বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫
বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫ সম্পর্কে নির্ভুল
তথ্য জানিয়ে আজকের লেখনী। বাংলাদেশে করদাতা সংখ্যা দিনের পর দিন
বেড়েই যাচ্ছে তাই রিটার্ন ফরম পূরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হয়ে গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্সের সব ধরনের কাজ করা হয়।
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার উপায়টিও আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর
নির্দেশনা অনুসারে শিখব। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণের পদ্ধতিটি সহজ।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫
- বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫
- জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করুন
- আপনার টিন নাম্বার নিন
- আইটি আইন রেজিশট্রেশন সম্পন্ন করুন
- কর অঞ্চল ঠিক করুন
- ফরম প্রস্তুত করে নিন
- আয় উৎস অনুযায়ী লিখুন
- ব্যয় ও ছাড় যুক্ত করুন
- অনলাইনে ফাইল সাবমিট করুন
- মন্তব্যঃ বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫
বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫
বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫ নিয়ে আজকের আলোচনায়
আপনারা শিখবেন কিভাবে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করতে হয় তার শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া আগের মত জটিল
প্রক্রিয়া নেই। এবং এর পাশাপাশি আগের মত অনেক সময় ব্যয় হয় না। যাদের বার্ষিক
আয় নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত রয়েছে তাদেরকে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়। নির্দিষ্ট
সীমা অতিক্রম করলে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হয়।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো অনেকেই জানে না কিভাবে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফর্ম পূরণ
করতে হয়। ২০২৫ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর সংগ্রহ ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে
তুলেছে। আজকাল অনলাইনের মাধ্যমেই ফরম পূরণের সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি আপনি
সঠিক ভাবে পূরণের পদ্ধতি না জানেন তাহলে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৫ সালের
নিয়ম অনুসারে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণের উপায় গুলো আজকে বর্ণনা করা হবে।
বিস্তারিত পরবর্তী ধাপ গুলোতে আলোচনা করা হলো।
জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করুন
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার সর্বপ্রথম কাজ হল জাতীয় পরিচয় পত্র ভালোভাবে
যাচাই করে নেওয়া। জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্ডটি সব ধরনের তথ্য বহন করে। একজন
মানুষের পরিচয় নাম জন্ম তারিখ ঠিকানা ইত্যাদি সবকিছুই জাতীয় পরিচয়পত্রে পাওয়া
যায়। যদি জাতীয় পরিচয় পত্রে কোনো ভুল থাকে তাহলে রিটার্ন ফাইল করার সময়
ঝামেলা হতে পারে। তাই প্রথমেই এনআইডি কার্ডটি ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে যে এতে
তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা। জাতীয় পরিচয় পত্র সরকারি ডাটাবেজে আপনাকে করদাতা
হিসেবেও পরিচয় স্থাপন করে।
তাই কার্ডে থাকা তথ্য স্পষ্ট ভাবে পড়তে হবে এবং মনে মনে নিশ্চিত করতে হবে
তথ্যগুলো সঠিক কিনা। এমনকি আপনি অনলাইন এর মাধ্যমেও যাচাই করে নিতে পারেন। যদি
পরিচয় পত্রে ভুল থাকে তাহলে তার উপায় হিসেবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা জেলা পরিষদের
এনআইডি সংশোধন শাখায় যোগাযোগ করুন। জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সঠিক হওয়া জরুরী
কেননা কর রিটার্নে ভুল তথ্য দিলে আপনাকে সংশোধন জমা দিতে হতে পারে। সরকারি
প্রক্রিয়ায় টাকা ও সময় দুটোই অপচয় হয়। কাজেই আগে থেকে সাবধান থাকলে এসব
ঝামেলায় পড়বেন না।
আপনার টিন নাম্বার নিন
বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন করার জন্য আপনার টিন নাম্বার অবশ্যই থাকতে হবে।
টিন নাম্বার কে বলা হয় ট্যাক্স শনাক্তকরণ নাম্বার। প্রতিটি কর দাদার জন্য আলাদা
আলাদা টিন নাম্বার রয়েছে। প্রত্যেকটা করদাতাকে এই টিন নাম্বার কর বিভাগে শনাক্ত
করে। আর কর সংক্রান্ত সব লেনদেনে ব্যবহার করা হয় টিন নাম্বার। এই নাম্বারটি
ছাড়া ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করা সম্ভব হয় না। ট্যাক্স ফাইলিং এর প্রথম
ধাপেই এটি নেওয়া করা হয়। এই নাম্বারটি সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে জাতীয় পরিচয়
পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে।
