OrdinaryITPostAd

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৪ - আমেরিকা যাওয়ার ০৫ উপায়

দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো অনেকের অজানা। অনেকে স্বপ্নের রাজ্য আমেরিকা। আপনি কি আমেরিকা যাওয়ার জন্য সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না? দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমেরিকা কাজের ভিসা কিংবা অন্যান্য ভিসা গুলো কিভাবে পাওয়া যায় সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা, পড়াশোন কিংবা ব্যাবসায়ী কাজে আমেরিকা যেতে চান। তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করবো, কিভাবে কম খরচে সঠিক ভাবে আমেরিকা যেতে পারেন এবং কোন কোন বিষয় গুলো মাথায় রাখা উচিত। কি কি কাগজ পত্র সাথে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

দুবাই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার উপায়

দুবাই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার কম দামে ফ্লাইট টিকিট বুকিং এর সেরা কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলঃ

  • আপনি যদি দুবাই থেকে ক্যালিফর্নিয়া যাওয়ার সবচেয়ে কম দামে বিমানের টিকিট কিনতে চান তাহলে এই  টিপস ফলো করুন। এই টিপটি ফলো করে আপনি ২৫% যাতায়াত ভাড়া কমিয়ে ফেলতে পারবেন। বোস্টন থেকে ৩০০ ডলারের ওয়ান ওয়ে টিকেট এবং ৬৮৫ ডলারের রাউন্ড টিপ। শিকাগো হতে ওয়ান ওয়ে টিকিটের মূল্য ১৭৬৯ ডলার এবং রাউন্ড ট্রিপ মাত্র ১০০৫ ডলার।ডেনভার থেকে ২৮৫ ডলারে ওয়ান ওয়ে টিপ এবং ১৫২১ ডলারের রাউন্ড টিপ।
  • কম দামের টিকিট পেতে অবশ্যই আপনার ভ্রমণের ৩ সপ্তাহ আগে টিকেট বুক করুন।
  • ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার জন্য যে সকল মাসে সবচেয়ে বেশি বিমান খরচ হয় সেই মাসগুলো হল জুন এবং জুলাই। কম খরচে ক্যালিফোর্নিয়া যেতে অবশ্যই আপনাকে জানুয়ারি মাস সিলেক্ট করতে হবে। কারণ জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে কম দামে টিকেট পাওয়া যায় ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার জন্য।
  • আপনি যদি ক্যালিফোর্নিয়া বা সান ফ্রান্সিস্কো এবং লস অ্যাঞ্জেলসের এই দুইটি প্রধান শহরের যেকোনো একটিতে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক হন। তাহলে আপনাকে এই শহরের আশেপাশের বিমানবন্দরগুলোতে টিকেট কেনার জন্য খোঁজ খবর নিতে হবে। যেটা লস এঞ্জেলের লং বিচের ৩০ মাইলের কাছাকাছি। বারব্যাঙ্ক এর ১৫ মাইল এবং আন্টেরিও ৪০ মাইল। সান ফ্রান্সিসকো পূর্ব উপসাগরের ওকল্যান্ড ২০ মাইল এবং সেন্ট জোশে ৫০০ মাইলের কাছাকাছি।
  • আপনি যদি সান ফ্রান্সিসকো ভ্রমণ করতে চান। আপনাকে প্রথমেই দেখে নিতে হবে কোন বিমান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে। যাইহোক যদি আপনি খুব ব্যস্ততম বিমানবন্দর  সান ফ্রান্সিস্কো ল্যান্ড করতে না চান। তাহলে আপনি এর কাছাকাছি বিমানবন্দর ওকল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (গাড়িতে ৩০ মাইল) এবং সেন্ট জোসে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (গাড়িতে ৪৫ মাইল) ফ্লাইট বুকিং করতে পারেন।
  • আপনি যদি লস এঞ্জেলেন্সে ভ্রমণ করতে চান তাহলে হলিউড বারব্যাঙ্ক বিমানবন্দর এবং  বিকল্প বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ভাড়া অনেক অংশে কমে যাবে। কিন্তু সবার জন্যই লস এঞ্জেলাস ইন্টারন্যাশনাল এখনো সবার চেয়ে ভালো। এই বিমানবন্দর শহর থেকে মাত্র ২৫ মিনিটের দূরত্বে। একটি ট্যাক্সি আপনাকে শহরে নিয়ে যেতে ভাড়া নেবে মাত্র ৪৭ ডলার।     লেকস প্লে ওয়ে বাসে শহরের ভেতরে যাওয়ার জন্য টিকিটের খরচ পড়ে মাত্র ৮ ডলার।

