OrdinaryITPostAd

১৫টি অডিও এডিটিং সফটওয়্যার - অডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার ২০২৩

অডিও এডিটিং সফটওয়্যারের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে আগে আমাদের জানতে হবে অডিও এডিট বা এডিটিং কি? কেনো করে। এখন সহজ ভাষায় বলতে গেলে যেকোন সাউন্ড, শব্দ বা কথা রেকর্ড করার পর সেইটাকে মডিফাই করাকেই অডিও এডিটিং বলে।


এখন এই অনলাইনের যুগে অনেক অনেক সফটওয়্যার আছে এবং একেকটা সফটওয়্যারের একেক রকম কাজ করা যায়, এখন কোন টা আপনার জন্য ভালো সেইটা জানতে হলে আপনাকে অডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হবে।

চলুন এখন আমরা  ১৫টি সেরা অডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

১। Audacity

আমার বাছাইকৃত সফটওয়্যারের লিস্টে Audacity-কে ১ নাম্বারে বলার কারণ হলো এটি একটি সফটওয়্যারের একটি অংশ যা অপেন-সোর্স (বিনামূল্যে)। এইটা যেহেতু ফ্রি সেহেতু বেসিক রেকর্ডিং এর কাজ গুলো খুব সহজেই করা যায়।



সুবিধাঃ-

  • এইটি সকল অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করেঃ- Windows, Linux & Mac
  • ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে অনেক কাজ করা যায় যেমন নয়েজ রিমুভ, অডিও এনহ্যান্স, ইকো, রিভার্ব এছাড়াও অডিও টেম্পো অ্যাডজাস্ট, অডিও পিচ লেভেল কন্ট্রোল, স্পিড অ্যাডজাস্ট এছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ করা যায়।
  • কিছু এসেনশিয়াল টুল থাকার কারণে যেকোনো অডিও অনেক ভালো করে মডিফাই করা যায়। এবং ইচ্ছা মতো যেকোন থার্ডপার্টি টুল প্লাগিন করা যায় খুব সহজেই।
  • এটি অনেক লাইটওয়েট তাই যেকোন কম্পিউটারে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন, কোন সমস্যা ছাড়াই।

অসুবিধাঃ-

  • এইটি যেহেতু একটি ফ্রি সফটওয়্যার সেহেতু বেসিক কাজগুলো খুব সহজেই করা যায়। কিন্তু প্রফেশনাল কোন কাজ করা যাবেনা।
  • এই সফটওয়্যারে কোন গান বা মিউজিক বানাতে পারবেন না।
  • Audacity-তে একাধিক ডিভাইসে রেকর্ড করা যায়। এটি একটি একক ডিভাইস সমর্থন করে যতগুলি ট্র্যাক রেকর্ড করতে পারে, তবে আপনি যদি একই সাথে একাধিক ডিভাইস রেকর্ড করতে চান তবে আপনার উইন্ডোজে বিশেষ ড্রাইভার থাকতে হবে।
অপরের সুবিধা অসুবিধা পড়ে অবশ্যই বুঝতেই পারছেন যে, এই সফটওয়্যারটি কিভাবে কাজ করে থাকে। তবে ফ্রি এবং  সফটওয়্যার হিসেবে বেশ ভালো বলা যায়। 

Audacity-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করেন




২। Adobe Audition

Adobe Audition সফটওয়্যারটি সাউন্ড ও যেকোন অডিও এডিটিং এর জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। চলুন একটু সবিধা ও অসুবিধা গুলো জেনেনি।


সুবিধাঃ-

  • Adobe Audition সফটওয়্যারটি দিয়ে অনেক ভালোভাবে অডিও এডিট করা যায়, যেমনঃ- সাউন্ড রেকর্ড, এডিট, মডিফাই ইত্যাদি। এছাড়াও অডিও ক্লিন করা, ইনহ্যান্স ও ফাইল রিস্টোর করা। 
  • এই সফটওয়্যারের বিশেষায়িত হলো এই সফটওয়্যারটিতে ডাইরেক্ট ভিডিও ফাইল ইম্পোর্ট করে অডিও এডিট করা যায়, যা অন্যান্য সফটওয়্যারে করা যায় না।
  • এইটা একটি প্রফেশনাল টুল সেহেতু এই টুল দিয়ে ব্রডকাস্টিং এর মতো কাজ গুলো করা যায়।

