OrdinaryITPostAd

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা যা করা উচিত

শবে কদরের ফজিলতশবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জানা উচিত। মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত হল শবে কদর। তাই প্রত্যেকের শবে কদরের রাতের ইবাদত সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

শবে-কদরের-সওয়াব-পেতে-যা-করা-উচিত

প্রত্যেক মুসলমানের শবে কদরের রাতের ইবাদত পালন করা জরুরী যদি আমরা আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা পেতে চায়। আপনাদের সুবিধার্থে শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত সেই বিষয় গুলো উল্লেখ করা হবে।

সূচিপত্রঃ শবে কদরের রাতের সওয়াব পেতে যা করা উচিত জেনে নিন - শবে কদরের রাতের ইবাদত

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত এই বিষয় গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আমল করতে পারব। আমরা সবাই জানি যে শবে কদরের রাত হল মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকে এ রাত হয়ে থাকে কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে কোথাও বলা নেই যে শেষ দশকের রমজানের কোন রাতে শবে কদর হয়।

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে জেনে নিন

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে শবে কদরের রাত হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত। সাধারণত অনেকেই শবে কদরকে ভাগ্য রজনী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কারণ অনেকের বিশ্বাস এ রাতে আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টির সকল কিছুর পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন। শবে কদরের রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়ে থাকে।

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে লাইলাতুল কদরের এক রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আম্মাজান হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। {বুখারীঃ ২০২০} আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রাত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।

আমাদের এই পৃথিবীতে অসংখ্য নবী রাসুল এসেছেন সাধারণত আগে নবী রাসুলের উম্মতদের অনেক দীর্ঘ হায়াত থাকতো কিন্তু শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উম্মতের হায়াত একেবারেই কম সাধারণত তাই আল্লাহ তায়ালা এরকম কয়েকটি রাত দিয়েছেন যেগুলো হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ রাত হলো লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রাত।

এ রাতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন সাধারণত আল্লাহ তায়ালা কদরের রাতে একেবারে প্রথম আসমানে চলে আসেন এবং তার প্রত্যেক বান্দাকে ডাকতে থাকেন। আমরা আল্লাহ তায়ালার দিকে একধাপ এগিয়ে গেলে আল্লাহতালা আমাদের দিকে দুই ধাপ এগিয়ে আসেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত রমজানের শেষ দশকের লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা এবং ইবাদত পালন করা। বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের রাতে মাগরিব এবং এশারের নামাজ আমাদের সাথে আদায় করা উচিত।

শবে কদরের রাতের ইবাদত

শবে কদরের রাতের ইবাদত কি করতে হবে? এ সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। যদি আমরা আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই শবে কদরের রাতে কোন ধরনের এবাদত গুলো পালন করতে হবে এই সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা রাখতে হবে। আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করবে বলেই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রাত আমাদের দান করেছেন।

রমজান মাসে শেষ দশকে আমরা নাজাত বলে থাকি এই নাজাত অংশের বিজোড় রাত গুলোতে শবে কদর রয়েছে। তাই আমাদেরকে শুধু একটি নির্দিষ্ট বিজোড় রাতকে লাইলাতুল কদর মনে না করে শেষ দশকের প্রতিটি ভিতর রাতে ইবাদত পালন করতে হবে। এখন বিষয় হচ্ছে আপনি শবে কদরের রাতে কোন ধরনের এবাদত গুলো পালন করবেন?

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শবে কদরের রাতের জন্য বিশেষ কোনো আমল নেই। তবে যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তায় এ রাতে আমাদের সবথেকে বেশি পরিমাণে ইবাদত বন্দেগী পালন করতে হবে। যত ধরনের ইবাদত রয়েছে আপনি শবে কদরের রাতে পালন করতে পারেন। শবে কদরের রাতে জিকির, আজকার এবং দোয়া, মুনাজাত করতে পারেন।

যেহেতু এই রাতে আল্লাহ তাআলা আমাদের ভাগ্য পুনরায় লিখে থাকেন। তাই বেশি বেশি দোয়া করতে হবে যেন আমাদের ভাগ্য আরো বেশি সুন্দর হয়। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত লাইলাতুল কদরের সচেষ্ট হওয়া। যদি কোন কারনে কারো পক্ষে এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা সম্ভব না হয় তাহলে ওই ব্যক্তি যদি এশার নামাজ এবং ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে তাহলে সারারাত নামাজ পড়ার সমান সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়।

শবে কদরের রাতে কি কি আমল করতে হয়

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। যেহেতু আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং আল্লাহতালার এবাদত পালন করে তাই আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। সাধারণত আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে শবে কদরের রাতে কোন ধরনের আমল গুলো করতে হয়। যার ফলে তারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাই।

