পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে ২০২৫
পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করার দিন শেষ। কেননা আপনার কাছে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র ও একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলে ঘরে বসেই খুব সহজে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।
পেওনিয়ার হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন লেনদেন মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন অথবা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করার জন্য আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট অবশ্যই থাকতে হবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে
- পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে
- পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যেসকল জিনিস প্রয়োজন
- পাসপোর্ট ছাড়াই পেওনিয়ার একাউন্ট যেভাবে খুলবেন
- পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে ৫০ ডলার বনাস নিন
- বিকাশ অ্যাপ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
- পেওনিয়ার ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করার নিয়ম
- কীভাবে পেওনিয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করবেন
- ফ্রিল্যান্সারদের পেওনিয়ার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
- বাংলাদেশের মানুষের পেওনিয়ার নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- পরিশেষেঃ পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে
পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে
পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে এই প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের ফ্রিলান্সাররা বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে থেকে টাকা গ্রহণ করার জন্য পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার প্রয়োজন বোধ করেন। বাংলাদেশে পেপাল না থাকার কারণে পেওনিয়ার হয়ে গেছে সকল ফ্রিলান্সারদের প্রথম পছন্দ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে বাংলাদেশে তো অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গ্রহণ করে তাদের কাছে থেকে সার্ভিস নেওয়া হচ্ছে না কেন।
উপরের প্রশ্নের উত্তর খুব স্বাভাবিক। কারণ বাংলাদেশের যে ব্যাংক গুলো ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গ্রহণ করে তারা বিশাল অংকের একটি ট্যাক্স কেটে নেয়। এর বিপরীত হিসেবে অনেক মানুষ পেপাল, পেওনিয়ার এর মতন পেমেন্ট সিস্টেম বেছে নেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সরাসরি বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে থেকে টাকা ব্যাংকে না নিয়ে এই ধরনের পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে টাকা নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করলে ট্যাক্স অনেক কম কাটে। এটিই হচ্ছে মূলত পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করার অন্যতম সুবিধা।
বাংলাদেশ থেকে কি আসলেই পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা যায়? হ্যাঁ বাংলাদেশ থেকে অফিসিয়ালি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা যায়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পেওনিয়ার চালু হয়। আপনার যদি একটি ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এই সাথে একটি যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য কোন পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়না তবে আপনার যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেটি দিয়েও একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যেসকল জিনিস প্রয়োজন
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু তথ্য ও জিনিসের প্রয়োজন পড়বে। উক্ত জিনিস গুলো ছাড়া আপনি সফলভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন না। এখন আমরা জানবো পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যেসকল জিনিস প্রয়োজন তার একটি তালিকা।
- একটি সচল ইমেইল অ্যাড্রেস।
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
- জাতীয় পরিচয়পত্র।
- পাসপোর্ট ( যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- একটি লোকাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