অসুবিধাঃ-

  • Adobe Audition ব্যবহারের সময় প্রায় অনেক ধরণের সমস্যা বা Error দেখিয়ে থাকে এবং কিছু কিছু সময় কাজের মধ্যে Not Responding মেসেজ শো করে এবং সফটওয়্যারটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
  • Adobe Audition এ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হলে আপনার কম্পিউটারে অন্ততপক্ষে ৪ জিবি র‍্যাম থাকতে হবে নাইলে সফটওয়্যার লোড নিতে একটু সমস্যা হতে পারে।
  • আর সব থেকে বড় সমস্যা হলো এই সফটওয়্যারটি আপনাকে কিনে ব্যবহার করতে হবে।
সফটওয়্যারটি আপনি প্রথম ৭দিন ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তারপর আপনাকে প্রতি মাসে 20.99$ পে করতে হবে। 

Adobe Audition-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করেন

৩। FL Studio

FL Studio সফটওয়্যারটি অনেক অ্যাডভান্স ও বেশির ভাগ সবাই প্রফেশনাল কাজের জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে। সফটওয়্যারটির সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত জেনে নি


সুবিধাঃ-

  • যেকোন ধরণের অডিও রেকর্ড করা যায় এবং নয়েজ রিমুভ, এডিট/মডিফাই করা, ইকো, অডিও রিভার্ব, সাউন্ড মিক্সিং এইধরণের সকল ইফেক্ট ব্যবহার করা যায়।
  • যেহেতু এইটা প্রফেশনাল সফটওয়্যার সেহেতু এইটা দিয়ে আপনি যেকোন ধরণের গান/গজল/বিজ্ঞাপনের জন্য ভয়েজ ক্লিপ করা যাবে। এখন এই আধুনিক যুগে যারা প্রফেশনাল মিউজিক প্রোডিউসার আছেন তাদের ৮০% সবাই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে।
  • FL Studio-র নিজস্ব অনেক টুলস, ফিচার, এবং সাউন্ড স্যাম্পল আছে তাছাড়াও আপনি এই সফটওয়্যারে বিভিন্ন ধরণের প্লাগইন সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনেক ভালো ভাবে কাজ করতে পারবেন।

অসুবিধাঃ-

  • FL Studio অত্যন্ত জটিল এবং অসংগঠিত সফটওয়্যার। কারণ হলো এই সফটওয়্যারের কাজ করতে অনেক চ্যানেল এবং প্লাগইন ব্যবহার করতে হয় যেইগুলা ইন্সটল করে কাজ করতে অনেক জটিল মনে হয়।
  • এই সফটওয়্যারটি যেকোন কনফিগারেশনের পিসি/ল্যাপটপ তে চালাতে পারবেন না, অন্ততপক্ষে ৪জিবি র‍্যাম হতে হবে।
  • সফটওয়্যারের ফিচার গুলো অনেক কম, একটা প্রফেশনাল সফটওয়্যার হিসেবে আরো কিছু ফিচার অ্যাড করা দরকার।
FL Studio-র ফ্রি ট্রায়াল ভার্শন আছে সেইটা ব্যভার করা যাবে, কিন্তু সব ফিচার গুলো একটা লিমিটের ভিতরে থাকবে। আর যদি আপনি কোন প্যাকেজ কিনেন তাইলে প্যাকেজ অনুযায়ী ফিচারগুলো ব্যবহার করা যাবে। এইটার কিছু প্যাকেজ আছে (99.00$, 199.00$, 299.00$, 499.00$) এইসব প্যাকেজ এর একেকটা প্যাকেজের একেক রকম ফিচার অ্যাক্সেস দেয়া আছে। আপনার পছন্দ মতো আপনি যেকোন একটা প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারেন।

