ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫ নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন। তবে এই পদ্ধতি
ছাড়াও আরোও অনেক উপায় আছে সেগুলো আমরা নিচে আলোচনা করবো।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে অনেক উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ঠিক এই কারণে অনেকে
ফেসবুক ব্যবহার করে প্যাসিভ ইনকামও করছে। তাই আপনিও যদি ফেসবুক থেকে কিভাবে আয়
করতে হয় জানতে চান তাহলে নিচের তথ্য গুলো পড়তে পারেন।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
- ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
- নতুন নিয়মে ফেসবুক পেজ খোলার সম্পূর্ন নিয়ম
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে কি কি করতে হয়?
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
- ফেসবুক পেজ থেকে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করার উপায়
- ফেসবুক গ্রুপ থেকে কি ইনকাম করা সম্ভব?
- ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ ও স্পনসরড কনটেন্ট থেকে আয়
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট বিক্রি করার টিপস
- এআই ভিডিও আপলোড করে কি ইনকাম করা যায়?
- পরিশেষেঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫ নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে। ২০২৫ সালে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের অনেকগুলো সহজ ও কার্যকর উপায়
রয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক রিলস থেকে আয় করা। এক সময়
অনেকে ফেসবুকে বড় বড় ভিডিও আপলোড করে তারপর পেজ মনিটাইজ করে ভিডিও আপলোডের
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতো। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে ফেসবুক আপডেটের মাধ্যমে বড়
ভিডিও এর জায়গায় রিলসকে বসানো হয়েছে। অর্থাৎ এখন আপনি বড় ভিডিও আপলোড করলেও সেগুলো সরাসরি রিলস আকারে দেখানো হবে বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে বড় ভিডিও গুলোর জায়গা রিলস দখল করে নিয়েছে। তাই এখন শুধু রিলস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
রিলস ছাড়াও আরোও অনেক উপায় রয়েছে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার। তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায় হচ্ছে ফেসবুক স্টার প্রোগ্রাম। ফেসবুক স্টার প্রোগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করা অন্যান্য সকল উপায়ের চাইতে সহজ। কারণ ফেসবুক রিলস থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার পেজে সর্বনিম্ন ৫০০০ জন ফলোয়ার থাকতে হবে এবং সেই সাথে গত ৩০ দিনে আপনার কমপক্ষে ৫টি রিলস ভিডিওতে সর্বমোট ১০০০০০ বা এক লাখ ভিউস থাকতে হবে। এছাড়াও আরোও কিছু দিক মেনে চলতে হবে। যেমনঃ আপনি যেসব ভিডিও আপলোড করছেন সেগুলো অবশ্যই নিজের তৈরি হতে হবে এবং কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ও মনিটাইজেশন নীতিমালা মেনে চলতে হবে ইত্যাদি।
অপর দিকে ফেসবুক স্টার প্রোগ্রাম থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার শুধু ৫০০
জন ফলোয়ার থাকলেই হবে এবং ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড, কনটেন্ট
নীতিমালা এবং মনিটাইজেশন শর্ত মেনে চললেই হবে। তবে স্টার প্রোগ্রাম থেকে
খুব একটা বেশি টাকা ইনকাম করা যায় না। কারণ কেউ যদি আপনাকে একটি স্টার সেন্ড
করে তাহলে আপনার ইনকাম হবে মাত্র ০.০১$ এবং এই ভাবে ১০০ স্টার সেন্ড করলে
আপনার ইনকাম হবে মাত্র ১$ যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। উপরের এই পদ্ধতি গুলো
ছাড়াও আরোও অনেক উপায়ে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়। সেই উপায় গুলো নিচে তুলে
