনার ফাইল গুলো যদি ক্লাউড স্টোরেজে থাকে তাইলে আপনার কোন চিন্তা থাকবেনা। সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে এই সফটওয়্যারটি বেশ ভালো।

এখন আসল কথাই আসি, আপনি যদি PowerDirector দিয়ে ভিডিও এডিট করতে চান তাইলে শুরু করতে চান। এই সফটওয়্যারের ফ্রি এবং পেইড ভার্শন দুইটাই আছে। আপনি ফ্রি ভার্শন ব্যবহার করার পর যদি ভালো লাগে তাইলে পেইড ভার্শন পার্চেস করতে পারেন।

Support Operating System:- Windows & IOS

PowerDirect-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৫। Camtasia

Camtasia সফটওয়্যারটি বেশ জনপ্রিয় ছিলো এবং এখনো মোটামোটি আছে। এবং এই সফটওয়্যারটি বেশ সহজ, আর এইটা দিয়ে এডিটিং করতেও ভালো লাগে। এই সফটওয়্যার এর বেশ কিছু ফিচার আছে Filmora আর PowerDirector এর মতো নিজস্ব ফিচার আছে কিন্তু কিছু ফিচার কম আছে। তবে যারা এক্কেবারে ভিডিও এডিটিং-এর ব্যাপারে তেমন কিছুই জানেন না তাদের জন্য এই সফটওয়্যারটি দিয়েই ভিডিও এডিটিং শুরু করতে পারেন। 

অনেক সহজেই যে কোন ভিডিওর নয়েজ রিমুভ, অতিরিক্ত ক্লিপ বাদ দেওয়া, Default ফিচার গুলো ব্যবহার করে ভিডিও টার মুড চেঞ্জ করা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করে এক্সপোর্ট করা। এই সফটওয়্যার এর একটা বিশেষায়িত ফিচার আছে যেইটা অন্য কোন সফটওয়্যারে নাই। এই সফটওয়ারে স্ক্রিন রেকর্ড নামের একটা ফিচার আছে যেইটা দিয়ে আপনি আপনার ডিস্প্লের সব মুভমেন্ট বা টিউটরিয়াল ধরণের ভিডিও বানাতে পারবেন। সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে এই সফটওয়্যারটি আপনি সিলেক্ট করতে পারেন।


এই সফটওয়্যারটি ফ্রি এবং পেইড ভার্শন আছে। আপনার সুবিধা মতো যে কোন একটা ভার্শন ব্যবহার করতে পারেন।

Support Operating System:- Windows & IOS

Camtasia-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৬। Pinnacle Studio

Pinnacle Studio সফটওয়্যার এর ব্যাপারে বলতে গেলে এইটা Adobe Premiere Pro এবং Filmora সফটওয়্যার এর কম্বিনেশন। কারন এইটার User Interface টা দেখতে অনেক টা Filmora সফটওয়্যারের মতো কিন্তু ভিতরের ফিচারগুলো Adobe Premiere Pro-এর মতো। বিশেষায়িত ফিচার গুলোঃ- যেকোন ফোল্ডার, স্টপ-মোশন, স্ন্যাপশট বা মাল্টিক্যাম থেকে ভিডিও খুব সহজে ইম্পোর্ট করা যায়। 

এবং 4k রেজুলেশনের ভিডিও সরাসরি ইম্পোর্ট করা যায়, এইছাড়াও Advance Effects (Keyframing, Nested Clip),  Color Grading, LUTs, Blend Modes, Chroma-Keying, Stabilization, Titling, Audio Editing (Noise Remove)-এইধরনের কাজ গুলো খুব সহজেই করা যায়। এই ফিচার গুলো ব্যবহার করে আপনার ভিডিও-র একটা প্রফেশনাল মুড আনতে পারেন।

