OrdinaryITPostAd

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্বপূর্ণ যত আমল সমূহ

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে। আমরা যদি জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ জানতে পারি তাহলে খুব সহজে আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগী পালন করতে পারব। কারণ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক বেশি। জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে।

আপনি যদি সঠিকভাবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে চান তাহলে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ জেনে নিন। তাহলে চলুন দেরি না করে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ জেনে নিন

আরবি ১২ মাসের মধ্যে জিলহজ মাস হল সর্বশেষ এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে চারটি মর্যাদাপূর্ণ মাসের মধ্যে অন্যতম একটি। জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাতের কসম খেয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ্জ মাসের ১২ টি ফজিলত - জিলহজ্জ মাসের গুরুত্ব

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • তাকবীর ও তাসবিহ পাঠ করা
  • দিনের বেলায় সিয়াম পালন করা
  • রাতে নফল ইবাদত করা
  • আরাফাত দিনে রোজা রাখা
  • তাকবীরে তাশরিক পাঠ করা
  • বিশেষ আমল করা
  • সামর্থ্য থাকলে কুরবানী করা

তাকবীর ও তাসবিহ পাঠ করাঃ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনে তাকবীর অর্থাৎ আল্লাহু আকবার এবং তাহমিদ আলহামদুলিল্লাহ, তাহলিল অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং তাসবিহ হ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ পাঠ করা সুন্নত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, ' এই দশদিনের নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোন আমল নেই। তাই তোমরা এই সময় তাহলীল, তাকবীর ও তাহমিদ বেশি বেশি পাঠ করো।'

দিনের বেলায় সিয়াম পালন করাঃ বিশেষ করে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনে দিনের বেলায় সিয়াম পালন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। হাদীস শরীফে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের প্রতিটি রোজাকে পুরো বছরের রোজার সাথে তুলনা করেছেন। তাই আমরা যদি সুস্থ সবল হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা উচিত।

রাতে নফল ইবাদত করাঃ জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে রোজা রাখা এবং রাতের বেলায় নফল ইবাদত পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতের বেলায় যদি নফল ইবাদত পালন করা যায় তাহলে আল্লাহ তায়ালা খুবই খুশি হন। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের প্রতিটি রাতের ইবাদতকে লাইলাতুল কদরের সাথে তুলনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর এক স্ত্রী বলেন, জিলহজের প্রথম নয় দিন ও আশুরার দিন রোজা রাখতেন। আর তিনি প্রতি মাসে তিন দিন সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।

আরাফাত দিনে রোজা রাখাঃ যারা হজ করতে যাই সাধারণত তারা হজের কার্যক্রম হিসেবে জিলহজ মাসের নয় তারিখে আরাফার ময়দানে অবস্থান করে। এই দিন রোজা রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী বলেন,' আরাফার দিনের একটি রোজার দ্বারা পূর্বের ওপরের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং আশুরার রোজার দ্বারাও পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।'{ তিরমিজিঃ ১৫৭}

তাকবীরে তাশরিক পাঠ করাঃ জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ মধ্যে অন্যতম হলো তাকবীরে তাশরিক পাঠ করা। বিশেষ করে নয় জিলহজের ফজর থেকে জিলহাদ মাসের ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এটি পাঠ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,' তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করো।'{ সূরা বাকারাঃ ২০৩}

বিশেষ আমল করাঃ জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি পশু জবাই করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি কোরবানি আদায় করবে তার জন্য বেশ কিছু আমল রয়েছে। উপরোক্ত সময়সীমা পর্যন্ত যে ব্যক্তি কোরবানি করবেন আল্লাহতালার নামে সে ব্যক্তি মাথার চুল শরীরের যে কোন পশম এবং নখ কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সামর্থ্য থাকলে কুরবানী করাঃ আমরা সকলে কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে জানি। সামর্থ্য থাকলে আমাদের অবশ্যই কুরবানী করতে হবে। হযরত জায়েদ বিন আরকাম রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ! কোরবানি ইহা কি? তিনি বললেন, 'তোমাদের পিতা ইব্রাহিম আঃ এর সুন্নত।'

