OrdinaryITPostAd

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন

ই-মেল মার্কেটিং করে আয় করার সকল উপায়অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে যে ইনকাম করা যায় তা অনেকেরই অজানা। বর্তমানে ডিজিটাল বিষয়ে সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে করা হয় কোন ব্যান্ডের প্রচার প্রচারণার কাজে অনলাইন

অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-করে-কিভাবে-ইনকাম-করবেন

মার্কেটিং কে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সবকিছুই অনলাইনে মাধ্যমে হয়ে থাকে কোন ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণা কাজে এখন অনলাইনের মাধ্যমে বেশি গুরুত্ব দেয়। অনলাইন মার্কেটিং যেন এখন সকলের পছন্দের। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি অনলাইনে মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং বেস্ট। কেননা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব সহজেই ইনকাম করা সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন তা সঠিক নিয়ম গুলো জেনে নিন।

অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-করে-কিভাবে-ইনকাম-করবেন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়াট মার্কেটিং করা অনেক সহজ। আমাদের সকলের পছন্দে তালিকায় রয়েছে ফেসবুক। সোশ্যাল মিডিয়া। এই ফেসবুক প্রোফাইল মিডিয়ার মাধ্যমে বেশি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে ফেসবুকে ৩ বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম করে তুলছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ, প্রমোশন, অ্যাডভান্টাজমেন্ট ও এফিলিয়েট লিঙ্ক পেয়ে থাকি। সহজেই ফেসবুক আর পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পণ্যের প্রমোশন করা যায় খুব সহজেই। সোশ্যাল মিডিয়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল। গুগলের ইউজার সংখ্যা রয়েছে ৪.৫ বিলিয়ন এর অধিক। প্রতি সেকেন্ডে ৯৯ হাজারটিরও বেশি সার্চ করছে। যা প্রতিদিনে প্রায় ৮.৫ বিলিয়নের বেশি ব্যবহার হচ্ছে তাহলে বোঝা যাচ্ছে এখানে আপনি হিউজ পরিমাণে অডিয়েন্স পাচ্ছেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে আপনি ফিউজ পরিমাণ অডিয়েন্স পেতে পারেন অনায়াসে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার ৭ টি উপায়

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি চাইলে নিজেই ফ্রি ডমেন হোস্টিং নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে অডিয়েন্স এর কাছে প্রোডাক্টের রিভিউ প্রমোশন করতে পারেন। তবে আপনার ট্রাফিক অবশ্যই থাকতে হবে। আপনি যে নিশ নিয়ে কাজ করবেন তা সম্পর্কে অবশ্যই একটি আর্টিকেল লিখতে হবে এবং অডিয়েন্সের চাহিদা সম্পর্কে জেনে আপনাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

প্রোডাক্টের ভাল খারাপ তুলে ধরতে হবে লেখার মাধ্যমে এবং এর মাধ্যমে আপনাকে অডিয়েন্স এর কাছে আপনার প্রোডাক্ট কয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদান করতে হবে। মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের SEO স্ট্রং থাকতে হবে। আপনার ট্রাফিক যত বাড়বে এবং অডিয়েন্স এর কাছে অ্যাফিলিয়েট লিংক তত পৌঁছাবে  

ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব।ইউটিউবে ভিজিটর সংখ্যা ২.৫ বিলিয়ন। তাহলে আশা করা যাচ্ছে এখানেও মার্কেটিং করা অনেকটাই সহজ লাভজনক হয়ে উঠবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব চ্যানেল ওপেন করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ভিডিও পাবলিশ করে কে তাদের আকৃষ্ট করতে পারেন এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষকে বিস্তারিত জানাতে পারবেন। তবে এর আগে হলো আপনার চ্যানেলের ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে এবং আপনার চ্যানেল এর ব্লগিং ভিডিও করতে হবে। মানুষকে নতুন নতুন তথ্য দিয়ে ভিজিটর বাড়াতে হবে। এভাবেই ইউটিউবের মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। 

ইমেইলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল ই-মেইল মার্কেটিং কোন কোম্পানির ব্র্যান্ড ইমেজ লিড জেনারেশন কনজুমারদের কাছে সরাসরি পণ্যের লিংক পৌঁছানোর সহজ উপায় হলো ইমেল তবে ইমেল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে বলা যায় অনেক কম ইউএস এর মত দেশগুলোতে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে অডিয়েন্স টার্গেট রাখতে হবে ইউরোপের মানুষদের। ইমেল মার্কেটিং এর জন্য আপনার টার্গেটেড ইউজার লিড কানেক্ট করতে হবে নিয়মিত ইউজারদের কাছে ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে এভাবেই ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বস্ত ওজন অর্জন করে অ্যাফিলিয়াট মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব। 