উপরের সকল কিছু অবশ্যই নির্ভুল ও আসল হতে হবে। কেননা একাউন্ট খোলার সময় আপনি যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে আপনার একাউন্ট অ্যাক্টিভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একটি সচল ইমেইল অ্যাড্রেস ও ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। যাতে পরবর্তীতে লগইন করতে কোন সমস্যা না হয়। একটি বিষয় বলে রাখা ভালো যে একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা আবশ্যক। পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও চলবে। সেই সাথে টাকা লেনদেন করার জন্য একটি লোকাল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। যদি লোকাল ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনি অর্থ লেনদেন করতে পারবেন না। উপরের সকল জিনিস আপনার যদি থেকে থাকে তাহলে নিচে দেওয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।
পাসপোর্ট ছাড়াই পেওনিয়ার একাউন্ট যেভাবে খুলবেন
অনেকে মনে করেন যে পাসপোর্ট ছাড়া পেওনিয়ার একাউন্ট খুলা সম্ভব নয়। এটি তাদের একান্ত ভুল ধারনা। আজকে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে দেখবো ও ব্যাখ্যা করবো। একাউন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমনঃ আসল জাতীয় পরিচয় পত্র, লোকাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর তথ্য রয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। আসল পরিচয় পত্রতে থাকা তথ্য দিয়ে আমরা একাউন্টের ফর্ম পূরণ করবো এবং ভেরিফাই করার জন্য জাতীয় পরিচয় পরের উপর ও নিচের অংশের ছবি সাবমিট করতে লাগতে পারে।
- প্রথমে পেওনিয়ার লিখে গুগলে সার্চ করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা পর সাইনআপ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর কোন কাজের জন্য একাউন্ট খুলবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
- ফ্রিলান্সিং কাজের জন্য একাউন্ট খুলতে "ফ্রীল্যান্সার অথবা অনলাইন পেশাজীবি" সিলেক্ট করতে হবে
- এরপর আর দুইটি অপশন আসবে তার মধ্যে প্রথমটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর আপনি কত টাকা আয় করেন সেই অনুযায়ী যেকোনো একটি অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
- " ০ ইউ এস ডলার, আমি শুধু শুরু করছি" অর্থাৎ প্রথম অপশন সিলেক্ট করা যাবে না।
- এরপর আপনার সামনে নিবন্ধন অপশনটি চলে আসবে।
নিবন্ধন অপশনটি আসার পরই মূলত আপনার আসল কাজ শুরু। আকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে ৪টি ধাপে ফর্ম পূরণ করতে হবে। আপনি যদি কোন এক জায়গায় ভুল তথ্য দেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট লক লেগে যেতে পারে। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম গুলো পূরণ করতে হবে। প্রথম ধাপে আপনার নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। উক্ত তথ্য গুলো অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পরে অনুযায়ী দিতে হবে।
এরপরের ধাপে যাওয়ার পর আপনাকে আপনার ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে। আপনার দেশ, জেলা, বিভাগ ইত্যাদি অ্যাড্রেস ফর্মে চাইতে পারে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের পেছনের অংশে এই ঠিকানা গুলো দেওয়া থাকে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ঠিকানা গুলো নির্ভুল করে পূরণ করতে হবে। ঠিকানা দেওয়া হয়ে গেলে এবার আপনাকে আপনার একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে হবে। উক্ত মোবাইল নাম্বার অবশ্যই সচল থাকতে হবে। কেননা এই নাম্বারে ওটিপি আসতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপ সফল ভাবে সম্পূর্ন করলে এর পরের ধাপ অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে আপনাকে আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলবে। প্রথমেই আপনার ওই ইমেইল অ্যাড্রেসটি আবারো দিতে হবে এবং সেই সাথে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে। এরপর একটি সিকিউরিটি প্রশ্ন সেট করে তার উত্তর নিজ মত দিয়ে দিতে হবে। এরপর আইডি টাইপ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র সিলেক্ট করতে হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিতে হবে। এরপর বাংলাদেশ সিলেক্ট করে নেক্সট করে দিতে হবে।
সর্বশেষ ধাপে আপনাকে আপনার লোকাল ব্যাংক একাউন্টের অ্যাড্রেস দিতে হবে। এর জন্য প্রথমে একাউন্টের ধরন পাসসোনাল সিলেক্ট করতে হবে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনার লোকাল ব্যাংক একাউন্ট কোন ব্যাংকে আছে সেটি দেওয়ার পর আপনার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এর নাম দিতে হবে। এরপর নিচে যদি আবার একটি খালি ঘর আসে তাহলে সেখানে আইডি সিলেক্ট করে আপনার জাতীয় পরিচয় পরের নাম্বার দিয়ে দিতে হবে। সব শেষে দুইটি টিক মার্ক করে সাবমিট করে দিলেই আপনার একাউন্ট খোলার কাজ শেষ।
আরোও পড়ুনঃ ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি কিভাবে করবেন
