OrdinaryITPostAd

অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয় জানুন

অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয় এই বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। একটি ওয়েবসাইটের র‍্যাংক বাড়ানোর জন্য অন পেজ এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। তাই অন পেজ এসইও এর কাজ বেসিক থেকে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ন। 

অন-পেজ-SEO-কি-ও-কিভাবে-করতে-হয়

অন পেজ এসইও বলতে অনেকে মনে করেন এটি একটি ঝামেলাপূর্ন কাজ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অন পেজ এসইও এর কাজ করা অনেক সহজ। অন পেজ এসইও বলতে এমন সব কৌশল বোঝায় যা ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজে প্রয়োগ করে ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং বাড়ানো হয়। 

অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয়

অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয়

অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। অন পেজ এসইও কিভাবে করতে হয় এটি জানার পূর্বে আমাদের সকলের জানা উচিত যে অন পেজ এসইও আসলে কি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে অন পেজ এসইও বলতে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজের ভেতরের এমন সকল অপটিমাইজেশন কৌশলকে বোঝায় যা সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটকে উপরের দিকে দেখায়। এখানে অপটিমাইজেশন বলতে একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজের টাইটেল থেকে শুরু করে মেটা ডেসক্রিপশন, ইউয়ারএল স্ট্রাকচার ইত্যাদিকে বোঝায়। একটি ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য অন পেজ এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। তাই এখন আমরা সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করবো কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয়। 

(০১) টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করাঃ ওয়েবসাইটের প্রতিটি পোস্টে বা পেজে একটি ইউনিক এবং আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করতে হবে। টাইটেলের শুরুতে টার্গেট কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ আপনার টাইটেল কিওয়ার্ড যদি হয় "শ্রমিক দিবসের পেছনের ইতিহাস কী ছিল" তাহলে টাইটেলের সাথে এই কথাটি যুক্ত করে একটি ইউনিক এবং আকর্ষণীয় টাইটেল লিখতে হবে।

(০২) মেটা ডেসক্রিপশন অ্যাড করাঃ প্রতিটি পোস্টে বা পেজে মেটা ডেসক্রিপশন অ্যাড করতে হবে। আপনি এই পোস্ট কি সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছেন সেটি উক্ত পোস্টের শুরুতেই দুই লাইনের মধ্যে লিখতে হবে এবং এই কথাটিই মেটা ডেসক্রিপশন হিসেবে অ্যাড করতে হবে। মেটা ডেসক্রিপশন ১৫০ থেকে ১৬০ ওয়ার্ডের বেশি হওয়া যাবে না। একটি পেজ র‍্যাংক করাতে মেটা ডেসক্রিপশন অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।

(০৩) ইউয়ারএল স্ট্রাকচার ঠিক করাঃ ইউয়ারএল স্ট্রাকচারকে অনেকে পার্মালিংক বলে থাকে। আপনি যে বিষয়ে পোস্টটি লিখেছেন সেই বিষয়ের সাথে মিল রেখে এক অথবা দুইটি শব্দের মধ্যে ইংরেজিতে পার্মালিংক লিখতে হবে। একে বলা হয় কাস্টম পার্মালিংক। উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি "শ্রমিক দিবসের পেছনের ইতিহাস কী ছিল" পোস্ট লিখের তাহলে এর পার্মালিংক labor-day এই ধরণের হতে হবে।

(০৪) পোস্টে হেডিংস ব্যবহার করাঃ প্রতিটি পোস্টে কম করে হলেও ১০টি H1 ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি হেডিংসে কম করে হলেও দুইটি প্র্যারা লিখা লিখতে হবে এবং প্রত্যেক প্যারাতে সর্বনিম্ন ৪ লাইন এবং সর্বোচ্চ ৫ লাইন করে লিখা থাকতে হবে। লিখা যদি এর চাইতে বেশি হয় তাহলে সেই H1 ট্যাগের আন্ডারে H2,H3 ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

(০৫) ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংকিং করাঃ আপনি যে পোস্ট লিখছেন এমন পোস্টের সাথে মিল রেখে আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট লিংক করতে হবে। একটি পোস্টে কম কম করে হলেও তিনটি প্রাসঙ্গিগ পোস্ট লিংক করতে হবে। এর সাথে প্রাসঙ্গিক ও অথোরিটি ওয়েবসাইটে লিংক করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট যদি হয় হেলথ বা স্পোর্টস রিলেটেড তাহলে এই রকম অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার পোস্টের লিংক দিতে হবে। সহজ ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ব্যাকলিংক। 

