OrdinaryITPostAd

Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ

 Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এটি এখন অনেকেরই জানার আগ্রহের বিষয়। কারণ, বর্তমানে ঘরে বসে বৈদেশিক মার্কেটে পণ্য বিক্রয় করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যারা ঘরে বসে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য Amazon seller হতে পারে সেরা মাধ্যম।

Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ

সঠিক নিয়ম না জানার কারণে, অনেকেই মাঝপথে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ থেকে Amazon seller একাউন্ট খোলার সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী। এই পোস্টে Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ

Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ

আপনি কি Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি কি ভাবছেন, বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসে কিভাবে Amazon-এ ব্যবসা শুরু করা যায়? বর্তমানে অনেকেই চাচ্ছে, ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করতে, আর Amazon seller হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাদের পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে এখনো সরাসরি Amazon seller একাউন্ট খুলতে পারছে না। 

তবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। কয়েকটি ধাপ এবং কিছু সহজ নিয়ম পালন করে কাজ করলেই আপনি Amazon-এ সেলার একাউন্ট খুলতে পারবেন। এই পোস্টে আলোচনা করা হবে, কিভাবে আপনি ধাপে ধাপে Amazon seller একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করতে পারলে খুব সহজেই Amazon seller একাউন্ট খুলতে পারবেন। চলুন ধাপে ধাপে আলোচনা করা যাক- 

Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ

Amazon seller একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। তারপরে (sellercentral.amazon.com) এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই পেজে প্রবেশ করার পর দেখতে পাবেন, বড় করে "Creat an Amazon seller account" লেখা রয়েছে। নিচে একটি কমলা রঙের বোতাম থাকবে সেখানে লেখা থাকবে "Sing up"। এই বাটনে ক্লিক করলে আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
প্রথম ধাপ শেষ করার পর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ চলে আসবে। এখানে আপনার তথ্য দিয়ে Amazon-এ একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার পর আপনি দেখতে পাবেন "Creat account" নামের অপশন। এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। প্রথমে আপনার পুরো নামটি লিখতে হবে। তারপরে, আপনার যে ইমেইল সবসময় ব্যবহার করেন এবং Amazon-এ অ্যাকাউন্ট করা নাই, সেই ইমেইলটি ব্যবহার করতে হবে। তারপর একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর "Next" বাটনে ক্লিক করতে হবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এই ধাপে আপনাকে ভেরিফিকেশন করতে হবে। কারণ, Amazon নিশ্চিত হতে চাইবে, আপনি যেই ইমেইল দিয়েছেন, সেটি সত্যি আপনারই কিনা। তাই তারা আপনার দেওয়া ইমেইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) পাঠাবে। এর জন্য আপনাকে আপনার ইমেইল ইনবক্সে যেতে হবে। যে ইমেইলটি Amazon-এ ব্যবহার করছেন। ইনবক্সে গেলে দেখতে পাবেন Amazon আপনাকে ৬ সংখ্যার একটি কোড দিয়েছে। সেটি কপি করে, (sellercentral.amazon.com) এই পেজে ফিরে এসে "Enter security code" এই বক্সে কোডটি লিখে দিতে হবে। তারপরে নিচে "Verify" বাটনে ক্লিক করতে হবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এর পরের ধাপে আপনাকে একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার অ্যাড করতে হবে। "Country" এই অপশনে আপনাকে "BD +880" সিলেট করতে হবে। তার পাশে আপনার মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে। মোবাইল নাম্বার অ্যাড করার ফলে আপনার একাউন্ট নিরাপদ থাকবে। এছাড়াও মোবাইল নাম্বার এড করার ফলে, অর্ডারের খবর এবং নোটিফিকেশন সরাসরি ফোনে পাওয়া যাবে। একবার আপনার মোবাইল নম্বর সফলভাবে যুক্ত হলে, আপনার অ্যাকাউন্ট আরো সুরক্ষিত হবে এবং প্রয়োজনীয় সময় সহজে একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
মোবাইল নাম্বার এড করার পর Amazon আপনার ফোনে ৬ সংখ্যার "OTP" পাঠাবে। সেই কোড "Enter OTP" এই বক্সে লিখে দিতে হবে। তারপরে নিচে, "Creat your Amazon account" অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এর পরের ধাপে আপনি "Welcome to selling with Amazon" এই লেখা দেখতে পাবেন। এখানে আপনি তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। যেমন- Answer a few questions, Provide details and documents এবং Get verified and Start selling এই তিনটি। তার নিচে দেখতে পাবেন, " Get Started" নামের বাটন এবার আপনাকে এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এই ধাপে আপনি দেখতে পাবেন, "Answer a few questions to get started" লেখা এবং তার ঠিক নিচে বক্সের মধ্যে একটি প্রশ্ন দেখতে পাবেন। প্রশ্নটি হচ্ছে- Where is your bussiness residence? এখানে United States সিলেক্ট করাই ভালো। তারপরে কোনায় দেখতে পাবেন "Save and continue" বাটন এখানে ক্লিক করলে আপনাকে পরের ধাপে নিয়ে যাবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এভাবে আপনি আরেকটি প্রশ্ন দেখতে পাবেন। প্রশ্নটি হচ্ছে- What type of bussiness do you have? এখানে "Charity" এই অপশনটি সিলেক্ট করায় ভালো। এটা সিলেক্ট করার পর নিচে কোনায় দেখতে পাবেন "Save and continue" বাটন এখানে ক্লিক করলে আপনাকে পরের ধাপে নিয়ে যাবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এগুলো হয়ে গেলে, আপনাকে পরের ধাপে নিয়ে চলে যাবে। সেখানে গিয়ে একদম নিচে দেখতে পাবেন "Agree and continue" নামের অপশন, এখানে ক্লিক করলেই আপনার সমস্ত কিছু প্রায় শেষ এরপর আপনাকে পরের ধাপ নিয়ে চলে যাবে।
Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ
এবার আপনার সামনে "Bussiness Information" চলে আসবে। এখানে আপনাকে বিজনেসের নাম, ইউএসডি টু রেজিস্টার, রেজিস্টার নাম্বার, রেজিস্ট্রেড বিজনেস অ্যাড্রেস এই সমস্ত তথ্যগুলো পূরণ করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশ থেকে সরাসরি একাউন্ট করা যায় না। এখানে আপনাকে অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট এর তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এর জন্য আপনার একটি Payoneer একাউন্ট প্রয়োজন হবে।