দুবাই থেকে ফ্লোরিডা যাওয়ার উপায়

আপনি যদি দুবাই থেকে ফ্লোরিডা ভ্রমনে যাওয়ার চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কিছু মূল্যবান টিপস নিয়ে আজকে আমরা কথা বলব। দুবাই থেকে ফ্লোরিডা যাওয়ার সবচেয়ে সেরা কিছু কম দামে ফ্লাইট টিকিট বুকিং এর টিপস গুলো হলোঃ

  • দুবাই থেকে ফ্লোরিডা যাওয়ার সবচেয়ে সেরা মৌসুম হল জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর। এবং দুবাই থেকে সবচেয়ে কম দামে ফ্লাইট টিকিট বুকিং করা যায় জানুয়ারি মাসে। তাই ভ্রমণের জন্য জানুয়ারি মাসকে সিলেক্ট করুন।
  • সকালের ফ্লাইটগুলোর চেয়ে সন্ধ্যার ফ্লাইটগুলোর ১৩ শতাংশ বেশি দামে টিকিট ক্রয় করতে হয়।তাই অবশ্যই ভ্রমণের জন্য সকালের ফ্লাইটগুলোর টিকিট বুকিং করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ দুবাই থেকে ফ্লোরিডা যাওয়ার সবচেয়ে সস্তায় ফ্লাইট কোনটি?

উত্তরঃ দুবাই থেকে ফ্লোরিডা যাওয়ার জন্য সবচেয়ে কম দামে টিকিট ক্রয় করতে মিনিমাম ৭২ ঘন্টা আগে টিকিট বুকিং দিন। এতে করে ওয়ান ওয়ে টিকিটের মূল্য পড়বে ১,১১২ ডলার এবং রাউন্ড টিপ এর জন্য খরচ পড়বে ১১৬৫ ডলার। দুবাই থেকে ফ্লোরিডা যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হল দুবাই টু মিয়ামি। গত ৭২ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী এই রুটে সবচেয়ে কম দামের টিকিট বুকিং হয়েছিল মাত্র ৫৩৯ ডলারে।

প্রশ্নঃ কোন কোন এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট যাওয়া আসা করে?

উত্তরঃ নিয়মিত এমিরেট(Emirates) সবচেয়ে বেশি দুবাই থেকে  মিয়ামিতে যাতায়াত করে।

প্রশ্নঃ কোভিড-১৯ এর কারণে দুবাই থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত ফ্লাইটগুলির মধ্যে কোন এয়ারলাইনগুলির বুকিং টিকিট ক্যান্সেল করার নিয়ম রয়েছে?

উত্তরঃ শুধুমাত্র এমিরেট এয়ারলাইন্সের বুকিং টিকিট ক্যানসেল বা পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।টিকিট বুকিং করার সময় অবশ্যই তাদের নিয়ম-নীতি ভালোভাবে জেনে নিবেন।

দুবাই টু ফ্লোরিডা রুটের বিমান এর সময়সূচীঃ

যাত্রার সময়ঃ দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (Dubai DXB) -- ফ্লোরিডা ইউনাইটেড আরব এমিরেট এয়ারলাইন্স(United Arab Emirates)

রিটার্ন ফ্লাইটঃ

  • ফ্লোরিডা টু দুবাই
কেবিন ক্লাস সমূহঃ
  • প্রথম শ্রেণী -- ১৩৫৯৯ ডলার
  • বিজনেস ক্লাস -- ৩৭৯৯ ডলার
  • প্রিমিঃ ইকোঃ -- ১৭৩৬ ডলার
  • ইকোনোমি - ৬২৪ ডলার
[বিঃদ্রঃ দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে উল্লেখ করা বিমানের ভাড়া যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। সব সময় ফ্ল্যাট বুকিং এর জন্য তাদের এজেন্সির ওয়েবসাইট ফলো করুন] 

দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার উপায়

আপনি যদি দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আমরা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি কম খরচে দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার উপায় গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত। বিমান ভ্রমণ হলো সবচেয়ে সুবিধা জনক যাতায়াতের জন্য। এটি নিরাপদ এবং দ্রুত সাথে আরামদায়কও বটে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমস্ত প্রধান শহর গুলি বিমানে ভ্রমণের জন্য একে অপরের সাথে খুবই সহজতর মাধ্যম। এর আরেকটা প্রধান কারণ হলো এক শহর থেকে অন্য শহরের দূরত্ব কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার মাত্র। 

আরও পড়ুনঃ আমেরিকার রমজানের রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

বিমানে করে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয়টি হলো বিমানের টিকিট বুকিং সিস্টেম। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের ফলে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে সবার কাছে। আপনি যেহেতু দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তাহলে আপনার অবশ্যই বিমানে ভ্রমণের খুব সহজে নিউ ইয়র্ক পৌঁছাতে পারবেন। এখানে শুধু আপনার জানা থাকা উচিত দুবাই থেকে নিউ ইয়ার্ক যাওয়ার উপায় গুলো কি কি। দুবাইয়ের নিকটতম বিমানবন্দরের আইএটিএ(IETA) কোড হল ডিবিএক্স(DBX)।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

১. প্রশ্নঃ কোন সময় দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার ফ্লাইট টিকেট কম দামে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ এয়ারলাইন্সগুলো টিকিটের দাম নির্ধারণ করে আপনি যাত্রার কত দিন আগে টিকিট কিনছেন তার ওপর। এয়ারলাইনগুলোর ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আপনি যদি মঙ্গলবার বুধবার এবং শনিবারে ফ্লাইটের টিকিট বুকিং করেন তাহলে সবচেয়ে কম দামে টিকিট পেতে পারেন।

২. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার ফ্লাইট টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য কত?

উত্তরঃ দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ১১৮৩ ডলার।

৩. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে?

উত্তরঃ দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ১৯ মিনিট সময় লাগে।

৪. প্রশ্নঃ নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার মাধ্যম গুলো কি কি?

উত্তরঃ 

  • জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শহরের ভেতরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ট্যাক্সিতে করে শহরের শেষ প্রান্তে পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময় লাগে।
  • নিউ ইয়র্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ডাউন টাউনের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
  • লাগুরদিয়া বিমানবন্দর থেকে ডাউন টাউন এর দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার এবং ট্যাক্সিতে বিমানবন্দর হতে ডাউন টাউনে যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট।

৫. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট  এর যাত্রার সময় কখন?

উত্তরঃ দুবাই(DBX) থেকে প্রথম ফ্লাইটটি ৮:৩০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং নিউ ইয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছায় দুপুর ২:২৫ মিনিটে।

৬. করোনা মহামারীর চলাকালীন সময়ে কোন ফ্লাইটগুলোর কোন প্রকার চার্জ ছাড়া ফ্লাইট টিকিট বুকিং টাইম পরিবর্তন করা যায়।

উত্তরঃ যেহেতু প্রতিটি এয়ারলাইন্সের আলাদা আলাদা নিয়ম-কানুন রয়েছে। বুকিং এর সময় তাদের নিয়ম কানুন পড়ে নিবেন।

৭. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার কোন ফ্লাইটগুলো স্লিপিং এরিয়া দিয়ে থাকে?

উত্তরঃ দুবাই থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার যে সমস্ত ফ্লাইট রয়েছে তার বেশিরভাগই স্লিপিং কোচ রয়েছে। তবে এগুলো ব্যবহারের জন্য আপনাকে এক্সট্রা চার্জ বহন করতে হবে।

৮. প্রশ্নঃ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স গুলোর নাম কি?

উত্তরঃ বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা এয়ারলাইন্সগুলো হল কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেট, লুফ থানসা, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন, ওমান এয়ার এবং এয়ার এশিয়া।

৯. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার জন্য যে ফ্লাইটগুলো রয়েছে সেখানে আমি কতগুলো লাগেজ বহন করতে পারবো?