(০৬) ইমেজ অপটিমাইজ করতে হবেঃ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলোতে যে ছবি গুলো ব্যবহার করবেন সেই ছবি গুলোকে Webp ফর্মাটে দিতে হবে এবং প্রত্যেক ছবি বা ইমেজের সাইজ ৫০ কে.বি এর নিচে হতে হবে। প্রত্যেক ছবিতে Alt Text ব্যবহার করতে হবে। Alt Text হিসেবে পোস্টের ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

(০৭) কোয়ালিটি সম্পূর্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবেঃ আপনি যে কন্টেন্ট বা পোস্ট গুলো লিখবেন সেই পোস্ট গুলো ইউনিক হতে হবে। অর্থাৎ আরোও কপি করে লিখা যাবে না বা একই কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লিখা যাবে না। সেই সাথে এআই ব্যবহার করে কন্টেন্ট লিখা যাবে না। ফোকাস কিওয়ার্ড এর LSI কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। 

(০৮) ওয়েব পেজের স্পিড বাড়াতে হবেঃ আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো যদি ওপেন হতে অনেক সময় লাগে তাহলে গুগল সেই কন্টেন্ট আর সামনের দিকে না দেখিয়ে পেছনের দিকে দিতে থাকে। তাই Google PageSpeed Insights ব্যবহার করে দেখতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইটের পেজ গুলোর স্পিড কেমন। কন্টেন্ট গুলো এডিট ও মডিফাই করে ওপেন স্পিড বাড়াতে হবে। তাহলেই কন্টেন্ট গুলো আবার সামনের দিকে দেখাবে।

(০৯) মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করাঃ ওয়েবসাইটের বেশির ভাগ ইউজার হয় মোবাইল ইউজার। ঠিক এই কারণে আপনার ওয়েবসাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি বানাতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে গুগল বা যেকোন সার্চ ইঞ্জিন আপনার কন্টেকে পেছনের দিকে সরাতে থাকবে। যা ওয়েবসাইটে মারাত্নক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রন্ডলি কিনা তা চেক করতে হবে। বর্তমানে অনেক মোবাইল ফ্রেন্ডলি থিম পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন অথবা ম্যানুয়ালি মোবাইল ফ্রেন্ডলি করতে পারেন। 

টাইটেল ট্যাগ কিভাবে অপটিমাইজ করতে হয়

ওয়েবসাইটের একটি পেজ র‍্যাংক করানোর জন্য টাইটেল ট্যাগ অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। টাইটেল ট্যাগ কিভাবে অপটিমাইজ করতে হয় এই বিষয় জানার আগে টাইটেল ট্যাগ কি এই বিষয় জানা জরুরী একটি বিষয়। টাইটেল ট্যাগ হলো একটি ওয়েবপেজের হেডলাইনের মতো যা সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে সবচেয়ে আগে দেখা যায়। যেহেতু সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে সবার আগে দেখা যায় তাই এই টাইটেল ট্যাগ এমন ভাবে লিখতে হবে যা দেখে যেন সবাই আকর্ষীত হতে সেখানে প্রবেশ করে। এখন আমরা টাইটেল ট্যাগ কিভাবে অপটিমাইজ করতে হয় এই বিষয় জানবো।
টাইটেল ট্যাগে টার্গেট কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড যদি ওজন কমানো হয় তাহলে টাইটেল ট্যাগে ওজন কমানো কথাটি যুক্ত করে একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় টাইটেল লিখতে হবে। এরপর একটি বিষয় অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে সেটি হচ্ছে টাইটেল ট্যাগ ৫০ থেকে ৬০ অক্ষরের বেশি হওয়া যাবে না। কারণ এর চাইতে বেশি অক্ষর ব্যবহার করে টাইটেল কিওয়ার্ড লিখা হলে সার্চ রেজাল্টে এই লিখা গুলো কেটে যায়। যা এসইও তে অনেক প্রভাব ফেলে। এরপর যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক শব্দ পরিহার করতে হবে। শুধু ক্লিক পাওয়ার জন্য অপ্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার করলে বাউন্স রেট বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। 

মেটা ডিসক্রিপশন লেখার সঠিক কৌশল

মেটা ডিসক্রিপশন হলো এমন একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ যা সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে টাইটেলের নিচে দেখা যায়। অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে মেটা ডিসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। মেটা ডিসক্রিপশন সাধারণত ১৫০ থেকে ১৬০ ওয়ার্ডের মধ্যে লিখতে হয়। তবে মেটা ডিসক্রিপশন লিখার সময় একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ন সেটি হচ্ছে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড মেটা ডিসক্রিপশনের ভেতর রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড যদি "ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৫টি উপায়" এটি হয় তাহলে এই ফোকাস কিওয়ার্ড সহ দুই লাইনের একটি সুন্দর মেটা ডিসক্রিপশন লিখতে হবে।