    আরো পড়ুনঃ বিজনেসের জন্যে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি কিভাবে করবেন?

    প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে হবে এবং নিজের কাজকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। যদিও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি Amazon seller একাউন্ট খোলা সহজ নয়। কিন্তু, Payoneer এর মাধ্যম ব্যবহার করে Amazon seller একাউন্ট খোলার সুযোগ পাওয়া যায়। আপনাকে শুধু ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে, সঠিক কাগজপত্র এবং সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলে, ধীরে ধীরে আপনি সফলতা পাবেন।

    Amazon seller একাউন্ট খোলার জন্য যা যা দরকার

    আপনি কি, Amazon-এ পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার কথা ভাবছেন? তাহলে, ভাবনাটা একদম সঠিক। কেননা, বর্তমান সময়ে শুধু দোকান বসিয়ে নয় বরং অনলাইনেও অনেক বড় ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে। আর অ্যামাজন হচ্ছে ঠিক তেমন একটি জায়গা, যেখান থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন পণ্য কিনছেন। আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে কাজ শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনিও হতে পারেন একজন সফল অনলাইন উদ্যোক্তা। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, Amazon seller অ্যাকাউন্ট খোলা যেমন সহজ। তেমনি প্রস্তুতি ছাড়া শুরু করলে, বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা হতে পারে।

    Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ

    তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিস এবং দরকারী বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। চলুন, ধাপে ধাপে আলোচনা করা যাক, কি কি জিনিস আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা উচিত। প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি Amazon-এ কি ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।কারণ, আপনি যদি নিজেই না জানেন, আপনি কি বিক্রি করতে চান? তাহলে, একাউন্ট খোলা এবং ব্যবসা চালানো দুটোই কঠিন হয়ে পড়বে।

