OrdinaryITPostAd

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন যেখানে দেবী দুর্গার মহাপ্রস্থান পালিত হয় ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে। দেবীর আগমন ও গমন ২০২৫ এ ভক্তদের মনে আনন্দ ও বেদনার এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি করবে দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মাধ্যমে। 
২০২৫-সালের-বিজয়া-দশমী-পূজার-সময়সূচি


আমার এই ব্লগে আপনি জানতে পারবেন ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীর সঠিক সময়সূচি, দেবীর আগমন ও গমনের বিস্তারিত তথ্য, পূজার বিশেষ মুহূর্তগুলো এবং এই দিনের ধর্মীয় তাৎপর্য। ফলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন কখন কখন পূজা-আর্চনা সম্পন্ন করতে হবে ।

পেজ সূচিপত্রঃ২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি ভক্তদের জন্য এক বিশেষ দিন যেদিন দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়। দেবীর আগমন ও গমন এই উৎসবে ভক্তদের মনে গভীর আবেগ সৃষ্টি করে। কারণ একদিকে দেবীকে বরণ করার আনন্দ অন্যদিকে বিদায় জানানোর বেদনা একই সাথে অনুভূত হয়।

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পালিত হবে বৃহস্পতিবার ২ অক্টোবর। তাই ভক্তরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে পূজা-অর্চনা সম্পন্ন করবেন।পঞ্জিকা অনুসারে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীর নির্দিষ্ট সময়সূচি হলো দশমী তিথি শুরু ১ অক্টোবর ২০২৫ রাত ৭:৩১ মিনিটে ও দশমী তিথি শেষ ২ অক্টোবর ২০২৫ রাত ১১:৪০ মিনিটে। অপরাহ্ন পূজা ২ অক্টোবর দুপুর ১২:৫৯ মিনিট থেকে বিকাল ৩:২২ মিনিট পর্যন্ত। বিজয় মুহূর্ত ২ অক্টোবর দুপুর ১:৪৭ মিনিট থেকে ২:৩৪ মিনিট পর্যন্ত।

বিজয়া দশমীর তাৎপর্য

বিজয়া দশমীর তাৎপর্য হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিতে সত্যিকার অর্থেই গভীর। শব্দের উৎপত্তি "বিজয়া" ও "দশমী" দশম দিন থেকে যা নৈতিকতার জয়, অন্ধকারের অস্বীকার এবং ধর্ম সমাজে মানবিক আদর্শের বিজয়কে চিহ্নিত করে। এটি নবরাত্রি বা দুর্গাপূজার শেষ দিনের পূজা এবং একই সঙ্গে রাম-রাবণ এবং দুর্গা-মহিষাসুরের লড়াইয়ের ইতিহাসকে সম্মান করে। 
বিজয়া দশমীর দিনে শাস্ত্র অনুযায়ী পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা উচিত। বিশেষ করে পরিবারের সবাইকে ঐতিহ্যবাহী রঙিন শাড়ি ও পোষাক পরার মাধ্যমে পূজার পরিবেশকে আধ্যাত্মিক ও মঙ্গলময় করা যায়। অনেক অঞ্চলে বিজয়া দশমী শিক্ষা ও সাহিত্য উৎসর্গের দিন হিসেবে পালন করা হয় যেমন বিদ্যারম্ভম-শিক্ষার শুভ সূচনার প্রতীক। 

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে সিঁদুর খেলা ও বিসর্জন শোভাযাত্রা প্রথাগুলো সামাজিক ও পারিবারিক ঐক্য ও আবেগের প্রকাশের কেন্দ্রবিন্দু। এই উৎসব ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মেলবন্ধনের এক শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যা পাঠকদের হৃদয়ে দৃঢ় সুখ ও আশার বার্তা পৌঁছে দেয়।

২০২৫ সালে দুর্গা পূজা কবে

২০২৫ সালে দুর্গা পূজা মহোৎসব সেপ্টেম্বর ২৮ থেকে অক্টোবর ২ পর্যন্ত পালিত হবে। এই সময়ে মহা ষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মহা অষ্টমী ৩০ সেপ্টেম্বর ও মহা নবমী ১ অক্টোবর পর্যন্ত ।ধারাবাহিক পূজা মণ্ডপ সাজানো হয় এবং উৎসবের চূড়ান্ত আবহ বাতায় বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। 

