OrdinaryITPostAd

২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ ও কবিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ জানতে চাচ্ছেন। আপনি যদি ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা দিবসের রয়েছে অনেক ইতিহাস আত্মত্যাগ যার ফলে আমরা আমাদের মাতৃভাষা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে আমরা জেনে নেবো এর ইতিহাস এবং আত্মত্যাগের কথা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ
আপনি যদি ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন রয়েছে। কেননা ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা পড়লে আমরা জানতে পারবো ২১ শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ।

সূচিপত্রঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা

আপনি যদি ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন কারণ এখন আমরা আলোকপাত করব ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা সম্পর্কে। একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার কথা বলা সকল মানুষের জন্য একটি গৌরবময় দিন। এদিনটি বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের ভাষা আন্দোলনের মূলমন্ত্র গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি বিশেষ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা।

ভূমিকাঃ

সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে মানুষ নিজের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। কখনো সে অঙ্গভঙ্গি করছে কখনো মুখ থেকে নানান রকম আওয়াজ করে সে কখনো ছবি এঁকেছে। বছরের পর বছর ধরে মনের ভাব প্রকাশের জন্য মানুষের এই বিভিন্ন ধরনের বিক্ষিপ্ত আওয়াজের সংগঠিত পূর্ণাঙ্গ রুপ হলো ভাষা। বিশ্বজুড়ে নানা অঞ্চলভেদে মানুষের ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্য দীর্ঘসময় ধরে গড়ে উঠেছে শত শত ভাষা এবং সেই ভাষার অবলম্বনকারী নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠী।
তেমনই কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সন্তানের জন্ম লগ্ন থেকে ঐতিহ্যগতভাবে যে নির্দিষ্ট ভাষার মাধ্যমে নিজেদের ভাব প্রকাশ করতে শেখে সেটি হল তাদের মাতৃভাষা। সেই নির্দিষ্ট ভাষাটি সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে ও ইতিহাসের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক সংস্কৃতি আবেগ। সেই আবেগকে প্রত্যকের মাতৃভাষার সাথে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস তথা মহান সংস্কৃতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগঃ

ইতিহাস খুঁজে জানা যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে বসবাসকারী দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম। তাদের সার্বিক উদ্যোগে প্রথমে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অফ দামের একটি সংগঠিত সংগঠন। পরবর্তীতে নানা অনেকের সহযোগিতায় ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

সেই অধিবেশনে মোট ১৮৮টি দেশের সমর্থন সহযোগে প্রস্তাবটি পাশ হলে তার পরের বছর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে জাতিপুঞ্জের সদস্য দেশ গুলিতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে। এরপরে ২০১০ সালের একুশে অক্টোবর সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে জাতিপুঞ্জ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়। এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল বাংলাদেশ। পরের বছর মে মাসে জাতিপুঞ্জের ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট তথ্য বিষয়ক কমিটিতে উক্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিষ্ঠাতা পূর্ণতা লাভ করে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপটঃ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে আগে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়নি তখনও সে সময়ে ভারত বর্ষ থেকে সদ্য বিভক্ত হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের মধ্য পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল আজকের গৌরবময় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রধান বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মূলত ভাষাভাষী হলেও পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ছিল বাংলা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী এই অঞ্চলের মানুষদের উপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চায়। মাতৃভাষা সাথে জড়িয়ে থাকা বহু প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আবেগ কোন ভাষার প্রসারিত সাথে সেই ভাষাগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও আবেগের ও প্রসারিত ঘটে। স্বাভাবিকভাবে জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলা ভাষার উপর জোর জুলুম হতে থাকে সাথে সাথে তীব্রতর হতে থাকে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ এই আন্দোলন ভয়াবহ আকার নাই। একই বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশের নির্মম গুলিবর্ষণে কয়েকটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়। এদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক,সালাম, বরকত শফিউল সহ অনেকেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই মহান দিনটিকে স্মরণ করে ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘ এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

