OrdinaryITPostAd

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য ও ২৬শে মার্চের গুরুত্ব ১০০০ শব্দে

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। যেদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয় প্রতি বছর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যঃ ভূমিকা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে স্বাধীনতা দিবসের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। পৃথিবীতে যতগুলো দেশ রয়েছে সবগুলো স্বাধীন। আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৭১ সালে। কিন্তু আমরা অনেকেই স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত নয়। যেহেতু আমরা বাঙালি বাংলাদেশের বসবাস করি সেহেতু অবশ্যই আমাদেরকে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জানা উচিত।

আরো পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস কবে - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ

সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে? স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে? এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকে। কারণ আমাদের মধ্যে অনেক বাঙালি রয়েছে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে? এই বিষয় সম্পর্কে কোন ধারণা রাখেনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে দেয়। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপমর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার যুদ্ধের অংশগ্রহণের ডাক দেন।

এর আগে ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে?

প্রতিবছর বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছর ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে? সে বিষয়ে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। যেহেতু আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করি আমরা বাঙালি।

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা বাঙ্গালীদের ওপর বিভিন্ন রকম ভাবে অত্যাচার করে। তারা বাংলাদেশের ধন-সম্পদ এগুলো তাদের দেশে পাচার করে দেয়। বাংলাদেশের মানুষের উপর অন্যায় ভাবে অত্যাচার করতে থাকে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাঙালিরা আর সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।

২৬ মার্চ বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পাক হানাদার বাহিনীদের বিপক্ষে যুদ্ধের ঘোষণা করা হয়। তাই প্রতি বছর ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এই বছর ২৬ মার্চ রোজ রবিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে।

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

অগ্নিঝরা মার্চ মাস বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সাক্ষী। বাঙালিরা কখনোই মার্চ মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে ভুলে যাবে না। ১৯৭১ সালের এ মাসে তীব্র আন্দোলনের পরিণতিতে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। বাংলার আন্দোলন সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধূর স্মৃতিবিজড়িত ১৯৭১ এর এ মার্চ মাসেই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন।

আরো পড়ুনঃ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ফেসবুক স্ট্যাটাস

পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই। বছর ঘুরে এক অন্যরকম পরিবেশে এবার বাঙালির জীবনে এসেছে মার্চ।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থাৎ বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। যেখানে ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর পায়খানাদার বাহিনীরা অত্যাচার চালায়।

যুদ্ধের ঘোষণা পাওয়ার পরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর উপর যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়। যার ফলে বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করে এবং এক পর্যায়ে পায়খানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশ কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করে। তখন মানুষের ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রেরণা পেয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে এদেশের নিরীহ মানুষের উপর এক নৃশংস গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। ২৬ মার্চ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। তখন শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলমান থাকে দীর্ঘ নয় মাস। সেদিন বাংলার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙালি সেদিন স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পরে ১৯৭১ সালে ১৬ই বিজয় অর্জন করা হয়।

স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন। তাই প্রতিবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাঙালিরা। জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এই দিনটি প্রত্যেক বাংলাদেশের জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে অদন্দ বেদনা গৌরব এবং দুঃখের স্মৃতিগুলো। একদিকে স্বজন হারানোর কষ্ট এবং অন্যদিকে মুক্তির আনন্দ বোঝা যায় স্বাধীনতা দিবসে।

আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কবে, কত সালে জানুন

বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিনটির পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাই। বাঙালিরা সবাই একসঙ্গে পায়খানাদার বাহিনীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। স্বাধীনতা দিবসের পর থেকে বাঙালিরা পায়খানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস খুঁজে পায়।

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যঃ উপসংহার

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে? স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব, স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত।

একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের অবশ্যই উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত। যেহেতু এগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ। ২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url