    • আপনি যদি নিজের তৈরি কোনো পণ্য বিক্রি করতে চান, যেমন- হ্যান্ডমেড গহনা, শাড়ি, জামা-কাপড়, শো-পিস অথবা ঘর সাজানোর জিনিস। আবার আপনি চাইলে, বাইরে থেকে কিনে অথবা অন্য বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। যেটাই হোক, আপনার মনে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। আপনাকে প্রোডাক্ট নির্বাচন করে নিতে হবে।
    • এরপরে, Amazon-এ সেলার একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটা বৈধ পাসপোর্ট দিতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে কারো যদি পাসপোর্ট থাকে, সেটাও ব্যবহার করা যাবে। এগুলোর ছবি স্ক্যান করে রাখতে হবে। কেননা, একাউন্ট খোলার সময় আপলোড করতে হতে পারে।
    • এরপরে, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। মোবাইল নম্বরটি চালু থাকতে হবে এবং ইমেইল একাউন্ট নিয়মিত ব্যবহার থাকতে হবে। কারণ, Amazon আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এই দুটো মাধ্যমে। মাঝে মাঝে তারা ভেরিফিকেশনের জন্য কোড পাঠিয়ে থাকে। তাই যেটা নিয়মিত ব্যবহার করেন, সেটাই দেওয়া ভালো হবে। এরপরে, আন্তর্জাতিক কার্ডের প্রয়োজন হবে। Amazon-এ  বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতে হলে একটা আন্তর্জাতিক কার্ড দরকার হয়। এটা হতে পারে ভিসা বা মাস্টার কার্ড।
    • আপনি যেকোনো প্রাইভেট ব্যাংক থেকে কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন। অনেকেই সিটি ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক এবং ডিবিবিএল- এর কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। এই কার্ডে আপনার নাম আর ঠিকানা সঠিকভাবে থাকতে হবে।
    • এরপরে, টাকা তোলার জন্য আপনাকে একটি  Payoneer অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। Amazon থেকে সরাসরি বাংলাদেশে টাকা আসে না। এর জন্য আপনাকে একটি Payoneer অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এটি এক ধরনের অনলাইন ব্যাংক, যার মাধ্যমে আপনি Amazon থেকে আপনার ইনকামের টাকা তুলতে পারবেন।
    • এরপরে, Amazon আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য আপনার ঠিকানা ও ব্যাংক তথ্য জানতে চাইবে।যদি আপনার বিদেশে কোনো আত্মীয় থাকে, তাহলে আপনি চাইলে তার ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কেউ যদি ভার্চুয়াল ঠিকানা ব্যবহার করেন, সেটাও সম্ভব। কিন্তু খুব সতর্ক থাকতে হবে যেন ঠিকঠাক মতো সেটি কাজ করে। ব্যাংক তথ্য হিসেবে আপনি Payoneer থেকেই একটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাবেন, যেটা আপনি Amazon-এ ব্যবহার করতে পারবেন।

    Amazon seller একাউন্ট খোলার ধাপ সমূহ

    আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে  Amazon-এ পণ্য বিক্রি করতে চান, তাহলে সবার আগে Amazon seller একাউন্ট দরকার হবে। কিন্তু শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। ধীরে ধীরে ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলে, আপনি এখান থেকে সফলতার দেখা পাবেন। যেভাবে ধাপে ধাপে এই পোস্টে বলা হয়েছে, ঠিক সেভাবে করে কাজ করলে আপনি সহজে  Amazon-এ  দোকান খুলে ফেলতে পারবেন। চলুন তাহলে এবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত Amazon seller একাউন্ট খোলার ধাপ সম্পর্কে আলোচনা করা করা যাক। 