FL Studio-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন 

৪। Ableton Live

Ableton Live সফটওয়্যারটি অডিও এডিটিং এর জগতে এখন ভালোই জনপ্রিয়। এইটা এই সফটওয়্যারকেও অ্যাডভান্স ও প্রফেশনাল ক্যাটাগরির মধ্যে ধরা হয়। চলুন দেখে আসি কিছু সুবিধা ও অসুবিধা 


সুবিধাঃ-

  • Ableton Live দিয়ে অনেক ভালো অডিও রেকর্ডিং ও এডিট/মডিফাই, অডিও মিক্সিং, বাকগ্রাউন্ড মিউজিক মেকিং করা যায়।
  • বেশির ভাগ সবাই এই সফটওয়্যার টা দিয়ে নতুন কোন মিউজিক বা গান তৈরি করে থাকে, প্রফেশনাল DJ এবং Music Producer রা এইটা কে ব্যবহার।
  • এই সফটওয়্যারটিতে বেশ কিছু ইনবিল্ড প্লাগইন আছে যেমন Erosion, AMP, AutoPan, Frequency Shifter, Operator, Wavetable এর মতো আরও বেশ কিছু প্লাগইন আছে যেইগুলো ব্যবহার করে অনেক সুন্দর মিউজিক Create করা যায়।

অসুবিধাঃ-

  • Ableton Live টি অনেক ভালো মিউজিক ক্রিয়েটর সফটওয়্যার হলেও এইটি সবার সেরা সফটওয়্যার না।
  • Notatioon ভিউ সম্পাদন হয় না।
  • Pitch ঠিক করা যায় না।
অপরের সব কিছু পরে বুঝতেই পারছেন এই সফটওয়্যার টি আপনার জন্য ব্যবহার যোগ্য হবে কিনা। এই সফটওয়্যার টি আপনি প্রথম ৯০ দিন ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পার্মানেন্ট ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কিনে নিতে হবে এবং সফটওয়্যার টি 99$ থেকে শুরু।

Ableton Live- অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৫। Logic Pro

Logic Pro-সফটওয়্যার টি শুধুমাত্র Apple ডিভাইসেই দেখা যায়। Apple তাদের নিজস্ব ডিভাইসের জন্যই এই সফটওয়্যারটি তৈরী করেছে। যারা Mac ব্যবহার করে এই সফটওয়্যারটি শুধু তাদের জন্য। এই সফটওয়্যারটি অনেক জনপ্রিয় এবং শীর্ষ পছন্দ হিসেবে রয়ে গেছে।  তবে এই সফটওয়্যারের কিছু ভালো ও কিছু খারাপ দিক রয়েছেঃ-


সুবিধাঃ-

  • এই সফটওয়্যারটি তে Dolby Atoms ও কিছু নতুন অডিও টুল রয়েছে।
  • Logic Pro-তে অনেক পরিমাণে ইন্সট্রুমেন্টাল বান্ডেল ও ইফেক্ট আছে।
  • এটির User Interface অনেক সুন্দর এবং যেকোন গান বা কোন মিউজিক অনেক চমৎকার ভাবে বানানো যায়।

অসুবিধাঃ-

  • আপনি যদি অন্য কোন প্রফেশনাল সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন তাইলে আপনার কাছে এই টুল টা কাজের জন্য একটু স্লো মনে হতে পারে।
  • Logic Pro-শুধুমাত্র Mac ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করেনা।
  • স্টক গিটার/বেস অ্যাম্প প্লাগইনগুলি একটু অদ্ভুত সাউন্ড করে।
Logic Pro-র কোন ফ্রি ট্রায়াল ভার্শন নাই, আপনি যদি নতুন কাস্টমার হয়ে থাকেন তাহলে সফটওয়্যারটি কিনতে 199.99$ পে করতে হবে।


Logic Pro-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন





৬। Ardour

Ardour-এটি একটি মাল্টি ট্র্যাক এডিটিং সমৃদ্ধ সফটওয়্যার এবং এটি ব্যবহার করা অনেক সহজ। User Interface টা অনেকটা Adobe Audition-এর মতো সহজ। সফটওয়্যারটি অনেক User Friendly তাই তেমন কোন সমস্যা হয়না। চলুন Ardour-সম্পর্কে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জেনে নেইঃ-



