কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। মানুষ স্বাস্থ্য
রক্ষা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক উপায় থেকে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে
আসছে। এমন একটি উপাদান হল কাঁচা বাদাম। যার শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টিতে ভরপুর।
কাঁচা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা, বাদামি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, চাহিদা
সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কাঁচা
বাদাম পুষ্টি, উপকারিতা, অপকারিতা, চাহিদা সম্পর্কে। তো চলুন বাদাম সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সূচিপত্রঃ কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা,বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাস্তা হিসেবে
বাদাম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। রাস্তার পাশে ভাজা বা সেদ্ধ থেকে শুরু করে
ঘরের নানান ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত
মানুষেরা কম খরচে পুষ্টির উৎস হিসেবে এবং প্রোটিনের মান থাকায় বাদাম খেয়ে
থাকেন। কাঁচা বাদাম খাদ্যশিল্পী ব্যবহারের জন্য যেমন মিষ্টি বিস্কিট চকলেট বাদাম
তেল পেস্ট ও অন্যান্য পণ্য তৈরি করতে কাঁচা বাদাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঁচা
বাদাম আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ চাহিদা রয়েছে কাঁচা বাদামের উপকারিতা অপকারিতা
সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলঃ
১.কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতাঃ বাদাম ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং শক্তির
ভালো উৎস হলো বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে এনার্জি বাদাম খেলে শরীরের ক্লান্তি থাকে
না। বাদামে সোডিয়ামে পরিমাণ অনেক কম থাকে এবং অধিক মাত্রায় পাওয়া যায়
পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম
পরিমাণ কম হলে দেহে রক্ত যা পারে না তাই নিয়মিত কাঁচের বাদাম খাওয়া ভালো।
এছাড়াও বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম তামা লোহার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যাহা
হার্টের পক্ষে খুব ভালো এই উপাদান গুলোর মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখি এবং
হৃদরোগে ঝুঁকি কমায়। বাদাম খেলে মেজাজ ঠান্ডা ও সুস্থ থাকে তাই মানসিক চাপ কমাতে
মনকে রিফ্রেশ করতে বাদাম খাওয়া খুব জরুরী। অতিরিক্ত বাদাম খেলে আমাদের শরীরে ওজন
বেড়ে যেতে পারে যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের প্রতিদিন একটু করে হলেও বাদাম খাওয়া
প্রয়োজন। বাদামে থাকা শর্করা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২. কাঁচা বাদাম খাওয়ার অপকারিতাঃ কাঁচা বাদাম অনেক উপকার থাকলেও এর কিছু
সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা রয়েছে অনেকে বাদামে অ্যালার্জি থাকতে পারে যা
গুরুতর এলার্জির প্রতীকের সৃষ্টি হতে পারে কাঁচা বাদামি উচ্চ মাধ্যমিক এসিড থাকে
যা খনিজ পদার্থের শোষণ কমিয়ে দিতে পারে এতে উচ্চমাত্রায় ক্যালোরি থাকে যা
অতিরিক্ত সে বলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। কাঁচা বাদামে অ্যাফ্লাটোনিক্স নামক একটি
বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা দীর্ঘ মেয়াদের খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
এরা অতিরিক্ত কাঁচা বাদাম খেলে কিডনির পাথরের সমস্যা হতে পারে।
ত্বক ও চুলের যত্নে কাঁচা বাদামের উপকারিতা
কাঁচা বাদামের পুষ্টি ভরপুর এবং এতে থাকা ভিটামিন খনিজ অক্সিজেনের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক ওষুধ চুলের
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক উপকারী। কাঁচা বাদামে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং
ভিটামিন এর ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে
সাহায্য করে। কাঁচা বাজার বাদামি উচ্চ মাধ্যমিক রুটিন থাকে যে চুলের গঠন ও
বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কোন ক্ষতি ছাড়াই। কাঁচা বাদামে থাকা ভিটামিন ই এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের বার্ধক্য দূর করে।
ত্বকে বলিরেখা ও ফাইন লাইন্সে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বাদামে উপস্থিত
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট চুলকে ময়শ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের শুষ্কতা
রুক্ষতা এবং ভঙ্গুরতা এবং চুলকে নরম ও মস্তি রাখতে সাহায্য করে। বাদামে থাকা
ম্যাগনেসিয়াম জিংক এবং আয়রন চুলের গুড়া মজবুত করে এবং চুল গঠন করতে সাহায্য
করে এবং ঘন কালো টানটান করে। বাদামে উপস্থিত জিংক ও সেলিনিয়াম ত্বকের ক্ষতি
মেরামত করতে সাহায্য করে এবং কোষ পুনরায় গঠন করতে এবং ত্বকের সুরক্ষা বজায় রাখতে
ত্বকের সুস্থ রাখতে অনেক উপকারী।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা বাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও এটি সঠিক নিয়মে না খেলে হজমের সমস্যা বা ওজন বেড়ে
যেতে পারে। বাদাম কাঁচা হোক বা শুকনো এটি হার্টের জন্য অনেক উপকারী। সকালে খালি
পেটে কাঁচা আবার শুকনো বাদাম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বাদাম খাওয়ার সঠিক
নিয়মে ভিজিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে বাদাম রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে খেলে হজম সহজ
হয় ভিজানো বাদাম এনজাইম সংক্রিয় করে ফলে পুষ্টিগুণ ভালোভাবে পাওয়া যায়।
আমাদের শরীর অনুযায়ী প্রতিদিন এক মুঠো বা ৮ থেকে ১০ টি বাদাম খাওয়া
যথেষ্ট।
এর থেকে বেশি পরিমাণ খেলে ক্যালরি ওজন বাড়তে পারে। খালি পেটে কাঁচাবাজা খেলে
কারো কারো গ্যাস বা বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে এজন্য খাবারের পর বা নাস্তা
খাওয়ার পর বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। কাচা বাদাম সেদ্ধ করে বা হালকা ভিজিয়ে
খেতে পারেন এতে হজম সহজ হয়। সেদ্ধ বা ভাজার মাধ্যমে এটি চুলকানি বা পেট
ফাঁপা সম্ভাবনা কম থাকে। কারো কারো বাদামে এলার্জি থাকতে পারে তাই খাবার থেকে
এড়িয়ে চলাটা অনেক ভালো।
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাজু বাদামে রয়েছে অনেক পুষ্টির গুনাগুন কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর
অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। কাজুবাদাম খেলে ক্যান্সার কোষগুলি বাড়তে
দেয় না কাজুবাদাম নিয়মিত খেলে ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কাজু বাদামে
এক প্রকার তিল থেকে যাবি ভিটামিন বিযুক্ত আমাদের শরীরে বাদাম একমাত্র খাদ্য যা
ভিটামিন বি সবচেয়ে বেশি যোগান দেয় ভিটামিন বি এর মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
করে যা কাজু বাদাম থেকে বেশি পরিমাণ পাওয়া যায়।
নিয়মিত বাদাম খাওয়ায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় না বাদামে একটি উচ্চ
প্রোটিন যুক্ত খাবার যাওয়া দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টরলের সমস্যা
থেকে সমাধান করে। আমরা কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা খুব ভালোভাবে
জানলাম এখন কাজুবাদাম খাওয়ার অপকারিতা হলেও কাজুবাদামে রয়েছে আয়রন জিং
ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়ামের মতন শোষণে বাধা দেয় এতে করে এলার্জি সমস্যা দেখা
দিতে পারে নাক দিয়ে পানি পড়া ত্বকের সমস্যা বদ হজম হওয়ার মত ইত্যাদি সমস্যা
হয়ে থাকে।
রাতে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
রাতে বাদাম খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে রাতে বাদাম খেলে ভালো ঘুম হয় কারণ এতে
মেলাটোনিক ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বাদাম ফাইবার
