OrdinaryITPostAd

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার ১২টি সুবিধা জেনে নিন

আপনি আপনার মোবাইল রুট করবেন কিনা তা নিয়ে ভাবছেন?  এই প্রশ্নটা হর হামেশা আমাদের সকলের মনে উঁকি দিয়ে থাকে। এন্ড্রয়েড মোবাইলে রুট করাটা যেমন সুবিধাজনক তেমন কিছুটা অসুবিধাজনক ও। আপনি যখন আপনার মোবাইল রুট করবেন তখন আপনি আপনার মোবাইলে নতুন একটি পৃথিবী আবিষ্কার করবেন।

কিন্তু অসুবিধা হলে আপনি যেমন নতুন অনেক কিছু জানতে পারবেন ঠিক তেমন অনেক সমস্যাও হতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো সমস্যাগুলো কি।  জ্বি। আজকের এই পোস্টটি এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। যদি আপনি আপনার মোবাইলকে রুট করার জন্য যথার্থ কারণ খুজে থাকেন তাহলে এই পোস্টের সাথে থাকুন।কারণ আজকে এন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার ১২টি কারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাকঃ

পেজ সূচিপত্রঃ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার ১২ টি কারণ 

১. রোম কাস্টমাইজ করাঃ

বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল রুট কতে তাদের স্মার্টফোনে যেন সহজে পছন্দের রোমান কাস্টমাইজ করতে পারে। রোম কাস্টমাইজেশন অনেক ধরনের সুবিধা দেয়।  যেমনঃ এন্ড্রয়েডের নতুন সকল আইটেম ইন্সটল করা এবং তাদেরকে ব্যবহার করার সকল সুবিধা দিয়ে থাকে। এর সাথে রোম কাস্টমাইজেশন বিভিন্ন ধরণের ফিচার নিয়ে আসে যা আপনার মোবাইলকে নতুনত্ব  দিবে। 

২. সব কিছু কাস্টমাইজ করুন নিজের মতঃ

একবার যদি আপনার মোবাইল রুট করেন তাহলে আপনি আপনার মোবাইলের সব কিছু কাস্টমাইজ করার সুযোগ পাবেন এবং আপনি আপনার পছন্দমত কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি সিস্টেম লেভেল পরিবর্তন করতে পারবেন। যেমনঃ নেভিগেশন বাটন, লক স্ক্রিন, কুইক সেটিং, নোটিফিকেশন শেড, স্ট্যাটাস বার, লঞ্চার এবং আরো অনেক কিছু। এখানে ডিসপ্লে, মিডিয়া,  পাওয়ার সেভিং এর জন্য রয়েছে টুইক। 

৩. কার্নেলের আয়ত্তে থাকুনঃ

কার্নেল হচ্ছে এন্ড্রয়েড ডিভাইসের মূল উপাদান।  এটা নিশ্চয় আপনারা জানেন। কার্নেল হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে একটি সংযোগ তৈরি করে যা ভালো একটি সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে। যাইহোক, আপনি যখন আপনার এন্ড্রয়েডটি রুট করবেন তখন আপনাকে কাস্টমাইজ কার্নেল ইন্সটল করার মত পাওয়ার দেয়া হবে যার সাহায্যে আপনি যা ইচ্ছা এডজাস্ট করতে পারবেন।

৪. পারফরম্যান্স বুস্ট করাঃ

এতক্ষনে আপনি নিশ্চয় জেনে গিয়েছেন কিভাবে কার্নেল ভালোভাবে ম্যানেজ করা যায়। এন্ড্রয়েডকে সবসময় এর কম পারফরম্যান্স এর জন্য ছোট করে দেখা হয়ে থাকে।  আপনি কিন্তু চাইলে আপনার এন্ড্রয়েড এর আরো উন্নত ভার্সন তৈরি করতে পারেন। 

৫. নতুন ফিচার এক্সপ্লোর করুনঃ

আপনার ডিভাইসটি রুট করাদ আসল উদ্দ্যেশ্যে হলো আপনি যেন অনেকগুলো নতুন ফিচার ব্যবহার করতে পারেন।  এবং রুটিং এর এই অংশটুকুর প্রতিই সবার ঝোক থাকে। 