ধরা হলো।
- ফেসবুক পেইজ থেকে প্রোডাক্ট সেল করে টাকা ইনকাম।
- ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম।
- ফেসবুকে নিজের কোর্স, ডিজিটাল পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করে টাকা ইনকাম।
- স্পনসরড কনটেন্ট ও ব্র্যান্ড ডিল করে টাকা ইনকাম।
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে টাকা ইনকাম।
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম ইত্যাদি।
নতুন নিয়মে ফেসবুক পেজ খোলার সম্পূর্ন নিয়ম
২০২৫ সালের সম্পূর্ন নতুন নিয়মে ফেসবুক পেজ খোলার উপায় নিচে বিস্তারিত
আলোনা করা হবে। একটি নতুন পেজ খোলার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত
ফেসবুক একাউন্টে লগইন করে নিতে হবে। ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে লগইন
করার পর মোবাইল অ্যাপে অথবা ওয়েবসাইট থেকে Menu অপশনে ক্লিক করতে হবে। মেনু
অপশনে ক্লিক করার পর অনেক গুলো অপশন আপনার সামনে চলে আসবে। এবার এখান
থেকে Pages অপশন খুঁজে বের করতে হবে। এরপর এই অপশনে প্রবেশ করার
পর Create অপশনের উপর ক্লিক করতে হবে।
ক্রিয়েট অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি ড্যাশবোর্ড ওপেন হয়ে
যাবে। এবার এখান থেকে আপনার পেজের একটি নাম এবং ক্যাটেগরি সিলেক্ট করতে
হবে। ক্যাটেগরি হিসেবে আপনার পেজটি যে ধরণের সেই ধরণের ক্যাটাগরি দিতে
হবে। যেমন আপনি যদি স্বাস্থ রিলেটেড ভিডিও আপলোড করেন তাহলে ক্যাটেগরি
হবে হেলথ। আবার আপনি যদি খেলাধুলা সংক্রান্ত ভিডিও আপলোড করেন তাহলে
আপনার ক্যাটেগরি হবে স্পোর্ট। এই ভাবে আপনার পেজের ধরণ
অনুযায়ী ক্যাটেগরি সিলেক্ট করতে হবে। ক্যাটেগরি সিলেক্ট করার পর
নেক্সট অপশনে ক্লিক করলেই আপনার একটি নতুন পেজ তৈরি হয়ে যাবে।
অনেক সময় ক্রিয়েট অপশনে ক্লিক করলে ফেসবুক পেজ তৈরি করার প্রক্রিয়া নাও হতে
পারে। আপনি যদি এমন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে ফেসবুক লাইট অ্যাপ ব্যবহার
করতে হবে। ফেসবুক লাইট অ্যাপে এই ধরণের সমস্যা দেখা যায় না। ফেসবুক লাইটে পেজ
তৈরি করার পর আপনি চাইলে আপনার পেজের বাঁকি সেটআপ বা সকল সেটিংস ফেসবুকের
মোবাইল অ্যাপে অথবা ব্রাউজারে খুব সহজে করে নিতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে কি কি করতে হয়?
ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম, শর্ত এবং প্রস্তুতি মানতে
হয়। একটি ফেসবুক পেজ বিভিন্ন মাধ্যমে মনিটাইজ করা যায়। সেই মাধ্যম গুলো
হলো ইন স্টিম অ্যাড, ফেসবুক স্টারস, সাবসক্রিপশন ইত্যাদি। এই
উপায় গুলো থেকে মনিটাইজ পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ফলোয়ার ও শর্ত মানতে হয়।
ফলোয়ার সংখ্যা সম্পর্কে জানা সহ আমাদের এই শর্ত গুলো সম্পর্কে আগে জানা উচিত।
তাই এখন আমরা ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে হলে যে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম
এবং শর্ত রয়েছে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো।
Eligibility পূরণ করতে হবেঃ
মনিটাইজেশন পদ্ধতি | প্রয়োজনীয়তা |
---|---|
ইন স্টিম অ্যাড | ১০,০০০ ফলোয়ার + ৬০ দিনে ৩০,০০০ মিনিট ভিডিও ভিউ |
ফেসবুক স্টারস | ৫০০ ফলোয়ার + গত ৩০ দিনে ৫টি ভিডিও বা লাইভ |
সাবসক্রিপশন | ১০,০০০ ফলোয়ার বা গত ৬০ দিনে ২৫ ঘণ্টা দেখা হয়েছে এমন ভিডিও |
ব্রান্ডেড কন্টেন্ট | ফলোয়ার থাকতে হবে, কনটেন্ট মানসম্পন্ন হতে হবে |
এফিলিয়েট মার্কেটিং | নিজের লিংকে পণ্য বিক্রি করে আয় |
এরপর কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলতে হবে। ফেবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড
এবং পার্টনাম মনিটাইজেশন পলেসি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও স্প্যাম, ভুল
