OrdinaryITPostAd

অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অস্থির অ্যাড নেটওয়ার্ক

অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো। সাধারণত অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়া অনেক কঠিন হওয়ার কারণে অনেক নতুন ওয়েবসাইটে ইনকাম করা সম্ভব হয়না। তাই অ্যাডসেন্স এর বিকল্প অ্যাড নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করা করবো।

অ্যাডসেন্স-এর-বিকম্প-৫টি-অ্যাড-নেটওয়ার্ক

আজকে আলোচনা করা হবে এই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলোতে অ্যাপ্রুভ পাওয়া অনেক সহজ আবার কিছু অ্যাড নেটওয়ার্কে অ্যাপ্লাই করার সাথে সাথেই অ্যাপ্রুভাল দিয়ে দেয়। তবে এই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলোর ইনকাম অ্যাডসেন্সের থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়ে থাকে।

অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক

অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক

অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। আমরা অনেকেই জেনে থাকবো যে গুগল অ্যাডসেন্স পেতে হলে গুগলের অনেক গুলো শর্ত ও নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গুগলের সকল শর্ত ও নিয়মনীতি মেনে চলার পরেও অ্যাডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্লাই করা হলে অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না। এর ফলে অনেক নতুন ওয়েবসাইটে ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসার পরেও অ্যাডসেন্স না থাকার কারণে ইনকাম করা সম্ভব হয় না। ঠিক এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আজকে আমরা অ্যাডসেন্স এর মতোই ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করবো। যেগুলোতে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া অনেক সহজ এবং ইনকামও অ্যাডসেন্স এর থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। 
অ্যাড নেটওয়ার্ক মাসে ন্যূনতম ভিজিটর অ্যাপ্রুভ হতে সময় সম্ভাব্য আয় (প্রতি ১০,০০০ ভিউ)
Media.net ৩,০০০+ ২ - ৫ দিন $৫ - $২০
PropellerAds কোনো ভিজিটরের শর্ত নেই ১ দিন বা তার কম $২ - $১০
Ezoic ১০,০০০+ ৫ - ৭ দিন $১০ - $৩৫
Adsterra কোনো ভিজিটরের শর্ত নেই সাথে সাথে $১০ - $২৫
Monumetric ১০,০০০+ ৫ - ১০ দিন $১০ - $২৫

অ্যাডসেন্স পেতে হলে করনীয় কিছু টিপস

অ্যাডসেন্স পেতে হলে অনেক গুলো দিক মেনে চলতে হয়। আজকে আমরা যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো আপনি যদি সেই বিষয় গুলো মেনে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনি খুব সহজে গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন। প্রথমেই যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন হতে হবে টপ লেভেল ডোমেইন। অর্থাৎ ফ্রি ডোমেইন বা সাবডোমেইনে অ্যাপ্রুভ পাওয়া কঠিন তাই .com, .org, .net, .info এই ধরণের টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করতে হবে। 
ডোমেইন এর পর যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় পেজ গুলো থাকতে হবে। বিশেষ করে About Us, Contact Us, Privacy Policy এবং Terms & Conditions এই কয়েকটি পেজ থাকতেই হবে। এই সকল পেজ ঠিক করার পর যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে কম করে হলেও ২০ থেকে ২৫টি ইউনিক কন্টেন্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ এই কন্টেন্ট গুলো অন্য কারোও থেকে কপি পেস্ট করা, কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লিখা, এআই ব্যবহার করে লিখা এই ধরণের কন্টেন্ট থাকা যাবে না।

এরপর যে বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন হতে হবে ক্লিন ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি। কারণ গুগলের মতে ওয়েবসাইটের ভিজিটর ৬৫% থেকে ৭৫% হচ্ছে মোবাইল ইউজার। তাই ওয়েবসাইট হতে হবে মোবাইল ফ্রেন্ডলি এবং ওয়েবসাইটের সকল অপশন স্পষ্ট থাকতে হবে যাতে সকল অপশন কোথায় রয়েছে সেগুলো খুব সহজে বোঝা যায়। এরপর যদি কোন ব্রোকেন লিংক, ইমেজ বা লোডিং সমস্যা থাকলে সেগুলো ঠিক করতে হবে। এই দিক গুলো সব ঠিক করে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করলে আপনি খুব সহজে অ্যাডসেন্স পাবেন বলে আশা করা যায়। 

