OrdinaryITPostAd

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ কবে - মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি

 প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে। আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমাদের সকলেরই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি
আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। আমাদের সকলের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে জানা উচিত। অজস্র রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের মাতৃভাষা। এই মাতৃভাষা যারা এনে দিয়েছিলেন তাদের স্মরণে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে

আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে জেনে না থাকেন তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে পালন করা হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের গৌরবজ্জল একটি দিন। বাঙালির জনগণের ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, শফিক, জব্বার, সালাম,বরকত সহ অনেকেই। তাই এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি

আপনি কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি জানতে চান তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে।বর্তমানের পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্র পূর্বে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্ত ছিল। উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে উর্দুভাষা টি কিছুসংখ্যক মুসলিম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় নেতা খাজা সলিমুল্লাহ স্যার, সৈয়দ আহমেদ খান, নবাব ওয়াকার এবং মৌলভী আব্দুল হক প্রমোশনের চেষ্টায় ভারতীয় মুসলমানদের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা উন্নতি হয়। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলির আঘাতে সালাম, রফিক,বরকত ও জব্বারসহ নাম-না-জানা অনেকেই নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সমাবেত হয়। নানা নির্যাতন করা সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে।
তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষা শহীদদের স্মৃতি কে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি ভেঙে ফেলে। একুশে ফেব্রুয়ারি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরো গতিময় হয়। ১৯৫৪ সালে প্রদেশ পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট লাভ করলে ৭ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা

এখন আলোকপাত করবো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা। আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা জানতে চান তবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা।

ভূমিকাঃ

কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সন্তানের জন্ম লগ্ন থেকে ঐতিহ্যগতভাবে যে নির্দিষ্ট ভাষার মাধ্যমে নিজেদের ভাব প্রকাশ করতে শেখে সেটি হল তাদের মাতৃভাষা। সেই নির্দিষ্ট ভাষাটি সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে ও ইতিহাসের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক সংস্কৃতি আবেগ। সেই আবেগকে প্রত্যকের মাতৃভাষার সাথে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস তথা মহান সংস্কৃতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

মাতৃভাষা ও সাহিত্যঃ

মাতৃভাষা এবং সাহিত্য চর্চা পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর প্রকৃত অর্থ বুঝতে গেলে সর্বপ্রথম আমাদের সাহিত্যের স্বরূপ অনুধাবন করতে হবে সাহিত্য হল আমাদের মনের ভিতরকার সেইসব কল্পনা যাকে আমরা ভাষার মাধ্যমে জীবন্ত রূপ দিতে পারি। এ বিশ্বে যা কিছু প্রকৃতির কিছু সুন্দর মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিজের মনের অন্তরমহলে সাহিত্য কল্পনার রূপ দান করে আপন মাতৃভাষার মাধ্যমে। কোন মানুষ যদি নিজের মাতৃভাষায় দুর্বল হয় তার পক্ষে সাহিত্যক দান করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমন সাহিত্য গড়ে উঠলেও তা নিজের স্বাভাবিক হারিয়ে সুন্দরকে পাশ কাটিয়ে হয়ে পড়ে দুর্বল। চারিপাশে খেয়াল করলে দেখা যাবে এই পৃথিবীতে বিশ্বমানের যত সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে প্রত্যেকটির পেছনে লেখক লেখিকার মাতৃভাষার অবদান সব থেকে বেশি। কারণ নিজের মাতৃভাষায় যত স্নিগ্ধতা নির্মল ভাবে চিন্তা করা যায় পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায় অসীম জ্ঞান থাকলেও আবেগের স্নিগ্ধতা গভীরতা কোনটাই আসেনা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপটঃ

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলা ভাষার উপর জোর জুলুম হতে থাকে সাথে সাথে তীব্রতর হতে থাকে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ এই আন্দোলন ভয়াবহ আকার নাই। একই বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের নির্মম গুলিবর্ষণে কয়েকটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়। এদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক,সালাম, বরকত শফিউল সহ অনেকেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই মহান দিনটিকে স্মরণ করে ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘ এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগঃ

ইতিহাস খুঁজে জানা যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে বসবাসকারী দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম। তাদের সার্বিক উদ্যোগে প্রথমে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অফ দামের একটি সংগঠিত সংগঠন। পরবর্তীতে নানা অনেকের সহযোগিতায় ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সেই অধিবেশনে মোট ১৮৮টি দেশের সমর্থন সহযোগে প্রস্তাবটি পাশ হলে তার পরের বছর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে জাতিপুঞ্জের সদস্য দেশ গুলিতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এরপরে ২০১০ সালের একুশে অক্টোবর সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে জাতিপুঞ্জ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়। এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল বাংলাদেশ। পরের বছর মে মাসে জাতিপুঞ্জের ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট তথ্য বিষয়ক কমিটিতে উক্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিষ্ঠাতা পূর্ণতা লাভ করে।