উচ্চ থাকায় হজম শফি উন্নত করে পেট ভরা রাখে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়া
বাদামের স্বাস্থ্যকর চর্বির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হৃদপিণ্ডের জন্য অনেক
উপকারী। বাদামে থাকা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা মস্তিষ্কের সেরোটোনিন
বাড়াতে সাহায্য করে এবং আরামদায়ক ঘুম আনতে সহায়তা করে।
রাতে হালকা ক্ষুধা লাগলে অল্প বাদাম খেলে পেট ভরা মনে হয় এবং প্রয়োজনীয় জাঙ্ক
ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর পর যা রক্ত চলাচল করতে
সাহায্য করে এতে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। বাদামে থাকা প্রোটিনো অ্যামাইনো এসিড
গ্রুপের সময় শরীরে টিস্যু পেশী মেরামত করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক সংক্রিয়
রাখতে বা সতেজ রাখতে ঘুম অনেক উপকারী যা বাদামে ভিটামিন বি ৬ ও ফলেটে থাকার কারণে
স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং মস্তিষ্ক সতেজ রাখে।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কাঁচা বাদামে অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও এটি সবার জন্য একই কাজ করে না এবং সমান
উপকারী নয় কিছু ক্ষেত্রে এটি খাবার পর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে
তাই কাচা বাদাম খাওয়ার আগে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। কাঁচা বাদামের কিছু
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিচে দেওয়া হলঃ
এলার্জিঃ অনেকে বাদামের এলার্জি থাকে এতে ত্বকের লালচে ভাব চুলকানি শ্বাসকষ্ট
গলা ফুলে যাওয়া সহ মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কাঁচা বাদাম খাওয়া
থেকে বিরত থাকতে হবে যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে।
হজমের সমস্যাঃ অতিরিক্ত কাঁচা বাদাম খেলে গ্যাস বেড পোলাও এসিডিটি বা হজমের
গোলমাল হতে পারে। কাঁচা বাদামটি যদি হালকা করে ভাজা হয় তাহলে ফাইটিক এসিড
কমাতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।
অতিরিক্ত খাওয়াঃ বাদাম অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ক্যালরি গ্রহণ করে ওজন বৃদ্ধি
বা হজমে অস্বস্তি হতে পারে বাদামে অক্সালেটর ও থাকে যা উচ্চ পরিমাণে কিডনিতে
পাথর তৈরি করতে সাহায্য করে তাই কিডনি সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য পরিমিত
বা পর্যাপ্ত পরিমাণ বাদাম খাওয়া উচিত।
ডায়রিয়া বা বমি ভাবঃ যাদের হজমের সমস্যা তারা বেশি কাজু বাদাম খেলে
ডায়রিয়া পেট ব্যথা বা বমি ভাব হতে পারে এতে করে কাঁচা বাদাম খাওয়া থেকে
বিরত থাকাই ভালো।
চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
চিনা বাদামে ভিটামিন বি ফাইবার অ্যান্টি অক্সিজেনে ভরপুর পুষ্টিকর খাবার
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এটি এলার্জির প্রতিক্রিয়া হজম সংক্রান্ত সমস্যা ও জন
বৃদ্ধি ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি পুষ্টিকর
খাদ্য। তবে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে। চিনা বাদাম সঠিক
পরিমাণে খাওয়া হলো অত্যন্ত উপকারিতা ও অতিরিক্ত খাওয়া বা অ্যালার্জির থাকলে
ক্ষতি সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই পরিমিত খাওয়ায় ভালো চিনা বাদামের উপকারিতা নিচে
আলোচনা করা হলোঃ
চিনা বাদামের উপকারিতাঃ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে হালকা খাবার
হিসেবে বাদাম খাওয়া একটি ভালো অভ্যাস খুদা বোধ কমাতে সাহায্য করে পিত্তথলিতে
পাথর হওয়া থেকে বাঁচায়। শরীর গঠন বেশি শক্তিশালী এবং ক্ষুধা মেটাতে
সহায়ক।
চিনা বাদামের অপকারিতাঃ অতিরিক্ত খেলে ২০ শতাংশ বেড়ে যায় আইরোলজি শোষণ
করতে বাধা করে বাদামি এলার্জি থাকলে শ্বাসকষ্ট গলা ফুলে যাওয়া চুলকানি সহ
বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত বাদাম খেলে গ্যাস বুকে জ্বলা পেট
ফাঁপা হতে পারে।
সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ব্যাপক। বিজ্ঞানীদের মতে যারা সকালে নিয়মিত
কাঁচা বাদাম খান তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে নিয়মিত কাজা বাদাম খেলে শরীরের
হাড় মজবুত হয় তাদের মস্তিষ্কের পাওয়ার বৃদ্ধি এবং ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে
সাহায্য করে এতে থাকা চর্বি কার্বোহাইডেট এর মত বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। সকালে
নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরের আয়রনের অভাব দূর হয় শরীরের রক্তের অভাব দূর করে এবং
রক্ত চলাচল উন্নত করে এটি রক্তশূন্যতা কমায় নিয়মিত কাজের বাদাম খাওয়ার।
ফলে হজম শক্তি উন্নতি ঘটায় তা ছাড়া চিনা বাদামে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টির উপাদান
যেমন ম্যাঙ্গানিজ ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন কপার ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা কমাতে
সাহায্য করে। আপনার শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে
প্রতিদিন সকালে চিনা বাদাম খাওয়া এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সকালে কাঁচা
বাদাম খাওয়া এবং রাতে কাদায় বাঁধা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায় তাই আমাদের
সঠিক সময় নিয়ম মাফিক এবং অতিরিক্ত না খেয়ে এর পুষ্টির উপাদান সম্পর্কে জ্ঞান
রাখতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম
শিশুদের জন্য বাদামী একটি খুবই পুষ্টিকর খাবার। বাদাম খাওয়া ভালো দিক রয়েছে তবে
তাদের বয়স এবং হজম ক্ষমতা এবং এলার্জির ঝুঁকি খেয়াল রেখে বাদাম খাওয়ানো উচিত।
ছয় মাস থেকে এক বছর সরাসরি বাদাম নয় মায়ের দুধ বা ফর্মুলা পাশাপাশি
বাদাম পেস্ট করে খাওয়াতে পারেন এবং দুধের সাথে বাদাম মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। এক থেকে তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য গুরু করে
খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে এছাড়াও খিচুড়ি দুধ পায়েস ইত্যাদির সাথে
খাওয়ানো যায়।
৩ থেকে ৫ বছরের উপরে অল্প অল্প করে ভাজা বা ভিজানো বাদাম খাওয়ানো যাবে তবে
সম্পূর্ণ দানা দানা না দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে দিতে হবে যাতে শ্বাস রোদের ঝুঁকি
না থাকে। প্রথমবার শিশুকে বাদাম খাওয়ানোর সময় খুব সামান্য পরিমাণ দিয়ে পরীক্ষা
করে নিতে হবে যে তার কোন চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা যদি এলার্জি কোন
সমস্যা না থাকে তাহলে খাওয়াতে পারেন আর যদি এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে খাবার
থেকে দূরে রাখুন। ছোট শিশুদের জন্য দুই থেকে তিনটা বাদাম যথেষ্ট বড় শিশুদের জন্য
এক মুঠো বাদাম বা আট থেকে দশটা বাদাম খাওয়াতে পারেন।
মন্তব্যঃ কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা বাদামের চাহিদা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। ভালো মোটামুটি অনেক
প্রকারের হয়ে থাকে তবে প্রতিটি বাদামে এমন একটি খাদ্য বা নিয়ম মাফিক খাওয়ানো
ভালো যা শরীরের জন্য অনেক উপকার তাই বা কাঁচা বাদাম খাওয়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে
অনেকেই জেনেছেন এবং সঠিক নিয়ম মাফিক খাওয়ার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত বাদাম খেলে
শরীরের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন কিছু অপকারিতা রয়েছে যার উপর আলোচনা করা
হয়েছে।
কাঁচা বাদাম সম্পর্কে আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়লে অবশ্যই বুঝতে পারবেন
এই সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এমন আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজ ভিজিট করুন এতক্ষণ
আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।250510
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url