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত

আল্লাহতালার গণনায় মাস ১২ টি এর মধ্যে চারটি মাস আল্লাহতালা সম্মানিত করেছেন। এই মাসগুলোতে আল্লাহ তায়ালা যুদ্ধ বিদ্রোহ রক্তপাতকে হারাম ঘোষণা করেছেন। সেই মানুষগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জিলহজ মাস। হাদিসে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। সঠিকভাবে আল্লাহতালার একত্ববাদ প্রকাশ করার জন্য জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত জানা জরুরী।

জিলহজ মাসের ৮ জিলহজ্ব থেকে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম গুলো শুরু হয়। ৮ তারিখে মিনায় গমন দিয়ে নয় তারিখে আরাফার মাঠে অবস্থান করা। সূর্যাস্তের পর মাগরিব ইশা একসাথে আদায় করা এবং মুজদালিফায় রাত্রি যাপন করা। ১০ তারিখ সকাল হওয়ার পর মিনায় গিয়ে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে কোরবানি করা।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক বেশি পছন্দনীয় এবং গ্রহণযোগ্য। আমাদের প্রিয় নবী বিভিন্ন হাদিসে জিলহাদ মাসের ১০ দিনের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী বলেন,' জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের আমল উত্তম নয়।' তারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি উত্তম নয়?

প্রিয় নবী সাঃ বললেন জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়ে জিহাদের যাই ও কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।{ বুখারীঃ ৯৬৯} আল্লাহ তায়ালা কুরআনে সূরা ফাজরে জিলহজের প্রথম ১০ দিনের শপথ করে এই দিনগুলোর মর্যাদা তুলেছেন। তাহলে আমরা এখান থেকেই ধারণা করতে পারি যে আল্লাহতালার কাছে প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব কতটা বেশি।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তারা যেন নির্দিষ্ট দিন সমূহে আল্লাহর স্মরণ করে।'{ সূরা হজ্জঃ ২৮} মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের ফজিলত জিহাদের চেয়েও অনেক বেশি মর্যাদাবান। জিলহজ মাসের এত মর্যাদা এবং ফজিলত হওয়ার অন্যতম দুইটি কারণ জিলহজ মাসে হজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে অর্থাৎ আরাফার ময়দানে উপস্থিত হতে হয়।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে জানুন

জিলহজ মাসের এত গুরুত্ব হওয়ার অন্য কারণটি হল কুরবানী। কুরবানী হলো ইসলামের অন্যতম নিদর্শন এবং সুন্নাত। ফজিলতপূর্ণ এই দুটি কাজ মর্যাদাপূর্ণ মাস রমজানেও আদায় করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে উপরের আলোচনায় জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সম্পর্কে জানিয়েছি। অবশ্যই এই আমল গুলো করার চেষ্টা করুন নিয়মিত।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব - জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব আল্লাহতালার কাছে অন্যান্য মাসে চাইতে অনেক বেশি। জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা হওয়ার কারণে ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা হওয়ার কারণ আল্লাহ তা‌আলা এর কসম করেছেন, আল্লাহ তা‌আলা যখন কোনো কিছুর কসম করেন তা কেবল তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদাই প্রমাণ করে। কারণ,মহান সত্তা শুধু মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরই কসম করেন। আল্লাহ তা‌আলা বলেন, 'কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের।' {সূরা আল-ফাজরঃ ১-২}

এসবই সেই দিন আল্লাহ যাতে তাঁর জিকিরের প্রবর্তন করেছেন, আল্লাহ তা‌‘আ বলেন, 'যেন তারা নিজদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাযির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিজিক দিয়েছেন তার ওপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।' {সূরা আল-হজঃ ২৮

রাসূলুল্লাহ দিনগুলোকে শ্রেষ্ঠ দিনবলে আখ্যায়িত করেছেন, জিলহজের এই দিনগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাঃ দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন জাবির রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, 'পৃথিবীর দিনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিনগুলো হলো দশকের দিনসমূহ। অর্থাৎ যিলহজের (প্রথম) দশদিন।

জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর পথে জিহাদেও কি এর চেয়ে উত্তম দিন নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদেও এর চেয়ে উত্তম দিন নেই। হ্যা, কেবল সেই যে (জিহাদে) তার চেহারাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।' {মুসনাদ বাযযারঃ ১১২৮}

