OrdinaryITPostAd

জিলহজ মাসের ১২টি ফজিলত - জিলহজ মাসের গুরুত্ব

প্রিয় পাঠক প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব জিলহজ মাসের ফজিলত ও জিলহাজ মাসের গুরুত্ব নিয়ে। জিলহজ মাস একটি পবিত্র মাস এবং আল্লাহ তাআলার নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। তাই জিলহজ মাসের ফজিলত ও জিলহজ মাসের গুরুত্ব নিয়ে আজকের এই পোস্টটি।

আপনারা যারা জিলহজ মাসের গুরুত্ব ও জিলহজ মাসের ফজিলত গুলো জানেন না তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। তো চলুন জেনে আসি জিলহজ মাসের ফজিলত ও জিলহজ মাসের গুরুত্ব গুলো।

পেজ সূচিপত্রঃ জিলহজ মাসের ফজিলত - জিলহজ মাসের গুরুত্ব

জিলহজ মাসের গুরুত্ব

জিলহজ মাস হল আরবি বারটি মাসের মধ্যে একটি। এবং আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি মাসের একটি জিলহজ মাস। জিলহজ মাসে কোরবানি ঈদ পালন করা হয় এবং ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হজ পালন করা হয় এই জিলহজ মাসে। তাই এই মাসের এতটা গুরুত্ব। আল্লাহ তা'আলা বলেন," হজ সম্পাদন সুবিদিত মাসসমূহ অতঃপর যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা স্থির করে তার জন্য হজের সময় অশালীন, অন্যায় আচরণ ও কলহবিবাদ বিধেয় নয়। তোমরা উত্তম কাজে যা কিছু করো আল্লাহ তা'আলা জানেন এবং তোমরা পাথেয় ব্যবস্থা করবে আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যাক্তিরা তোমরা আমাকে ভয় করো"(সূরা বাকারা আয়াতঃ ১৯৭)

আরো পড়ুনঃ ৩০ টি কুরবানির মাসআলা

এ পবিত্র মাসের 10 তারিখে কোরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মুসলমানরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও হযরত ইসমাইল (আঃ) এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও তার পুরো পরিবারের অসাধারণ কুরবানীর ইতিহাস মানুষকে ত্যাগের শিক্ষা দেয়।

এই কারণে আল্লাহতালা এই মাসে এত গুরুত্ব দিয়েছে। সূরা হজ্জের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে," তারা আল্লাহর নামের স্মরণ করে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে"। হযরত আবু ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, নির্দিষ্ট দিন বলতে এখানে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন কে বোঝানো হয়েছে। এই মাসের গুরুত্ব অনেক যা আমাদের মত সাধারণ মানুষ অনেকেই জানেনা। তাই আজকে তাদের জন্য জিলহজ মাসের ফজিলত ও জিলহজ মাসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছি।

জিলহজ মাসের ফজিলত

আরবি ক্যালেন্ডার এ বারটি মাস হয়েছে এর মধ্যে চারটি মাস আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এবং এই চারটি মাসের মধ্যে জিলহজ মাস একটি। বিশেষ করে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত আল্লাহতালার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন ও রাত আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জিলহজ মাসের নবম দিন ও রাত। কারণ নবম দিন আরাফাতের ময়দানে সমাবেশ হওয়ার দিন। এবং রাত্রি হলো মুজদালিফায় অবস্থানের রাত।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের ১০ দিনের ফজিলত আমল ও রোজা

  • নবম দিনে অর্থাৎ আরাফাত দিবসে রোজা রাখার ব্যাপারে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, "যে এই দিনেপালন করবে তার গত একবছরের এবং সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন"।
  • নবীজি (সালালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরাফায় থেকে রোজা রাখেন নি। আরাফায় যারা অবস্থান করবেন তারা যদি রোজা রাখে তাহলে হয়তো অন্যান্য যে ইবাদতগুলো রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে কষ্ট হবে। তাই আরাফায় অবস্থানরত তাদের জন্য রোজা না রাখাই উত্তম।
  • জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের রোজা এক বছর রোজা করার সমান এবং রাতে ইবাদত করা লাইলাতুল কদরের রাতে ইবাদত করার সমতুল্য।
  • জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়।
  • আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল এর চেয়ে অন্য কোন দিনের আমল উত্তম নয়।
  • সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসূল(সাঃ) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না ? নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও না। তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া জেতার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করলো এবং কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেনি।(বোখারী)

আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের ৫ আমল

  • নবীজি (সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি কোরবানি করতে চাই সে যেন জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে।
  • নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ মধ্যবর্তী সময়ের (সাগিরা) পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর জান্নাতেই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান।(সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
  • মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অতএব তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবীর (আল্লাহু আকবার) এবং তাহমিম (আলহামদুলিল্লাহ) পড়বে। (মুসনাদে আহমদ)
  • জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক গ্রহণযোগ্য।
  • এবং যে কোরবানি দেবে সে যেন জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে চুল গোঁফ নখ ইত্যাদি না কাটে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কাটতে পারে তাদের জন্য এই বিধান নয়।
  • জিলহজ মাসের প্রথম দশকের একটি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদত সমান। একটি দিনের রোজা এক বছর রোজা রাখার সমান।

 শেষ কথাঃ জিলহজ মাসের ফজিলত - জিলহজ মাসের গুরুত্ব

যারা জিলহজ মাসের ফজিলত ও জিলহজ মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী হবে। এই পোস্টে আমরা জিলহজ মাসের ফজিলত ও জিলহজ মাসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে জিলহজ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url