উত্তরঃ প্রতিটি আলাদা এয়ারলাইন্সের আলাদা ব্যাগের নীতি থাকে। তাই আপনি যেই এয়ারলাইন্স পছন্দ করবেন সেই এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

১০. প্রশ্নঃ একই সময় একসাথে আমি কয়টার টিকিট সংগ্রহ করতে পারি?

উত্তরঃ একসাথে একই সময় আপনি সর্বোচ্চ ৯(নয়টি) সিট বুকিং দিতে পারবেন।

১১. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার সময় নিউ ইয়র্ক এয়ারপোর্টে আমার হারিয়ে যাওয়া ল্যাগেজ গুলো কিভাবে খুঁজে পাবো?

উত্তরঃ এটার জন্য আপনার এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার হারানো লেগেসগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য আপনার ঠিকানা, আইডি এবং যাত্রার তথ্য তাদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। 

১২. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে নিউইয়র্ক ফ্লাইট এর জন্য টিকিট বুকিং করার পরে, বোর্ডিং পাস কখন হাতে পাব?

উত্তরঃ বিমানবন্দরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে আপনার টিকিট বুকিং এর তথ্য দিন। তারা সমস্ত কিছু চেক করে আপনার বোর্ডিং পাস আপনাকে দিয়ে দিবে।

১৩. প্রশ্নঃ নিউ ইয়র্ক এ কতগুলো এয়ারপোর্ট রয়েছে?

উত্তরঃ নিউ ইয়র্ক এর প্রধান চারটি বিমানবন্দর রয়েছে। নিউ ইয়র্ক জন এফ কেনেডি, নিউ ইয়র্ক নিউয়ার্ক, নিউ ইয়র্ক লাগার্ডিয়া এবং স্টুয়ার্ট ইন্টারন্যাশনাল।

১৪. প্রশ্নঃ প্রতি সপ্তাহে কতগুলো এয়ারলাইন ডুবাই থেকে নিউইয়র্ক যাত্রা করে থাকে?

উত্তরঃ প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২৪ টি ফ্লাইট দুবাই থেকে নিউ ইয়ার্কির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া যাওয়ার উপায়

আপনি যদি দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে কম খরচে টিকিট বুকিং করতে চান, তাহলে নিচের এই তথ্যগুলো আপনাকে সাহায্য করবে সবচেয়ে কম খরচের টিকিট বুকিং করতে।সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট মৌসুম রয়েছে। দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া যাওয়ার মৌসুম হল জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর। সাধারণত এই মৌসুমগুলোতে এয়ারলাইন্স গুলোর টিকিট এর দাম অনেক বেশি থাকে।  আপনি যদি দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া  যাওয়ার উপায় গুলো জানতে চান এবং কম খরচে ফ্লাইট টিকিট বুকিং করতে চান তাহলে এই টিপসগুলো ফলো করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ইন্দোনেশিয়ার রমজানের রোজার সেহরি ও ইফতারের  সময়সূচি

সেরা টিপস দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া যাওয়ার কম দামে টিকিট বুকিং করারঃ

  • যেহেতু দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া যাওয়ার মৌসুম হল জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর তাই আপনাকে এই মৌসুম গুলো বাদে অন্য কোন মাস সিলেক্ট করতে হবে। বিগত বছরগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায় সবচেয়ে কম টাকায় ফ্লাইট টিকিট বুকিং করা যায় অক্টোবর মাসে। 
  • দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া যাওয়ার জন্য বিকালের বা সন্ধ্যার ফ্লাইটের তুলনায় সকালের ফ্লাইটগুলো প্রায় ৮% কমে টিকিট বুকিং করা যায়। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

১. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া যাওয়ার সবচেয়ে কম খরচে টিকিট বুকিং কোনটি?

উত্তরঃ গত ৭২ ঘন্টার রিপোর্ট অনুযায়ী দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া রুটের ওয়ান ওয়ে টিকিটের মূল্য ছিল ৫০৯ ডলার এবং রাউন্ড টিপ এর টিকিটের মূল্য ছিল ৯২৫ ডলার।

২. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে পেন্সিলভেনিয়া বিমানে যেতে  কত সময় লাগে?

