ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ - ঈদে মিলাদুন্নবী কবে ২০২১
ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ চলেই আসলো বলে। ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ বা ঈদে মিলাদুন্নবী কবে ২০২১ তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন ।
আরো পড়ুনঃ ১২ ই রবিউল আউয়াল ২০২১ কত তারিখ
ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে হাদিস এ কি বলা আছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন এই পোস্ট পড়ে। তবে অনেকের মতে ঈদে মিলাদুন্নবী বিদাত। এসব দেখে আপনার মনে কি প্রশ্ন আসছে ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদাত? চলুন তাহলে ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল ও ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা শুরু করার আগে এক নজর বুলিয়ে নিন কি কি থাকছে তাঁর উপরঃ
পেজ সূচিপত্রঃ ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখঃ
ঈদে মিলাদুন্নবী কি? – ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ
ঈদে মিলাদুন্নবী কি এই প্রশ্নের উত্তর হলো ঈদে মিলাদুন্নবী বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে একটি উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। ঈদে মিলাদুন্নবী হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম দিবস । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ১২ ই রবিউল আউয়াল হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। আর এজন্য এইদিনকে বলা হয় ঈদে মিলাদুন্নবী।
ঈদে মিলাদুন্নবী কবে ২০২১ – ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ
ঈদে মিলাদুন্নবী কবে ২০২১ বা ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ তা নিয়ে যারা চিন্তিত তাঁদের জন্য এই পোস্ট। ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ এবার হবে ২০ অক্টোবর ,২০২১ বুধবার। ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ বাংলা ক্যালেন্ডারে হবে ৪ কার্তিক ১৪২৮।
ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদাত
ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদাত এই ব্যাপারে নানা রকমের তর্ক বিতর্ক দেখা যায়। বর্তমানে মুসলমানরা খ্রীস্টানরা যেভাবে ঈসা আঃ এর জন্মদিন পালন করে বড় উৎসব করে মুসলমানরা ও রাসূল (সাঃ) এর জন্মদিন এখন সেরকম উৎসব বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু রাসূল (সঃ) এর সময় এসব কিছুই পালন হত না। এইজন্য ঈদে মিলাদুন্নবী বিদাত। হিজরি সনের ৪র্থ শতাব্দীর মাঝমাঝিতে শুরু হয় ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রথা।। এর পর ৭ম হিজরিতে আস্তে আস্তে তা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যেহেতু এই প্রচলন তা রাসূল (সঃ) এর মৃত্যুর পর থেকে শুরু হয় তাই বলা যায় এটা বিদাত কারণ এরকম কিছু রাসূল (সঃ) নিজেই চর্চা করেননি। তাহলে এখন কোথা থেকে এই নিয়ম শুরু হলো?
ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে হাদিস
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তাঁর জীবন দশায় প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন। উনাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সাঃ) উত্তর দিয়েছিলেঃ
ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺪَﺓَ ﺍﻻَﻧْﺼﺎَﺭِﻯ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨﻪُ ﺍَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺱﺀﻝ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡ ﺍﻻِﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﻞَ ﺫَﺍﻙَ ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴْﻪِ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺍَﻭْﺍُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴْﻪِ –
“এই দিনে আঁমার বেলাদত শরীফ হয়েছে, এই দিনে আঁমি প্রেরিত হয়েছি এবং পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এই দিনেই আঁমার উপর নাজিল হয়েছে।”
প্রতি সোমবার রোজা রাখার জন্য আরেকটি কারণ উল্লেখ করেছেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) –
عن أبي هريرة : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال تعرض الأعمال يوم الإثنين والخميس فأحب أن يعرض عملي وأنا صائم
“হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন: সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল উপস্থাপন করা হয় [আল্লাহর কাছে]।আর আঁমার আমল উপস্থাপন করার সময় রোযারত থাকাকে পছন্দ করছি।”
আরো পড়ুনঃ ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি ?
ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল
ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল হচ্ছে সেগুলো যারা ঈদে মিলাদুন্নবীর স্বপক্ষে। যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করাটা ন্যায় সঙ্গত মনে করেন তাঁদের ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে ধারণা কি সেটা দেখা যাক। তারা যেসব কারণে ঈদে মিলাদুন্নবীকে ন্যায় সঙ্গত মনে করেনঃ
“আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়।” – (সূরা ইউনুস-৫৮)
এছাড়া কোরআনের আরেকটি আয়াতে রয়েছেঃ
“আমি নিশ্চয় আপনাকে পুরো বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি”।
তো এই থেকে তাড়া ধারণা করেনিয়েছে যে এই দিনটিকে উৎসব হিসেবে পালন করতে হবে। কিন্তু যদি এভাবে চিন্তা করা হয় আথলে আরেকটি কথা থেকে যায় তা হলো একই দিনে রাসূল (সঃ) মৃত্যু বরণ ও করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা
ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদাত এসব প্রশ্নের উত্তর এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় পেয়ে গিয়েছেন। ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ হবে তাও জেনে গিয়েছেন। ঈদে মিলাদুন্নবীতে বেশি বাড়াবাড়ি আল্লাহ পছন্দ করেন না। কেননা আল্লাহ বলেছেনঃ
“কিতাবধারী হে! নিজেদের ধর্ম নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি কোরো না। আর (ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে) তোমাদের আগে যারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়ে ও অন্যদেরকে পথভ্রষ্ট করে সহজ সরল পথচ্যুত হয়েছে, তাদের পথ অবলম্বন কোরো না।” (সুরা মায়িদা : ৭৭)
আরো পড়ুনঃ কেউ মাশাআল্লাহ বললে উত্তরে কি বলতে হয় ?
তাই ঈদে মিলাদুন্নবিতে কোন প্রকার উৎসব পালন করা যাবেনা। এটা অন্যসব দিনের মত কাটাতে হবে নামাজ এবং অন্যান্য মাসনুন আমল করে। ঈদে মিলাদুন্নবীতে কোন উৎসব পালন করা যাবে কি যাবেনা তা সিদ্বান্ত নেয়ার জন্য আমরা যদি রাসূল (সঃ) বিদায় ভাষনের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে বুঝতে পারবঃ
“আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি যতদিন আকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি আমার সুন্নাহ্” (মিশকাত-১ম খন্ড হাদিস নং-১৭৭)
আর অন্যদিকে আল্লাহ পাক কোরআনে উল্লেখ করেছেনঃ
“হে কিতাবধারীরা! তোমরা তোমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হয়ো না। আর আল্লাহ সম্বন্ধে যথাযথ বলো।” (সুরা নিসা : ১৭১)
তাহলে আমরা যদি আল্লাহ ও রাসূল এ বানী সঠিক ভাবে লক্ষ্য করি তাহলে ঈদে মিলাদুন্নবী কবে ২০২১ এবং ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদাত এসব নিয়ে সকল দ্বিধা দন্দ দূর করতে পারব।
আশা করি উপরোক্ত পোস্টটি আপনাদের ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২১ কত তারিখ বা ঈদে মিলাদুন্নবী কবে ২০২১ এর উত্তর ছাড়া ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা , ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে হাদিস এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল সম্পর্কে জানতে পেরে আপনাদের উপকার হবে।
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনঈদে মিলাদুন্নবী আপনার কাছে ভালো না লাগলে আপনি কইরেন না। তবে কোরআন হাদিসের দলিল ছাড়া ভুলভাল মন গোড়া কথা বলে অন্যের ইমন নষ্ট করবেন না।
উত্তরমুছুনকোরআন হাদিসের কোনো জায়গায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে নিষেধ করা হয় নি। বরং পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ
আর্থাৎ- “হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর “অনুগ্রহ” ও “রহমত” প্রাপ্তিতে তাঁদের মুমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট”।
[সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, এখানে আল্লাহ এর “অনুগ্রহ” দ্বারা ইলমে দ্বীন এবং “রহমত” দ্বারা নবী কারীম (সাঃ) এর কথা বুঝানো হয়েছে।
[আদ্দুররুল মনসূর পৃঃ ৩৩০; তাফসীর রুহুল মা’আনী ১১তম খন্ড, পৃঃ ১৮৩]
সুতরাং আলোচ্য আয়াত এবং তাফসীরের মাধ্যমে বুঝা গেল, মিলাদুন্নাবী বা রাসূল (সাঃ) এর দুনিয়ায় শুভাগমনের কারণে স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজে আমাদের আনন্দ উৎসব করার আদেশ দিয়েছেন। আর মিলাদুন্নাবী বা রাসূল (সাঃ) এর আগমন উপলক্ষে আনন্দ-উতসব বা খুশী উদযাপন করার নামই হল পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাঃ)।
মক্কা শরীফের অন্যতম প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাব উদ্দিন আহমদ ইবনে হাজার আল হায়তামী আশশাফী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি (জন্ম- ৮৯৯ হিজরী, ওফাত- ৯৭৪ হিজরী) তাঁর সুবিখ্যাত “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের মধ্যে নিম্নোক্ত হাদীস গুলো তিনি বর্ণনা করেন-
১। সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- ﻣَﻦْ ﺍَﻧْﻔَﻖَ ﺩِﺭْﻫَﻤًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻗِﺮﺍ ﺓَ ﻣَﻮْ ﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒﻰُ ﻣَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﻨَﺮَﻓِﻴْﻘِﻰ ﻓﻰِ ﺍﻟﺠَﻨّﺔِ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]
২। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন – ﻣَﻦْ ﻋَﻈَّﻢَ ﻣَﻮْﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﻘَﺪْ ﺍَﺧْﻴَﺎ ﺍﻻﺳْﺎﻻَﻡُ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]
৩। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন – ﻣَﻦْ ﺍَﻧْﻔَﻖَ ﺩِﺭْﻫَﻤًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻗﺮﺃﺓ ﻣَﻮْﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢْ ﻓَﻜَﺎ ﻧَّﻤَﺎ ﺛَﻬِﻴﺪ ﻏَﺰُﻭَﺓِ ﺑَﺪَﺭ ﺭَﻭﺣُﻨَﻴْﻦُ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]
৪। চুতর্থ খলিফা হযরত আলি রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- ﻣَﻦْ ﻋَﻈَّﻢَ ﻣَﻮْ ﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺳَﺒَﺒَﺎ ﻟِﻘﺮﺍ ﺗﻪ ﻻ ﻳَﺤْﺮُﻡُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺍِﻻ َّﺑِﺎﻻِ ﻳْﻤَﺎﻥِ ﻭَﻳَﺪْﺧُﻞُ ﺍﻟﺠَﻨَّﻪَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣِﺴَﺎﺏ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]
বিখ্যাত মুহাদ্দীস আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে হাদীসগুলো সম্পূর্ণ সহীহ এবং সনদ নির্ভরযোগ্য। তিনি তাঁর ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় তা উল্লেখ করেছেন । অপরদিকে মক্কা শরীফের স্বনামধন্য আল্লামা ইবন হাজর হায়তামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নির্ভরতা প্রশ্নাতীত। তাঁর “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের উপর বহু শরাহ লিখা হয়েছে অর্থাৎ তাঁর লিখিত কিতাবকে আলেমগণ নির্ভরযোগ্য হিসেবেই গণ্য করতেন এবং সেই সাথে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করতেন। তন্মধ্যে আল্লামা দাউদী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আল্লামা সাইয়িদ আহমদ আবেদীন দামেস্কি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। তাঁর রিওয়াতকৃত উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণীত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চালু ছিল এবং তারাও এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।