বাংলাদেশে সরকারি ছুটি হিসেবে দুর্গা পূজা দিবস প্রতিবছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালিত হয়। ২০২৫ সালে এই ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী তারিখে। এদিন সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক বন্ধ থাকে যাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সুষ্ঠুভাবে দুর্গা পূজার অন্যতম প্রধান দিন বিজয়া দশমী পালন করতে পারেন।

সিন্দুর খেলায় অংশগ্রহণ

সিন্দুর খেলা হলো বিজয়া দশমীর অন্যতম প্রাণবন্ত আচার। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে মহা নবমী বা বিজয়া দশমীতে মহিলারা এই ঐতিহ্যিক খেলায় অংশ নেন। এটি কেবল একটি ধর্মীয় আচার না সামাজিক মিলনমেলারও প্রতীক। ভক্তরা একে অপরকে সিঁদুর ছিটিয়ে আশীর্বাদ জানিয়ে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য প্রকাশ করেন।

সিন্দুর খেলার সময় মহিলা এবং কখনও কখনও পুরুষরাও লাল সিঁদুর এবং জল মিশ্রিত রঙ ব্যবহার করে একে অপরকে ছিটিয়ে আনন্দ উদযাপন করেন। এটি শুভ-শক্তি ও সমৃদ্ধি কামনার প্রতীক। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে ভক্তদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধি পায় এবং পরিবার ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের বার্তা ছড়ায়।
বাংলাদেশে বিজয়া দশমীর দিন সরকারি ছুটি থাকায় ভক্তরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সিন্দুর খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এটি উৎসবের সর্বাধিক আনন্দময় মুহূর্তগুলোর একটি যা ভক্তদের মনে আনন্দ, উল্লাস এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

বিসর্জনের সঠিক নিয়ম 

বিজয়া দশমীর দিন দেবী দুর্গার বিসর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আচার। বিসর্জনের সময় সাধারণত বিজয় মুহূর্তের মধ্যে হওয়া উচিত কারণ এটি দেবীর বিদায়ের শুভ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। বিসর্জনের আগে পূজা ও আরতি সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিমাকে ফুল, মিষ্টান্ন ও অন্যান্য উপহার দিয়ে সাজাতে হয়।
২০২৫-সালের-বিজয়া-দশমী-পূজার-সময়সূচি


প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের করতে হয়। নদী বা জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন করতে নিয়ে যেয়ে প্রতিমাকে জলাশয়ে প্রবাহিত করতে হয়। বিসর্জন অনুষ্ঠানটি ভক্তদের জন্য একটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত যেখানে তারা দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন এবং নতুন বছরের জন্য শুভ কামনা করেন। দশমী তিথি হলো দেবী দুর্গার মাহাত্ম্যের দিন যা শত্রু পরাজয়, সুখ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল প্রাপ্তির জন্য সবচেয়ে ফলপ্রদ। শাস্ত্র অনুযায়ী এই দিনে পূজা করলে দেবীর আশীর্বাদ দ্রুত প্রাপ্ত হয়।

দশমীতে দেবীর পূজার বিশেষ নিয়মকানুন

বিজয়া দশমী উপলক্ষে পূজা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রহ্মসংহিতা এবং মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী দশমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা বিশেষভাবে কার্যকর হয়। পূজার পূর্বে পূজাস্থল ও নিজেকে পবিত্র রাখা আবশ্যক কারণ শ্রীদুরগা সহস্রনাম স্টোত্র অনুযায়ী শুদ্ধি ছাড়া পূজা সম্পূর্ণ হয় না। সকাল বা পূর্বাহ্ণে দেবীর প্রতিমা স্থাপন করা হয় এবং ফুল, শাড়ি ও অলঙ্কার দিয়ে সজ্জা করা হয় যা মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে শত্রু দমন এবং মঙ্গল বৃদ্ধি করে। 