    • প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে, আপনি কি বিক্রি করবেন?  Amazon-এ সেলার অ্যাকাউন্ট খোলা আগে আপনাকে চিন্তা করে নিতে হবে, আপনি সেখানে কি বিক্রি করতে চাচ্ছেন? যেমন- হ্যান্ডমেড জাতীয় কিছু, জামা-কাপড়, ইলেকট্রনিক্স, ঘর সাজানোর জিনিস অথবা ছোট ছোট গিফট আইটেম ইত্যাদি। আবার আপনি চাইলে বিদেশ থেকেও পণ্য সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারবেন।
    • তারপরে, প্রয়োজনের কাগজপত্র তৈরি রাখতে হবে। Amazon সেলার একাউন্ট খোলার জন্য কিছু দরকারি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। যেমন- একটি বৈধ পাসপোর্ট অথবা ভোটার আইডি কার্ড, একটি ইমেইল এড্রেস, আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর, একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, ঠিকানা এবং ব্যাংক একাউন্ট। এই সমস্ত জিনিস গুলো গুছিয়ে রাখা ভালো। তাহলে, পরে আর ঝামেলা হবে না।
    • এরপরে, Payoneer একাউন্ট খুলে নিতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি  Amazon থেকে টাকা ঢুকে না। তাই আপনার একটি  Payoneer অ্যাকাউন্ট খোলা লাগবে। এটা একটা আন্তর্জাতিক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা যেটা বাংলাদেশে কাজ করে এবং Amazon থেকে টাকা তুলতে সাহায্য করে।
    • এরপরে, Amazon seller central-এ প্রবেশ করতে হবে। Amazon seller central একাউন্ট খোলার জন্য (sellercentral.amazon.com) এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সাইন আপ করতে হবে অথবা রেজিস্টার করতে হবে।
    • এরপরে, আপনার নিজস্ব তথ্য গুলো দিতে হবে। যেমন- আপনার নাম, আপনার ঠিকানা, আপনার সক্রিয় মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট অথবা এন আইডি কার্ড এবং ব্যাংকের তথ্য (Payoneer-এর)। 
    • এরপরে, ঠিকানা ফোন নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে। Amazon মাঝে মাঝে আপনার ঠিকানায় একটি পোস্ট কোড পাঠাতে পারে, যেটা সাধারণত একটি কোড হয়ে থাকে। আবার কখনো শুধু ফোন অথবা ইমেইলে কোড দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নেয়। এই ধাপটা একটু ধৈর্য ধরে পার করতে হবে। কখনো ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে আবার এক সপ্তাহও সময় লাগতে পারে।
    • এরপরে, সেলার এখন চালু হয়ে গেলে প্রোডাক্ট যোগ করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে  Amazon-এ  প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারবেন। প্রোডাক্ট লিস্ট করার জন্য- পরিষ্কার ও আকর্ষণীয় ছবি দিতে হবে, প্রোডাক্টের স্পষ্ট বর্ণনা লিখে দিতে হবে, দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং স্টক ও ডেলিভারির তথ্য যুক্ত করতে হবে। প্রথমে অল্প কিছু প্রোডাক্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন, পরে ধীরে ধীরে প্রোডাক্ট বাড়াতে পারেন।
    • এরপরে, গ্রাহকের অর্ডার আসা শুরু হলে প্যাকেজিং ঠিক করতে হবে। যখন কেউ আপনার পণ্য অর্ডার করবে, তখন সেটি সুন্দরভাবে প্যাকিং করে সঠিক সময় ডেলিভারি করতে হবে আবার আপনি চাইলে Amazon-এর ফুলফিলমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন।

     Amazon-এ প্রোডাক্ট লিস্টিং কিভাবে করতে হয়

    আপনি যদি Amazon-এ বিক্রেতা হিসেবে ব্যবসা করতে চান, তাহলে পরবর্তী লাভটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে প্রোডাক্ট লিস্টিং। অনেকেই এখানে এসে একটু ঘাবড়ে গিয়ে থাকে। কিন্তু চিন্তার কিছুই নেই। একটু ধৈর্য ধরে কাজ করলে সবকিছুই সম্ভব। তাই যত ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং চেষ্টা করে যেতে হবে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব আপনি কিভাবে নিজের হাতে প্রোডাক্ট এড করতে পারবেন খুব সহজেই। তো চলুন, ধাপে ধাপে আলোচনা করা যাক, Amazon-এ প্রডাক্ট লিস্টিং করার জন্য কি কি করতে হবে। 