আপনি যদি সকল তথ্য সঠিক দিয়ে থাকেন তাহলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার একাউন্ট অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে। আর যদি আপনি ভুল তথ্য দেন তাহলে আপনার একাউন্ট চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আবেদন করার ৩ দিনের মত সময় লাগতে পারে আপনার একাউন্ট অ্যাক্টিভ হতে। তাই আবেদন করার পর ধৈর্য ধারন করে দেখতে হবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে ৫০ ডলার বনাস নিন
পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে ৫০ ডলার বনাস নেওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। বিশষ করে নতুনদের এই শর্তগুলো পূরণ করতে অনেক সময় লাগতে পারে। প্রথমত নতুন পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে ৫০ ডলার নেওয়ার জন্য কারো রেফারেল আইডি দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। দ্বিতীয়ত একাউন্ট খোলার পর ১০০০ ডলার পেওনিয়ার একাউন্টে প্রবেশ করাতে হবে। উক্ত শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি পেওনিয়ার থেকে ৫০ ডলার বোনাস নিতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাংলাদেশে বিকাশ হচ্ছে একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ। সম্প্রতি বিকাশ অ্যাপে রেমিটেন্স নামক একটি নতুন অপশন এসেছে। যেখান থেকে আপনি রেমিটেন্স দেওয়ার পাশাপাশি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলারও অপশন পেয়ে যাবেন। আমরা ইতিমধ্যে কীভাবে একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। মূলত উপরের দেওয়া মাধ্যমে যে যে তথ্য ও জিনিস পত্র প্রয়োজন পড়েছে বিকাশের মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে গেলেও ঠিক একই জিনিস লাগবে। এখন আমরা জানবো কীভাবে বিকাশের মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে হয়।
- প্রথমেই স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে হবে।
- এর পর বিকাশ নাম্বার ও পিন দিয়ে লগইন করে নিতে হবে।
- লগইন করার পর বিকাশের "আরো দেখুন" অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর রেমিটেন্স অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
- রেমিটেন্স সিলেক্ট করলে পেওনিয়ার অপশনটি চলে আসবে।
- এবার এখান থেকে পেওনিয়ার সিলেক্ট করতে হবে।
- এবার পেওনিয়ার একাউন্ট খুলুন অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
- সাবমিট দেওয়ার ১ থেকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে একাউন্ট অ্যাক্টিভ হতে পারে।
পেওনিয়ার ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করার নিয়ম
পেওনিয়ার ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করার জন্য আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে ১০০ ডলার থাকতে হবে। আপনার একাউন্টে যদি ১০০ ডলার না থাকে তাহলে আপনি পেওনিয়ার ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করতে পারবেন না। যদি আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার থাকে তাহলে ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করার জন্য সর্ব প্রথম পেওনিয়ার অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইট ওপেন করে নিতে হবে। এরপর কার্ড অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনার সামনে ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করার দুইটি অপশন চলে আসবে।
আপনি যদি ভার্চুয়াল কার্ড নিতে চান তাহলে কার্ডটি অর্ডার করার কয়েক মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন।ভার্চুয়াল কার্ড নেওয়ার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এটির চার্জ নেই অথবা নাম মাত্র চার্জ গ্রহণ করে পেওনিয়ার কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে ফিজিক্যাল কার্ড অর্ডার করার পর আপনার হাতে আসতে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং প্রতিবছর চার্জ হিসেবে প্রায় ৩০ ডলার কাটা হবে আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে।
কীভাবে পেওনিয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করবেন
পেওনিয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করা অনেক সহজ। প্রথমে প্লে স্টোরে গিয়ে পেওনিয়ার লিখে সার্চ দিলেই পেওনিয়ার অ্যাপ চলে আসবে। অ্যাপটি মাত্র ৪১ এমবি হওয়ার কারণে আপনার স্মার্টফোনে স্মুথলি চলবে বলে আশা করা যায়। অ্যাপটিতে আপনার একাউন্টটি লগইন করার পর পেওনিয়ার এর সকল সুবিধা এক সাথে সামনে পেয়ে যাবেন। এখন আসুন কীভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করে লেনদেন করবেন সে সম্পর্কে জানি।
আরোও পড়ুনঃ বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার ১০টি কার্যকরী নিয়ম