অনেকে তাদের কন্টেন্টে মেটা ডিসক্রিপশন ম্যানুয়ালি অ্যাড করেন না। ঠিক এই কারণে গুগল বা যেকোন সার্চ ইঞ্জিন মেটা ডিসক্রিপশন তাদের বটের সাহায্যে ডিটেক্ট করে অ্যাড করে থাকে। এর একটি অসুবিধার দিক হচ্ছে একটি কন্টেন্টের যেকোন জায়গা থেকে এই বট মেটা ডিসক্রিপশন দেখাতে পারে। এর ফলে আপনি যদি উক্ত জায়গায় কন্টেন্টের তথ্য কিছুটা কম দেন অথবা ভুল তথ্য দেন তাহলে সার্চ রেজাল্টে সেই কথাটাই দেখাবে। এর কারণে মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই আপনার কন্টেন্ট এড়িয়ে অন্য কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্টে ক্লিক করবে। ঠিক এই কারণে ম্যানুয়ালি মেটা ডিসক্রিপশন লেখা সব চেয়ে ভালো। 

 SEO ফ্রেন্ডলি URL তৈরি করার নিয়ম

URL হচ্ছে অন পেজ এসইও এর অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। ইউআরএল কে অনেকে পার্মালিংক বলে থাকে। আপনি যে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখছেন সেই বিষয়ের সাথে মিল রেখে এক অথবা সর্বোচ্চ দুই শব্দের একটি ইউআরএল অ্যাড করতে হয়। তবে ইউআরএল সব সময় ইংরেজিতে লিখতে হবে। এখন আমরা এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল তৈরি করার সহজ উপায় জানার চেষ্টা করবো। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে ইউআরএল তৈরি করতে হয়। ধরুন আপনার কন্টেন্টের ফোকাস কিওয়ার্ড যদি "মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন" এটি হয় তাহলে এর আদর্শ ইউআরএল হবে mayday অথবা may-day এই রকম। 

তবে বর্তমান সময়ে গুগল তাদের কোর আপডের করার ফলে দুই শব্দের ইউআরএল ব্যবহার না করে এক শব্দের ইউআরএল ব্যবহার করতে হবে। আর এই ধরণের ইউআরএল কে বলা হয় কাস্টম ইউআরএল। তবে কাস্টম ইউআরএল তৈরি করার আগে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে বাংলা বা অন্যান্য ভাষার ইউনিকোড ইউআরএল ব্যবহার না করে ইংরেজিতে ইউআরএল স্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে। কারণ বাংলা বা অন্যান্য ভাষার ইউনিকোড ইউআরএল ব্যবহার ব্যবহার করলে তা ব্রাউজারে ভেঙে যেতে পারে। এই ইউআরএল স্ট্রাকচার অবশ্যই ইংরেজিতে সবসময় ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করতে হবে। 

কনটেন্ট অপটিমাইজেশন ও কিওয়ার্ড ব্যবহারের কৌশল

অন পেজ এসইও করার জন্য কনটেন্ট অপটিমাইজেশন ও কিওয়ার্ড ব্যবহারের কৌশল ব্যবহার করা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। একটি এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরির মূল ভিত্তি হলো সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে কনটেন্ট অপটিমাইজ করা। কোন কন্টেন্ট লিখার পূর্বে অবশ্যই ভালো ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। এমন কিওয়ার্ড নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে হবে যা মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে। তবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয় তাহলে কম কম্পিটিশন যুক্ত কিওয়ার্ড দিয়ে কন্টেন্ট লিখতে হবে।
কন্টেন্ট লিখার সময় আপনার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড কন্টেন্টের দশটি জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে এর বেশি বা কম ব্যবহার করা যাবে না। প্রথমেই কন্টেন্টের টাইটেলে এই কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এরপর প্রথম এবং শেষ H1 এ ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে। এই ভাবে কৌশল করে দশ জায়গায় মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। একটি কন্টেন্টি কম করে হলেও ১০টি H1 ট্যাগ ব্যবহা করতে হবে এবং প্রতিটি ট্যাগে কম করে হলেও দুইটি করে প্যারা লিখা থাকতে হবে। প্রত্যেক প্যারাতে কম করে হলেও ৩.৫ লাইন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাইন লিখা থাকতে হবে। লিখা যদি এর চাইতে বেশি হয় তাহলে H2,H3,H4 এই সকল ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এই ভাবেই মূলত কিওয়ার্ড ব্যবহার করে কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করতে হয়। 