সুবিধাঃ- 

  • Ardour-এ মাল্টি-ট্র্যাক রেকর্ডিং ও অডিও মিক্সিং-এর জন্য অসাধারণ একটি টুল।
  • এর এডিটিং ফিচারটি অনেক সহজ এর মাধ্যমে অডিও কাট, ট্রিমিং, স্ট্রেচিং, মুভিং, ড্র্যাগিং, ড্রপ, ট্রান্সপোজ, জুমিং, রিনেমিং, সারিবদ্ধ এবং মুছে ফেলতে সাহায্য করে।
  • এটি সবধরণের অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করে (Windows, Linux & Mac).
  • প্রোগ্রামটি একই উইন্ডোর দুটি অংশে বিভক্ত: এডিটর এবং মিক্সার।  মিক্সার দিয়ে কাজ করা কঠিন। মিক্সার  EQ ব্যালেন্সিং এবং লেভেলিং, কম্প্রেসিং এবং নরমালাইজ করার মত প্রভাব যোগ করতে দেয়।

অসুবিধাঃ-

  • আপনি যদি এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এটির জন্য কোনও রেকর্ডিং ডিভাইস কিনতে হবে যা ব্যয়বহুল হবে এবং আপনার ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। এর বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য একজন নতুন ব্যবহারকারীর জন্য বা যারা অডিও সম্পাদনার জ্ঞান নেই তাদের জন্য বোধগম্য নয়।
  • Ardour-এ ছোটখাটো Bug থাকার কারণে বড় বড় মিউজিক ক্রিয়েট বা রেকর্ডিং সেশনে কিছু কিছু সময় Crush করে থাকে।
  • যেহতু এটি বিনামুল্যে ব্যবহার যোগ্য, তাই বিনামূল্যের প্রকল্প ফাইলগুলি সংরক্ষণ করার সময় প্লাগইন প্রিসেটগুলি ব্যবহার করা গেলেও সংরক্ষণ করার ক্ষমতা নেই, সেই কার্যকারিতা অর্জনের জন্য একটি এককালীন অর্থপ্রদান করতে হবে৷
সফটওয়্যারের লেআউটে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য নিজেকে সময় দিন। এটি অভ্যস্ত করা কঠিন নয়, এবং বেশিরভাগ বিকল্পগুলি আপনার কীবোর্ডে সাধারণ এক-কী শর্টকাট হিসাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

Ardour-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৭। PreSonus Studio One

এই সফটওয়্যারটি অনেকটাই FL Studio-র মতো প্রফেশনাল কাজ করে, অডিও মিক্সিং করা অনেক ভালো হয়। সফটওয়্যারটি বেশ জনপ্রিয় এবং ব্যবহার করে অনেক ভালো লাগে। চলুন আমরা এই সফটওয়্যারের ব্যাপারে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নেই

সুবিধাঃ-

  • যে কোন গান/গজল রেকর্ড বা এডিটিং-এর কাজ গুলো অনেক দ্রুত করা যায়।
  • এই সফটওয়্যারের কিছু চমৎকার প্যাটার্ন বেজ কম্পজিশন টুলস আছে
  • মাস্টারিং এর সময় DDP ফাইল import/export করা যায়
  • এই সফটওয়্যারটি বিনামুল্যে ব্যবহার করা যায়।

অসুবিধাঃ-

  • ইন্টারফেস এবং মিক্স কনসোল গুলো একটু অগোছালো।
  • ট্র্যাক টেমপ্লেট সংরক্ষণ করার কোন সহজ উপায় নাই।
  • PreSonus Studio One 5-সফটওয়্যারের সব টুলস এর অ্যাক্সেস পেতে আপনাকে প্রিমিয়াম প্যাকগুলো কিনতে হবে।
এই সফটওয়্যারটি Windows ও  এই সফটওয়্যারের বেশ কিছু ভার্শন আছে একেক ভার্শনের একেক রকম ফিচার ও টুল রয়েছে (Studio One Artist 99.95$, Studio One Professional 399.95$, PreSonus Shpere 14.95$ monthly/164.95$ Annual)