আজকাল অনলাইনের মাধ্যমে টিন নাম্বারের জন্য আবেদন করা যায়। করদাতা হিসেবে আপনার
কাজ চালনা করার মূল চাবিকাঠি হিসেবে টিন নাম্বার কাজ করে। তাই এই নাম্বারের
মাধ্যমে আপনি কর রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন এবং কর পরিশোধ করতে পারবেন। সরকারিভাবে
যতগুলো কর সম্পর্কিত সুযোগ সুবিধা আছে সব পাবেন। আপনার টিন নাম্বারটি যদি পেয়ে
যান তখন এই নাম্বারটি অনলাইনের ফরমটিতে দিন। নাম্বারটি দেওয়া হলে আপনার
দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হবে।
আইটি আইন রেজিশট্রেশন সম্পন্ন করুন
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা একটি
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নতুন করদাতা হিসেবে আপনাকে প্রথমে আয় কর আইনের অধীন
রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই কাজটি করার ফলে আপনার কর ফাইলিং ও ভবিষ্যতের কর
সংক্রান্ত কাজগুলোকে আইনি স্বীকৃতি দেবে। আইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার টিন
নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
আজকাল এটি অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে সহজেই কাজ করা যায়।
যার ফলে সময় এবং শ্রম দুটোই বেঁচে যায়। আইটি রেজিস্ট্রেশন যদি না করেন তাহলে
আপনি ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোন আর্থিক
সুবিধা বা সরকারি সেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। আইটি রেজিস্ট্রেশন
আপনি চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিজেই এই কাজটি করতে
পারেন। অথবা কর পরামর্শদাতার সহায়তা নিতে পারেন। আইটি আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন
সম্পন্ন করলে আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করবে।
কর অঞ্চল ঠিক করুন
আপনি যখন ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিবেন তার আগেই আপনাকে প্রথমেই নিশ্চিত করতে
হবে আপনার কর অঞ্চল কোথায় পড়েছে। কর অঞ্চল নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখান
থেকে আপনার কর দাখিল, নোটিশ গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের কর এর সাথে সম্পর্কিত সব ধরনের
যোগাযোগ করা হবে। আপনার বর্তমান ঠিকানা আপনার পেশা এবং টিন সার্টিফিকেটে যেসব
তথ্য দেওয়া আছে সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের কর অঞ্চল নির্ধারণ করা হয়। জাতীয়
রাজস্ব বোর্ড এইসব তথ্য অনুসারে আপনাকে কর অঞ্চলের ভেতর নিয়ে আসে।
কর অঞ্চল যাচাই করার কাজটি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারেন এবং সরাসরি স্থানীয়
কর অফিসে যোগাযোগ করেও করতে পারেন। কর অঞ্চল সঠিকভাবে নির্ধারণ করলে আপনি সময় মত
আপনার কর জমা দিতে পারবেন এবং এরপরে যদি যেকোনো আইনি জটিলতা থাকে তাহলে তা থেকে
মুক্ত থাকতে পারবেন। অনেক সময় আপনি যদি চাকরি বদল করে থাকেন অথবা ঠিকানা
পরিবর্তন করেন বা আপনার পেশা পরিবর্তন হয় তাহলেও কর অঞ্চল পরিবর্তন করা যায়। এ
কাজটি করতে হলে অফিসে গিয়ে আপনার তথ্য জমা দিতে হয়।
ফরম প্রস্তুত করে নিন
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো রিটার্ন
ফরম প্রস্তুত করা। ফরম যদি প্রস্তুত না করে থাকেন তাহলে শেষ মুহূর্তে খুব
তাড়াহুড়ো হয়ে যায় এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই আগে থেকেই ফরম
প্রস্তুত করে রাখুন। রিটার্ন ফরম ডাউনলোড করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে পারেন। এখান থেকে খুব সহজেই আপনি একটি ফরম
পেয়ে যাবেন। আপনি যদি ব্যক্তি শ্রেণীর কর দাতা হন তাহলে আপনাকে আইটি-১১ ফরমটি
নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড 2023
ফরম নেওয়ার পর সেখানে আপনার আয় ও ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে এবং সম্পদ ও দায়ের
হিসাব দিতে হবে। এছাড়াও আপনার ব্যাংকের হিসাব দিতে হবে। টিন সার্টিফিকেট এবং
জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে হবে। এবং যদি প্রয়োজন হয় তাহলে নিবন্ধন নাম্বারটাও দিতে
হবে। ফরমটি পূরণ করার সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোথাও ভুল তথ্য না দেন
এবং কোন তথ্য অসম্পূর্ণ থেকে না যায়। যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে
জরিমানা করতে পারে। কাজেই এই বেপারে সাবধান থাকুন।
আয় উৎস অনুযায়ী লিখুন
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম টি পূরণের সময় আপনাকে আপনার আয়ের উৎস দিতে হবে এবং
বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। এর কারণ হলো আপনার দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করেই
কর বিভাগ আপনার করযোগ্য আয় বিচার করে। যদি আপনি ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে
আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে অথবা আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। আপনার আয়ের