এই দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে আরাফার দিন আরাফার দিন হলো বড় হজের দিন। এটি ক্ষমা ও মাগফিরাতের দিন। জাহান্নাম থেকে মুক্তিও নাজাতের দিন। যিলহজের এই দশকে যদি ফযীলতের আর কিছু না থাকত তবে এ দিবসটিই তার মর্যাদার জন্য যথেষ্ট হত। এ দিনের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, 'আরাফা দিবসই হজ।' {তিরমিযীঃ ৮৯৩}

এতে রয়েছে কুরবানীর দিন কোনো কোনো আলিমের মতে কুরবানীর দিনটি বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো কুরবানীর দিন অতপর স্থিরতার দিন।' {নাসায়ীঃ ১০৫১২

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ' জিলহজের প্রথম দশকের চেয়ে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহ্‌র নিকট অধিক পছন্দনীয়।' সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্‌র পথে জিহাদও নয় হে রাসূলুল্লাহ্‌? তিনি বললেন, "আল্লাহ্‌র পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদের কথা ভিন্ন, যে জানমাল নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু আর কোন কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।" {বুখারী শরীফঃ৯৬৯}

জিলহজ্জ মাসের ১০ দিনের করনীয় ও বর্জনীয়

আমরা ইতিমধ্যে উপরের আলোচনা থেকে জেনেছি যে জিলহজ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। তাই জিলহজ্জ মাসের ১০ দিনের করনীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জ্ঞান থাকতে হবে। জিলহজ্জ মাসের ১০ দিনের করনীয় ও বর্জনীয় নিচে উল্লেখ করা হলো।

জিলহজ্জ মাসের করণীয়ঃ

১। জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনে নফল নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা খুবই ফজিলতপূর্ণ। কারণ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের একটি করে রোজা এক বছরের রোজা করার সমান। এবং রাতের বেলা ইবাদত পালন করা লাইলাতুল কদরের ইবাদত পালন করার মত। তাই আমরা জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের রোজা করবো এবং বেশি বেশি রাতে নফল ইবাদত পালন করব।

২। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ অর্থাৎ আরাফার দিনে রোজা রাখা। আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন, যে ব্যক্তি আরাফাত দিনে রোজা রাখবে তার পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরের এক বছরের গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেবেন। যারা হজ পালনের জন্য আরাফার ময়দানে অবস্থান করবে তাদের জন্য এই আমলটি প্রযোজ্য হবে না।

৩। জিলহজ্জ মাসের ১১, ১২, ১৩ তারিখের বেশি বেশি জিকির করা। বেশি বেশি কালেমা তাইয়্যবা আল্লাহু আকবার এবং আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তিনি তাহাদেরকে চতুরপদ জন্ত হইতে যাহা রিযিক হিসেবে দান করিয়াছেন উহার ওপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করিতে পারে।{ সূরা হজ্জঃ ২৮}

৪। জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ মধ্যে অন্যতম হলো তাকবীরে তাশরিক পাঠ করা। বিশেষ করে নয় জিলহজের ফজর থেকে জিলহাদ মাসের ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এটি পাঠ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,' তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করো।'{ সূরা বাকারাঃ ২০৩}

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের বর্জনীয়ঃ

১। জিলহজ মাস হল আল্লাহতালার কাছে বিশেষ চারটি সম্মানীয় মাসের মধ্যে অন্যতম একটি। সারা বছরের গুনাহ মাফের সময় হলো জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন হইতে আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকটমাস গণনায় মাস ১২ টি। এর মধ্যে চারটি নির্দিষ্ট মাস ইহাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং ইহার মধ্যে তোমাদের নিজেদের প্রতি জুলুম করিও না।"

আরো পড়ুনঃ জিলহাদ মাসের ১০ দিনের ফজিলত আমল এবং রোজা

২। জিলহাজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা হারাম। এর কারণ এই চার দিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দাকে মেহমানদারী করানো হয় সুতরাং যে ব্যক্তি এই চার দিন রোজা রাখল কেমন যেন সে আল্লাহর মেহমানদারীকে অস্বীকার করলো। তাই আমরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা থেকে বিরত থাকবো।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহঃ শেষ কথা

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা, জিলহজ্জ মাসের ১০ দিনের করনীয় ও বর্জনীয়, জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব, জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত, জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url