উত্তরঃ সংযুক্ত আরব আমিরাত অর্থাৎ দুবাই থেকে পেনসিলভেনিয়া বিমানে যেতে সময় লাগে মোট ১৪ ঘণ্টা ২৭ মিনিট। 

দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার উপায়

আপনি যদি দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে এখন আমরা দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার সবথেকে কম খরচে বিমানের টিকিট বুকিং করতে চান, তাহলে কিছু টিপস জানতে হবে। চেষ্টা করব কিছু সঠিক টিপস দেয়ার, যাতে করে আপনি দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার সময় খুব কম খরচে বিমান টিকিট বুকিং দিতে পারেন।

দুবাই থেকে টেক্সাস ফ্লাইট টিকিট বুকিং করার জন্য কিছু শেয়ার টিপস হলঃ

  • টেক্সাস ভ্রমণের মৌসুম হল জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং ডিসেম্বর মাস। সাধারণত এই মাসগুলোতে ফ্লাইট টিকেট গুলো চড়া দামে বিক্রি করা হয়। কম দামের টিকিট বুকিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জানুয়ারি মাসে টিকিট বুকিং করতে হবে। 
  • আপনাকে অবশ্যই ভ্রমণের জন্য বিকাল বা সন্ধ্যার ফ্লাইটগুলো বাছাই করতে হবে কেননা সকালের ফ্লাইটগুলো বিকালের ফ্লাইটের তুলনায় ১৭% বেশি খরচ করতে হয়।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তরঃ

১. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার সবচেয়ে কম দামে ফ্লাইট বুকিং এর টিকিটের মূল্য কত?

উত্তরঃ ৭২ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী দুবাই থেকে টেক্সাস যাওয়ার ফ্লাইটের সর্বনিম্ন টিকিট বিক্রি হয়েছে ওয়ান ওয়ে ১০৯৫ ডলার এবং রাউন্ড ট্রিপ ৯৩১ ডলার। 

২. প্রশ্নঃ দুবাই থেকে টেক্সাস এর উদ্দেশ্যে কোন কোন এয়ারলাইন্স ফ্লাই করে?

উত্তরঃ দুবাই থেকে অনেকগুলো এয়ারলাইন্স টেক্সাস এর উদ্দেশ্য ফ্লাইট পরিচালনা করে, তার মধ্যে এমিরেটস রেগুলার ফ্লাইট পরিচালনা করে।

আমেরিকা ভিসা কত প্রকার

আমেরিকান ভিসার প্রকারভেদ বলতে গেলে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যাবে। 

  • অ-অভিবাসী ভিসা
  • অভিবাসী ভিসা

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার উপায়

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাবার উপায়গুলো বিস্তারিতভাবে নিজে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে নিচের এই বিষয়গুলো আপনার খুব ভালোভাবে জানতে হবে।আপনি যদি আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসার ব্যবস্থা। আমেরিকা যে পড়াশোনা করার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন। শুধুমাত্র যে সকল স্টুডেন্ট আইএলটিএস(IELTS) এর স্কোর ভালো সেই সকল স্টুডেন্ট আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে পারে। 

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো হলো

এফ-ওয়ান(f-1) ভিসাঃ আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এফ-ওয়ান(f-1) ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে হবে। আপনি আমেরিকায় মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে এফ-ওয়ান(f-1) ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পড়তে যেতে হবে। 
এম ওয়ান(M-1) ভিসাঃ প্রফেশনাল ডিগ্রী নিচে যারা আগ্রহী তাদের জন্য এম ওয়ান(M-1) ভিসা। এম ওয়ান(M-1) এম ভিসার আন্ডারে বিভিন্ন প্রফেশনাল বা স্পেশালাইজড ডিগ্রী প্রদান করা হয়। 

স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার আমেরিকা যেতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে সেখানে কেমন খরচ হয় পড়াশোনার জন্য। যেহেতু আমেরিকায় জীবনযাত্রার মান অনেক ভালো তাই এখানকার টিউশনটি অনেক বেশি। আমেরিকান অ্যাম্বাসি এর তথ্যমতে স্কলারশিপ এর জন্য সাত থেকে আটটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা ভালো। আবেদন করা হয়ে গেলে সাত থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে স্টুডেন্টের হাতে কনফার্মেশন লেটার চলে আসে। 