    • আপনার যেহেতু Amazon seller একাউন্ট রয়েছে, সেজন্য প্রথমেই Amazon seller ওয়েবসাইটে গিয়ে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। তারপরে, "এড এ প্রোডাক্ট" এই অপশন খুঁজে বের করতে হবে। লগইন করার পর উপরের দিকে একটা সার্চ বক্স দেখতে পাবেন। ঠিক তার নিচেই "Inventory" নামের একটি মেনু থাকবে। সেখানে ক্লিক করলে আপনি "Add a Product" এই অপশনটি দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করে প্রোডাক্ট লিস্টিং এর কাজ শুরু করতে হবে।
    • Amazon-এ যদি আপনার প্রোডাক্টটা আগে থেকেই কেউ লিস্ট করে রাখে (মানে একই পণ্য আগে থেকে সেখানে রয়েছে) তাহলে, আপনি চাইলে সেটার উপর নিজের দাম, স্টক এবং তথ্য বসিয়ে লিস্ট করে নিতে পারবেন। একে বলা হয় Existing Listing-এ Join করা। আর যদি একদম নতুন প্রোডাক্ট হয়, যেটা Amazon-এ আগে থেকে লিস্ট কর নাই অথবা কেউ লিস্ট করেনি, তাহলে আপনাকে নতুন করে লিস্টিং খুলতে হবে।
    • তারপরে, প্রোডাক্টের ক্যাটাগরি ঠিক করে নিতে হবে। নতুন প্রোডাক্ট যোগ করতে গেলে Amazon আপনাকে বলবে কোন ক্যাটাগরিতে পড়ে? যেমন- জামা-কাপড় হলে "ক্লোথিং", বই হলে "বুকস" এবং ইলেক্ট্রনিক্স হলে "ইলেকট্রনিক্স" ইত্যাদি। সঠিক ক্যাটাগরি না দিলে আপনার প্রোডাক্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাই, সঠিক ক্যাটাগরি যোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    • এরপরে, প্রোডাক্টের নাম ও বিবরণ লিখতে হবে, এখন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ সার্চ দিয়ে যেভাবে প্রোডাক্ট খুঁজে, সেভাবে নাম লিখতে হবে। যেমন- আপনি বিক্রি করেন "লেডিস কটন কুর্তি" তাহলে, নামটা হবে এরকম- "কটন কুর্তি ফর ওমেন- স্টাইলিশ ডিজাইন- কমফোর্টেবল ওয়ার" তারপরে প্রোডাক্টের বিস্তারিত বিবরণ লিখে দিতে হবে। এখানে ফিচার, উপকারিতা এবং ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এগুলো সুন্দরভাবে বোঝাতে হবে। 
    • এরপরে, দাম এবং স্টপ বসাতে হবে। এখানে আপনার পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি আপনার স্টকে কয়টি রয়েছে সেটাও লিখে দিতে হবে। যেমন- আপনার কাছে দশটা থাকে। তাহলে, "১০" লিখে দিতে হবে। 
    • তারপরে, ভালো মানের ছবি দিতে হবে। ছবি ছাড়া কাস্টমার বিশ্বাস করে না। তাই পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল আলোয় তোলা ছবি দিতে হবে। পণ্যের সামনের, পেছনের এবং সাইডের ছবি সুন্দরভাবে দিতে হবে। ছবি হাই কোয়ালিটির হতে হবে, ঝাপসা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সহ ছবি দিলে অ্যামাজন সেটি অনুমোদন নাও করতে পারে।
    • এরপরে, শিপিং অপশন ঠিক করে নিতে হবে। আপনি যদি নিজে প্রোডাক্ট পাঠাবেন মনে করেন, তাহলে সেটি সিলেক্ট করতে হবে- ফুলফিল্ড বাই মার্চেন্ট। আর যদি  Amazon-কে শিপিং এর দায়িত্ব দেন, তখন সেটা হবে- ফুলফিল্ড বাই অ্যামাজন। 
    • এরপরে, লিস্টিং সাবমিট করে নিতে হবে। সব তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিয়ে "সেভ এন্ড ফিনিশ" অথবা " সাবমিট" বাটনে ক্লিক করতে হবে। Amazon আপনার লিস্টিং টা রিভিউ করতে পারে। যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট লাইভ হয়ে যাবে।
    • এরপরে, প্রোডাক্ট লাইভ হওয়ার পর কি করবেন? আপনার প্রোডাক্ট Amazon-এ দেখা যাচ্ছে- তাহলে এটা ভালো কথা। কিন্তু এখানে থেমে থাকলে হবে না। সময় মত আপডেট করতে হবে, দাম ও অফার চেক করতে হবে, কাস্টমার রিভিউ এর জবাব দিতে হবে এবং প্রোডাক্ট এর ছবিতে পরিবর্তন আনতে হবে। 

    Amazon-এ প্রোডাক্ট লিস্টিং করা একটা ধৈর্যের কাজ। প্রথমবার একটু সময় লাগতে পারে, একবার যদি শিখে যেতে পারেন, তাহলে পরেরবার অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। আপনি যদি সত্যি আন্তরিকভাবে এই ধাপগুলো অনুসরণ করেন, তাহলে খুব সহজেই  Amazon-এ সফলভাবে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। তাই, প্রথমত ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। সব কাজ আস্তে আস্তে শিখে নিয়ে নতুন কিছু করতে হবে। এভাবে কাজ করে ধীরে ধীরে সামনে আগাতে পারলে, দ্রুত সফলতার দেখা পাবেন। 

     Amazon-এ কোন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায়

    আপনি যদি  Amazon-এ পণ্য বিক্রি করতে চান, তাহলে প্রথমেই একটা প্রশ্ন মাথায় আসবে, সেটি হচ্ছে- Amazon-এ কোন ধরনের পণ্য বিক্রি করা যাবে? এই প্রশ্ন খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। এই পোস্টে আলোচনা করা হবে  Amazon-এ কি ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায় এবং কোনগুলো বেছে নিলে লাভ বেশি হতে পারে। তাই চলুন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক-