এই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করতে আপনার পিসির কনফিগারেশন মোটামুটি ভালো হতে হবে। কারণ এই সফটওয়্যারের ফিচার গুলো প্রসেসিং করতে প্রসেসর, র‍্যাম ও গ্রাফিক্স কার্ড এর অপর অনেক চাপ পরে। তাই কম কনফিগারেশন এর পিসি তে এইটা চালানো একটু সমস্যা হতে পারে। এবং এই সফটওয়্যারটি আপনি প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আর এই ট্রায়াল ভার্শনে আপনি সব ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না। কিছু কিছু লিমিটেড ফিচার থাকবে শুধু ফ্রি ট্রায়াল ভার্শনের জন্য প্রযোজ্য। তাই সব ফিচার গুলোর অ্যাক্সেস নিতে আপনাকে পেইড ভার্শন গুলো কিনতে হবে।

Support Operating System:- Windows & IOS


Pinnacle Studio-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন


আরো পড়ুনঃ ল্যাপটপ স্লো হলে করণীয় - ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায়

৭। Video Editor (Win 10-11)

এতক্ষন ধরে আমরা সবাই জানলাম থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের ব্যাপারে। কিন্তু এখন যেই সফটয়্যারের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো সেইটা হলো Video Editor যা Windows 10 বা Windows 11-এ Default ভাবেই ইন্সটল করা থাকে ।এইটা এক্কেবারে ফ্রি আর আমি মনে করি বেসিক এডিটিং করার জন্য থার্ড পার্টি সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করার দরকার নাই, এই Video Editor-ই যথেষ্ট। বেসিক এবং সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে এইটা বেস্ট।

এইটা দিয়ে আপনি আপনার যেকোন ভিডিওর এক্সট্রা ক্লিপ কাটছাট করা, হাল্কা পাতলা ট্রাঞ্জিশন করা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করা এই ধরণের ছোট খাটো এডিটিং করতে পারবেন। আর এইটার User Interface টা অনেক সহজ আর User Friendly তাই মনে করি যেকেউ এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে যেকোন কনফিগারেশনের কম্পিউটার হলেই হবে ভালো মানের পিসি/ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না হলেও চলবে।

৮। Nero Video

Nero Video এই সফটওয়্যারের ব্যাপারে যদি বলা শুরু করি তাইলে শেষ করা যাবেনা। কারণ এই সফটওয়্যারের সাথে জড়িত আছে অনেক ছোটবেলার স্মৃতি। যেমন আগে আমাদের ছোটবেলাই সেই সময় আশেপাশের কোন বিয়ে, জন্মদিন বা যেকোন ছোটখাটো অনুষ্ঠান করলে সেইটা ভিডিও করে ডিভিডি ক্যাসেট বা ডিস্কে সংরক্ষণ করে রাখা হতো। এবং সেই ভিডিও গুলো তখন এডিট করা হতো Nero Video সফটওয়্যার দিয়ে।


এবং এই সফটওয়্যারটির নিজস্ব সব ট্রাঞ্জিশন, ইউনিক ইফেক্ট, টেমপ্লেট আছে তাই খুব সহজে এইগুলো আপনি আপনার ভিডিও তে ব্যবহার করতে পারবেন। আর এইটার User Interface টা অনেকের কাছেই একটু কঠিন মনে হয় কিন্তু ব্যবহার করতে করতে সব সহজ মনে হয়। 


আর এইটার সব থেকে ভালো দিক হলো আপনি এই সফটওয়্যারে 4k, Full HD এবং SD সব ধরণের রেজুলেশনের ভিডিও এডিটিং করা যায় এবং এক্সপোর্ট করার পর ডাইরেক্ট ডিভিডি-ডিস্কে সেই ভিডিও ফাইলটি Burn করা যায়। যেইটা অন্যান্য সফটওয়্যারে করা যায়না। তাই  এই সফটওয়্যারকে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলা যায়।

Support Operating System:- Windows, Linux & Mac

Nero Video-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৯। Magix Movie Edit Pro