PreSonus Studio One-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন



৮। Reaper

Reaper-এর সম্পুর্ণ রুপ হলো Rapid Environment for Audio Production, Engineering, and Recording. এইটা এমন একটা সফটওয়্যার যেইটা তে কোন কিছুর লিমিট নাই আপনি লিমিট ছাড়ায় সব ধরণের অডিও মিক্সিং বা এডিট করতে পারবেন। তো চলুন কিছু সুবিধা ও অসুবিধা দেখে নেইঃ-



সুবিধাঃ-
  • এটি ব্যবহার করা সহজ, অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, User Interface অসাধারণ এবং User Friendly, একই সাথে সব Tool ব্যবহার করা যায়।
  • এই সফটওয়্যারটা অনেক অসাধারণ রেকর্ডিং প্রসেসিং অনেক ভালো এবং অনেক ইফেক্ট ব্যবহার করা যায়। এবং এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা অনেক সহজ।
  • যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করে। যেমনঃ- (Windows, Linux & Mac)
অসুবিধাঃ-
  • এই সফটওয়্যারে কোন বিল্ড-ইন ইন্সট্রুমেন্ট বা লুপ নাই।
  • Reaper-এ কিছু ছোট ছোট বাগ থাকার কারণে কিছু কিছু সময় কাজ করতে সমস্যা হয়।
Reaper-সফটওয়্যারটি যদি আপনি আপনার ব্যক্তিগত কারণে বা কোন ছোট খাটো প্রতিষ্ঠানের জন্য চালান তাইলে আপনাকে এর লাইসেন্স কিনতে 60$ পে করতে হবে। আপনি যদি বাণিজ্যিক সঙ্গীতের উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন এবং আপনি আপনার অডিও কাজ থেকে প্রতি বছর 20,000$-এর বেশি উপার্জন করছেন, তবে এটি 225$।

Reaper-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

৯। Ocenaudio

Ocenaudio-এটি একটি অডিও এডিটিং বেসিক লেভেলের সফটওয়্যার যা দিয়ে অনেক খুব সহজেই যেকোনো অডিও ফাইল এডিট করতে পারবেন। এই সফটওয়্যারের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা দেখে নেয়া যাক:-


সুবিধাঃ-
  • সফটওয়্যারটি একদম ফ্রি, ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে বেশ কিছু ফিচার আছে। এবং ব্যবহার করা অনেক সহজ। এই সফটওয়্যারটি সবধরণের অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করে (Windows, Linux & Mac)
  • আপনি চাইলে আপনার পছন্দের কোন প্লাগইন থাকলে সেইটা ইন্সটল করে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • এই সফটওয়্যারে গ্রাফিক্স অ্যানালাইজার রয়েছে যা দিয়ে আপনি অডিও ফাইলের উচ্চ শব্দের অংশ গুলো দূর করা যায়।
  • এইটার কিছু ইফেক্ট আছে যেই গুলো দিয়ে অনেক ভালো অডিও এডিটিং করা যায়।
অসুবিধাঃ-
  • যেহেতু এইটা ফ্রি এবং বেসিক লেভেলের সফটওয়্যার সেহেতু এই সফটওয়্যারে কোন জটিল বা মাল্টি ট্র্যাক অডিও এডিটিং করা যায় না।
  • একসাথে অনেক গুলো ফাইল এডিটিং করার সময় সফটওয়্যারে অতিরিক্ত চাপ পরে এবং সফটওয়্যার টি হ্যাং/ক্র্যাশ করে। তাই এটিতে সুধুমাত্র ছোট ছোট ফাইল গুলোই ভালোভাবে এডিট করা যায়।
  • এডিটিং এর সময় আপনার কোন অডিও ক্লিপ কপি পেস্ট করতে অনেক নিতে পারে। প্রসেসিং করতে একটু সময় নেই।
Ocenaudio সফটওয়্যারটি যেহেতু এক্কেবারেই ফ্রি একটা সফটওয়্যার সেহেতু এটি দিয়ে বেসিক লেভেলের এডিটিং করা যাবে অনেক ভালোভাবে। তাই আপনি চাইলে ছোট খাটো অডিও এডিটিং এর জন্য এইটা ব্যবহার করতে পারেন।