ইমেজ অপটিমাইজেশন করার সঠিক নিয়ম

অন পেজ এসইও করার জন্য ইমেজ অপটিমাইজেশন করা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। আমরা অনেকেই বিশেষ করে যারা নতুন ওয়েবসাইটে কাজ করা শুরু করেছে তারা কোন একম একটি ইমেজ বা ছবি তৈরি করে সরাসরি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে ফেলি। এই ধরণের কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ইমেজ বা ছবি অপটিমাইজ না করেই যদি সরাসরি আপলোড করা হয় তাহলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেক বেড়ে যেতে পারে। আর যদি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বেড়ে যায় তাহলে সেই ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে সামনের দিকে না এসে পেছনের দিকে যেতে থাকবে। তাই যেকোন ছবি আপলোড করার সময় তা অপটিমাইজেশন করে নিতে হবে।
অন-পেজ-SEO-কি-ও-কিভাবে-করতে-হয়
ওয়েবসাইটে কোন ইমেজ বা ছবি আপলোড করার আগে সেই ছবির সাইজ কমিয়ে আনতে হবে। তবে সাইজ কমাতে গেলে অনেক সময় ছবির কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যার সমধান করার জন্য ফটোশপ বা ফটোপিয়া ব্যবহার করে ছবি Webp ফর্মাট করে নিতে হবে। ছবির সাইজ অবশ্যই ৫০ কে.বি এর নিচে হতে হবে এবং ছবি আপলোড করার আগে সেই ছবির নাম চেঞ্জ করে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। নাম চেঞ্জ করার সময় প্রতিটি স্পেস বাদ নিয়ে সেখানে (-) এই চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। ছবি আপলোড করার পর Alt Text ব্যবহার করতে হবে। Alt Text হিসেবেও ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এইভাবে ইমেজ অপটিমাইজেশন করে ওয়েবসাইটে ব্যবহার করলে সেই কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে সামনের দিকে আসার সম্ভাবনা করে বেশি থাকে। 

Internal এবং External লিংকিং কি এবং লিংকিং করার কৌশল

ইন্টারনাল লিংকিং হলো যখন আপনি একটি ওয়েবপেজ থেকে নিজের সাইটের অন্য কোনো পেজে লিংক দেন। এটি ভিজিটরকে এক পেজ থেকে আরেক পেজে সহজে যেতে সাহায্য করে এবং সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝতে দেয় কোন পেজটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি "অন পেজ SEO" বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখেন এবং সেই আর্টিকেল থেকে "কিওয়ার্ড রিসার্চ" সংক্রান্ত আপনার অন্য একটি কনটেন্টে লিংক দেন সেটাই ইন্টারনাল লিংকিং। এটি ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমাতে এবং পেজ অথরিটি ভাগ করে নিতে সাহায্য করে থাকে। ইন্টারনাল লিংক দেয়ার সময় প্রাসঙ্গিক অ্যাঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করা উচিত যেন পাঠক ও গুগল বুঝতে পারে লিংকটা কোন বিষয়ের।

এক্সটারনাল লিংকিং হলো যখন আপনি আপনার কনটেন্ট থেকে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে লিংক দেন। যেমন আপনি যদি কোনো স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য দেন এবং WHO এর মতো ওয়েবসাইটের সাথে লিংক করেন তাহলে এটিই হচ্ছে একধরনের এক্সটারনাল লিংকিং। একটি কন্টেন্ট কতটা নির্ভরযোগ্য ও তথ্যবহুল তা প্রমান করার জন্য এক্সটারনাল লিংকিং অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্সটারনাল লিংকিং করার সময় একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে কম অথোরিটি বা স্প্যাম যুক্ত ওয়েবসাইটকে এক্সটারনাল লিংকিং করা যাবে না। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ন সেটি হচ্ছে এক্সটারনাল লিংকিং করার সময় অবশ্যই rel="nofollow" অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হবে। 