Magix Movie Edit Pro-এই সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলার আগে এইটাই বলবো যে যদি আপনার পিসি/কম্পিউটার একটু ভালো কনফিগারেশনের হয়ে থাকে তাইলে এই সফটওয়্যারটি আপনার জন্য। এই সফটওয়্যারটি অনেক Advance তাই এটার ফিচার গুলোও অনেক বেশি। যেমনঃ মোশন ট্র্যাকিং, ক্রোমা-কি, ডিফল্ট কিছু টাইটেল অ্যানিমেশন টেমপ্লেট, মাল্টিক্যাম ভিডিও এডিটিং, কালার কারেকশান/গ্রেডিং, 3D এডিটিং, অডিও এডিটঃ নয়েজ রিমুভ, রিমুভ ক্যামেরা সাউন্ড নয়েজ, স্টেরিও এফএক্স, রিভার্ব ও ইকো ইফেক্ট এছাড়াও অনেক ভ্যারাইটির এলিমেন্ট সাউন্ড টেমপ্লেট আছে যেমনঃ পানি, বাতাস, হল রুমের চিল্লাচিল্লি, রাস্তার নরমাল নয়েজ এই ধরণের বেশ কিছু সাউন্ড টেমপ্লেট আছে যে গুলো আপনি অনেক সহজেই ব্যবহার করতে পারেন আপনার নিজস্ব ভিডিও তে।

এবং সেই ভিডিও টিতে একটা সিনেম্যাটোগ্রাফি টাইপের একটা ফিল দিতে পারেন। এবং আরো একটা মজার ব্যাপার হলো এই সফটওয়্যারে আপনি ৩৬০ ডিগ্রী ভিডিও গুলি খুব সহজেই এডিট করতে পারেন যেইটা অন্যান্য সফটওয়্যারে অনেক কঠিন হয়ে যায়। এবং Full HD, 4K সহ অনেক বেশি রেজুলেশনের ভিডিও গুলোও এই সফটওয়্যারে খুব সহজেই এডিট করা যায়। তাই আপনি  এই সফটওয়্যারকে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলতে পারেন।

আর তাই আপনি যদি জানতে চান যে ভিডিও এডিটিং এর জন্য এই সফটওয়্যারটি ঠিক হবে কিনা, তাইলে আমি বলবো "অবশ্যই" আপনি চোখ বন্ধ করে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে ভিডিও এডিটিং শুরু করতে পারনে। তবে এই সফটওয়্যার টি ফ্রি ট্রায়াল হিসেবে আপনি ৩০দিন ব্যবহার করতে পারবেন তবে ফ্রি ভার্শনে সব ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই ফুল ভার্সন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হলে আপনাকে সফটওয়্যারটি কিনেই ব্যবহার করতে হবে।

Support Operating System:- Windows

Magix Movie Edit Pro-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১০। HitFilm Pro

HitFilm Pro-এই সফটওয়্যার টি শুধু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার না এটিকে ভি.এফ.এক্স. ও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলে। কিন্তু কেন বলে চলুন আমরা একটু বিস্তারিত টা জেনে নেই। প্রথম কথা হলো যতো গুলো সফটওয়্যার আছে প্রায় সব সফটওয়্যারেই একি ধরণের কাজ হয়ে থাকে, User Interface টাও দেখতে একই রকম এবং এইটাতেও ঠিক একই কাজ গুলা হয়ে থাকে। যেমনঃ ভিডিও কাটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করা, টাইটেল অ্যানিমেশন, ইন্ট্রো টেমপ্লেট, কালার কারেকশান/কালার গ্রেডিং, ক্রোমা-কী, অডিও এডিটিং, নয়েজ রিমুভ ইত্যাদি।