তথ্য, হিংসাত্মক বা কপিরাইট কনটেন্ট পেজে পোস্ট করলে মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে
যেতে পারে। তাই ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অন্য কারোও ভিডিও ডাইউনলোড করে
কপিরাইট ফ্রি করে আপলোড করার মত কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। অতীতে এক সময়
এইভাবে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা গেলেও বর্তমান সময়ে মেটা এই সকল বিষয়
মেনে চলে না। তাই এই ধরণের কাজকে স্প্যাম এর বলে আপরা পেজের মনিটাইজেশন বন্ধ
করে নিতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে অনেক মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম
করছে। আপনিও খুব সহজে ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রামে
একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে মানুষের চাহিদা
রয়েছে এই রকম পণ্য নির্বাচন করতে হবে। এরপর এই পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক
তৈরি করতে হবে। মূলত অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট পেজ থেকেই আপনি এই লিংক
পাবেন। এরপর আপনাকে ভিডিও, রিভিউ পোস্ট, ইনফোগ্রাফিক, লাইভ রিভিউ
ইত্যাদির মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রমোট করতে হবে।এখন যদি কেউ এই লিংক থেকে আপনার
এই পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।
জনপ্রিয় কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের তালিকাঃ
প্ল্যাটফর্ম | কমিশন রেট | পেমেন্ট |
---|---|---|
Amazon Associates | ৪-১০% | ব্যাংক, গিফট কার্ড |
ClickBank | ৩০-৭৫% | পেওনিয়ার,ব্যাংক |
Daraz Affiliate | ৫-১২% | ব্যাংক |
Digistore24 | ২০-৮০% | পেপাল, ব্যাংক |
CJ Affiliate | প্রোডাক্ট অনুযায়ী ভিন্ন | ব্যাংক |
ফেসবুক পেজ থেকে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করার উপায়
ফেসবুক পেজ থেকে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করা ২০২৫ সালে অন্যতম সহজ, জনপ্রিয়
এবং লাভবান একটি অনলাইন ব্যবসার মাধ্যম। আপনি ফিজিক্যাল পণ্য যেমন জামা কাপড়,
কসমেটিকস কিংবা ডিজিটাল সার্ভিস যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, কোর্স, কনসালটেন্সি
প্রায় সকল কিছুই বিক্রি করতে পারেন ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে। ফেসবুক পেজ
থেকে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে প্রফেশনাল ফেসবুক
পেজ তৈরি করতে হবে। কারণ প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ ছাড়া বর্তমান সময়ে মানুষ
কাউকে ভরসা করতে পারে না। তাই আপনি যদি যেকোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান
তাহলে প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে।
ফেসবুক পেজের নাম, লোগো, কভার ছবি এবং বর্ণনা পণ্যের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি
করে করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার পেজে জামা কাপড় বিক্রি করতে চান তাহলে
জামা কাপড় রিলেটেড একটি নাম এবং এর সাথে লোগো ও কভারও জামা কাপড়ের সাথে মিল
রেখে তৈরি করতে হবে। এরপর পেজের সাথে একটি অ্যাকশান বাটন হিসেবে ম্যাসেজ নাও,
কল নাও কিংবা শপ নাও বাটন দিতে হবে। সেই সাথে দ্রুত ম্যাসেজের রিপ্লাই করার
জন্য ম্যাসেজ অটোমেশনও করতে পারেন। এরপর একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি
হচ্ছে পণ্যের ছবি ও ভিডিও মানসম্পন্ন হতে হবে। এই সকল দিক মাথায় রেখে
কাজ শুরু করলে আশা করা যায় দ্রুত ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিস
বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে কি ইনকাম করা সম্ভব?
