OrdinaryITPostAd

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম অর্থ

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ কি জানতে আগ্রহী? আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ কেন প্রয়োজন? আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম কেন পড়তে হয় এসব নিয়ে আজকের এই পোস্ট।

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম দোয়াটি মূলত শহীদের মর্যাদা ও সওয়াব লাভের আশায় আমল। এই দয়ায় পড়ে এর পর কেউ যদি সূরা হাশরের তিন আয়াত পড়ে ঘুমান এবং ঘুমন্ত অবস্থা মারা যান তাহলে তিনি শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম দোয়াটি কতটি ফজিলতপূর্ন আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরছেন। 

এছাড়া আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ ও অনেক তাৎপর্যপূর্ন। আপনারা যারা আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ জানতে এসেছেন তাঁরা পোস্টটির সাথে থাকুন। এই পোস্টে আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ ছাড়াও থাকবে দোয়াটি নিয়ে বিভিন্ন ফজিলত পূর্ন কথা বার্তা। বিস্তারিত শুরু করার আগে দেখে নিন এক নজরে কি কি থাকছে।

পেজ সুচপিত্রঃ আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থঃ

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম দোয়াটি কেন পড়তে হয় - আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থঃ

হজরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রা.উল্লেখ করেন, মহানবী (সঃ) বলেছেন; কেউ যদি সকালে ‘আউযু বিল্লাহিস সামীয়িল আলিমি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ তিনবার পড়েন এবং এরপর  সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়েন, তাহলে তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয় যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকবেন। আরো উল্লেখ করেন যদি সেদিন ওই ব্যক্তিটি মারা যান তাহলে তিনি শহিদের মর্যাদা লাভ করবেন। 

আউযু বিল্লাহিস সামীয়িল আলিমি মিনাশ শায়তানির রাজিম দোয়াটি এত বেশি তাৎপর্যপূর্ণ যে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ এর কোনো বান্দা যদি উক্ত দোয়াটি পড়েন তাহলে দুইজন ফেরেশতার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে সওয়াব লেখার কাজটি। ফেরেশতা গন বিভ্রান্তিতে পড়ে যান কিভাবে ব্যক্তিটির সওয়াব লিখবেন। তাঁরা আল্লাহকে জানালেন ব্যাপারটি। 

তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমার বান্দার কথাগুলো সে যেভাবে বলেছে সেভাবেই লিখে রাখো। সে যখন আমার সঙ্গে সাক্ষাত করবে তখন আমি নিজ হাতেই তাকে তার প্রতিদান দেব। [ইবনে মাজাহ-৩৮০১, শুআবুল ঈমান-৪০৭৭]

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর আরবি লেখা – আউযুবিল্লাহ আরবি লেখা

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর আরবি লেখা যাদের জানা নেই কিন্তু প্রয়োজন তাঁদের সুবিদার্থে আমরা এই পোস্টে আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর আরবি লেখাটি উল্লেখ করছিঃ

أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم  

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর বাংলা উচ্চারন - আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ

আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর বাংলা উচ্চারণ হচ্ছেঃ

  • আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম 

হাশরের শেষ তিন আয়াত  কি কি - সূরা হাশরের শেষ আয়াত পড়ার ফযীলত - আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ 

প্রথম আয়াতঃ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ

বাংলা উচ্চারণঃ “হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু ওয়া আলিমুল গাইবী। ওয়াশ শাহাদাতী হুয়ার রাহমানুর রাহীম।

অর্থঃ তিনিই আল্লাহ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।

দ্বিতীয় আয়াতঃ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ

বাংলা উচ্চারণঃ হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা হু। ওয়া আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যু মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা ইউশরিকুন।

অর্থঃ তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক,পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তা দাতা,আশ্রয়দাতা,পরাক্রান্ত,প্রতাপান্বিত,মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র।

তৃতীয় আয়াতঃ

هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

বাংলা উচ্চারণঃ হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল মুছাব্বিরু লাহুল আছমা(আ)উল হুছনা। ইউ ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।“ 

অর্থঃ তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।

সূরা হাশরের ফজীলত - আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থঃ

হযরত মাকাল বিন ইয়াসার রাঃ রাসূল সাঃ থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার পড়বে “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম”। তারপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত [ হুয়াল্লাহুল্লাজী লা-ইলাহা শেষ পর্যন্ত] তিলাওয়াত করবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন। যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দ্আু করতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। 

আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে। [তথা মাগরিব থেকে সকাল পর্যন্তের জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা গুনাহ মাফীর জন্য দুআ করে, আর সে সময়ে মারা গেলে শহীদের সওয়াব পাবে]।

সওয়াব অর্জনের আরো কিছু দোয়া - আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ 

 আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এবং এর পর হাশরের তিন আয়াত পড়া ছাড়া আরো কিছু দোয়া রয়েছে সেগুলো পড়লেও অনেক সওয়াব অর্জিত হয়। 

দোয়া -১

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلَالِ وَجْهِكَ، وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ

বাংলা উচ্চারণঃ

ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইনবাগি লিজালালি ওয়াজহিকা ওয়ালি আজমাতি সুলতনিকা

অর্থঃ 

হে প্রতিপালক! প্রশংসা সব তোমারই। যেমনটা দাবি তোমার মহান রাজত্বের ও তোমার মহামহিম মর্যাদার।

এই দোয়াটির ফজলিত হলো হজরত ইবনে আব্বাস [রা.] বলেন, মহানবী (সঃ) একদিন সকালে ফজরের নামাজের পর উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) -এর ঘর থেকে বের হলেন, তখন তিনি তাঁর জায়নামাজে বসে ছিলেন। সকাল হওয়ার পর মহানবী (সঃ) বলেন আবার যখন ফিরে আসলেন তখনও তাকে জায়নামাজে বসা অবস্থায় পেলেন। 

তখন রাসুল তাঁকে বললেন, তুমি তোমার আগের অবস্থাতেই বসে আছো? তিনি বললেন, হ্যাঁ । মহানবী (সঃ) তখন বললেন , তোমার এখান থেকে যাওয়ার পর আমি চারটি কালিমা তিনবার পড়েছি । তুমি আজ পর্যন্ত যা তাসবিহ পড়েছ যদি তার সঙ্গে পরিমাপ করা হয় তাহলে আমার এ তাসবিহের ওজন তার চেয়েও অনেক বেশি হবে। (মুসলিম : ৭০৮৮)

দোয়া -২ 

আরবীঃ 

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ. 

উচ্চারণঃ

সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া রিদায়া নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।

অর্থঃ

পবিত্রতা মহান আল্লাহর এবং প্রশংসাও তারই, তার সৃষ্টিকূলের সংখ্যা পরিমাণ, তাঁর জাত ও সত্ত্বার সন্তুষ্টি অনুপাতে, তাঁর আরশের ওজনসম ও তাঁর স্তুতিবাক্য লিখার কালির সমপরিমাণ।

আশা করি, আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ নিয়ে আপনার ব্রিভান্তি কেটেছে। আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর অর্থ জেনে আপনি যদি দোয়াটি পড়েন তাহলে আপনার দোয়াটি পড়ার আগ্রহ জাগবে এবং আপনি বেশি সওয়াব আদায় করতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url