দ্রুত অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক ভালো

দ্রুত অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে অনেক গুলো অ্যাড নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলোতে আবেদন করলে সাথে সাথে অথবা মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে অ্যাপ্রুভাল দিয়ে দেয়। আবার অনেকে মনে করেন যে এই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলো থেকে তেমন ইনকাম করা সম্ভব নয়। আসলে তাদের এই ধারণা সম্পূর্ন ভুল। কারণ এই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলো থেকে অ্যাডসেন্স এর থেকেও ভালো ইনকাম করার সুযোগ থাকে। তবে এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো Popunder, Push Notification, Interstitial Ads ইত্যাদি অ্যাড বেশি দেখাতে পারে এবং কিছু অ্যাড নেটওয়ার্ক জুয়া এবং অশালীন অ্যাড দেখাতে পারে। নিচে দ্রুত অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায় এমন কিছু অ্যাড নেটওয়ার্ক তুলে ধরা হলো।
অ্যাড নেটওয়ার্ক অ্যাপ্রুভ হওয়ার সময় ভিজিটর উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম
Adsterra তাৎক্ষণিক ০ হলেও হয় গ্যাম্বলিং সাইট, ডাউনলোড সাইট, মুভি সাইট, গেম সাইট
PropellerAds ১ ঘণ্টার মধ্যে বা তাৎক্ষণিক ০ হলেও হয় ব্লগ, ডাউনলোড সাইট, মুভি সাইট, গেম সাইট
PopAds ১ - ২ ঘণ্টা ০ হলেও হয় Popunder ভিত্তিক সাইট
RevenueHits ১ - ২ দিন ০ হলেও হয় কনটেন্টভিত্তিক সাইট, টুলস সাইট, ফাইল শেয়ারিং

কম ভিজিটর সাইটগুলোর জন্য উপযুক্ত অ্যাড নেটওয়ার্ক

বর্তমান সময়ে এমন অনেক অ্যাড নেটওয়ার্ক রয়েছে যেগুলোতে খুব সহজেই এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায়। বিশেষ করে নতুন ওয়েবসাইট বা কম ট্রাফিক সাইটের জন্য এই নেটওয়ার্কগুলো সব চেয়ে ভালো। অনেকেই মনে করেন এতে ইনকাম কম হয় কিন্তু সঠিক সেটআপ ও ট্রাফিক থাকলে অ্যাডসেন্স থেকেও বেশি আয় করা সম্ভব। তবে এই অ্যাড নেটওয়ার্কের কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যেমনঃ Popunder, Push Notification ও Interstitial Ads বেশি দেখানো হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু নেটওয়ার্কে জুয়া বা অশালীন কনটেন্টের অ্যাড আসতে পারে। তাই সঠিক অ্যাড নেটওয়ার্ক বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এখন নিচে কম ভিজিটর সাইটগুলোর জন্য উপযুক্ত কিছু অ্যাড নেটওয়ার্ক সাইটের নাম তুলে ধরা হলো। 
অ্যাড নেটওয়ার্ক ভিজিটর অ্যাপ্রুভ সময় ইনকামের ধরন
Adsterra ০ হলেও হয় তাৎক্ষণিক CPM, CPA, Popunder, Push Ads
PropellerAds ০ হলেও হয় ১ ঘণ্টার মধ্যে CPM, Popunder, Push
PopAds ০ হলেও হয় ১ - ২ ঘণ্টা Popunder CPM
RevenueHits ০ হলেও হয় ১ - ২ দিন CPA, CPM
Adcash ১০০০+ ১ দিন CPM, CPC
Infolinks ১০০০+ ২ - ৫ দিন In text CPC

অ্যাডসেন্স ও অ্যাডসটেরা কোনটির ইনকাম বেশি

অ্যাডসেন্স ও অ্যাডসটেরা কোনটির ইনকাম বেশি এটি কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। গুগল অ্যাডসেন্স এবং অ্যাডসটেরা দুটোই জনপ্রিয় অ্যাড নেটওয়ার্ক তবে ইনকামের দিক থেকে এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। অ্যাডসেন্স সাধারণত কনটেন্টভিত্তিক বা ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য বেশি ভালো। কারণ CPC ও CPM রেট অনেক বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে USA ও UK এর মতো টিয়ার-১ এর দেশ গুলো থেকে ভিজিটর এলে প্রতি ১০,০০০ ভিউতে $১০ থেকে $৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে বাংলাদেশের মত দেশ গুলোতে এই ইনকামের পরিমাণ অনেক কম হয়ে থাকে। 
অ্যাডসেন্স-এর-বিকম্প-৫টি-অ্যাড-নেটওয়ার্ক
অপর দিকে যাদের ওয়েবসাইট নতুন ট্রাফিক কম বা অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভ পেতে সমস্যা হচ্ছে তাদের জন্য অ্যাডসটেরা অ্যাডসেন্স এর ভালো একটি বিকল্প অ্যাড নেটওয়ার্ক হতে পারে। কারণ অ্যাডসটেরা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বা সাথে সাথেই অ্যাপ্রুভাল দিয়ে দেয় এবং এখানে তেমন কোন শর্ত থাকে না। আপনি যে কোন ওয়েবসাইটে অ্যাপ্রুভাল নিতে পারবেন। এখানে জুয়া বা অশালীন বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে মাঝে মাঝে অ্যাডসেন্স এর থেকে বেশিও ইনকাম হতে পারে। সব মিলিয়ে বলতে গেলে অ্যাড এর ধরণ অনুযায়ী ইনকাম কম অথবা বেশি হতে পারে।

