OrdinaryITPostAd

গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় বমি হলে কার্যকরী কিছু করনীয় কাজ

আজ আমি এই আর্টিকেলে গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। আপনি যদি গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে আসবে। আপনি যখন গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন তখন আপনি নিজে থেকেই এটার সমাধান বের করতে পারবেন।
গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন
গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন

গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন

গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন? গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ ৭০ ভাগ মেয়েরাই বমি বমি ভাব অরুচি ও ক্লান্তিতে ভুগে থাকেন। গর্ভাবস্থায় একটা মায়ের শরীরে যখন হরমোনের পরিবর্তন আসে। তখন বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভ অবস্থায় হরমোনাল সমস্যা গর্ভের বাচ্চার সুস্থতা ও ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্যই হয়। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে না নেমে ১৫মিনিট বিছানায় শুয়ে হালকা ব্যায়াম করুন। সকালে নাস্তাতে প্রথমে শুকনো খাবার হালকা কিছু খাবেন যেমন চা, মুড়ি, ড্রাইকেক ইত্যাদি। তারপরে স্বাভাবিক খাবার খেতে পাররেন। গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে আরো বর্ণনা করা হলো অতিরিক্ত তেল, চর্বিযুক্ত খাবার, ঝাল, মসলাযুক্ত খাবার, টক জাতীয় খাবার এগুলো খাওয়া যাবে না এই খাবারগুলোই বমির বৃদ্ধির কারণ। 

খাবার আগে বা পরে বেশি পরিমাণ পানি খাওয়া যাবে না, অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। একসঙ্গে বেশি খাবার না খেয়ে দুই ঘন্টা পর পর খেতে হবে। সকালবেলা একটু বাতাসে হাঁটাহাঁটি করলে ভালো লাগবে বমির ভাব কম হবে। দিনের বেলায় দুই ঘন্টা এবং রাতে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে অর্থাৎ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। বমি বমি লাগলে আদা কুচি অথবা লেবু পাতা বন্ধ শুকলে বমি বমি ভাবটা কেটে যায়। 

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

সাধারণত মাসিক বন্ধের পরে থেকেই ৮০ শতাংশ মহিলাদের বমি শুরু হয়। আবার চার থেকে ছয় সপ্তাহ হলে বমি দেখা দেয় অরুচি ভাব হয় গা গুলায় মাথা ঘুরে শরীর দুর্বল লাগে। গর্ভাবস্থায় যদি অতিরিক্ত বমি শুরু হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে

প্রয়োজন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মুখে না খেতে পারলে স্যালাইন নিতে হবে। এভাবে আপনি গর্ব অবস্থায় বমি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বমি বন্ধ করতে পারেন। তাহলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার খাবার রুচি আসবে এবং আপনি ও বাচ্চা দুজনে সুস্থ থাকতে পারবেন। গর্ব অবস্থায় অনেক মহিলাদের ডেট পার হওয়ার পর থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত বমি হয়ে থাকে। 

গর্ভ অবস্থায় শেষ তিন মাসের সর্তকতা

গর্ভ অবস্থায় শেষ তিন মাসের সর্তকতা গর্ভাবস্থায় একটি মায়ের জন্য প্রতিটি মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার শেষের তিন মাসও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ তাই মাকে এই শেষের তিন মাস একটু সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাচ্চাও মায়ের সুস্বাস্থ্য এবং প্রসবের ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন। বাচ্চার জন্য পোশাক, ডাইপার, সাবান ইত্যাদি কিনে রাখতে পারেন। কম্বল, বোতল এবং বাচ্চার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র একটি ব্যাগে হাসপাতালের জন্য গুছিয়ে রাখুন।  

আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের যত দিন পর সহবাস, নামাজ, রোজা, কোরআন পড়া যায়

গর্ভাবস্থায় সাত মাসে পেটে চাপ লাগে এমন কোন ওজন বহন করবেন না। প্রয়োজনীয় পরিমানে খাবার খেতে হবে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াই ভাল। ঘুমের সময় কাত হয়ে ঘুমান, অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। ফলমূল খান, ব্যায়াম করুন, হালকা বাতাসে হাঁটুন, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতন করুন, ডাক্তারের কাছে চেকআপে যান, দূরে জার্নি করবেনা। 

গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ বিশেষজ্ঞরা পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে নেক্সট ৪০ সপ্তাহকে গর্ভধারণের সময় ধরে থাকেন। প্রথম সপ্তাহের দিন থেকেও কেউ গর্ভধারণ করেছেন এটা বলা যায় না কারণ গর্ভধারণ সাধারণ দুই সপ্তাহ পর থেকে বোঝা যায়। গর্ভধারণ না হলেও এ সময় একজন নারী গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে। কনসেপশনের প্রথম সপ্তাহে গর্ভধারণের তেমন লক্ষণ বোঝা যায় না। 

আরো পড়ুনঃ প্রেগনেন্ট বা গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ০৮টি কার্যকর উপকারিতা

কারণ এই সময় গর্ভধারণের কোন প্রক্রিয়া শুরু হয় না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে দুর্বল লাগতে পারে, মাথা ঘুরতে পারে বা ঘন ঘন পেশাব লাগতে পারে, স্তনের বোটায় খোঁচা এবং স্তনফুলে যাওয়া ও ভারী হওয়া, ঘুম আসা, খাবারের গন্ধ লাগা ইত্যাদি। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ এবং গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

উপসংহার

পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করব যে গর্ভবতী মায়ের যত্ন পরিবারের সবাইকে নিতে হবে এবং তাকে সুস্থ রাখার জন্য যাবতীয় কাজ করতে হবে। এই আর্টিকেলে আমি গর্ভবতী মহিলার বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে সহ গর্ভবতী মায়ের অন্যান্য বিষয় নিয়েও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url