কিন্তু এই সফটওয়্যারে কিছু ইউনিক ফিচার আছে যেমনঃ- 3D Model অ্যাড করা, লেন্স ফ্লেয়ার, লাইটিং ইফেক্ট, 3D Particle ইফেক্ট, অটো ভিডিও স্ট্যাব্লাইজার, নিওন প্যাথ ইফেক্ট, 3D ক্যামেরা ইফেক্ট এইরকম আরো বেশ কিছু অসাধারণ ইউনিক ফিচার আছে যার কারণে এই সফটওয়্যারটি কে ভি.এফ.এক্স. ও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলে।

HitFilm Pro-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারকে একটা ফুল প্যাকেজ বললে ভুল হবেনা। তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং-এর অপর অনেক বেশি ইন্টারেস্টেড হয়ে থাকেন আর এর পাশাপাশি ভি.এফ.এক্স. এর প্রতি খুব আগ্রহী হয়ে থাকেন তাইলে এই সফটওয়্যারটি আপনার জন্য বেস্ট চয়েস হয়ে পারে। তাই  এই সফটওয়্যারকে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলা যায়।

Support Operating System:- Windows & Mac

HitFilm Pro-ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১১। Vegas Pro

এই সফটওয়্যারটি Adobe Premiere Pro, DaVinci Resolve, Filmora সফটওয়্যারের মতোই অনেক জনপ্রিয় এবং এইটার User Interface-টাও প্রায় একই রকম। সব সফটওয়্যারের মতো এইটারো নিজস্ব এবং এক্সট্রা কিছু ফিচার আছে। যেমনঃ- ভিডিও কাটছাট করা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করা, কালার কারেকশান/গ্রেডিং করা, ক্রোমা কী, অডিও এডিটিং করা, নয়েজ রিমুভ করা। এছাড়াও এক্সট্রা ফিচার গুলো- মোশন ট্রাকিং, মাল্টিক্যাম এডিটিং, 3D এডিটিং, 360 VR এডিটিং, 4K এডিটিং, এছাড়াও অন্যান্য সফটওয়্যারের থেকে এই সফটওয়্যারে ভিডিও এক্সপোর্ট করতে একটু সময় কম লাগে।

এবং এই সফটওয়্যারের ডিফল্ট ইফেক্ট, ট্রানজিশান, টাইটেল অ্যানিমেশন টেমপ্লেট আছে যা ব্যবহার করে অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও বানানো যায়। এবং এইটা যেহেতু এটা একটা প্রফেশনাল/অ্যাডভান্স লেভেলের সফটওয়্যার সেহেতু আপনি এই সফটওয়্যার দিয়ে যেকোন ধরণের ভিডিও এডিটিং এর কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এই Vegas Pro সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে গেলে আপনার পিসি/ল্যাপটপ টি একটু ভালো কনফিগারেশনের হতে হবে তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং ও এক্সপোর্ট করতে সুবিধা হবে  এবং সময় টাও কম লাগবে। আর আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর বেসিক লেভেল এডিটিং জেনে থাকেন তাইলে আপনি অ্যাডভান্স লেভেলের কাজের জন্য এই Vegas Pro আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর তালিকায় এই সফটওয়্যার একটি।

Support Operating System:- Windows

Vegas Pro ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১২। VSDC

VSDC সফটওয়্যার টির ব্যাপারে যদি বলা শুরু করি তাইলে হইতো বলা শেষ হবেনা। এই সফটওয়্যারের মুল বিশেষায়িত ব্যাপার হলো এটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার টি ফ্রি। তবে এই সফটওয়্যারের প্রো ভার্শনও আছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ভিডিও যেকোন এডিটিং এর জন্য এই সফটওয়্যারের ফ্রি ভার্শনই যথেষ্ঠ। এই সফটওয়্যারের User Interface প্রায় সব ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের মতোই এবং এই সফটওয়্যারের সকল ফিচারগুলোঃ- বেসিক এডিটিং টাইমলাইন, লিমিটেড কিছু ট্রানজিশন ইফেক্ট, মিউজিক অ্যাড করা, এই সকল কাজের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু এসেনশিয়াল ফিচার বা টুল আছে যেমন-  360 ভিডিও এডিটিং, কিছু ইউনিক ফিল্টার, কালার কারেকশান/গ্রেডিং করার যাবতীয় টুল।