পূজার সময় দুধ, জল, ফল এবং মিষ্টি অর্ঘ্য হিসেবে দেবীর কাছে অর্পণ করা হয় যা দুর্গা সহস্রনাম অনুসারে প্রধান পূজার অংশ। এছাড়াও "ওম দুর্গায়াই নমঃ" বা অন্যান্য শাস্ত্রীয় মন্ত্র পাঠ করা হয় যা দেবী ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী শত্রু দূরীকরণ ও শক্তি বৃদ্ধি করে। পূজার সময় প্রদীপ জ্বালানো এবং ধূপ দেওয়া হয় যা ব্রহ্মসংহিতা ও হরিকৃষ্ণপদ্মপুরাণ অনুযায়ী দেবীর আরাধনাকে সম্পূর্ণ করে। 

অপরাহ্ণে বিশেষ পূজা ও অঞ্জলি প্রদান করা হয় যা মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী দেবীর কৃপা দ্রুত প্রাপ্তিতে সহায়ক। কন্যা পূজা করা হয় যেখানে কন্যাদের নতুন জামা, মিষ্টি ও উপহার প্রদান করা হয় যা ব্রাহ্মণ সূত্র ও মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে দেবীর অবতারকে স্মরণ করার প্রতীক। পূজা শেষে প্রতিমার বিসর্জন নদী বা জলাশয়ে করা হয় এবং শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।

দশমী উপলক্ষে মন্দিরের বিশেষ আয়োজন

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি অনুযায়ী দেবী দুর্গার বিশেষ পূজা ও বিজয়া আরাধনা সম্পাদন করা শ্রেয়। দশমী তিথি উপলক্ষে মন্দিরে বিশেষ আয়োজন করা হয় যা শাস্ত্রীয় নির্দেশনা ও প্রাচীন রীতিনীতির ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়। মার্কন্ডেয় পুরাণ এবং ব্রহ্মসংহিতা অনুযায়ী বিজয়া দশমী মন্দিরের পূজা অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ এই দিনে দেবী দুর্গার আরাধনা সর্বাধিক ফলপ্রদ হয়। 

মন্দিরে বিশেষভাবে প্রতিমা স্থাপন করা হয় এবং সেই সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গণ পবিত্র করা হয়। মন্দিরের প্রবেশপথ, মঞ্চ এবং পূজাস্থলকে ফুল, পাতা, রঙিন বাতি এবং দীপ দ্বারা সজ্জিত করা হয় যা দুর্গা সহস্রনাম স্টোত্র অনুসারে পূজার পরিবেশকে সম্পূর্ণ করে এবং ভক্তদের মনকে ভক্তিময় করে। মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠানের সময় প্রদীপ, ধূপ ও ঘ্রাণযুক্ত বস্ত্র ব্যবহার করে দেবীর আরাধনা সম্পূর্ণ করা হয়।

হরিকৃষ্ণপদ্মপুরাণ অনুযায়ী আলো ও ধূপ দেবীর শক্তি ও কৃপা আহ্বান করার অন্যতম মাধ্যম। দশমী উপলক্ষে মন্দিরে সন্ধ্যায় বিশেষ আরতি ও পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠান করা হয় যা ভক্তদের মধ্যে ঐক্যবোধ বৃদ্ধি করে এবং সামাজিক সংহতি দৃঢ় করে। মন্দিরে কন্যা পূজার আয়োজনও করা হয় যেখানে ছোট কন্যাদের নতুন জামা, মিষ্টি এবং উপহার দিয়ে দেবীর কৃপা প্রার্থনা করা হয়। ব্রাহ্মণ সূত্র এবং মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী কন্যার পূজা করা মানে দেবীর অবতারকে স্মরণ এবং শ্রীমঙ্গল প্রাপ্তির প্রতীক।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে মন্দিরে প্রসাদ বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রতিমার বিসর্জনের আগে মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়। ব্রহ্মসংহিতা অনুযায়ী প্রতিমার বিনির্মাণ ও বিসর্জন সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে দেবীর কৃপা সর্বাধিক লাভ হয়। এই সমস্ত আয়োজন ও অনুষ্ঠান মন্দিরের শাস্ত্রীয় নিয়মকানুন অনুসারে সম্পন্ন হয় যা ভক্তদের মধ্যে ভক্তি ও শ্রীমঙ্গল বৃদ্ধি করে।