৬. বেশি বেশি এপস এ এক্সেস করুনঃ

আপনার ডিভাইসটি যদি আপনি রুট না করে থাকেন তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কারণ গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে ২.৫ বিলিয়ন এপ্স। কিন্তু এমন কিছু এপ্স রয়েছে যেগুলো শুধুমাত্র আপনি যখন আপনার ডিভাইসটি রুট করবেন তখনই এক্সেস নিতে পারবেন। যেমনঃ ড্রাইভড্রইড, ডিস্কডিগার, মাইগ্রেট।

৭. আপনার ব্যাটারি পারফরম্যান্স আরো উন্নত করুনঃ 

এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা  সবসময় একটু জিনিস অভিযোগ করেন সেটি হলো ব্যাটারি অপটিমাইজেশন।   যদি আপনি সেরকম একজন হয়ে থাকেন যে কিনা ব্যাটারি দক্ষতা নিয়ে চিন্তায় আছেন তাহলে আপনার উচিত এখুনি আপনার ডিভাইসটি রুট করা। কেননা আপনার ডিভাইসটি রুট করলে আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পাবে। 

৮. আপনার মোবাইল থেকে ব্লোটওয়্যার এপ্স এবং এডস মুছে ফেলুনঃ

সিস্টেম এপ্স এবং ব্লোট এপ্স আপনার ডিভাইসে নানা ধরণের সমস্যা করতে পারে যদি আপনার ডিভাইসে পর্যাপ্ত পরিমানের জায়গা না থাকে।  যাইহোক, রুটিং আপনার ডিভাইসের সিস্টেম এপ্স এবং ব্লোটওয়্যার এপ্সগুলোকে রিমুভ করে দিবে। 

৯. সবকিছুর ব্যাকয়াপ রাখুনঃ

বিভিন্ন ধরণের এপ্স রয়েছে যেগুলো রুটেড ডিভাইসে সম্পূর্নভাবে  ব্যাকআপ রাখবে। এপ্সগুকো আপনার সবধরণের ডাটা ব্যাকআপ রাখবে। 

১০. Camera2PI  সক্ষম করুনঃ

সবাই গুগল ক্যামেরার প্রতি বেশি আগ্রহী হওয়ার কারণে সবাই চাই Latest GCam  ইন্সটল করতে তাদের মোবাইলে। আপনি যদি আপনার মোবাইলটি রুট করেন তাহলে খুব সহজে আপনি ক্যামেরাটি ইন্সটল করতে পারবেন আপনার ডিভাইসে। 

১১. পিক্সেল ফিচারে এক্সেস করুনঃ

আপনি যদি পিক্সেল এর মজা নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডিভাইসটিকে রুট করতে হবে। আপনি যদি আপনার ডিভাইসটিকে রুট করেন তাহলে যেকোনো পিক্সেল ফিচারে এক্সেস করতে পারবেন। এতে আপনার ডিভাইসটি হয়ে উঠবে আকর্ষনীয়। 

১২. সিস্টেম এপ্সগুলোকে ওভাররাইড করুনঃ

আমার কাছে এন্ড্রয়েড ডিভাইসটি রুট করার জন্য এই কারনটি সবচেয়ে বড় মনে হয়। একটি এপ রয়েছে যা একটি ফিচার অফার করে।  এই ফিচারটি অন্যান্য দেশে এভেইলেভল কিন্ত আপনি যদি আপনার মোবাইলে ফিচারটি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডিভাইসটি রুট করতে হবে। রুট না করলে ফিচারটি গুগল প্লে স্টোরে আপ্লোড হবেনা।

আমি মনে করি এই কারনগুলোই যথেষ্ট এন্ড্রয়েড ডিভাইসকে রুট করার জন্য। আপনার কি তাই মনে হয় না?  আপনি নিজেই ভেবে দেখুন। নন রুটেড ডিভাইস থেকে বেশি ফিচার রয়েছে রুটেড ডিভাইসে। কিন্তু রুটিং আবার সুবিধা নিয়ে আসে যে ব্যাপারটি এমন ও নয়। এর সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে নানা ধরণের অসুবিধাও৷ 

আশা করি আপনাদের কেন এন্ড্রয়েড ডিভাসটি রুট করা উচিত তার উপযুক্ত কারণ খুজে পেয়েছেন আমার এই পোস্টটি পড়ে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url