এবং আমার কাছে মনে হয় একটা ফ্রি টুল হিসেবে এই ফিচার গুলো সব সফটওয়্যারে দেওয়া থাকেনা। আর এর থেকেও ভালো লাগার মতো কথা হলো যে, এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য আপনার পিসি/ল্যাপটপ এর ভালো কনফিগারেশন না হলেও চলবে। আপনি যেকোন হাই/লো কনফিগারেশনের পিসিতেই খুব আরামে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এইটার প্রো ভার্শন আছে যেইটা পার্চেস করলে আপনি এক্সট্রা কিছু ফিচার বা টুলের অ্যাক্সেস পাবেন, যেমনঃ- মোশন ট্রাকিং, মাস্কিং, ভিডিও বিট সিঙ্ক্রোনাইজিং, ভিডিও স্টেবলাইজিং, অডিও এডিটিং অ্যাডভান্স টুল, রিয়েল টাইম ভয়েস ওভার, মাল্টি কালার ক্রোমা কি ইত্যাদি। ভিডিও এডিটিং শুরু করার জন্য এইটা সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং একদম পারফেক্ট বলা যেতে পারে।

Support Operating System:- Windows

VSDC ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১৩। Shortcut

Shortcut সফটওয়্যারটার এর ব্যাপারে তেমন কিছু বলার নাই কারণ VSDC সফটওয়্যার এবং Shortcut সফটওয়্যার প্রায় একই রকম। তবে কিছু কিছু ফিচার একটু কম বেশি আছে। আর সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এইটা এক্কেবারে একটা অপেন-সোর্স এবং ফ্রি সফটওয়্যার। 


আর তাই ফ্রি হিসেবে এই সফটওয়্যারে যা আছে সেইটা দিয়ে কাজ করতে পারলে অনেক ভালোমানের ভিডিও এডিট করা যাবে। আর ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে এইটার কোন তুলোনাই হয়না কারণ একটা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারে যা থাকে তার থেকেও বেশি কিছু ফিচার আছে।সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের তালিকায় এটি।

Support Operating System:- Windows, Linux & Mac

Shortcut ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ন্ত্রণের ৭ উপায় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে


বিঃদ্রঃ- এতক্ষণ ধরে আমরা সবাই যেই সফটওয়্যার গুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম সেইগুলো ছিলো সব ধরণের অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে (Window, Linux & Mac). কিন্তু এখন যেই সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলবো সেইগুলো হলো শুধুমাত্র Mac Operating System এর জন্য। 

১৪। Apple iMovie

Apple iMovie এবং Apple Final Cut Proএর মধ্যে কিছু তফাৎ আছে। আসলে Apple iMovie টি বেসিক ভিডিও এডিটিং এর জন্য, এই সফটওয়্যারে আপনি অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো একই। সফটওয়্যারের User Interface, Editing Timeline প্রায় সব একই রকম। এই সফটওয়্যারের ফিচারগুলোঃ- বেসিক এডিটিং ফিচার, ভিডিও স্টেবলাইজ, লিমিটেড টেক্সট অ্যানিমেশন টেমপ্লেট, কালার কারেকশান টুলস, বেসিক অডিও এডিটিং ইত্যাদি। 


এবং সব কথার বড় কথা হলো এই সফটওয়্যারটি সম্পুর্ণ ফ্রি, আপনাকে এক্সট্রা করে ইন্সটল করা লাগবে না। সফটওয়্যারটি প্রি-ইন্সটল করা থাকে। তাই বলা যায় Mac Operating System-এর জন্য ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে এইটা বেস্ট। এই সফটওয়্যারে যেকোন ভিডিও এডিটিং করতে পারেন। ফ্রি হিসেবেও অনেক ভালো এবং সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে অনেক ভালো। এই সকল বিষয়ের জন্য এই সফটওয়্যারকে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলা যায়।

