OrdinaryITPostAd

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ ২০২৫

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। অনেকেই কৌতূহলী থাকেন ঈদে মিলাদুন্নবী কবে এবং সরকারি ছুটি কবে ঘোষণা করা হবে। এই দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম দিবস উপলক্ষে সারা দেশে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়।
২০২৫-সালের-ঈদে-মিলাদুন্নবী-ছুটির-তারিখ


ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে মুসলমানরা এই দিনকে বিশেষভাবে স্মরণ করেন। তাই ২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির সঠিক তারিখ জানা থাকলে আপনি আগে থেকেই পরিকল্পনা করাতেত পারবেন এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন।

পেজ ‍সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই বছরটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে পালিত হবে। সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে এই দিনটি সরকারি অফিস, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বেসরকারি অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটির আওতায় আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, ডাক, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এই ছুটির আওতায় পড়বে না। যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবায় নিয়োজিত তাদের কর্মীরা ছুটির আওতায় পড়বে না। এদিন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি সামাজিক মিলনমেলায় অংশ নেওয়া যায়। 

ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৫

ইসলামিক ক্যালেন্ডার বা হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে। ২০২৫ সালের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী ১২ রাবিউল আউয়াল তারিখে পড়ছে যা শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

২০২৫ সালে এই দিনটি সরকারি ছুটির মাধ্যমে আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদে মিলাদুন্নবী পালন কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণেই না সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলিম সমাজে ঐক্যবদ্ধতা, আধ্যাত্মিকতা ও পরিপূর্ণ আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ১২ রবিউল আউয়াল দিনেই তাঁর ইন্তেকালও ঘটে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে। তাই মুসলিম সমাজে দিনটি দ্বিগুণ অর্থবহ একদিকে প্রিয় নবীর জন্মের আনন্দ অন্যদিকে তাঁর মৃত্যুদিনের বেদনা।
প্রথমদিকে এ দিনটি আলাদা কোনো উৎসব হিসেবে পালিত হতো না। পরে ফাতেমীয় শাসনামলে মিশরে এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এটি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশে পরিণত হয়। ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস শুধু ধর্মীয় না বরং এটি মুসলিম সমাজে ঐক্য, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক।

ঈদে মিলাদুন্নবীতে কী কী আয়োজন হয়

ঈদে মিলাদুন্নবীর আয়োজন মূলত নবীজীর জীবন, আদর্শ ও মহান শিক্ষাকে স্মরণ করার একটি মাধ্যম। বিশেষ নামাজ, দোয়া, মিলাদ মাহফিল, নাতে রাসূল, জশনে জুলুস, দান খয়রাত ও রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। এই আয়োজন মুসলমানদের জন্য ঐক্য, ভালোবাসা ও মানবকল্যাণের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
২০২৫-সালের-ঈদে-মিলাদুন্নবী-ছুটির-তারিখ


২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই দিনটি মুসলমানরা বিশেষভাবে পালন করবে। ফজরের নামাজের পর থেকে মসজিদগুলোতে কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ ও বিশেষ দোয়া করা হয়। নবীজীর উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও বিশ্ব মানবতার জন্য দোয়া করা হয়। দেশব্যাপী মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঘরে ঘরে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিল হয়। নবী করিম (সা.) এর জীবনী, আদর্শ ও দাওয়াতের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

নবীজীর প্রশংসা ও ভালোবাসা প্রকাশে নাতে রাসূল পরিবেশন করা হয়। ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নাতিয়া মাহফিল আয়োজন করে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ব্যানার, পতাকা ও স্লোগান নিয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে শোভাযাত্রা বের করেন। জশনে জুলুসে আল্লাহর তাওহিদের বার্তা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা প্রচার করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার এ দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত, হাদিস পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে।সমাজের বিভিন্ন সংগঠন দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য বিশেষ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে। টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন মিডিয়ায় নবীজীর জীবন ও শিক্ষার ওপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে করণীয় আমল

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ অনুযায়ী বাংলাদেশে সরকারি ছুটি থাকে যা মুসলমানরা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মজয়ন্তী উদযাপনের মাধ্যমে পালন করে ।আল্লাহতায়ালা কুরআনে সুস্পষ্টভাবে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.) এর ওপর সালাত ও সালাম পাঠ করার জন্য। আল্লাহ বলেন-"নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর ওপর দুরুদ প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর ওপর দুরুদ ও সালাম পাঠ করো, আদব ও সম্মানের সহিত।"- (সুরা আল আহযাবঃ ৫৬)। 

এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)এর কাছে এসে জানতে চাইলেন-"ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমরা তো আপনার ওপর সালাম দেই, এখন আল্লাহ সালাত পাঠ করতে বলেছেন, সেটা কীভাবে করব?" তখন রাসুল (সা.) তাদের দরুদে ইব্রাহিম শিখিয়ে দিলেন যা আমরা আজও নামাজে পড়ি। অধিকাংশ আলেমদের মতে এই দরুদ পড়া ওয়াজিব।

সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কুরআনের আয়াত ও রাসুল (সা.) এর শিক্ষা অনুযায়ী দুরুদ পাঠ করতেন। তারা আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর দেখানো পথেই থাকতেন। কিন্তু বর্তমানে অনেক জায়গায় দেখা যায় বিশেষ করে ১২ই রবিউল আউয়ালে ঘটা করে মিলাদ পালন করা হয়। কুরআন ও হাদিসে শুধু দুরুদ ও সালাম পাঠের কথা এসেছে। কোনো নির্দিষ্ট দিনে ঘটা করে আয়োজন করার কথা বলা হয়নি। তাই আল্লাহ ও রাসুল (সা.) যেভাবে আমাদের শিখিয়েছেন ঠিক সেইভাবেই দুরুদ পাঠ করাই উত্তম।

মিলাদুন্নবী পালনের বৈধতা

মিলাদুন্নবী হলো বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন স্মরণে পালিত একটি বিশেষ দিন। অনেকেই প্রশ্ন করেন ইসলামে নবীজীর জন্মদিন উদযাপন করা বৈধ কি না। কুরআন, হাদিস এবং ইসলামী ইতিহাসের আলোকে দেখা যায় এটি বৈধ এবং মুস্তাহাব। আল্লাহতায়ালা কুরআনে বলেন, হে প্রিয় রাসূল! তুমি স্মরণ কর ঐ দিনের ঘটনা, যখন আমি সমস্ত নবীগণের কাছে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, আমি তোমাদের কাছে এক মহান রাসূল পাঠাবো, যিনি তোমাদের নবুয়তের সত্যায়ন করবেন।

তোমরা অবশ্যই তাঁকে বিশ্বাস করবে ও সাহায্য করবে। তোমরা পরস্পর স্বাক্ষী থেকো এবং আমি তোমাদের সাথে স্বাক্ষী রইলাম (সূরা আল-ইমরান ৮১-৮২)। নবী সোমবারের রোজা সম্পর্কে জানতে চাইলে বললেন, "এই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিন কোরআন আমার ওপর নাযিল হয়েছে।"
(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৪০)। এ হাদীস প্রমাণ করে নবীজী নিজেই জন্মদিনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রোজা রাখতেন।

হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে দেখা যায় একদিন তিনি কিছু লোককে নিয়ে নিজের ঘরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম-বৃত্তান্ত আলোচনা করছিলেন। তারা নবীজীর জীবনের ঘটনাবলী স্মরণ করে আনন্দ ও খুশির সঙ্গে দুরুদ শরীফ পাঠ ও সালাম পেশ করছিলেন। এই সময় নবীজী নিজেই উপস্থিত হয়ে দেখলেন এবং তিনি বলেন "তোমাদের সকলের জন্য আমার শাফাআত অবধারিত হয়ে গেলো।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায় নবীজীর জন্মদিন স্মরণ এবং তাঁর প্রশংসা করা উম্মতের জন্য বরকতময়। এছাড়াও এটি প্রমাণ করে নবীর আগমনের খুশি ব্যক্তিগতভাবে উদযাপন করা এবং দুরুদ-সালাম পাঠ করা ইসলামে বৈধ এবং মুস্তাহাব। হাদিসটি ইবনে দাহ্ইয়া কৃত আত-তানভীর ফী মওলেদী বশীরিন নাযীর ৬০৪ হিজরীতে সংকলিত।

মিলাদুন্নবী উদযাপন বৈধ এবং মুস্তাহাব যদিও এটি অত্যধিক আড়ম্বরের সাথে করা উচিত না তবে মাহফিল, দুরুদ পাঠ, দান-খয়রাত এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক। প্রধান দিন হলো ১২ রবিউল আউয়াল তবে নবীর প্রতি ভালোবাসা ও প্রশংসা যে কোনো দিনে প্রকাশ করা যায়।

পবিত্র মাহে রজব ও রবিউল আউয়াল

সলামী ক্যালেন্ডারে মাহে রজব ও রবিউল আউয়াল দুটি মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো মুসলিম উম্মাহর জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতি ও নবীজির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মাস হিসেবে পরিচিত। মাহে রজব ইসলামী ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাস ও এটি বান্দার গুনাহ মাফের মাস হিসেবে পরিচিত। রজব মাসের সঙ্গে ইসলামের অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িত। 