Ocenaudio-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন 

১০। Wavosaur

Wavosaur-সফটওয়্যারটি একদম ফ্রি এবং অডিও এডিটিং করার অনেক দুর্দান্ত একটি সফটওয়্যার। সফটওয়্যারের কিছু সবিধা ও অসুবিধা গুলো দেখে নেইঃ-

সুবিধাঃ-
  • এই সফটওয়্যারে অডিও রেকর্ডিং, এডিটিং, প্রসেসিং অনেক ভালো এবং অনেক সহজেই করা যায়।
  • Wavosaur-এ অডিও এডিটিং (কাট, কপি, পেস্ট ইত্যাদি) মিউজিক লুপ, অ্যানালাইজ, রেকর্ড, ব্যাচ কনভার্ট করার সমস্ত ফিচার রয়েছে।
  • Wavosaur-এর মাধ্যমে বিশেষ কিছু কাজ করা যায় যেমন, রিস্যাম্পল, বিট-ডেপথ কনভার্ট (8,16,24,32 বিট), পিচ শিফট, ভোকাল রিমুভাল, ডিসি অফসেট রিমুভিং, অটো-ট্রিম, সাইলেন্স রিমুভার, ইন্টারপোলেট, অটো ডিটেক্ট রিজিয়ন, ক্রসফেড লুপ, অঞ্চল থেকে একাধিক WAV ফাইল এক্সপোর্ট করা।
  • Wavosaur-এ VST Plugins ব্যবহার করা যায়। এবং Plugins গুলো ব্যবহার করে লাইভ ইফেক্ট Apply করতে পারবেন।
অসুবিধাঃ-
  • অডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে অনেক ছোট তাই ছোট খাটো কাজ ভালো হলেও, বড় কোন কাজ বা অডিও ফাইল লোড নিতে সমস্যা হবে/হতে পারে।
  • Wavosaur-এর User Interface টা একটু জটিল তাই Beginner দের এই সফটওয়্যার দিয়ে কাজ  করতে একটু কঠিন মনে হবে।
Wavosaur-সফটওয়্যারটি সাইজে ছোট হলেও অ্যাডভান্স অনেক কাজ করা যায়। অডিও এডিটিং শুরু করার জন্য ফ্রি সফটওয়্যারটা বেশ ভালো একটা চয়েস হবে।

Wavosaur- অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১১। Acon Digital Acoustica

Acon Digital Acoustica-সফটওয়্যারটি অডিও/সাউন্ড এডিটিং এর জন্য অনেক ভালো। অডিও এডিটিং, মাস্টারিং, পোডকাস্টিং করার জন্য এবং অডিও রিস্টোরিং এর জন্য এটা একদম পারফেক্ট। চলুন কিছু সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নেওয়া যাকঃ-


