OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে

গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ব্যপারে অনেক কিছু আছে যা খেতে মানা আবার অনেক কিছু আছে যা খাওয়া যাবে। আজ আমরা গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না আর গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে, গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ, গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ, গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ, গর্ভাবস্থায় শিং মাছ, গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ ও গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করব।

চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে, গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ, গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ, গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ, গর্ভাবস্থায় শিং মাছ, গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ ও গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কিনা ।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার ব্যপারে লক্ষ রাখতে হবে এবং কিছু কিছু জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছ খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু এমন কিছু মাছ আছে যা খেলে গর্ভবতী মায়েদের উপকারের থেকে অপকারী বেশী হবে। তাই আমাদের মাছ খাওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। চলুন দেখে নেই গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না।
যেসব মাছে মিথাইল মার্কারির পরিমান বেশী আছে গর্ভবতী মহিলাদের সেসব মাছ উপেক্ষা করতে হবে। যেমন- হাঙ্গর, কিং ম্যাকেরেল, সোর্ডফিশ বা তলোয়ার মাছ এবং টাইল ফিশ গর্ভাবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ মিথাইল মার্কারি হল একটি নিউরোটিক্সিন, যখন এটা বেশী পরিমানে গ্রহন করা বা খাওয়া হয় তখন তা স্নায়ু তন্ত্রের ক্ষতি করে। এছাড়াও সুশী,সিভিচ এবং সাশিমিসহ হিমায়িত করে রাখা স্মোকোড ফিসগুলি লিস্টারিয়ার এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় উপরে উল্লেখিত মাছ গুলো ছাড়া অন্য যেসকল মাছ খাওয়া যাবে তা হল- স্যালমন, শ্রিম্প(বাগদা চিংড়ি),শিঙি,মাগুর জাতীয় মাছ,কাঁকড়া,কড মাছ,গলদা চিংড়ি,ঝিনুক এবং ট্রাউট গুলিকে গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন। হ্যালবাট,চিংড়ি এবং স্ন্যাপার জাতীয় মাছগুলি প্রতি সপ্তাহে এক বারের বেশী খাওয়া যাবে না। আর অবশ্যই গর্ভাবস্থায় হোটেল বা রেস্তোরায় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বাসায় রান্না করা খাবার খাবেন। এবং আধাসিদ্ধ, বা কাঁচা মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কিনা চলুন দেখে নেই। 
একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে, কিন্তু তা খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ গর্ভবতী মহিলাদের চিংড়ি মাছ খাওয়ার ব্যাপারে কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।
গর্ভবতীদের চিংড়ি মাছ খাওয়ার উপকারিতা
  • চিংড়ি মাছ ওমেগা-৩, ভিটামিন ও অ্যাসিড রয়েছে যা গর্ভবতীদের প্রসব সংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।
  • চিংড়ি মাছ খেলে চিংড়ি মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • চিংড়ি মাছে ওমেগা-৩, প্রোটিং, ভিটামিন B-2 এবং ভিটামিন D প্লাস পাওয়া যায় যা গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
  • চিংড়িতে আরও থাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম যা মা ও শিশুর শরীরে ভালোভাবে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে।
গর্ভবতীদের চিংড়ি মাছ খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খেলে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়। চিংড়ি মাছ খেলে যেমন উপকার তেমনি অধিক পরিমানে চিংড়ি মাছ খাওয়া ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হতে পারে। 
  • যারা সদ্য গর্ভধারনের খবর পেয়েছেন তারা চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • যাদের হজম শক্তি কম তাদের চিংড়ি বা সামুদ্রিক মাছ কিছুদিন না খাওয়ায় ভালো।
  • প্রসেসড করা চিংড়ি বা অর্ধসিদ্ধ চিংড়ি খাওয়া যাবে না।
  • চিংড়ি মাছ খেতে হলে বাড়িতে রান্না করে খান, রেস্তোরায় রান্না করা চিংড়ি না খাওয়ায় ভালো।
  • চিংড়ি মাছ ছাড়ানোর সময় কালো সুতার মত অংশটিকে ফেলে দিন।
  • সবসময় টাটকা চিংড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • যাদের এ্যালার্জি জনিত সমস্যা আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই চিংড়ি খান।

গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি | গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে। ইলিশ মাছে আছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী ও স্বাস্থ্যকর। এছাড়াও ইলিশ মাছ বাচ্চাদের শরীরে পাওয়ার বুস্ট হিসেবে কাজ করে যা শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। 
তাছাড়া গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খেলে তা শিশুর বৃদ্ধির জন্য ও শিশুর হাড় গঠনের জন্য উপকারী। কিন্তু ইলিশ মাছে মার্কারি থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়ার ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। রোজ রোজ ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে না, এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের সপ্তাহে ২দিন ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে।

গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ খাওয়া যাবে কি

শুটকি মাছে বিশেষ করে চিংড়ি মাছের শুটকিতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে যা খুব অল্প পরিমানে খেলেও গর্ভাবস্থায় দৈনিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়। এছাড়াও শুটকি মাছ দুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি শুটকি মাছ খেতে পারেন। কিন্তু শুটকি মাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে তাই বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়।

গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে কি | গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য সামুদ্রিক মাছ খুব উপকারী। সামুদ্রিক মাছ গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিন্তু সামুদ্রিক মাছ গর্ভবতী মহিলাদের বেশী পরিমানে খাওয়া ঠিক না কারণ মাসুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে যা গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে।

গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ খাওয়া যাবে কি

পাঙ্গাস মাছ প্রায় সর্বদা কারখানায় চাষ করা হয়, যার ফলে পাঙ্গাস মাছ বিষ হয়ে যায়। এছাড়াও ফার্মে পাঙ্গাস মাছের স্বাদ বাড়ানোর জন্য রাসায়নিক সার ও বিষাক্ত কীটনাশক দেওয়া হয় যা খেলে উপকারের থেকে অপকার বেশী হতে পারে, বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ না খাওয়াই ভালো।

গর্ভাবস্থায় শিং মাছ খাওয়া যাবে কি | গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না


গর্ভাবস্থায় শিং মাছ খাওয়া যাবে। শিং মাছে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুন। শিং মাছ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শিং মাছ খেলে শরীরের রক্ত স্বল্পতা কমে ও মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ খাওয়া যাবে কি | গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

তেলাপিয়া মাছে প্রচুর পরিমানে ক্ষতিকারক ফ্যাট থাকে, যেটা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ খাওয়া উচিত না। 

গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কি | গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

মাছের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও পুষ্টিগুন। অনেকে গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খেতে চায় না, এতে করে তারা অ-পুষ্টির শিকার হয়। যার ফলে গর্ভের শিশু নানা রকম ক্ষতির শিকার হয়। তাই গর্ভবতী মহিলাকে গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া উচিত।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে

বন্ধুরা, আজ আমরা গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না আর গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে, গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ, গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ, গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ, গর্ভাবস্থায় শিং মাছ, গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ ও গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করেছি। 
আশাকরি, আমাদের এই গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না আর গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে, গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় শুটকি মাছ, গর্ভাবস্থায় সামুদ্রিক মাছ, গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ, গর্ভাবস্থায় শিং মাছ, গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ ও গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কিনা পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url