ব্যাকলিংক কি? ব্যাকলিংক (Backlinks) সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্যাকলিংক কি SEO এর ক্ষেত্রে? এমন প্রশ্ন অনেকেই করে। ব্যাকলিংক (Backlink) যেভাবে কাজ করে ও কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন বা কেন ব্যাকলিংক ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই পোস্টে।

ব্যাকলিংক কি সেটা জানার পূর্বে জেনে নিন কোন ওয়েবসাইটকে গুগলের মত সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করাতে বা সার্স রেজাল্টের প্রথমে নিয়ে আসতে ব্যাকলিংকের ভূমিকা থাকে অনেক। পোস্টের শেষে বিভিন্ন ধরণের ব্যাকলিংকের সুবিধা, অসুবিধা দেয়া হয়েছে।

লিংক কি? ব্যাকলিংক (Backlinks) সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্যাকলিংক কি তা জানতে হলে প্রথমেই জানতে হবে লিংক কি? আপনি নিশ্চয় জানেন লিংক হলো কোনো ওয়েব পেজ থেকে অন্য কোনো ওয়েব পেইজে যাবার রাস্তা তৈরি করে দেয়া। যেমন, বস লেভেলের ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড টিপস এন্ড ট্রিকস জানতে এখানে ক্লিক করুন। এখন কেউ যদি উক্ত নীল লিখার ওপর ক্লিক করে তাহলে সে ১০টি অ্যান্ড্রয়েড টিপস জানতে পারবে। লক্ষ করুন ব্যাকলিংক সম্পর্কিত এই পোস্ট থেকে অ্যান্ড্রয়েড টিপসের পোস্ট পড়ার একটি রাস্তা বা লিংক তৈরি করা হয়েছে। এটিই হলো লিংক। ব্যাকলিংক (Backlinks) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লিংকের প্রকারভেদ আগে জানতে হবে।

লিংকের প্রকারভেদ | ব্যাকলিংকের কাজ জানতে চান?

ব্যাকলিংক কি তা জানতে লিংকের প্রকারভেদ গুলো জানলেই আপনি বুঝতে পারবেন। তো, লিংক দুই ধরণের।
  • ইন্টার্নাল লিংক (Internal Link) ও
  • এক্সটার্নাল লিংক (External Link)

ইন্টার্নাল লিংক

ইন্টার্নাল লিংক হলো একটি ওয়েবসাইটের ভেতরের কোনো একটি পোস্ট বা পেইজের সাথে একই ওয়েবসাইটের অন্য একটি পোস্ট বা পেইজের সাথে লিংক করা। যেমন একটু আগে উপরে যে অ্যান্ড্রয়েড টিপস পোস্টের লিংক দিয়েছি সেটা এই ওয়েবসাইটেরই অন্য একটা পোস্ট।

এক্সটার্নাল লিংক

এক্সটার্নাল লিংক হলো একটি ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বা পেইজের সাথে অন্য একটি ওয়েবসাইটের পোস্ট বা পেইজের সাথে লিংক করা। যেমন, অর্ডিনারি আইটির ফেসবুক পেইজে লাইক দিতে এই লিংকে ক্লিক করুন। খেয়াল করুন উক্ত লিংকে ক্লিক করলে আপনি অর্ডিনারি আইটির সাইট থেকে ফেসবুকের সাইটে চলে যাবেন। এটিই হলো এক্সটার্নাল লিংক।

ব্যাকলিংক কি? ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত

এক্সটার্নাল লিংককে ব্যাকলিংক বলে। ব্যাকলিংক এর বিষয়টা আরো পরিষ্কার করা জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট পড়তে ভিজিট করুন Wirebd ওয়েবসাইটটি। লক্ষ্য করুন, আপনি এখন অর্ডিনারি আইটির ওয়েবসাইটে পোস্ট পড়ছেন। কিন্তু যদি উক্ত Wirebd লিংকে ক্লিক করেন তাহলে এই সাইট থেকে ঐ সাইটে চলে যাবেন। মানে হলো এই ওয়েবসাইটটি Wirebd ওয়েবসাইটকে একটি ব্যাকলিংক দিলো। এখন নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ব্যাকলিংক (Backlink) কি?