Apple iMovie ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১৫। Apple Final Cut Pro

Apple Final Cut Pro এর কথা যদি শুরু করি তাহলে বলবো যে, Window Operating System-এ যেমন Adobe Premiere Pro, DaVinci Resolve, Vegas Pro সফটওয়্যার গুলোকে অ্যাডভান্স ও জনপ্রিয়  সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি Mac Operating System-এ Apple Final Cut Pro-কে অ্যাডভান্স ও জনপ্রিয় সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ইতিমধ্যে আমরা সকলেই জেনেছি যে, ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো প্রায় সব গুলোর User Interface গুলো প্রায় একই থাকে এবং এডিটিং টুলস বা ফিচার গুলো একেক্টা সফটওয়্যারে একেক রকম ভাবে সাজানো থাকে এবং সেই অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে।

এবং Apple Final Cut Pro-তে কিছু এক্সটা ফিচার আছে যা iMovie সফটওয়্যারে নাই। এবং যারা আজকে অনেক বড় বড় "কন্ট্যান্ট ক্রিয়েটর" তারা যখন Windows থেকে Mac Operating System-এ শিফট করে তখন তারা Apple Final Cut Pro সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে। কারণ অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো এই সফটওয়্যারেও ভিডিও এডিটিং, ক্রোমা কি, মোশান গ্রাফিক্স, ওডিও এডিটিং, কালার গ্রেডিং এছাড়াও আরো যাবতীয় সব ধরণের কাজ করা যায়, এবং সেটা Advance লেভেলের কাজ করা যায়। এই কারণেই Mac-এর যতোগুলো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আছে তার মধ্যে Apple Final Cut Pro-কে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলা হয়ে থাকে। আর তাই এখন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর যারা Mac-ব্যবহার করে তারা সবাই Final Cut Pro-দিয়ে তাদের ভিডিও গুলো এডিট করে থাকে। আর যেহেতু এই সফটওয়্যারটি অ্যাডভান্স লেভেলের সেহেতু এটি আপনাকে পার্চেস করেই ব্যবহার করতে হবে।

Final Cut Pro ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

উপসংহার

অপরের সকল বিষয়গুলো পড়ার পর অবশ্যই বুঝতেই পারছেন যে অনলাইনে প্রায় সব ধরণের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আছে, এখন আপনাকে বুঝতে হবে কোন সফটওয়্যারটি আপনার জন্য বেস্ট। এবং যেই সফটওয়্যার দিয়ে কাজ শুরু করবেন সেই সফটওয়্যার দিয়ে ভালোভাবে এডিটিং টা শিখে নিবেন তাইলে বাকি সফটওয়্যারগুলোতে কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।

গুরুত্বপুর্ণ কথা

অপরের সকল সফটওয়্যারের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারলাম এবং এর পাশাপাশি এটাও দেখলাম যে বেশির ভাগ সফটওয়্যারগুলোই কিনে ব্যবহার করতে হবে, যদি অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ করে থাকি। কিন্তু সবার পক্ষে হয়তো সফটওয়্যার কিনা টা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তখন অনেকেই ক্র্যাক ভার্শন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, যেইটা অনেক বড় ভুল কাজ। কিন্তু আমি আপনাদের শুধু এতোটুকুই বলবো, ক্র্যাক ভার্শন সফটওয়্যার ব্যবহার করলে আমাদের কম্পিউটার বা যেকোন একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চেষ্টা করবেন ক্র্যাক ভার্শন সফটওয়্যার ব্যবহার না করার।

এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে বা উপকৃত হলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url