    • প্রথমতঃ Amazon সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পণ্যের মধ্যে জামা-কাপড়, জুতা, ব্যাগ ও এক্সেসরিজ অন্যতম। Amazon-এ ছেলেদের, মেয়েদের এবং শিশুদের পোশাকের অনেক চাহিদা রয়েছে। যেমন- টি-শার্ট, কুর্তি, শাড়ি, হ্যান্ড ব্যাগ, সেন্ডেল এবং ঘড়ি ইত্যাদি।
    • দ্বিতীয়তঃ কসমেটিক ও বিউটি প্রোডাক্ট। মেয়েরা  Amazon-এ  সবচেয়ে বেশি মেকআপ বা স্কিন কেয়ারের জিনিস খুঁজে থাকে। যেমন- ফেসওয়াশ, লিপস্টিক, আইলাইনার, সানস্ক্রিন, হেয়ার অয়েল এবং পারফিউম ইত্যাদি।
    • তৃতীয়তঃ ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল একসেসরিজ। প্রযুক্তির যুগে সবাই ফোন আর ইলেকট্রনিক্স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে। যে কারণেই ক্যাটাগরির জিনিস বিক্রি হয় দারুন। যেমন- চার্জার, হেডফোন, পাওয়ার ব্যাংক, ফোন কভার, ইউএসবি কেবল এবং ল্যাপটপ কুলার ইত্যাদি।
    • চতুর্থঃ কিচেন আইটেম ও হোম ডেকর। অনেককে ঘর সাজাতে বা রান্না ঘরের কাজের জন্য  Amazon-এ জিনিসপত্র কেনেন। এই সেক্টরেও বিক্রির অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন- কুকার, ফ্লাই ফ্যান, কফি মগ, দেয়ালের ঘড়ি, টেবিল ল্যাম্প, পর্দা ও বালিশ কভার ইত্যাদি।
    • পঞ্চমঃ বাচ্চাদের খেলনা ও প্রোডাক্ট। ছোট বাচ্চাদের খেলনা, জামাকাপড় ও খাবার সংক্রান্ত প্রোডাক্ট গুলো ভালো বিক্রি করা হয়। যেমন- সফট টয়, বেবি শ্যাম্পু, ডায়াপার, প্যাচওয়ার্ক বেবি কাঁথা এবং স্টাডি বোর্ড ইত্যাদি।
    • ষষ্ঠঃ হেমতো ওয়েলনেস প্রোডাক্ট। স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন মানুষদের জন্য যেসব প্রোডাক্ট। এই প্রোডাক্ট গুলো বিক্রির দিক থেকে অনেক এগিয়ে। যেমন- ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট, ব্যাক সাপোর্ট বেল্ট, ইয়োগা ম্যাট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ইত্যাদি।
    • সপ্তমঃ কোন প্রোডাক্ট বেছে নেবেন? সাধারণত Amazon-এ সব ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি হয় না। আপনাকে দেখতে হবে। কিসের চাহিদা বেশি, কম্পিটিশন কেমন, দাম কেমন রাখা যাবে, শিপিং খরচ কত এবং স্টক রাখতে পারবেন কিনা। ছোট, হালকা এবং দরকারী জিনিস দিয়ে শুরু করলে দ্রুত সেল পাওয়া যাবে। 

    বাংলাদেশ থেকে Amazon seller হওয়া কি সম্ভব

    আপনি যদি বাংলাদেশে বসে ভাবেন, আমি কি আসলেই  Amazon-এ প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করতে পারবো? তাহলে উত্তর হচ্ছে- হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন এবং সম্ভব। তবে সরাসরি নয়, কিন্তু কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে এই সুযোগ তৈরি করা যায়। মূলত Amazon এখনো বাংলাদেশকে তাদের অনুমোদিত সেলার কান্ট্রি হিসেবে লিস্ট করে নি। তাই আমাদের দেশের কেউ চাইলে সরাসরি বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে সেলার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে না। কিন্তু আপনি চাইলে অন্য দেশের ঠিকানা বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে Amazon seller একাউন্ট খুলতে পারবেন।

    অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং দুবাই এসব দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সফলভাবে ব্যবসা করছেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে- বৈধ আইডি(বিদেশি ঠিকানা অনুযায়ী), আন্তর্জাতিক ব্যাংক একাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স অথবা বিজনেস প্রমাণ এবং একটি পণ্য বা প্রোডাক্ট সেলিং সোর্স পরিকল্পনা। অনেকেই আবার আত্মীয় বা পরিচিত কারো সাহায্যে বিদেশি ঠিকানা একাউন্ট খুলে ব্যবসা শুরু করে থাকেন। বর্তমানে  Amazon শুধু একটি বড় কোম্পানি নয় বরং যে কেউ ইচ্ছা করলে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সেলার হতে পারবেন। তাই, কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজে অ্যামাজন সেলার হওয়া যায়।

    অর্ডার পেলে কি করতে হবে

    অনেকেই জানেন না, অর্ডার পেলে কি করতে হয়? মনে করুন, আপনি  Amazon-এ সেলার অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, প্রোডাক্ট লিস্ট করেছেন এখন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন অর্ডার চলে এসেছে। তখন প্রশ্ন আসতে পারে, এখন আমি কি করব? চিন্তার কোন কিছু নেই। এই পোস্টে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, অর্ডার আসার পর আপনাকে কোন কোন কাজ গুলো করতে হবে।  Amazon-এ সেলার হতে হলে, সবকিছু ভালোভাবে জেনে নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ভালো। যাতে করে পরে কোন সমস্যা না হয়।

    Amazon-seller-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ

    • প্রথমতঃ অর্ডার কনফার্ম করতে হবে।  Amazon সিস্টেম লগইন করলেই দেখতে পাবেন, কোন প্রোডাক্টের অর্ডার এসেছে। প্রথমে আপনাকে সেই অর্ডার টা কনফার্ম করতে হবে। যাতে করে সে বুঝতে পারে, আপনি প্রোডাক্টটা পাঠাতে পারবেন।
    • দ্বিতীয়তঃ প্রোডাক্ট ভালোভাবে রেডি করতে হবে। অর্ডার কনফার্ম করার পর প্রোডাক্টটা ভালোভাবে প্যাক করে নিতে হবে। যাতে ট্রান্সপোর্টে ভেঙে না যায় এবং নষ্ট না হয়। সঙ্গে একটা ইনভয়েসও রাখতে হবে, যাতে কাস্টমার বুঝতে পারে এটা কোথা থেকে এসেছে।
    • তৃতীয়তঃ শিপিং প্রসেস করতে হবে। এখন আপনাকে পণ্যটি কাস্টমারের ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে। যদি আপনি Fulfullment by Amazon (FBA) ব্যবহার করেন, তাহলে  Amazon নিজেই ডেলিভারি করে দিবে। আর যদি নিজে হ্যান্ডেল করতে পারেন, তাহলে ভালো। তখন কোনো কুরিয়ার বা শিপিং সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
    • চতুর্থঃ অর্ডার শিফট হয়েছে সেটা কনফার্ম করতে হবে। পণ্য পাঠিয়ে দেওয়ার পর  Amazon-এ  গিয়ে "মার্ক এস শিফড" অপশন ক্লিক করে জানিয়ে দিতে হবে যে হঠাৎ চলে গেছে।
    • পঞ্চমঃ কাস্টমার রিভিউ দেখতে হবে। পণ্য পৌঁছানোর পর কাস্টমার যদি রিভিউ দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভালো রিভিউ পাওয়া মানে ভবিষ্যতে আপনার প্রোডাক্ট আরো বেশি বিক্রি হবে। এভাবেই অর্ডার আসার পর ধাপে ধাপে কাজগুলো করলে আপনার ব্যবসা সুন্দরভাবে চলবে।

    বাংলাদেশি সেলারদের জন্য ব্যাংক ও পেমেন্ট সেটআপ

    আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে Amazon-এ পণ্য বিক্রি করতে চান, একটা বড় প্রশ্ন হচ্ছে- টাকা কিভাবে আসবে এবং কিভাবে টাকা তুলতে হবে? মানে হচ্ছে- কেউ যদি আপনার প্রোডাক্ট কিনে, সেই পেমেন্টটা আপনি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে তুলবেন বা পাবেন? এই পোস্টে আমরা সহজ ভাবে আলোচনা করব, কিভাবে খুব সহজে পেমেন্ট তুলবেন। জেনে রাখা ভালো, বাংলাদেশ থেকে সরাসরি  Amazon-এর পেমেন্ট তোলা যায় না। কারণ,  Amazon এখনো বাংলাদেশকে অফিসিয়াল সেলার কান্ট্রি হিসেবে বিবেচনা করে নি। তো চলুন পেমেন্ট সেটআপের বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