স্টুডেন্ট ভিসার পাবার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  • আইইএলটিএস(IELTS)/টিওএসইএল(TOFEL) সার্টিফিকেট। অনেক ক্ষেত্রে এগুলোর প্রয়োজন নাও হতে পারে। এই সনদ গুলো আপনার পছন্দকিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক হয়ে থাকে। তাই আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিয়ে যাচ্ছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তগুলো ভালোভাবে দেখে নিন।
  • আপনার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট অথবা মা-বাবা এর ব্যাংক একাউন্টে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হবে। যেহেতু উন্নত দেশ আমেরিকাতে থাকা খাওয়া সহ সবকিছুর খরচ মোটামুটি অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তাই তারা আগেই এটা দেখে নাই যে আপনি সেখানে থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মত অর্থ রয়েছে কিনা।
  • আপনি যদি ১০০% স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কোন প্রকার টিউশন ফি লাগবে না।কিন্তু যদি আপনি ১০০%  স্কলারশিপ এ চার্জ না পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে প্রথম সেমিস্টারের টিউশন ফি বাবদ নির্দিষ্ট টাকা প্রদান করতে হবে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার খরচের বিস্তারিত

  • যেহুতু বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অবেদন গ্রহন করে তাই এক্সটা করে কোন আবেদন ফি লাগে নাহ। আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্বাচিত হবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক ২৮ দিনের মধ্যে কনফার্মেশন লেটার পাঠাবে তখন আপনাকে একটি নিদৃষ্ট পরিমান অর্থ তাদের দতে হবে এটা হবে মিনিমাম ৪০০-৫০০ডলার এর মত।
  • কনফার্মেশন লেটার এর সার্ভিস চার্জ এর জন্য আপনাকে দিতে হবে ২০০-২৫০ডলার।
  • এম্বাসি ফি আপনাকে দিতে হবে ১৫০-১৮০ ডলার।
সবমিলিয়ে আপনার খরচ আসবে মিনিমাম ৯০০-১০০০ডলার এর মত। যা বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে আসবে মোট ৮০-৯০হাজার টাকা।

আমেরিকা কাজের ভিসা

প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকাতে অনেক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে যায়।আর আপনি যদি তাদের মত আমেরিকাতে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে আমেরিকা কাজের ভিসা নিতে চান তাহলে প্রথমে যেটি আপনার প্রয়োজন হবে সেটি হলো ইংরেজি দক্ষতা।কেননা আপনি আমেরিকায় যেই কাজই করেন না কেন তার প্রথম শর্ত আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলতে জানতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ জাপানের রমজানের রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

আপনার মত অনেকেই দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় এবং আমেরিকায় যে কিভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে জানতে চাই। আমেরিকান কাজের ভিসার বেশ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। আর এই ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, H1B. H2A, H3, H4, L1, L2 এই সমস্ত কাজের ভিসার ক্যাটাগরিতে আপনি আমেরিকাতে যেতে পারবেন। এবং এই ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ক্যাটাগরিটি হলো H1B।

আপনি যদি আমেরিকা কাজের ভিসা নিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই জনপ্রিয় ভিসা ক্যাটাগরিটি বাছাই করতে হবে।আমেরিকা যে সমস্ত সেক্টরে সবচেয়ে বেশি লোক নিয়োগ করে সেগুলো হল, সাইন্স, মেডিকেল, হেলথ এডুকেশন, ফিজিক্যাল সাইন্স, আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথমেটিক্স, একাউন্টিং ফিনান্স ইত্যাদি সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়ে থাকেন।

আপনি যদি ওপরের ক্যাটাগরির যেকোনো একটিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আমেরিকা কাজের ভিসা পেতে পারেন। আমেরিকান কাজের ভিসার জন্য যে সকল কাগজ পত্র প্রয়োজন সেগুলো হলঃ

  • পাসপোর্ট 
  • পাসপোর্ট সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি
  • নাগরিকত্ব সনদপত্র মূলকপি
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সনদ পত্র
  • স্পনসরশীপ সনদপত্রের মূল কপি
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল থেকে ফিটনেস এর সনদপত্র
  • ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার(DOL) সার্টিফিকেট
  • এবং লিগ্যাল আইডেন্টিফিকেশন সনদপত্র ইত্যাদি