সুবিধাঃ-
  • Acon Digital Acoustica-সফটওয়্যারটি Windows এবং Mac অপারেটিং সিস্টেমে চালাতে পারবেন।
  • এই সফটওয়্যারে আপনি মাল্টিট্র্যাক সেশন তৈরি করে আপনি মিক্সিং এবং প্রসেসিং করতে পারেন এমন পৃথক ট্র্যাকগুলিতে অডিও ক্লিপগুলি ইম্পোর্ট বা রেকর্ড করতে পারেন।
  • এই সফটওয়্যারে কিছু অ্যানালাইসিস টুল আছে যেমন, Spectrum, Spectrogram এবং Wavelet-এর মতো কিছু অ্যানালাইসিস টুল আছে যেইগুলো দিয়ে আপনি এডিটিং এর সময় অডিও আউটপুট গুলো রিয়েল-টাইম ভিজুয়ালিজ করতে পারবেন।
অসুবিধাঃ-
  • Acon Digital Acoustica-সফটওয়্যারে বেশ কিছু ফিচার থাকাই এটি XP Windows- অপারেটিং পিসিতে অনেক সমস্যা করবে।
  • MP3 এবং WMA লোড/সেভ ফাংশন সীমিত যদি না অন্যান্য কোডেক ইনস্টল করা হয়।
  • Acon Digital Acoustica-সফটওয়্যারটি আপনি ট্রায়াল হিসেবে ৩০ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন, তারপর আপনাকে কিনে ব্যবহার করতে হবে। আর ট্রায়াল ভার্শনে আপনি বেসিক টুল গুলোই ব্যবহার করতে পারবেন, অ্যাডভান্স টুল গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কিনেই ব্যবহার করতে হবে।
Acon Digital Acoustica-সফটওয়্যারটির পেইড দুটো ভার্শন আছে, Acon Digital Acoustica Standard 59.90$ / Premium 199.90$

Acon Digital Acoustica- অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

 ১২। Wavepad

Wavepad-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি যেকোন ধরণের অডিও এডিটিং অনেক ভালো হয়। এই সফটওয়্যারে অনেক গুলো টুল এবং ফিচার আছে যা দিয়ে অনেক ভাবে এডিটিং করা যায়। চলুন Wavepad-এর কিছু সুবিধা আর অসুবিধা দেখে নেইঃ- 


সুবিধাঃ-
  • মিউজিক এডিটিং ফাংশনে কাট, কপি, পেস্ট, ডিলিট, ইনসার্ট, সাইলেন্স এবং অটোট্রিম অন্তর্ভুক্ত।
  • এই সফটওয়্যারে কিছু ফিচার আছে যেগুলো দিয়ে যেকোন অডিও ক্লিপের নয়েজ রিমুভ, মিউজিক রিস্টোর করা যায় খুব সহজে।
  • Wavepad-এ একইসময়ে একসাথে একাধিক ফাইল নিয়ে আলাদা আলাদা স্ক্রিনে কাজ করা যায়।
  • Wavepad হল একটি অন-প্রিমিস অডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা Mac, Windows, Android এবং IOS ডিভাইসে ব্যবহার করে মিউজিক এবং অডিও ফাইল এডিটিং করা যায়।
অসুবিধাঃ-
  • Wavepad-এর একটাই সমস্যা সেইটা হলো এইটা দিয়ে শুধু সিঙ্গেল ট্র্যাকে অডিও এডিটিং করা যায়। অন্যান্য সফটওয়্যারে যেমন মাল্টিট্র্যাকে এডিট করার সুযোগ থাকে তেমন টা এই সফটওয়্যারে নাই।
Wavepad-সফটওয়্যারটি ফ্রি, তবে Wavepad Standard Edition- সফটওয়্যারটি কিনতে হলে 39.951$ পে করতে হবে এবং Wavepad Master's Edition- সফটওয়্যারটি কিনতে হলে 69.951$ পে করতে হবে।

Wavepad- অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

১৩। Cubase


Cubase-হল একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার যা মূলত MIDI এবং প্লাগইন যন্ত্র ভিত্তিক (VSTi's নামে পরিচিত) এবং যারা তাদের সঙ্গীতে প্রচুর সিন্থেসাইজার এবং নমুনা ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য এটি একটি ভাল পছন্দ। চলুন আমরা কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো দেখে নেই।

