OrdinaryITPostAd

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম জানলে ভ্রমণের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, ফ্লাইট বাতিল হওয়া কিংবা কোনো দুর্ঘটনার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হবে। এ ধরনের সমস্যার সময় ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স আর্থিক সুরক্ষার পাশাপাশি মানসিক স্বস্তিও এনে দেয়।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম


আমার এই ব্লগ পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কেন ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করা প্রয়োজন, কীভাবে এটি করতে হয়, কোন কোন কাগজপত্র লাগবে, প্রিমিয়াম ও কভারেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আর ভ্রমণের আগে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার পুরো প্রক্রিয়া একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

পেজ সূচিপত্রঃবিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম থেকে এখানে গ্রিন ডেলটা ইন্সুরেন্স কোম্পানির ইন্সুরেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে চলুন জানি। বিদেশ ভ্রমণের জন্য গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স কেনা খুবই সহজ। আপনি সরাসরি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম
এবার প্রোডাক্ট এ যেয়ে অল প্রোডাক্ট এ ক্লিক করুন।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম
ট্রাভেল ইন্সুরেন্স সিলেক্ট করুন।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম
আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী পলিসি নির্বাচন করুন।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম
আপনার ভ্রমণের দেশের নাম, আপনার জন্ম তারিখ, ডিপার্টচার ডেট এবং কতদিন থাকতে চান সেটি দিয়ে get quoteকরতে ক্লিক করুন।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম
তাহলে আপনার দেওয়া দিন ও আপনার বয়স অনুযায়ী ইন্সুরেন্সের খরচের হিসাব আপনাকে দেখাবে এখান থেকে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম
এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট সহ তাদের নির্ধারিত ব্রাঞ্চে গিয়ে আপনার ইন্সুরেন্স টি উঠাতে হবে। ইন্সুরেন্স উঠানোর সময় অবশ্য আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে আপনি যে দেশে যেতে চান সে দেশে কিউআর কোড সহ যেতে চান।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স কী

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হলো এমন একটি বীমা সেবা যা ভ্রমণের সময় ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা ঝুঁকির ক্ষেত্রে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। বিদেশ ভ্রমণে গেলে অনেক সময় হঠাৎ অসুস্থ হওয়া, দুর্ঘটনায় পড়া, লাগেজ হারানো, পাসপোর্ট বা ডকুমেন্ট হারানো কিংবা ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভ্রমণকারীকে যাতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্যই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করা হয়। সহজভাবে বললে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হলো এক ধরনের ভ্রমণ নিরাপত্তা বীমা, যা ভ্রমণকারীর শারীরিক, আর্থিক ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ইউরোপ শেঙ্গেন ভিসা, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও কিছু এশিয়ান দেশে ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক।

বিদেশ ভ্রমণে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের গুরুত্ব

বিদেশ ভ্রমণ অনেকের জন্যই আনন্দের ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। তবে ভ্রমণের সাথে সবসময় কিছু ঝুঁকিও থাকে। যেমন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, ফ্লাইট বিলম্ব হওয়া বা এমনকি দুর্ঘটনার শিকার হওয়া। এসব পরিস্থিতি শুধু মানসিক চাপই তৈরি করে না অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির মুখেও ফেলতে পারে। ঠিক এই জায়গাতেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

বিদেশে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। ভ্রমণের সময় অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা ঘটলে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হাসপাতালের খরচ, ওষুধ, অ্যাম্বুলেন্স চার্জ থেকে শুরু করে জরুরি সার্জারির খরচ পর্যন্ত কভার করে। এতে ভ্রমণকারীর বড় অঙ্কের খরচের চিন্তা করতে হয় না। অনেক সময় ভ্রমণের সময় লাগেজ হারিয়ে যায় বা দেরি করে পৌঁছায়। আবার পাসপোর্ট বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স থাকলে এসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় যা ভ্রমণকে নিরাপদ করে তোলে।
হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়া, এয়ারলাইনের টেকনিক্যাল সমস্যা বা অন্য কারণে ফ্লাইট দেরি বা বাতিল হতে পারে। এর ফলে হোটেল বুকিং, খাবার ও অন্যান্য খরচ বেড়ে যায়। ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স এসব অতিরিক্ত খরচ বহন করে। ভ্রমণের সময় নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। কারণ ভ্রমণকারী জানে কোনো বিপদ ঘটলেও তার আর্থিক ক্ষতি অনেকটা কমে যাবে।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম


অনেক দেশ, বিশেষ করে শেঙ্গেন অঞ্চলের দেশগুলোতে ভিসা পাওয়ার জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক। তাই বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনায় ইন্স্যুরেন্স করা ভিসা পাওয়ার একটি শর্তও। ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হলো ভ্রমণের সময় একটি নিরাপত্তা জাল। এটি ভ্রমণকারীর স্বাস্থ্য, আর্থিক সুরক্ষা ও ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিন্ত করে তোলে।