বিজয়া দশমীতে প্রসাদ বিতরণ ও সামাজিক মিলনমেলা

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি অনুযায়ী দেবী দুর্গার বিজয়া আরাধনা ও বিজয়াৎসব উদযাপন করা হবে। বিজয়া দশমী যা দেবী দুর্গার বিজয়ের প্রতীক, শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসবই না এটি সামাজিক বন্ধন ও আনন্দের দিন হিসেবেও উদযাপিত হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী মার্কন্ডেয় পুরাণ ও ব্রহ্মসংহিতা উল্লেখ করেছে যে এই দিনে ভক্তদের মধ্যে ঐক্যবোধ বৃদ্ধি এবং সামাজিক সংহতি দৃঢ় করতে মিষ্টি বিতরণ ও মিলনমেলার আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

মন্দির, পুজো মণ্ডপ বা সম্প্রদায়িক স্থানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়, যা ভক্তদের মধ্যে আনন্দ ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। মিষ্টিমুখের মাধ্যমে সবাই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান এবং বিজয়ার আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। শাস্ত্র অনুযায়ী মিষ্টি দেওয়া শুধু আনন্দের মাধ্যম নয় এটি দেবীর কৃপা লাভের একটি মাধ্যমও। দুর্গা সহস্রনাম স্টোত্র অনুসারে পূজা শেষে প্রসাদ বা মিষ্টি বিতরণ করলে দেবীর আশীর্বাদ বাড়ে এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সমৃদ্ধি আসে। 
২০২৫-সালের-বিজয়া-দশমী-পূজার-সময়সূচি


একই সঙ্গে সামাজিক মিলনমেলার আয়োজন করা হয় যেখানে পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সম্প্রদায়ের সদস্যরা একত্রিত হয়। এই মিলনমেলার মাধ্যমে মানুষ পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে এবং সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। বিজয়া দশমী উপলক্ষে এই মিলনমেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমও অনুষ্ঠিত হয় যেমন গান, নাচ ও ভজন। এই সমস্ত কার্যক্রম সমাজে আনন্দ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পরস্পরের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নেরও সুযোগ সৃষ্টি করে।

লেখকের মন্তব্যঃ২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি

২০২৫ সালের বিজয়া দশমী পূজার সময়সূচি অনুসারে দশমী ২ অক্টোবর। শাস্ত্র অনুযায়ী দশমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা সর্বাধিক ফলপ্রদ হয়। এই সময়সূচির মধ্যে সকাল এবং অপরাহ্ণে মন্দির ও পুজো মণ্ডপের বিশেষ পূজা আয়োজন, কন্যা পূজা, প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সকালে প্রতিমা স্থাপন, ফুল, শাড়ি ও অলঙ্কার দ্বারা সজ্জা, প্রদীপ ও ধূপ জ্বালানো এবং মন্ত্রপাঠ করা হয় যা দেবীর কৃপা আহ্বান করে এবং পূজার পরিবেশ পবিত্র ও আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে। 

অপরাহ্ণে বিশেষ পূজা ও অঞ্জলি প্রদান করা হয় যা মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী দেবীর আশীর্বাদ দ্রুত প্রাপ্তিতে সহায়ক। বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমার বিসর্জন শোভাযাত্রার মাধ্যমে নদী বা জলাশয়ে সম্পন্ন করা হয় যা ব্রহ্মসংহিতা অনুযায়ী দেবীর বিদায়ের সঠিক পদ্ধতি। সঠিক সময়সূচি অনুযায়ী পূজা ও আয়োজন করলে দেবী দুর্গার কৃপা সর্বাধিক প্রাপ্ত হয়, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে মঙ্গল ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ। 250737

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url