কেন ব্যাকলিংক নেবেন বা দেবেন?

ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যুক্ত করা আছে। এর মানে হচ্ছে ঐসব বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপনাকে ব্যাকলিংক দিচ্ছে। কেউ যখন আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে গুগলে সার্চ দেয় তখন গুগল যাচায় করে দেখে আপনার সাইটের কতগুলো ব্যাকলিংক আছে। যত বেশি ব্যাকলিংক থাকবে তত বেশি র‍্যাংক (সার্চ রেজাল্টে গুরুত্ব) পাবে আপনার ওয়েবসাইট। আপনার সাইটের যত বেশি ব্যাকলিংক থাকবে গুগলের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের গ্রহণযোগ্যতা তত বেশি গুরুত্ব পাবে।

ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত

তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইট প্রথম সারিতে নিয়ে আসতে হলে অব্যশ্যই আপনার সাইটের বেশি বেশি ব্যাকলিংক থাকতে হবে। তবে ব্যাকলিংকের মাধ্যমে যেমন কোন ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক দেয়া হয় তেমন ছিনিয়েও নেয়া হয়। এজন্য জানতে হবে ব্যাকলিংকের প্রকারভেদ।

ব্যাকলিংকের প্রকারভেদ

ব্যাকলিংক সাধারণত ২ ধরণের হয়ে থাকে।
  • নো ফলো (No Follow) ব্যাকলিংক
  • ডু ফলো (Do Follow) ব্যাকলিংক

নো ফলো (No Follow) ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত

নো ফলো ব্যাকলিংক বলতে সেই সব ব্যাকলিংককে বোঝায় যেসব ব্যাকলিংকের মধ্যে এই HTML rel=”nofollow” অ্যাট্রিবিউটটি থাকে। সাধারণত একটি ব্যাকলিংক দেখতে এমন- <a href=”https://www.youtube.com/channel/UCj8RIWO7PcU_0NjcijwZM4A”>OrdinaryIT.com YouTube Channel</a>
আর একটি নো ফলো ব্যাকলিংক দেখতে এমন- <a href=”https://www.youtube.com/channel/UCj8RIWO7PcU_0NjcijwZM4A” rel=”nofollow”>OrdinaryIT.com YouTube Channel</a>

নো ফলো ব্যাকলিংক কেন ব্যবহার করবেন?

আপনি যখন কোন সাইটকে ব্যাকলিংক দেন তখন সেটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্ব পায়। কিন্তু আপনি যদি চান যে, উক্ত সাইট যেন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্ব না পায় সেজন্য লিংকের মধ্যে এই HTML rel=”nofollow” অ্যাট্রিবিউট যোগ করে দিতে পারেন। নো ফলো ব্যাকলিংকগুলি গুগল সার্চ ইঞ্জিন বট ইগনোর করে চলে যায় যার ফলে সার্চ রেজাল্টে নো ফলো ব্যাকলিংক কোন কাজে আসে না। সাধারণত গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মত বড় বড় সাইটগুলি অন্যান্য সাইটকে নো ফলো ব্যাকলিংক দেয়।

ডু ফলো (Do Follow) ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত

ডু ফলো ব্যাকলিংক বলতে সেই সব ব্যাকলিংককে বোঝায় যেসব ব্যাকলিংকের মধ্যে এই HTML rel=”nofollow” অ্যাট্রিবিউটটি থাকে না। কোন ব্যাকলিংকের মধ্যে যদি rel=”nofollow” অ্যাট্রিবিউটটি না থাকে তাহলে তাহলে বাই ডিফল্ট সেই ব্যাকলিংকটিকে ডু ফলো (Do Follow) ব্যাকলিংক বলে। একটি ডু ফলো ব্যাকলিংক দেখতে এমন- <a href=”https://www.youtube.com/channel/UCj8RIWO7PcU_0NjcijwZM4A”>OrdinaryIT.com YouTube Channel</a>

ডু ফলো ব্যাকলিংক কেন ব্যবহার করবেন?

আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে যে সাইটটিকে ব্যাকলিংক দিচ্ছেন, যদি চান যে- উক্ত সাইটটি গুগল সার্চে বেশি র‍্যাংক পাক তাহলে আপনি ডু ফলো (Do Follow) ব্যাকলিংক ব্যবহার করবেন। কিংবা আপনি যদি চান আপনার সাইটটি গুগল সার্চে বেশি র‍্যাংক পাক তাহলে অন্যান্য ওয়েবসাইটে নিজের সাইটের ডু ফলো (Do Follow) ব্যাকলিংক অ্যাড করতে পারেন।

আপনি যদি নিজের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেইজে্র মধ্যে ইন্টারনাল লিংক করবেন বলে মনে করেন তাহলে অবশ্যই ডু ফলো ব্যাকলিংক ব্যবহার করবেন। এই ইন্টার্নাল ব্যাকলিংকও গুগল সার্চ রেজাল্টে র‍্যাংক পেতে সহায়তা করে।

ব্যাকলিংক (Backlink) কেন দরকার?

  • সাইটের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা
  • গুগল বা অন্যান্য সার্চ রেজাল্টে সবার আগে শো করা বা 
  • সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক পাওয়া
  • সাইটের ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।

ব্যাকলিংক বেশি হলেই কি সার্চ র‍্যাংকিং এ কাজে আসবে?

না। কোন ওয়েবসাইটের শুধু ব্যাকলিংক বেশি হলেই সেই সাইট সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং এ আসবে না। ব্যাকলিংক ছাড়াও আরো অনেক শর্ত পূরণ করতে হয় একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র‍্যাংক পাওয়ার জন্য যেমন-
  • ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম ৫ সেকেন্ড বা তার কম হতে হবে
  • পেইজ সাইজ ২ মেগাবাইট বা তার কম হতে হবে
  • ওয়েব পেইজ মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে
  • কোন পেইজ বা পোস্টে কপি কন্টেন্ট থাকা যাবে না
  • সাইটে কোন মিসিং লিংক (404 error) রাখা যাবে না
  • 404 error পেইজগুলো কাস্টমাইজ হতে হবে
  • মেটা ডাটা ও মেটা ডিসক্রিপশন সমৃদ্ধ হতে হবে
  • সাইট নেভিগেশন ইউজারের কাছে সহজ হতে হবে
  • ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ইউনিক ও উইজার ইন্টার‍্যাক্টিভ হতে হবে।
তো আশা করছি ব্যাকলিংক কি এব্যাপারে আপনি একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। SEO সম্পর্কিত বা ব্যাকলিংক কি? ব্যাকলিংক (Backlinks) সম্পর্কে বিস্তারিত আরো কোন কিছু জানার থাকলে বা বুঝতে না পারলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।
Next Post Previous Post
10 Comments
  • Kotha
    Kotha ১০:৫৬ PM

    Nice

  • 8586 Amor
    8586 Amor ৪:২৯ PM

    খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছি। ট্রেনিং এর জন্য পড়েছি।

  • Imran Hossan
    Imran Hossan ১১:১৫ AM

    ভালো লিখেছেন

  • 9624 Ariful
    9624 Ariful ৯:৪২ AM

    খুব ভালো লিখেছেন।

  • 11802  Jarir.
    11802 Jarir. ৪:১৭ AM

    আলহামদুলিল্লাহ বুঝেছি এ বিষয় টা।

  • obaidullah
    obaidullah ৯:৪৬ AM

    ব্যাকলিংক ভালোভাবে বুঝতাম না। তবে এই আর্টিকেলটা পড়ে ক্লিয়ার হয়ছি।

  • 11861JUBAYER
    11861JUBAYER ৮:৫১ PM

    Sir, amar to "PC" nei, to Ami ki korte park ?

  • Ordinary IT
    Ordinary IT ৯:৩২ PM

    স্মার্টফোন দিয়ে করা যাবে।

  • Sheuly's Blogs World
    Sheuly's Blogs World ৯:৩১ AM

    I understand

  • Abdul Motin
    Abdul Motin ১১:০৮ PM

    খুব সুন্দর উপস্থাপনা।

Add Comment
comment url