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম অনুসারে বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করবার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়। প্রথমেই প্রয়োজন আপনার বৈধ পাসপোর্টের কপি। এরপর ভিসার কপি বা ভিসা আবেদন সম্পর্কিত নথি থাকা আবশ্যক যা দেখায় যে আপনি বৈধভাবে সেই দেশের ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন।

সাথে ফ্লাইট টিকিট বা ট্রিপের বিস্তারিত তথ্য থাকতে হয় যাতে দেখা যায় কোন তারিখে কোন দেশে ভ্রমণ করছেন। হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ থাকলে আরও সুবিধা হয় কারণ এটি ভ্রমণের সময় থাকার নিশ্চিতি দেখায়। যদি কোনো দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন থাকে তবে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সার্টিফিকেট বা রিপোর্টও জমা দিতে হতে পারে।

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের জন্য প্রযোজ্য আবেদন ফর্ম পূরণ করা প্রয়োজন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হতে পারে। অনলাইন বা অফলাইনে প্রিমিয়াম পেমেন্টের রসিদ বা প্রমাণ সংরক্ষণ করাটাও জরুরি। এই সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত থাকলে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত ভাবে করতে পারবেন।

ভিন্ন ধরনের ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স কী কী

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স শুধুমাত্র এক ধরনের না। ভ্রমণের ধরন, বয়স, গন্তব্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হয়ে থাকে। আসুন সব ধরনের ট্রাভেলস এজেন্সি ইন্সুরেন্স সম্পর্কে জানি।এগুলো মূলত ভ্রমণকারীর প্রয়োজন এবং ঝুঁকি অনুযায়ী কভারেজ প্রদান করে।
ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ এটি সাধারণ ভ্রমণকারীদের জন্য। ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স সাধারণত মেডিকেল খরচ, ফ্লাইট বিলম্ব, লাগেজ হারানো, দুর্ঘটনা ও জরুরি সহায়তা কভার করে। এক বা দুইজন ভ্রমণকারীর জন্য এটি প্রযোজ্য।

স্টুডেন্ট ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই ধরনের ইন্স্যুরেন্স বিশেষভাবে তৈরি। এটি মেডিকেল কভার, হঠাৎ অসুস্থতা, জরুরি চিকিৎসা, কোর্স বাতিল বা ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা কভার করে।

গ্রুপ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ যারা দলবদ্ধভাবে বা পরিবারের সঙ্গে একসাথে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য। একাধিক ব্যক্তি একসাথে একটি পলিসিতে কভার করা হয়। এর সুবিধা হলো প্রিমিয়াম কম হয় এবং পুরো গ্রুপের জন্য একই নীতি প্রযোজ্য হয়।

সিনিয়র সিটিজেন ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ বয়সের কারণে বড়দের জন্য বিশেষ পরিকল্পিত। সিনিয়র ভ্রমণকারীদের উচ্চ চিকিৎসা খরচ, দুর্ঘটনা ও অন্যান্য ঝুঁকি বেশি হয়। এই ধরনের ইন্স্যুরেন্স তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রিমিয়াম ও কভারেজ সাজানো হয়।

ডোমেস্টিক ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ দেশের ভেতর ভ্রমণকারীদের জন্য। যেমন ট্রেন, বাস বা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সময় দুর্ঘটনা, লাগেজ হারানো বা মেডিকেল জরুরি খরচ কভার করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ বিদেশ ভ্রমণের জন্য। এটি মেডিকেল কভার, জরুরি সহায়তা, লাগেজ সুরক্ষা, ফ্লাইট বিলম্ব, দুর্ঘটনা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঝুঁকি কভার করে।

শেঞ্জেন ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সঃ শেঞ্জেন ভিসা আবেদনের জন্য বাধ্যতামূলক। ভ্রমণের পুরো সময়ের জন্য মেডিকেল কভারেজ, জরুরি চিকিৎসা, হাসপাতাল খরচ এবং রেপ্যাট্রিয়েশন কভার করে। এর মাধ্যমে ইউরোপীয় শেঞ্জেন অঞ্চলে ভ্রমণকারীরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে।

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের কতদিনের

একবার আপনি এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পার হয়ে গেলে আর ভারতের কোনো সাধারণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স নেওয়া সম্ভব না। এর কারণ হলো ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স পলিসি তখনই কার্যকর হয় যখন আপনি আপনার ভ্রমণ শুরু করেন। অর্থাৎ পলিসিটি শুরু হয় টেক-অফের সময় এবং আপনার দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত এটি বৈধ থাকে।

যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে যায় যেমন বিদেশে গিয়ে আঘাত লেগেছে বা লাগেজ চুরি হয়ে গেছে তাহলে সেই পরিস্থিতিতে আপনি পলিসি কিনতে পারবেন না এবং ক্লেইমও করতে পারবেন না। মূলত কোনো ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গেলে বা ঘটতে পারে বলে যদি আশা করা যায় তাহলে সেই ঘটনাগুলো ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের আওতায় পড়ে না।

ফ্যামিলি ও গ্রুপ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার সুবিধা

ফ্যামিলি বা গ্রুপ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স হলো এমন একটি পলিসি যা একসাথে একাধিক ভ্রমণকারীর জন্য কার্যকর হয়। সাধারণত পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের গ্রুপে ভ্রমণের সময় এটি নেওয়া হয়। এই ধরনের ইন্স্যুরেন্স নেওয়ার একটি বড় সুবিধা হলো খরচ সাশ্রয় হয়। একসাথে একটি পলিসিতে সব সদস্যকে কভার করা হলে আলাদা আলাদা পলিসির প্রিমিয়ামের তুলনায় খরচ অনেক কম হয়।
এছাড়া প্রশাসনিক কাজও সহজ হয় কারণ একসাথে সব সদস্যের জন্য ফর্ম ফিলিং, কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং ক্লেইম প্রক্রিয়া পরিচালনা করা যায়। ফ্যামিলি বা গ্রুপ পলিসি নেওয়ার আরেকটি বড় সুবিধা হলো সমান সুরক্ষা। এই পলিসির মাধ্যমে পুরো গ্রুপ বা পরিবারের সব সদস্য একই ধরনের সুবিধা এবং কভারেজ পান যেমন মেডিকেল খরচ, লাগেজ সুরক্ষা, ফ্লাইট বিলম্ব বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সমান সুরক্ষা।

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম সব মিলিয়ে ফ্যামিলি ও গ্রুপ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও মানসিকভাবে সহজ করে তোলে কারণ সবাই জানে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে পুরো গ্রুপের জন্য আর্থিক সুরক্ষা আছে। তাই তারা নিশ্চিন্তের ভ্রমণ করতে পারে।

ট্রাভেল ইনস্যুরেন্সে কী কী কভার হয়

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স মূলত ভ্রমণের সময় বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। ভ্রমণের সময় হঠাৎ অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা খরচ, হাসপাতাল ভর্তি, জরুরি সার্জারি ও ওষুধের খরচ কভার করা হয়। ভ্রমণের সময় শারীরিক দুর্ঘটনা বা আঘাত লাগলে চিকিৎসা ও কখনও কখনও স্থায়ী অক্ষমতা বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।

লাগেজ হারানো, চুরি হওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ, এয়ারলাইনের সমস্যার কারণে ফ্লাইট দেরি বা বাতিল হলে অতিরিক্ত খরচ কভার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা, চিকিৎসা পরামর্শ, আইনগত সহায়তা এবং দেশের বাইরে জরুরি সাহায্য প্রদান করা হয়।
বিদেশ-ভ্রমণের-জন্য-ট্রাভেল-ইন্স্যুরেন্স-করার-নিয়ম


ভ্রমণ বাতিল বা আগেই শেষ করতে হলে টিকেট, হোটেল বা অন্যান্য খরচের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।বিদেশে মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার খরচ কভার করা হয়। এই সমস্ত কভারেজ মিলিয়ে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স ভ্রমণকে নিরাপদ, আর্থিকভাবে সুরক্ষিত এবং মানসিকভাবে শান্তিপূর্ণ করে তোলে।

উপসংহারঃবিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার নিয়ম মেনে বিদেশ ভ্রমণের সময় ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়। এটি শুধু ভ্রমণের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে না সাথে মানসিক প্রশান্তিও দেয়। ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে মেডিকেল খরচ, দুর্ঘটনা, লাগেজ হারানো, ফ্লাইট বিলম্ব, ট্রিপ বাতিল এবং দেশে ফেরত আনার খরচ পর্যন্ত কভার করা যায়।

ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করার জন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যেমন পাসপোর্ট কপি, ভিসার কপি, ফ্লাইট টিকিট, হোটেল বুকিং এবং প্রয়োজন হলে মেডিকেল রিপোর্ট। এরপর আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে আপনার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে পলিসি বাছাই করে ক্রয় করতে পারেন। পরিবারের সদস্য বা গ্রুপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফ্যামিলি বা গ্রুপ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স নেওয়া সুবিধাজনক এতে খরচ সাশ্রয় করে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স ভ্রমণ শুরু হওয়ার আগে নেওয়া। একবার আপনার যাত্রা শুরু হলে বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পলিসি নেওয়া সম্ভব হয় না। সঠিকভাবে পলিসি নিলে আপনি ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্ত নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্যভাবে উপভোগ করতে পারবেন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ। 250737

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url