  • আপনি যদি এই রাতে আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করুন। এর আগে অবশ্যই মাগরিবের নামাজ এবং এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করুন।
  • এশার নামাজের পর থেকেই নফল নামাজ পড়া শুরু করে দিন এবং নামাজ দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে থাকুন।
  • শবে কদরের রাতের আমল হিসেবে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার নামের জিকির করতে হবে। যত সম্ভব আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
  • মন পরিষ্কার করে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করতে হবে এবং চোখের পানি ফেলে আল্লাহ তাআলার কাছে নিজের নিজের পরিবার এবং সারা বিশ্বের মুসলিমের জন্য দোয়া করতে হবে।

শবে কদর কি ভাগ্য রজনী

শবে কদর কি ভাগ্য রজনী? অনেকেই মনে করে থাকি আবার অনেকেই এই বিষয়টি বিশ্বাস করে না। আসলে এই বিষয়টি কতটুকু সত্য এবং এই বিষয়ে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কি বলে গিয়েছেন চলুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। শবে কদরের রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টিকুলের আগামীর এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন।

শবে-কদর-কি-ভাগ্য-রজনী

শবে কদরের রাতে ভাগ্য রাখা হয় কিনা এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেন। আপনি যদি এই আয়াতটি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে সম্পন্ন বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়।" {সুরা দুখানঃ ১-৪}

আমরা সকলেই একটি বিষয় জানি যে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআন নাযিল করেন রমজান মাসে এবং লাইলাতুল কদরের রাত্রে। সাধারণত এ বিষয়টি প্রতিটি মুসলিম এর জানা রয়েছে। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ঘোষণা করেছেন এই বরকতময় রাতে তিনি পবিত্র কোরআন নাযিল করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নির্ধারণ করে থাকেন। সাধারণত তাই শবে কদরকে ভাগ্য রজনী বলা হয়।

শবে কদরের করণীয়

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা থাকলে আমাদের শবে কদরের করনীয় সম্পর্কে জানা থাকবে। যে সকল গুরুত্ব পূর্ণরূপ রয়েছে এগুলোর মধ্যে শবে কদর অন্যতম একটি। বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো শবে কদরের রাতে করা উচিত। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই শবে কদরের রাতের করণীয় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

  • শবে কদরের রাতের সূর্যাস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে পবিত্র হয়ে যেতে হবে এবং আল্লাহতালার ইবাদতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে হবে।
  • শবে কদর উপলক্ষে মাগরিবের নামাজের পর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে এশার নামাজ শুরু করার আগ পর্যন্ত।
  • শবে কদরের রাতে কোরআন নাজিল হয়েছে তাই এ রাতে বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
  • শবে কদরের রাতে যত বেশি সম্ভব আল্লাহ তায়ালার জিকির-আজকার করতে হবে।
  • শবে কদরের রাত উপলক্ষে প্রতিটি বান্দার যত বেশি সম্ভব দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
  • আমাদের আগের গুনাহের কথা মনে করে কান্নাকাটি করতে হবে এবং আল্লাহ তালার কাছে গুনাহের জন্য মাফ চেয়ে নিতে হবে।
  • যদি আমরা জেনে শুনে অথবা না জেনে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
  • শবে কদরের রাতে অবশ্যই আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে সকল ক্ষুধার্থ মানুষের আছে তাদের খাওয়াতে হবে এবং বেশি বেশি দান করতে হবে।
  • যদি পরিবারের কোন ব্যক্তি মারা যায় তাহলে অবশ্যই শবে কদরের রাতে কবর জিয়ারত করতে যেতে হবে।

শবে কদরের রাতে বর্জনীয়

শবে কদরের রাতে বর্জনীয় কাজ গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যেই শবে কদরের রাতে যে সকল কাজ করতে হবে সেই কাজগুলো সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু কোন কাজগুলো করা থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ শবে কদরের রাতে বর্জনীয় কাজগুলো কোনগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। সঠিক ভাবে ইবাদত পালন করার জন্য বর্জনীয় কাজগুলো সম্পর্কে জানুন।

  • আমরা অনেকেই শবে কদরের রাতকে অবহেলায় পার করি এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • যেহেতু শবে কদরের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ তাই ঘুমানো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং বেশি বেশি ইবাদত পালন করতে হবে।
  • শবে কদরের রাতে কোন ধরনের মানুষের প্রতি আমাদের মনের ভিতর সামান্য পরিমাণে হিংসা-বিদ্বেষ না রাখা। যদি থাকে তাহলে এগুলো মুছে দিতে হবে।
  • শবে কদরের রাত উপলক্ষে আতশবাজি ফোটানো থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের বিরত রাখতে হবে।
  • শবে কদরের রাতে অতিরিক্ত আজেবাজে গল্প করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • শবে কদরের রাতে অবশ্যই আমাদেরকে এবাদত পালন করতে হবে দল বেঁধে কোন ধরনের আড্ডা দেওয়া যাবে না।
  • শবে কদরের রাতে যাবতীয় গুনাহের কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