পবিত্র মাহে রজবঃ হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে আকাশপানে মেরাজে গমন করেছিলেন। এছাড়া হযরত নূহ (আ.) মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় রজব মাসেই কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন। হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রথম ওহি পাঠও রজব মাসে হয়েছে। রজব মাসকে আধ্যাত্মিক বরকতের মাস হিসেবেও বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়। 

জান্নাতের তলদেশে রজব নদী প্রবাহিত যার পানি দুধের মতো সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। যারা রজব মাসে নফল রোজা রাখবেন আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে তাদেরকে এই নদীর পানি দিয়ে আপ্যায়ন করবেন। রজব নদীর পানি বরফের চেয়ে শীতল এবং একবার পান করলে আর কোনোদিন পানির পিপাসা লাগবে না, সুবহানাল্লাহ।

কুরআনে ইরশাদ হয়েছে "আসমান সমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই মহান আল্লাহর বিধানে মাসের সংখ্যা ১২টি এর মধ্যে চারটি হচ্ছে যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য নিষিদ্ধ মাস। অতএব তার ভেতরে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না" (সুরা তাওবা : ৩৬)। জাহেলিয়াতের যুগে আরবে বছরের চার মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল যার মধ্যে রজব মাসও অন্যতম। হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এবং সাথিদেরও রজব মাসে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

সুনানে বায়হাকী শরিফে উল্লেখ আছে যে বান্দার দোয়া কবুলের জন্য পাঁচটি বিশেষ রাতের মধ্যে একটি হলো রজব মাসের চাঁদ উদয়ের প্রথম রাত। অন্যান্য চারটি রাত হলো জুমার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত, ঈদুল আজহার রাত এবং মাহে শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত। রজব মাসের এ সমস্ত বৈশিষ্ট্য মুসলিম উম্মাহকে ইবাদত, নেক আমল ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য উদ্বুদ্ধ করে।

রবিউল আউয়ালঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১২ রবিউল আউয়াল দিনে দুনিয়ায় আগমন করেন। এটি ইসলামের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস কারণ রিসালাতের মহামিশনের সফলতা ও পরিপূর্ণতার সূচনা এই মাসে ঘটেছিল। একই মাসে হযরত নবীর আখেরি নবত্বের তিরোধান বা ওফাতও সংঘটিত হয় যা মুসলিম উম্মাহর জন্য গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে।

রবিউল আউয়াল মাসের মূল প্রতিপাদ্য হলো পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এই মাসে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম ইসলামকে সর্বস্তরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করে। এটি নবীজির জীবন ও শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম সমাজকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত করে।

ঈদে মিলাদুন্নবী সফলভাবে পালনের টিপস

কুরআন ও হাদিসে নির্দেশ আছে নবীজীর ওপর দরুদ ও সালাম পাঠ করার। দিনটি শুরুতেই দরুদে ইব্রাহিমসহ সালাত ও সালাম পাঠ করা উচিত। নিয়মিত নামাজের পরে দরুদ ও সালাম পাঠ করলে ঈদে মিলাদুন্নবীর মূল উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়।পরিবার, বন্ধু বা মসজিদে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করুন। নবীজীর জীবন, শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা ও বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
২০২৫-সালের-ঈদে-মিলাদুন্নবী-ছুটির-তারিখ


শিশু ও নবীনদেরও এতে অংশগ্রহণ করান যাতে তারা নবীজীর আদর্শ শিখতে পারে। দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে খাবার, পোশাক বা অর্থ বিতরণ করতে পারেন। স্থানীয় মসজিদ ও সমাজসেবী সংস্থার উদ্যোগে মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নবীজীর শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মিলাদ মাহফিলের সময় কোরআন তিলাওয়াত অন্তর্ভুক্ত করুন।
নবীজীর শিক্ষা ও হাদিসের আলোকে আলোচনার আয়োজন করুন। এটি ঈদে মিলাদুন্নবীর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। ঈদে মিলাদ উদযাপনের আগে আত্মশুদ্ধি ও নৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া উচিত। পরিবারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মিলাদ পালন করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামী শিক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারেন।

লেখকের মন্তব্যঃ২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটির তারিখ বাংলাদেশে ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার নির্ধারিত হয়েছে। এই দিনে বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ এই দিনে বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, পরিবহন ইত্যাদি চালু থাকবে।

ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর জন্মদিবস হিসেবে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে মসজিদ ও ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নামাজ, মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নবী করিম (সাঃ) এর জীবনী ও শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url