আমেরিকা কাজের ভিসার জন্য যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে আপনি এই https://bd.usembassy.gov/visas-bn ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনার সমস্ত তথ্য দিয়ে ফরম ফিলাপ করতে পারেন। আর আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে না পারেন তাহলে আপনি চাইলে বাংলাদেশী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করবে। 

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং প্রযুক্তির থেকে উন্নত একটি রাষ্ট্র আমেরিকা। আর আমেরিকার এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিবছর অনেক মানুষ আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা এর জন্য আবেদন করতে চাই। কিন্তু অনেকের কাছে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য থাকার না থাকার কারণে অনেকেই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাইনা। আপনারা অবশ্যই জেনে থাকবেন ভিসার জন্য আপনাকে অবশ্যই তাদের ইন্টারভিউ সিস্টেমের মাধ্যমে যেতে হবে। এবং অনেক দেশ এমন রয়েছে যে আপনার পাসপোর্টে যদি আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার অনুমোদন থাকে তাহলে তাদের দেশ থেকেও অনুমোদন দেয়া হয় টুরিস্ট ভিসার জন্য।

আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে। কেননা আপনি টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে যাতে করে আপনি সেই দেশে যে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পারেন। আর এটা নিশ্চিত করার জন্য আমেরিকান এম্বাসি আপনার কাছ থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাইবে। তবে অনেক সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়েও কাজ হয় না। 

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা এর জন্য ইন্টারভিউঃ আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকর বিষয়টি হচ্ছে ইন্টারভিউ। আমেরিকান এম্বাসী থেকে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা দেওয়ার আগে ইন্টারভিউ নিবে এবং এই ইন্টারভিউতে আপনাকে অবশ্যই কনফিডেন্টলি সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে হবে। 

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা এর বিভিন্ন ফরমঃ আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে তারা অনলাইনে বিভিন্ন রকম ফরম দিয়ে থাকবে এবং বিভিন্ন তথ্য নিয়ে থাকে। এর ফরম গুলোর মধ্যে অন্যতম DS-116, ds-160, DN-601 ইত্যাদি। এই ফরম গুলোর মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন, আপনার ইনকাম সোর্স, আপনার প্রফেশন সহ ইত্যাদি ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করে।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা এর খরচ

অ-অভিবাসী ভিসায় দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো জানতে চান এবং এর খরচ জানতে চান তাহলে বলতে হয় আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা এর খরচ হিসাবে সাধারণত ফি ধরা হয় ১৬০ ইউএস ডলার। এই ক্যাটাগরের মধ্যে রয়েছে ব্যবসা, ছাত্র এবং পর্যটন ভিসা। বিভিন্ন ক্যাটাগরি ওয়াইস ভিসা যেমন ধর্মীয় ভিসা, বিভিন্ন ধরনের কাজ এর ভিসার জন্য খরচ করতে হয় ১৯০ ইউ এস ডলার। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে যেমন ই ভিসা এর জন্য খরচ করতে হয় ২০৫ ইউএস ডলার এবং কে ভিসার জন্য খরচ করতে হয় ২৬৫ ইউএস ডলার।

এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি হিসেবে নির্দিষ্ট অংকের টাকা জাতীয় ভিসা কেন্দ্রে অথবা মার্কিন দূতাবাস এর কাছে সিকিউরিটি মানি হিসাবে সিকিউরিটি বিভাগের প্রদান করতে হয়।

লেখকের মন্তব্যঃ দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক  দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।আশা করি আপনার মনের প্রশ্নগুলোকে আমি সহজভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমার আলোচনা ব্যতীত আরও যদি কোন মতামত প্রশ্ন আপনার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। চেষ্টা করব আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার এবং সেগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা।

আমাদের দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো পড়ে  যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন এর সাথে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে। নিয়মিত এই ধরনের টিপস আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজকে এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন এবং আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন কথা হবে অন্য কোন এক টপিক নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ। @20200

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url