এডভেটাইসমেন্ট মার্কেটিং করেঃ সাধারণত কোন উচ্চ মূল্যের প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন করা হয়ে থাকে আবার আপনি যদি অধিক মূল্যের পণ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনি ভিডিও তৈরি করে বা কোম্পানির কাজ করবেন তাদের নিজস্ব অ্যাডভারেজমেন্ট ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন আপনার ইউটিউব চ্যানেল সোশ্যাল মিডিয়া প্রেস গুগল ও 

পাবলিক করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিংক সংযোগ করে প্রচার করতে পারবেন। এভাবেই অ্যাভিলিয়েন্ট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হয় আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া গুগল এডসেন্স এখন আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েটলিংক শেয়ার করে অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং করতে পারেন পারবেন এখানে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বা খুচরা বিক্রেতা তার পণ্যের সেবা বা ব্র্যান্ড এর প্রচার ও বিক্রয় জন্য ছোট বড় সকল অনলাইন মার্কেট এর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকে। যেমন ওয়েবসাইট ব্লগ সোশ্যাল মিডিয়া পেজ youtube, twitter, instagram ইত্যাদি।

যখন কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তার ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করে এবং মার্কেটপ্লেসে তাদের প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য বিভিন্ন ব্লগার বা youtube দের ব্যবহার করে এবং বিনিময়ে তাদেরকে একটা কমিশন প্রদান করে সেটাই হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাবেলিয়াট মার্কেটিং করার ফলে ব্লগার ইউটিউবে রা কমিশন পেয়ে থাকেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত  প্রকার

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত দুই প্রকার ১. ফ্রি মার্কেটিং এবং ২. পেইড মার্কেটিং 

ফ্রি মার্কেটিংঃ এ কোন প্রকার অর্থ ব্যয় না করে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রোডাক্ট বার সার্ভিসের প্রচার প্রচারণা করা হয়। যেমনঃ ব্লগিং, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি। 

পেইড মার্কেটিংঃ প্রোডাক্ট ট্রেড মার্কেটিং এর প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়। যেমনঃ গুগল অ্যাডসেন্স, সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাডস ইত্যাদি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ ডিজিটাল যুগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব সহজে ইনকাম করা সম্ভব মার্কেটিং শুরু করার জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম অবশ্যই একটা অনলাইন প্লাটফর্ম থাকতে হবে। তা হতে পারে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বা ইউটিউব চ্যানেল সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ক্রেজি তবে আপনার শর্ট বা প্ল্যাটফর্ম 

এ প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার ও ভিজিটর এবং সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে কেননা এফিলিয়াড মার্কেটিং প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জরুরী অডিয়েন্স যাদের কাছে আপনি আপনার প্রোডাক্টের সবকিছুই প্রচার-প্রচারণা করবেন মার্কেটিং শুরু করতে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে তাহলেই শুরু করতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

মোবাইল  দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা অনেক সহজ ও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

যেমনঃ  ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে আয় করতে পারবেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অন্য কারো ফোনও বা সেবার প্রচার করে এবং যখন কেউ আপনার দেওয়া লিঙ্গের মাধ্যমে সেই পণ্য ক্রয় বা কেনে তখন আপনি যে কমিশন পাবেন সেটাই এফলিয়েট মার্কেটিং।

আরও পড়ুনঃ টেলিগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করার সকল উপায়

মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া আপনার ফলোয়ারদের জন্য আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং লিঙ্ক যুক্ত করে মার্কেটিং করতে পারেন। মোবাইল অ্যাপসে এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে আপনার ব্যবহারকারীদের কাছে পণ্য ও সেবা প্রচার করে মার্কেটিং করতে পারবেন। মোবাইল ফোন দিয়ে এখন সবকিছুই করা সম্ভব এফিলিয়াট মার্কেটিং এর মত মার্কেটিংও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি অতি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। একজন মার্কেটের মার্কেটিং করে শুধুমাত্র তার ইনকাম করার জন্য। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি ঠিকভাবে অ্যাফিলিয়েট স্কিল অর্জন করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা অনেক সহজ আপনি যদি কোন এরিয়াতে কোন কাজ করেন এটা আগে ঠিক করে নিতে হবে।

আপনি যে এরিয়ায় কাজ করতে চান সেখানে অডিয়েন্সের কোন প্রোডাক্ট এর চাহিদা বেশি কোন প্রোডাক্টের গুরুত্ব বেশি এবং আপনার এই বিষয়ে জ্ঞান ও ইন্টারেস্ট থাকতে হবে ইন্টারেস্ট থাকতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব, ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ার মত পেজগুলো থেকে এফিলিয়াট মার্কেটিং খুব সহজেই করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। একটি উপায় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মার্কেটিং এর ফলে খুব সহজেই কোন প্রোডাক্টের প্রচার প্রচারণা করা সম্ভব হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ  