ফেসবুকের পেজের মত করে ফেসবুক গ্রুপ থেকেও টাকা ইনকাম করা
সম্ভব। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মানসম্মত একটি
গ্রুপ তৈরি করেন। তাহলে সেই গ্রুপ থেকেই আয় করা সম্ভব। এর জন্য প্রথমেই
আপনাকে এমন একটি টপিকের উপর গ্রুপ তৈরি করতে হবে যা মানুষ ফেসবুকে প্রতিদিন
সার্চ করে। যেমন বর্তমান সময়ে অনেকেই ফেসবুকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়,
স্বাস্থ্য, ফ্যাশন ইত্যাদি বিষয় লিখে সার্চ করে থাকে। এখন আপনাকে ঠিক এই রকম
রিলেটেড একটি গ্রুপ তৈরি করতে হবে। তবে গ্রুপ তৈরি করার সময় একটি বিষয় লক্ষ্য
রাখতে হবে যে আপনি যে নাম গ্রুপ খুলবেন মানুষ যেন সার্চ করলেই সেই গ্রুপ আগে
আসে।
গ্রুপ খোলার কাজ হয়ে গেলে এখন আপনাকে নিয়মিত পোস্ট, ভিডিও, রিভিউ ইত্যাদি
কাজের মাধ্যমে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। যখন গ্রুপে সদস্য সংখ্যা
অনেক বেশি হবে তখন আপনার যদি নিজের কোনো পণ্য, সার্ভিস বা অ্যাফিলিয়েট
প্রোডাক্ট থাকে তাহলে তা গ্রুপে প্রমোট করতে পারেন। মানসম্মত ছবি ও
ইনফরমেটিভ ভিডিও ব্যবহার করে প্রোডাক্টের উপকারিতা তুলে ধরতে
হবে। অর্ডার নেওয়ার জন্য ম্যাসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার
করতে পারেন। তবে শুরুর দিকে সহজে প্রোডাক্ট বিক্রি নাও হতে পারে। এরফলে হাল
ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যখন কোন কাস্টমার আপনাকে ম্যাসেজ করবে সাথে সাথে রিপ্লাই
দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এইভাবে ধৈর্য ধরে কাজ করলে ফেসবুক গ্রুপ থেকেও টাকা
ইনকাম করা সম্ভব।
ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ ও স্পনসরড কনটেন্ট থেকে আয়
ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলের মাধ্যমে এখন ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ পাওয়া খুবই সহজ
একটি ইনকামের উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে
কনটেন্ট পোস্ট করেন এবং আপনার ফলোয়ার সংখ্যা ভালো হয় তাহলে আপনিও অনেক
ব্র্যান্ড নিজের পণ্য বা সার্ভিস প্রমোট করার কাজ করতে পারবেন। এজন্য
প্রথমে আপনাকে নিজের পেজ বা প্রোফাইলকে একটি নির্দিষ্ট নিস ভিত্তিক করে
সাজাতে হবে। যেমন আপনি যদি বিউটি, ফ্যাশন, ফিটনেস বা টেকনোলজি নিয়ে কাজ
করেন তাহলে সেই বিষয় নিয়েই কন্টিনিউ পোস্ট করতে হবে। ব্র্যান্ডরা চায় তাদের
প্রোডাক্ট এমন কারো মাধ্যমে প্রমোট হোক যার উপর ফলোয়ারদের আস্থা আছে। তাই
নিয়মিত ভিডিও, রিভিউ ও ইনফরমেটিভ পোস্ট করে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে
হবে।
যখন আপনার কনটেন্টে রেগুলার রিয়্যাকশন, শেয়ার ও কমেন্ট আসবে তখন আপনি নিজেই
স্পনসরশিপ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছে প্রপোজাল পাঠাতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটপ্লসে আপনার প্রোফাইল সাবমিট করে স্পনসরড কনটেন্টের
জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন। স্পনসরড কনটেন্ট হতে পারে একটি রিভিউ ভিডিও,
ফটো পোস্ট, কিংবা কোনো ক্যাম্পেইনের অংশগ্রহণ ইত্যাদি। আপনি প্রতিটি
স্পনসরশিপ কনটেন্টের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিতে পারেন যা আপনার
ফলোয়ার সংখ্যা ও এনগেজমেন্টের উপর নির্ভর করে। তবে কখনোই এমন প্রোডাক্ট বা
সার্ভিস প্রমোট করা যাবে না যেগুলো আপনার দর্শকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মূলত এই ভাবে আপনিও ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ ও স্পনসরড কনটেন্ট থেকে আয়
করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট বিক্রি করার টিপস
বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট ক্রয় এবং বিক্রয় অনেক
পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান তাহলে