- অ্যাপটির হোম অপশন থেকে আপনার ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।
- অ্যাক্টিভিটি থেকে লেনদেনের সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
- অ্যাকশান অপশন থেকে সকল লেনদেন করতে পারবেন।
- কার্ড অপশন থেকে ভার্চুয়াল বা ফিজিক্যাল কর্ডের তথ্য দেখতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের পেওনিয়ার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
ফ্রিল্যান্সারদের পেওনিয়ার ব্যবহারের যেমন রয়েছে সুবিধা ঠিক তেমনি রয়েছে সুবিধা। তাই আজকে আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সারদের পেওনিয়ার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে।
সুবিধা | অসুবিধা |
---|---|
বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে পেমেন্ট রিসিভ | মার্কেটপ্লেস বা ক্লায়েন্ট থেকে টাকা নিতে ফি বেশি লাগে |
মার্কেটপ্লেস থেকে দ্রুত পেমেন্ট যায় | মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট অনেক সময় বাতিল করে দেয় |
লোকাল ব্যাংকে সহজে টাকা উইথড্র করা যায় | সকল একাউন্টে পেমেন্ট সেন্ড পেমেন্ট ফিচার থাকে না |
পাসপোর্ট ছাড়াই ফিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল কার্ড | ফিজিক্যাল কার্ড এর প্রতিবছর প্রায় ৩০$ কাটা হয় |
ক্লায়েন্টকে পেমেন্ট রিকোয়েস্ট সহজে পাঠানো যায় | কিছু সময় ট্রান্সফার প্রক্রিয়া দেরিতে হয়ে থাকে |
বাংলাদেশের মানুষের পেওনিয়ার নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ একজন ব্যক্তি কয়টি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবে?
উত্তরঃ একটি ইমেইল অ্যাড্রেস ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি মাত্র একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন। একই ইমেইল অ্যাড্রেস ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে একাধিক একাউন্ট খুলতে গেলে আসল একাউন্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ একটি সচল ইমেইল ও ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট ( বাধ্যতা মূলক নয়), ব্যক্তিগত তথ্য, একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলেই আপনি একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ারে কিভাবে একাউন্ট খোলা যায়?
উত্তরঃ পেওনিয়ারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে একাউন্ট খুলতে হয়। আমরা উপরে কিভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি চাইলে উপরে পড়ে আসতে পারেন।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ন ফ্রি।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড নিতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড নিতে সাময়িক ভাবে টাকা না লাগলেও মাস্টারকার্ড এর জন্য আবেদত করতে একাউন্টে ১০০ ডলার বা সমপরিমাণ অর্থ অন্য কারেন্সিতে থাকতে হয়। সেই সাথে ভার্চুয়াল কার্ডের জন্য ফি না থাকলেও ফিজিক্যাল কার্ডের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩০ ডলার কাটা হতে পারে।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার কি বাংলাদেশের সব ব্যাংকে টাকা পাঠায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংক থেকেই পাওনিয়ার অর্থ লেনদেন সাপোর্ট করে থাকে।
প্রশ্নঃ ফিজিক্যাল কার্ড হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ আবেদন করার প্রায় ২০ থেকে ৩০ দিন সময় পর ডাকযোগের মাধ্যমে ফিজিক্যাল কার্ড পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ পাসপোর্ট ছাড়া কি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলা যাবে?
উত্তরঃ আপনার পাসপোর্ট না থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েও পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পরিশেষেঃ পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে
পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবেন বাংলাদেশ থেকে এই বিষয় নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আমাদের দেওয়া উপরের নিয়ম অনুসরণ করে একটি পেওনিয়ার একাউন্ট সফল ভাবে খুলতে পারেন তাহলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার পেওনিয়ার একাউন্টটি অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে এবং আমাদের রেফারেল আইডি দিয়ে একাউন্ট খুললে এক হাজার ডলার লেনদেনে ৫০ ডলার বোনাস পেয়ে যাবেন। এছাড়াও উপরে পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সহ অনেক সাধারণ প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হয়েছে। তাই আশা করা যায় যে উপরের তথ্য গুলো ভালোভাবে পড়লে পেওনিয়ার একাউন্ট নিয়ে সকল সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url