শবে কদরের রাতে কয় রাকাত নামাজ পড়তে হয়

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। শবে কদরের রাতে অন্যতম একটি ইবাদত হল নফল নামাজ আদায় করা। সাধারণত আমরা যে ইবাদত বেশি পালন করে থাকি। নামাজ হচ্ছে সবার থেকে সেরা এবাদত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে শবে কদরের রাতে কয় রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা।

আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের জানিয়েছি যে শবে কদরের রাতে নির্দিষ্ট কোন ইবাদত নেই। শবে কদরের রাতে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী ইবাদত পালন করতে পারবেন। দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষ শবে কদরের রাতে নামাজ পড়ে থাকে। এখানে নির্দিষ্ট কত রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে এ বিষয়টি বলা নেই। আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে পারবেন।

যেহেতু শবে কদরের নামাজ হলো নফল নামাজ তাই দুই রাকাত দুই রাকাত করে যত খুশি তত রাকাত নামাজ আদায় করবেন। নামাজ আদায় করার সময় অবশ্যই দীর্ঘ সময় ধরে নামাজ আদায় করবেন। আপনি যত বেশি সময় ধরে নামাজ পড়বেন নামাজের প্রতি মনোযোগ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার আমলনামায় তত বেশি নেকি লিখা হবে।

শবে কদরের রাত কয় তারিখ

শবে কদরের রাত কয় তারিখ? অনেকে এই প্রশ্ন করে থাকে। যেহেতু মুসলিমদের কাছে শবে কদরের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই কত তারিখ শবে কদরের রাত পালন করা হবে এ বিষয়টি অনেকে জানতে চাই। উপমহাদেশে একটি বিষয় দেখা যায় যে শবে কদরের রাতে রমজান মাসের ২৭ রমজানের রাত পালন করা হয়ে থাকে। যেহেতু ঈদের মধ্যেই রমজানের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে তাই আপনি এই বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জেনে নিতে পারবেন।

২৬ রমজান সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে ২৭ রমজানের রাতে শবে কদর পালন করা হয় সাধারণত আমরা ছোটবেলা থেকেই এই ধরনের প্রচলন দেখে আসছি। কিন্তু আসলে বিষয়টা এইরকম নয় কোন নির্দিষ্ট দিন শবে কদর হবে এই বিষয়টি কোন হাদিস অথবা কুরআনে বলা নেই। রমজানের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৬ রমজান শেষ হবে ৬ এপ্রিল শনিবার।

যেহেতু হিজরী তারিখ পরিবর্তন হয় সন্ধ্যার পরেই অর্থাৎ চাঁদ উঠে যাওয়ার পরেই সেহেতু আমরা ৬ এপ্রিল শনিবার লাইলাতুল কদর পালন করতে পারি। যেহেতু আমাদের সমাজে এ বিষয়টি প্রচলন হয়ে গিয়েছে এবং এই দিনটিকেই লাইলাতুল কদর হিসেবে বেশি বিবেচনা করা হয় তাই এই দিনটি সহ শেষ দশকের যে সকল বিজোড় রাত্রি রয়েছে সেই রাত গুলোতে ইবাদত করা আমাদের কর্তব্য।

শবে কদর কখন পালন করতে হয়

শবে কদর কখন পালন করতে হয়? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শবে কদর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। মহান আল্লাহ তা'আলা কোরআনে উল্লেখ করেছেন যে শবে কদরের রাত হাজার বছরের রাতের চেয়ে উত্তম। সাধারণত এই কথা থেকেই বোঝা যায় যে শবে কদরের রাত অন্যান্য রাতের চেয়ে কতটা আলাদা এবং কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিষয় হচ্ছে শবে কদরের রাত কখন পালন করতে হবে।

শবে-কদর-কখন-পালন-করতে-হয়

কারণ আমাদের সমাজে দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষ শবে কদরের রাত ২৭ রমজান পালন করে থাকে। কিন্তু আসলেই এ বিষয়টি কতটুকু সত্য? বিশুদ্ধ হাদিস গুলো থেকে জানা যায় যে লাইলাতুল কদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে যে কোন বিজোড় রাতের মধ্যে থাকতে পারে। এই বিজোড় রাত্রি গুলো হলো ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখ। এই রাত গুলোর মধ্যেই লাইলাতুল কদর থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা

তাই আমরা যেই বিষয়টি দেখে আসছি যে রমজান মাসের ২৭ এ রমজান শুধু একটি মাত্র দিন লাইলাতুল কদর মনে করে এবাদত পালন করা এখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। ২৭ রমজান লাইলাতুল কদর এই বিষয়টি কোথাও উল্লেখ করা নেই। একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া লাইলাতুল কদর কোন দিনে রয়েছে কেউ জানে না।

লেখকের শেষ মন্তব্য

শবে কদরের সওয়াব পেতে যা করা উচিত এ বিষয় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু রমজান মাসের শবে কদর এসে থাকে তাই একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের এই বিষয় গুলো রাখা উচিত। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে শবে কদর সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়গুলো জানতে পারবেন।

আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় আরো জানতে হলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url