কিছু টিপস অনুসরণ করতে হবে। এই টিপস গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনি আপনার
প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। প্রথমেই যে দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে
আপনার প্রোডাক্টের আকর্ষণীয় ও মানসম্মত ছবি ব্যবহার করতে হবে। আপনার
প্রোডাক্টের ছবি যদি ভালো না হয় অথবা ছবি ঘোলা বা ঝাপসা হয় তাহলে স্বাভাবিক
ভাবেই আপনার এই পণ্যটি মানুষ কিনবে না। তাই কোন পণ্য বিক্রি করতে
হলে প্রোডাক্টের আকর্ষণীয় ও মানসম্মত ছবি ব্যবহার করা অনেক
গুরুত্বপূর্ন।
এরপর যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে প্রোডাক্টের স্পষ্ট ও
বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। প্রোডাক্টের নাম, ব্র্যান্ড, দাম, ব্যবহার
পদ্ধতি ছাড়াও আরোও অনেক তথ্য তুলে ধরতে হবে যেমন এই প্রোডাক্ট নতুন নাকি
পুরাতন বা ব্যবহৃত, কালার, সাইজ ইত্যাদি স্পষ্টভাবে লিখে দিতে
হবে। এর ফলে ক্রেতা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা পেয়ে
যাবে। ফলে এই প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়াও আরোও
একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ক্রেতা ইনবক্স করলে দ্রুত ও
ভদ্রভাবে উত্তর দিতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট যদি দ্রুত ও বেশি সংখ্যক বিক্রি
করতে চান তাহলে ফেসবুক অ্যাডস ব্যবহার করতে পারেন।
এআই ভিডিও আপলোড করে কি ইনকাম করা যায়?
ফেসবুকে এআই ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায় কিনা এই বিষয়ে অনেক দ্বিমত
রয়েছে। অনেকে বলে থাকেন যে ফেসবুকে এআই ভিডিও আপলোড করে যারা টাকা ইনকাম করছে
তাদের মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিবে মেটা। কিন্তু এই কথার এখন পর্যন্ত কোন সত্যতা
পাওয়া যায়নি। এমন সিদ্ধান্ত ইউটিউব কতৃপক্ষ থেকে শোনা গেলেও
মেটা কতৃপক্ষ অফিসিয়ালি এমন কোন তথ্য দেয়নি। তাই বলা যায় যে
আপনি এআই ভিডিও আপলোড করে ফেসবুকের মনিটাইজেশ্ন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এখন আমরা জানার চেষ্টা করবো কিভাবে ফেসবুকে এআই ভিডিও থেকে ইনকাম করা যায়।
আপনার ফেসবুক পেজে যদি রিলস বা ভিডিওতে ভালো ভিউ আসে তাহলে আপনি
ফেসবুকের অ্যাড মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম ইন স্টিম অ্যাড থেকে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজের ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৬০ দিনে ৩০,০০০
মিনিট ভিডিও ভিউ থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি আরোও অনেক মাধ্যমে এআই ভিডিও
থেকে আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজের ভালো পরিমাণ অ্যাক্টিভ
ফলোয়ার এবং ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
পরিশেষেঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে। উপরে আমরা বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই
বিষয়ে অনেক গুলো উপায় তুলে ধরেছি। সম্প্রতি সময়ে ফেসবুকের আপডের ফলে বড় ভিডিও
সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এর পরিবর্তে রিলস ভিডিও স্থান দখল করে নিয়েছে। ঠিক এই
কারণে আপনি যদি উপরের লিখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ২০২৫ সালে এসেও
কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে হয় এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
এছাড়াও উপরে ফেসবুক ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে শুরু করে গ্রুপ
থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এই বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উপরের
লিখা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় ২০২৫
সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন বলে আশা করা যায়। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url