মাতৃভাষা ও বর্তমান বাংলাদেশঃ

বাংলাদেশ বরাবরই নিজের মাতৃভাষার প্রতি উপরের তুলনায় অধিক সচেতন এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল শত শত তরুণ হাজারো প্রাণ চলে গিয়েছিলে সেই ভাষার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দক্ষিণ এশিয়ার বুকে ক্ষুদ্র এই দেশটির মাতৃভাষা বাংলা, বাংলা ভাষাকে এইদেশ নিজের মায়ের মতো করে ভালোবাসে। বলা হয়ে থাকে বাংলা ভাষা সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে পরম যত্নে বাংলাদেশ বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা পৃথিবীর বুকে নিজের এক উন্নত করে নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিয়েছে এই ভাষার অবলম্বনকারী মানুষ নিজের সংস্কৃতি এবং রক্ত ঝরাতে হয় নাই।

উপসংহারঃ

নিজেদের ইতিহাসকেও ভাষার ঐতিহ্যকে আপন করে নিয়ে বর্জন করতে হবে বিকৃতিও অপসংস্কৃতিকে। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার সাথে সাথে তাদের আপন ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে প্রতিনিয়ত। আমাদের মনে রাখতে হবে নিজেদের মাতৃভাষা চর্চা আছে প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি। এই লক্ষ্যগুলো সফল হলে তবেই আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সার্থক হয়ে উঠবে। মাতৃভাষা হল মায়ের ভাষা। মা যেমন তার সন্তানকে স্নেহের বন্ধন আগলে রাখে তেমনি মাতৃভাষা ও একটি নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ইতিহাসের স্নিগ্ধ বন্ধনে জড়িয়ে রাখে। সেজন্যই মাতৃভাষা আমাদের সকলের কাছে পরম আবেগের নিজেদের এই আবেগ কে রক্ষা করার জন্য আমাদের অনতিবিলম্বে সচেতন হতে হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ

অনেকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চাই। আপনিও যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ এই পর্বটি শেষে আপনি জানতে পারবেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে।মাতৃভাষা বলতে এমন একটি ভাষা কি বুঝায় যা একটি দেশের জনসাধারণ কর্তৃক তাদের ধারণা, চিন্তা, অনুভূতি এবং আবেগ প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। আমাদের মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকরা বাংলার পরিবর্তে আমাদের উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশের বীর সন্তানেরা এর প্রতিবাদ করে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি একটি মিছিল বের করেছিল এবং পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালিয়েছিল।
পুলিশের গুলিতে সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক সহ অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছিল।এই কারণে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছর আমরা দিবসটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এই দিনে প্রত্যকে কালো চিহ্ন বিশেষ ধারণ করে এবং শহীদ মিনারে খালি পায়ে হেঁটে যায়। সবাই শহীদদের সম্মান প্রদর্শন করতে শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিতে সেখানে যায়। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক দল দিনটি উদযাপন করে। বাংলাদেশের বেতার এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটির জন্য আমরা গর্বিত।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য

অনেকেই জানেনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তা সম্পর্কে। আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চান মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণেই পর্ব শেষে আপনি বুঝতে পারবেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তা। প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শহীদ দিবস পালন করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত সংস্থা ইউনেস্কো অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।তাই ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্ত ফলে বাংলাদেশে একটি বিসর্জন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ

আপনি কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ জানতে চাচ্ছেন। হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আশা করি এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে শেষ করলে আপনি খুব সহজেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ।

সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, উপস্থিত সুধিমন্ডলী। জাতীয় জীবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এ আয়োজিত আজকের এই আলোচনার শুরুতে আপনাদের প্রতি আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বাংলাদেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জাতীয় জীবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। একুশ মানেই হলো পরাশক্তির কাছে মাথা নত না করা। একুশ একটি বিদ্রোহ বিপ্লব ও সংগ্রামের নাম। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এদেশের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় তাৎপর্যবহ দিন। আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেই বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা ঘটে এবং শোষণ ও পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয় দেশ ও জাতি।

ভাষার জন্য সংগ্রাম, আত্মত্যাগ বিপ্লব পৃথিবীর অন্য কোন দেশে সংঘটিত হয়নি। প্রত্যেক জাতির জন্মগতভাবে প্রাপ্ত ভাষায় স্বাধীনভাবে কথা বলে এবং মনের ভাব প্রকাশ করে। কিন্তু এদেশের মানুষ ভাষার জন্য যুদ্ধ করে মাতৃভাষা অর্জন করেছিল। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক সাহিত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ চেতনাবাহী একটি স্মরণীয় দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশে ফেব্রুয়ারি অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে লাখো শহীদের নাম। পরিশেষে বলতে চাই ২১ হোক জগতের সকল অনৈক্য সংঘাত ও অশান্তির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ হাতিয়ার। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি খোদাহাফেজ।

শেষ কথা

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। কারণ হাজারো তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের মায়ের ভাষা মাতৃভাষা।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। @ 22882

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url