কিভাবে একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্ক একসাথে ব্যবহার করবেন?

একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্ক একসাথে ব্যবহার করা যায় তবে একসাথে একাধিক অ্যাড ব্যবহার করতে গিয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বিশেষ করে আপনার ওয়েবসাইট যদি অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ থাকে এবং ইতিমধ্যে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স এর অ্যাড চলছে তাহলে বেশি ইনকামের আশায় একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্কের অ্যাড চালানোর মত ভুল কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অ্যাডসেন্স থাকি কালীন যদি আপনি একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে অ্যাড চালান তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হয়ে যাবে। আর আপনার যদি অ্যাডসেন্স না থাকে আর আপনি যদি একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্কে থেকে অ্যাড চালাতে চান তাহলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
একাধিক অ্যাড চালানোর জন্য আগে থেকেই প্রাইমারি এবং সেকন্ডারি অ্যাড নেটওয়ার্ক ঠিক করে রাখতে হবে। যেমন আপনি প্রাইমারি অ্যাড নেটওয়ার্ক হিসেবে অ্যাডসটেরা এবং সেকন্ডারি অ্যাড নেটওয়ার্ক হিসেবে পোপ অ্যাডস ব্যবহার করতে পারেন। সব ঠিক করে নেওয়ার পর ভিন্ন ভিন্ন পেজে আলাদা অ্যাড নেটওয়ার্ক বসাতে পারেন। যেমন হোম পেজে এক ধরণের অ্যাড এবং আর্টিকেল বা কন্টেন্টের পেজে আরেক ধরণের অ্যাড বসাতে পারেন। তবে ওয়েবসাইটের হেডার এবং ফুটারে একই ধরণের অ্যাড বসানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ এর ফলে যদি জুয়া ভিত্তিক কিংবা অশালীন অ্যাড দেখায় তাহলে খুব সহজে বুঝা যাবে এটা কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক। মূলত এই ভাবেই আপনি আপনার একটি ওয়েবসাইটে একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্ক একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন। 

অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে আয়ের পরিমাণ কিভাবে ট্র্যাক করবেন?

অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে আয়ের পরিমাণ কিভাবে ট্র্যাক করার সহজ উপায় হচ্ছে আপনি যে অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন তার ড্যাশবোর্ডে চেক করা। আপনি যদি অ্যাডসেন্স ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই বোঝা যায় আপনার ইনকাম কত হয়েছে। কারণ অ্যাডসেন্স এর ড্যাশবোর্ডে ইনকামের সকল তথ্য দেওয়া থাকে কিন্তু আপনি যদি একাধিক অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন তাহলে এবার প্রতিটি আলাদা আলাদা অ্যাড নেটওয়ার্কের ড্যাশবোর্ড থেকে ইনকামের পরিমাণ দেখতে হবে। এখন আমরা কথা বলবো অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে আয়ের পরিমাণ কিভাবে ট্র্যাক করার উপায় নিয়ে। নিচে অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে আয় ট্র্যাক করার ৫টি সহজ উপায় দেওয়া হলো।

  • অ্যাড নেটওয়ার্কের নিজস্ব ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করা।
  • UTM Tracking ব্যবহার করা।
  • ওয়েবসাইট Google Analytics এর সঙ্গে যুক্ত করা।
  • বিভিন্ন অ্যাড ইউনিটের ইনকাম তুলনা করতে A/B টেস্টিং করে দেখা।
  • অ্যাড নেটওয়ার্কের API দিয়ে রিয়েল টাইম ডেটা সংগ্রহ করে দেখা।

কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক আপনার ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত?