উৎস হতে পারে আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে বেতন, বোনাস ইত্যাদি এবং যদি ব্যবসা করেন
তাহলে,
বিক্রি কতখানি হল, আয়, লাভ এগুলোর হিসাব অথবা যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে ক্লায়েন্ট, পেমেন্ট
অনলাইন ইনকাম এগুলোর উত্তর দিতে হবে। আপনি যতটুকু আয় করেন সেই আয়ের উৎস এবং
পরিমাণটি সঠিকভাবে লিখুন যেন ভুল না হয়। এবং যদি কষ্ট না হয় তাহলে ব্যাংক
স্টেটমেন্ট ও ইনভয়েস অথবা অফিশিয়াল ডকুমেন্ট এর সাথে যুক্ত করে দিন। আপনি যদি
ঠিক ভাবে আয়ের উৎস দেন তাহলে কর কর্তৃপক্ষ খুব সহজে আপনার কর নির্ধারণ করতে
পারবে এবং রিটার্ন গ্রহণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ব্যয় ও ছাড় যুক্ত করুন
বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫ এর আরও একটি
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল ব্যয় ও ছাড় যুক্ত করার বিষয়টি। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম
পূরণ করার সময় আপনি শুধু আপনার আয়ের তথ্য দিলেই হবে না বরং আপনাকে আপনার ব্যয়
ও কর ছাড় যুক্ত করতে হবে। এটি যুক্ত করলে আপনার কর যোগ্য আয় কমে যাবে এবং আপনি
কম কর দিয়ে বৈধভাবে অনেক টাকা বাঁচাতে পারবেন। আপনি ব্যয় দেখাতে চাইলে শিক্ষা
ব্যয় দেখাতে পারেন অর্থাৎ আপনার সন্তানদের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন
ফি এর খরচ দেখাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩
আবার আপনি হাসপাতালে বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকেলে যেসব খরচ হয়েছে সেই খরচ
গুলো দেখাতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য খরচ যেমন জীবন বীমা এবং স্বাস্থ্য বীমা অথবা
পেনশনের স্কিমের প্রিমিয়াম এগুলো দেখাতে পারেন। আপনার যদি আরো কোন খরচ থাকে
সেগুলো দেখাতে পারেন যেমন, সরকার অনুমোদিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা ধর্মীয় দান মূলক
প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিলে আপনি সেই খরচটিও দেখাতে পারেন। এই কাজটি করলে আপনার
করযোগ্য আয় কমবে এবং কর কম দিতে হবে এর পাশাপাশি আয় রিটার্ন বৈধ এবং শক্তিশালী
হবে।
অনলাইনে ফাইল সাবমিট করুন
ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক সহজ
হয়ে গেছে এবং ডিজিটাল হয়ে গেছে। আপনি যদি চান তাহলে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে
আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত সব ধরনের ধাপ সম্পন্ন করার পর আপনি
তথ্য যাচাই করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন। এই বাটনটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার
তথ্যগুলো অনলাইনে সাবমিট হয়ে যাবে। এবং এরপর আপনি একটি রিসিপ্ট পাবেন যেটি
আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে।
তবে একটি পরামর্শ থাকবে যে অনলাইনে ফাইলটি সাবমিট করার আগেই আপনার সব ডকুমেন্ট
স্ক্যান করে রেখে দিন। যদি ভুল তথ্য দিয়ে সাবমিট করে দেন তাহলে পরে সংশোধন করা
কঠিন হতে পারে। এবং এই কাজটি করতে গিয়ে যদি আপনার কোন অসুবিধা হয় তাহলে আইন
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। সব শেষ কথা হলো অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা আর কঠিন
কোন কাজ বর্তমানে নয়। এই গাইডলাইনগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই রিটার্ন ফরম
জমা দিতে পারেন।
মন্তব্যঃ বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫
বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করার সহজ উপায় ২০২৫ সম্পর্কে আজকের
আর্টিকেলে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ার
মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণ করতে হয় এবং
এর জন্য কোন কোন ধাপগুলো মেনে চলতে হয়। বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বেড়ে
যাওয়ার কারণে যে কেউ এখন নিজেই ঘরে বসে থেকে রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। আগে যেমন
সময় লাগতো এবং বিষয়গুলো কঠিন ছিল বর্তমানে সেটি আর নেই।
আজকে যেই ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো সেগুলো একেবারে সঠিক। আপনি এই ধাপগুলো মেনে চলার
মাধ্যমে আপনার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফরম খুব সহজে পূরণ করতে পারবেন এবং জমা দিতে
পারবেন। যদি আপনি সঠিকভাবে আয়কর রিটার্ন দিতে পারেন তাহলে আপনাকে ভবিষ্যতে
ব্যাংক লোন, ভিসা প্রসেসিং ব্যবসায়িক সুবিধা সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের
সুযোগ দেওয়া হবে। অনলাইন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ এমন সব তথ্য পেতে আমাদের
আর্টিকেল নিয়মিত পড়ুন। এবং আমাদের আর্টিকেলটি সবার সাথে শেয়ার করুন।250510
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url