    সরাসরি বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে Amazon seller এর পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব না। প্রথমে বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশ এখনো Amazon-এর অফিসিয়াল সেলার কান্ট্রি হয় নি। তাই সরাসরি কোনো বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে Amazon থেকে টাকা তোলা যায় না। তবে বিকল্প হিসেবে  Payoneer ব্যবহার করে টাকা তোলা যাবে। প্রথমে Amazon থেকে Payoneer একাউন্টে পেমেন্ট আসবে। তারপর আপনি সেখান থেকে সহজেই বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। সাধারণত ১-২ দিনের মধ্যে টাকা চলে আসে এবং রেট অনেক ভালো পাওয়া যায়।

    নতুনদের জন্য কিছু দরকারি টিপস ও সতর্কতা

    আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে  Amazon-এ সেল করার কথা ভাবেন, তাহলে কিছু ব্যাপার আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো। এতে করে অনেক সমস্যা এবং ঝামেলা এড়িয়ে যেতে পারবেন। এই পোস্টে আমরা নতুনদের জন্য কিছু দরকারি টিপস ও সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে শিখে তারপরে শুরু করতে হবে। ইউটিউব দেখে একাউন্ট খুলে বসে গেলেন, এটা বোকামি ছাড়া কিছুই হবে না। আগেই একটু সময় নিয়ে বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে।  Amazon-এ কিভাবে কাজ করতে হয়, কিভাবে প্রোডাক্ট লিস্টিং হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো সময় নিয়ে শিখে নিতে হবে।

    আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সহজ উপায়

    তারপরে, কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন তা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। সবার পছন্দের জিনিস বিক্রি করলেই যে আপনারটা চলবে, ব্যাপারটা এমন নয়। বাজারে কি চলছে, কাস্টমার কি চাচ্ছে এসব বিষয়ে মাথায় রেখে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। কোন ভুল তথ্য দিয়ে প্রোডাক্টের লিস্টিং করা যাবে না এবং নকল জিনিস দেওয়া যাবে না। এতে করে  Amazon থেকে আপনার এখন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন, আজকে অ্যাকাউন্ট খুলে কালকে থেকে টাকা চলে আসবে। বিষয়টা এমন না। 

    এটা একটা ধাপ এখানে ধাপে ধাপে শিখে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়াতে হবে। তাই ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। কাস্টমারদের মতামত নিতে হবে এবং সেই মোতাবেক চলতে পারলে এখান থেকে সফলতা পাবেন। Amazon-এ সেল করা অনেকটাই সহজ। কিন্তু, বুঝে-শুনে কাজ করলে লাভবান হওয়া যাবে। এখানে ভুল করলে শুধু সময় না বরং টাকাও নষ্ট হবে অনেক। তাই আগে শিখতে হবে ভালোভাবে। তারপরে এখানে ধৈর্য ধরে কাজ করে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগোতে হবে। তাহলে সফলতার দেখা পাবেন।

    Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ-শেষ কথা

    আজকের পোস্টে Amazon seller একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে Amazon-এ প্রোডাক্ট সেল করতে চান, তাহলে শুরুটা একটু কঠিন মনে হতে- পারে কিন্তু ধীরে ধীরে কাজ করতে পারলে অসম্ভব কিছুই না। শুরুতে কিছু ধাপ, কিছু ঝামেলা আর কিছু বিষয় শিখতে হবে। তবে মন থেকে চেষ্টা করলে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলে আপনিও একজন সফল Amazon seller হতে পারবেন। অনেকেই ভাবেন, বাংলাদেশে বসে কি এটা সম্ভব? কিন্তু আসলে জারা চেষ্টা করে তারাই সফল হয়।

    সফল হতে হলে- ধৈর্য ধরতে হবে, সঠিক জায়গায় পরিশ্রম করতে হবে এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। একবার সব ঠিকঠাক ভাবে সেটআপ করতে পারলে, এটা আপনার জন্য হতে পারে আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে আয় করার সুন্দর একটা সুযোগ। তাই ভয় করে না বরং জেনে বুঝে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জেনে বুঝে, ধৈর্য ধরে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আজকে যারা ছোট ছোট পণ্য বিক্রি করছে, কালকে তারাই ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। তাই চেষ্টা করতে হবে, আপনিও পারবেন। 250455

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url