আপনার ওয়েবসাইটের ধরন, কনটেন্ট এবং ট্রাফিক সোর্সের উপর ভিত্তি করে কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক উপযুক্ত হবে তা নির্ভর করে। যদি আপনার ওয়েবসাইট কনটেন্ট ভিত্তিক হয় যেমন ব্লগ, টিউটোরিয়াল, নিউজ বা রিভিউ সাইট এবং ট্রাফিক অর্গানিক হয় বিশেষ করে গুগলের ট্রাফিক বেশি হয় তাহলে আপনার জন্য সব চেয়ে ভালো অ্যাড নেটওয়ার্ক হচ্চে গুগল অ্যাডসেন্স। কারণ অ্যাডসেন্স CPC এবং CPM ভিত্তিক বিজ্ঞাপন দেখায় যার কারণে ইনকাম অনেক ভালো হয়। বিশেষ করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি ইউরোপ বা আমেরিকার হয় তাহলে ইনকাম অনেক বেশি হয় কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মত দেশের বেশি হয় তাহলে ইনকাম তুলনামূলক অনেক কম হয়।
আবার আপনার ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ভিত্তিক হওয়ার পরেও অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করাতে না পারেন তাহলে আপনি অ্যাডসেন্স এর বিকল্প অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে যদি আপনার ওয়েবসাইট ডাউনলোড, মুভি, গেম, টুলস বা ফাইল শেয়ারিং টাইপ হয় তাহলে আপনি Media.net, propeller Ads, popAds ইত্যাদি অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই নেটওয়ার্কগুলোতে সহজে অ্যাপ্রুভ পাওয়া যায় এবং কম ভিজিটরেও আয় করা সম্ভব হয়। তবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি অনেক বেশি হয় তাহলে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করাই ভালো। সব মিলিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের ধরণ অনুযায়ী অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করাই সব চেয়ে ভালো। 

ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর আনার টিপস

ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার দুইটি উপায় রয়েছে। একটি হচ্ছে অর্গানিক ভিজিটর এবং আরেকটি হচ্ছে পেইড ভিজিটর। অর্গানিক ভিজিটর বলতে সেই সকল ভিজিটরকে বোঝায় যারা সরাসরি কোন বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। অপর দিকে পেইড ভিজিটর মানে আমরা সকলেই জানি যে টাকা খরচ করে ভিজিটর আনা। আজকে আমরা কিভাবে অর্গানিক ভিজিটর এর পরিমাণ বাড়ানো যায় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অর্গানিক ভিজিটর আনার জন্য কয়েকটি দিক লক্ষ রাখতে হয়। তার মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে দিক সেটি হচ্ছে এসইও এবং গেস্ট পোস্টিং।
অ্যাডসেন্স-এর-বিকম্প-৫টি-অ্যাড-নেটওয়ার্ক
এছাড়াও ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে। আবার এমন কন্টেন্ট লিখতে হবে যেগুলো মানুষ প্রতিদিন সার্চ করে। বিশেষ করে অনলাইন ইনকাম, স্বাস্থ, খেলাধুলা, সম্প্রতিক খবর ইত্যাদি নিয়ে কন্টেন্ট লিখলে অনেক ভিজিটর পাওয়া যায়। তবে প্রতিদিন শুধু কন্টেন্ট লিখলেই হবে না বরং সেই কন্টেন্ট গুলোর মান ভালো হতে হবে। কন্টেন্ট গুলোর লিখা কারোও থেকে কপি পেস্ট করা যাবে না ও এআই দিয়ে লিখা যাবে না। এই দিক গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়াও কন্টেন্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, লিংকডিন ইত্যাদিতে পোস্ট করতে হবে। একটি ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভাবে মূলত এই ভাবেই ভিজিটর বাড়ানো যায়। 

পরিশেষেঃ অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক

অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক  নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা উপরে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক ভালো হবে এবং সেই সাথে কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক ভালো হবে না এই বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও অনেকে তাদের ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করতে চায় কিন্তু পারেনা। তাই আমরা কিভাবে এবং কোন কাজ গুলো করলে তাড়াতাড়ি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল করাতে পারবেন এই বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

তাছাড়াও আমরা কোন অ্যাড নেটওয়ার্কের ইনকাম বেশি হয় এই বিষয় থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর আনার টিপস নিয়েও আলোচনা করেছি। তবে আপনি যেই অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন না কেন সব সময় জুয়া এবং অশালীন যুক্ত অ্যাড থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। কারণ এই অ্যাড গুলো অনেকে পছন্দ করে না সেই সাথে এই অ্যাড গুলো অসামাজিক। সব মিলিয়ে উপরের তথ্য গুলো ভালো করে পড়লে অ্যাডসেন্স এর বিকল্প ৫টি অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে অ্যাড নেটওয়ার্ক নিয়েও অনেক কিছু জানতে পারবেন বলে আশা করি।  250311

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url