সুবিধাঃ-
  • Cubase সফটওয়্যারটি অনেক অ্যাডভান্স এবং এই সফটওয়্যারটি FL Studio, Apple Logic Pro, Ableton Live এর মতো প্রফেশনাল সফটওয়্যার গুলোর সাথে প্রতিযোগীতা করা হয়।
  • Cubase-এর প্রো টুলগুলি লাইভ ইনসার্টের সাথে একই সময়ে অডিওর একাধিক ট্র্যাক রেকর্ড করার জন্য ভাল এবং কার্যকর।
  • Cubase-এ যেকোন VST প্লাগইন ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার ইচ্ছামতো যতখুশি তত VST প্লাগইন অ্যাদ করতে পারবেন।
  • Cubase- সফ্টওয়্যারটি নতুনদের জন্য খুবই User-Friendly এবং যে কেউ অডিও সম্পাদনা করতে চায় তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সরঞ্জাম৷
অসুবিধাঃ-
  • কীবোর্ড শর্টকাট অতোটা ভালো নয়, টাইমলাইন জুম ইন এবং আউট করা অনেকের কাছে ক্লান্তিকর মনে হয়
  • মাল্টি-ট্র্যাক রেকর্ডিং পরিচালনা করা কঠিন।
  • MIDI-র সাথে কাজ করা একটু কঠিন, MIDI এডিটিং পদ্ধতি কিছুটা পুরানো
Cubase-সফটওয়্যারটি অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো কোন ফ্রি ট্রায়াল এর সুযোগ দেয়না। আপনাকে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে চাইলে কিনেই ব্যবহার করতে হবে- Cubase Artist 12 · $329.99, Cubase Pro 12 · $579.99, Cubase Elements 12 · $99.99

Cubase-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন




১৪। Audiotool ও ১৫। Audio Cutter

অপরের সবগুলো সফটওয়্যার গুলোর মতোই Audiotool ও Audio Cutter এও একই কাজ হয়ে থাকে তবে কিছু কিছু ফিচার বা কাজ ভিন্ন হতে পারে, আমরা জেনে নেই এই দুইটা সফটওয়্যারের বিস্তারিত তথ্যঃ-

Audiotool

এই টুলটি সম্পুর্ন ফ্রী, একটি বিশেষায়িত হচ্ছে এটি একটি Cloud-based সফটওয়্যার যার মাধ্যমে আপনি এই সফটওয়ারে কাজ করার পর এর কম্পোজ ফাইলগুলো সেই ক্লাউড সার্ভারে সেভ করে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে সেইগুলোকে আপনি আবারও এডিট করতে পারেন অথবা  অ্যাক্সেস নিতে পারবেন গুগোল ড্রাইভ এর মত।


এটি দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল টাইপের কাজ করতে পারবেন তবে এর আরো একটি বিশেষায়িত হচ্ছে যে অডিও টুলের নিজস্ব অডিও লাইব্রেরি আছে যার ভেতরে আপনি বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড এলিমেন্ট খুব সহজে পেয়ে যাবেন যেমনঃ- (hip hop, techno, EDM, trance, bass, funk) আপনি ইচ্ছামত এগুলোকে আপনার যেকোনো অডিও ফাইল এ ব্যবহার করতে পারবেন। আমি মনে করি ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে এটা অনেক ভালো এবং আপনি নিঃসন্দেহে এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

Audiotool-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

Audio Cutter

Audio Cutter এমন একটি সফটওয়্যার যা সরাসরি ব্রাউজার থেকে চালানো যায়। যেহেতু এটি অনলাইন সফটওয়্যার সেহেতু কম্পিউটারে এটি ইনস্টল ছাড়াই চালানো যায়। এটি সম্পুর্ন ফ্রী এবং এটির কিছু বিশেষায়িত আছে যেমন- যেকোন ভিডিও থেকে অডিও কে আলাদা করে নিতে পারবেন, যেকোনো অডিও ফাইল কে কাটা, যোগ করা ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ করা যায়। 


মাত্র কয়েকটা ক্লিক করে আপনার ব্রাউজার উইন্ডোতে আপনি অডিও ট্রাক কাটতে পারবেন এবং একবার ফাইল আপলোড করার পরে আপনি সে ফাইলটিকে মডিফাই করার জন্য অ্যাক্সেস পেয়ে থাকবেন এটি শেষ করার পর এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভার থেকে মুছে যাবে। 

Audio Cutter-অডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন

গুরুত্বপুর্ণ কথাঃ-

অপরের সব সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এইপুরো আর্টিকেলটি পর আপনার কাছে যেই সফটওয়্যার ভালো লাগবে সেইটাই ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই ক্র্যাক/পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url