অনলাইন জগতে কাজ করা মানে পুরা বিশ্বটাই আপনার মার্কেটপ্লেস। আপনি একান্তভাবে লেগে থাকা অনলাইন অ্যাফিলিয়াট মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। ২০১৭ সাল থেকে এফলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটপ্লেসে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫.৫% বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ২০২৫ সালে এসে এটি হয়েছে প্রায় ২০ বিলিয়নের বেশি ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে আশা করা যায়। ৩৬.৯ বিলিয়ন দিয়ে দাঁড়াবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটপ্লেস ২০৩০ সালের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য পেশা হিসাবে আখ্যায়িত হবে।

অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-এর-ভবিষ্যৎ
বর্তমান সময়ে ঘরে ইনকাম করার জন্য অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিংই বেস্ট একটি লাভজনক পেশা এফিলিয়েটের ওপর পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে আপনিও রক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে জানতে হবে সময় দিতে হবে এবং নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ অসুবিধা 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। মার্কেটিং এসি লাভজনক ব্যবসা হল কিছু অসুবিধা হলে প্রতিযোগিতামূলক বাজার কম কমিশন গ্রাহকদের ধরে রাখার সমস্যা এবং হঠাৎ করে পরিবর্তনশীল অ্যালগরিদম। অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মে প্রচুর মানুষ যুক্ত থাকে তাই সফল হওয়া কঠিন।

আরও পড়ুনঃ ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করে কিভাবে

অনেক মার্কেট আর একই পণ্য বা সেবা প্রচার করে ফলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি থাকে তুলনামূলক। অনেক ক্ষেত্রেই বিস্তাররা অনেক কমিশন কম দেয় যার ফলে অনেক বেশি বিক্রি করেও কাঙ্খিত লাভবান হওয়া যায় না। আবার গ্রাহকদের প্রায় বিভিন্ন অফার বা স্যারের জন্য এক বিক্রেতার কাছ থেকে অন্য বিক্রেতার কাছে চলে যায় ফলে গ্রাহক ধরে রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয় জানা প্রয়োজন

একজন নতুন অ্যাফিলিয়ার মার্কেটার সফলতা পাওয়ার জন্য যে সকল বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন তা হল। কোন কাজ করার শুরু করার আগে সে কাজের সম্পর্কে পূর্ব পরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত আবশ্যক। কেননা কোন কাজে যদি ঠিকঠাক মত প্ল্যান সাজিয়ে বা পরিকল্পনা না করে করা যায় তাহলে সফলতা আসবে না তাই পরিকল্পনা করে কোন কাজ করলে অবশ্যই সফলতা আসবে ।

আপনাকে আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে ভবিষ্যতে বিজনেসটা আপনি কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান এবং বিজনেসটাকে আপনি কোথায় দেখতে চান। মার্কেটিং এ শূন্য হতে আসতে পারবেন না আপনার কিছু ইনভেস্টমেন্ট করতে হয়। যেমনঃ প্রোডাক্টের রিভিউ দেখার জন্য রাইটার লাগবে, ভালো ডিভাইসের প্রয়োজন হয়,

ভালো নোট কানেকশনের দরকার এগুলো আপনাকে আগে থেকেই পরিকল্পনা মাফিক ইনভেস্ট করতে হবে।  আপনাকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে কেননা নিশ নির্বাচনের মাধ্যমে আপনি কোন বিষয়ে বা কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন তা বোঝা যায়। আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকতে হবে কেননা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য যে বিষয়টা বেশি দরকার তা হল নিজস্ব ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটকে সুন্দর করে আজকাল গুলো সাজালেন কিন্তু সেগুলো গুগলের রাঙ্ক করবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই SEO করতে হবে। SEO সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। 

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনেরঅ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ Amazon.com এর মত আরও অনেক নেটওয়ার্ক। সকলের গুলো চিন্তা ভাবনা করে এফিলিয়েন্ট মার্কেটিং করলে নিশ্চয়ই লাভবান হবেন। 

উপসংহার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন 

সঠিক পদ্ধতিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম করা সহজ ও সম্ভব। অল্প সময়ে সঠিক নিয়মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। কিন্তু তার পূর্বে এটি কি এবং কিভাবে কাজ করে সকল বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে অন্যথায় ইস্টার্ন মার্কেটিং দিয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধৈর্য ধরে নিয়ম অনুযায়ী এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব। 250535

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url