ওয়েবপেজ স্পিড ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইনের গুরুত্ব

ওয়েবপেজ স্পিড একটি ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসইও ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। গুগল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে যেসব পেজ দ্রুত লোড হয় সেগুলোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সার্চ রেজাল্টে। একজন ব্যবহারকারী কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যদি ৩ সেকেন্ডের মধ্যে কনটেন্ট লোড না পায় তবে অধিকাংশ সময়ই সে সাইটটি ত্যাগ করে দেয় যাকে বলা হয় বাউন্স। পেজ স্পিড কম থাকলে শুধু র‍্যাংকিং নয় বরং কনভার্সন রেট এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত লোডিংয়ের জন্য ইমেজ কমপ্রেস করা, CSS ও JS মিনিফাই করা এবং ভালো হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া Lazy Load ও Cache ম্যানেজমেন্ট করে স্পিড আরও বাড়ানো সম্ভব।
অন্যদিকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন আজকের সময়ে অপরিহার্য একটি বিষয়। কারণ ৬০% এরও বেশি ওয়েব ট্রাফিক আসে মোবাইল ডিভাইস থেকে। গুগল এখন মোবাইল ফার্স্ট ইনডেক্সিং ব্যবহার করে। অর্থাৎ গুগল প্রথমে মোবাইল ভার্সনই বিশ্লেষণ করে র‍্যাংক নির্ধারণ করে। যদি একটি ওয়েবসাইট মোবাইলে সঠিকভাবে দেখা না যায় তাহলে সেটির র‍্যাংক কমে যেতে পারে। মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন মানে হলো স্ক্রিন সাইজ অনুযায়ী কনটেন্ট অ্যাডজাস্ট হওয়া, টাচ-বাটন সহজে ক্লিকযোগ্য থাকা এবং স্ক্রল সহজ হওয়া সেই সাথে ফ্রন্ট সাইজ স্বাভাবিক থাকা ইত্যাদিকে বোঝায়। এজন্য রেসপন্সিভ ওয়েব ডিজাইন এবং গুগলের Mobile Friendly Test ব্যবহার করে ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করে নিতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটকে সামনের দিকে আনার জন্য ওয়েবপেজ স্পিড ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইনের গুরুত্ব অপরিসীম।

স্কিমা মার্কাপ অ্যাড করার সহজ উপায় জানুন

স্কিমা মার্কআপ হলো একটি বিশেষ ধরনের কোড বা স্ট্রাকচারাল ডাটা যা আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এটি ওয়েবপেজে অতিরিক্ত তথ্য যোগ করে থাকে। যেমনঃ আর্টিকেলের লেখক, প্রকাশের তারিখ, রেটিং, রিভিউ, আপনার কন্টেন্টের ধরণ ইত্যাদি।  স্কিমা ব্যবহার করলে গুগলে আপনার রেজাল্ট সাধারণ টেক্সটের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়ভাবে স্টার, রেটিং, টাইম বা ডেট ইত্যাদি দেখাতে পারে। একে অনেকে Rich Snippet বলে থাকে। 
অন-পেজ-SEO-কি-ও-কিভাবে-করতে-হয়
স্কিমা মার্কাপ অ্যাড করার আগে স্কিমা মার্কাম জেনারেট করে নিতে হয়। স্কিমা মার্কাম জেনারেট করার অনেক ওয়েবসাইট আছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে স্কিমা মার্কাম জেনারেট করে নিতে পারবেন। স্কিমা মার্কাম জেনারেট করার পর প্রথমেই আপনাকে আপনার উক্ত কন্টেন্টের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করার পর সেই কন্টেন্টকে HTML ভিউ করে নিতে হবে। এরপর স্ক্রল করে নিচের দিকে আসতে হবে এবং যেকোন এক জায়গায় পেস্ট করে সেভ করে নিতে হবে। সেভ করার পর সেই কন্টেন্টকে সার্চ কনসোলে একবার ইন্ডেক্স করে নিতে হবে। এই ভাবেই মূলত স্কিমা মার্কাপ অ্যাড করতে হয়। এখন নিচে স্কিমা মার্কাপ জেনেরেটর এবং স্কিমা মার্কাম চেকারের লিংক দিয়ে দেওয়া হলো।

<script type="application/ld+json">
{
  "@context": "https://schema.org",
  "@type": "Article",
  "headline": "কন্টেন্টের হেডলাইন",
  "author": {
    "@type": "Person",
    "name": "আপনার নাম"
  },
  "datePublished": "তারিখ"
}
</script>

পরিশেষেঃ অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয়

অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয় এই বিষয় নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা শুধু অন পেজ এসইও কিভাবে করতে হয় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি বরং অন পেজ এসইও এর প্রায় সকল ছোট ছোট বিষয় গুলোও আলাদা ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। একটি নতুন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টে সবার আগে দেখানোর জন্য অন পেজ এসইও এর ভূমিকা অনেক বেশি। তাই আমরা উপরে কিভাবে টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজ করতে হয় এখান থেকে শুরু করে মেটা ডিসক্রিপশন লেখার সঠিক কৌশল এবং স্কিমা মার্কাপ অ্যাড করা পর্যন্ত সকল কিছুই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে আশা করা যায় যে উপরের তথ্য গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে অন পেজ SEO কি ও কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।  250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url