মাতৃভাষা ও সাহিত্যঃ

মাতৃভাষা এবং সাহিত্য চর্চা পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর প্রকৃত অর্থ বুঝতে গেলে সর্বপ্রথম আমাদের সাহিত্যের স্বরূপ অনুধাবন করতে হবে সাহিত্য হল আমাদের মনের ভিতরকার সেইসব কল্পনা যাকে আমরা ভাষার মাধ্যমে জীবন্ত রূপ দিতে পারি। এ বিশ্বে যা কিছু প্রকৃতির কিছু সুন্দর মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিজের মনের অন্তরমহলে সাহিত্য কল্পনার রূপ দান করে আপন মাতৃভাষার মাধ্যমে। কোন মানুষ যদি নিজের মাতৃভাষায় দুর্বল হয় তার পক্ষে সাহিত্যক দান করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমন সাহিত্য গড়ে উঠলেও তা নিজের স্বাভাবিক হারিয়ে সুন্দরকে পাশ কাটিয়ে হয়ে পড়ে দুর্বল। চারিপাশে খেয়াল করলে দেখা যাবে এই পৃথিবীতে বিশ্বমানের যত সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে প্রত্যেকটির পেছনে লেখক লেখিকার মাতৃভাষার অবদান সব থেকে বেশি। কারণ নিজের মাতৃভাষায় যত স্নিগ্ধতা নির্মল ভাবে চিন্তা করা যায় পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায় অসীম জ্ঞান থাকলেও আবেগের স্নিগ্ধতা গভীরতা কোনটাই আসেনা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্যঃ

মানুষের জীবনে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মাতৃভাষা ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়তে পারে সংকটের মুখে পড়তে পারে কোন জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ভাষা সাহায্য করে মানুষের অন্তরে অন্তরে লুকিয়ে থাকা আবেগ প্রকাশ করে তাই সেই ভাষার প্রতি উৎসর্গকৃত একটি দিনের তাৎপর্য আমাদের সমাজ জীবনে অসীম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে মানুষকে শিখে নিজের ভাষার সাথে সাথে এই পৃথিবীর সকল ভাষাকে সম্মান করতে।

নিজেদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি সম্বন্ধে সচেতন হয়ে ওঠে নিজেদের ভাষার মহোৎসব পালনের মাধ্যমে আপন ভাষা তথা জাতির ইতিহাসের প্রতিটি মানুষের মন হয়ে অনুসন্ধিত ওঠে। স্বাভাবিকভাবে সংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হয় সমগ্র মানব সমাজ। একে অপরের ভাষাকে সম্মান করতে শেখার মধ্য দিয়ে মানবসভ্যতা পারস্পরিক সহাবস্থানের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ওঠে। আমাদের মনে রাখা দরকার পারস্পরিক সম্মান এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছাড়া মানব সভ্যতা টিকে থাকা অসম্ভব।

মাতৃভাষা ও বর্তমান বাংলাদেশঃ

বাংলাদেশ বরাবরই নিজের মাতৃভাষার প্রতি উপরের তুলনায় অধিক সচেতন এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল শত শত তরুণ হাজারো প্রাণ চলে গিয়েছিলে সেই ভাষার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দক্ষিণ এশিয়ার বুকে ক্ষুদ্র এই দেশটির মাতৃভাষা বাংলা, বাংলা ভাষাকে এইদেশ নিজের মায়ের মতো করে ভালোবাসে। বলা হয়ে থাকে বাংলা ভাষা সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে পরম যত্নে বাংলাদেশ বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা পৃথিবীর বুকে নিজের এক উন্নত করে নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিয়েছে এই ভাষার অবলম্বনকারী মানুষ নিজের সংস্কৃতি এবং রক্ত ঝরাতে হয় নাই।

উপসংহারঃ

নিজেদের ইতিহাসকেও ভাষার ঐতিহ্যকে আপন করে নিয়ে বর্জন করতে হবে বিকৃতিও অপসংস্কৃতিকে। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার সাথে সাথে তাদের আপন ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে প্রতিনিয়ত। আমাদের মনে রাখতে হবে নিজেদের মাতৃভাষা চর্চা আছে প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি। এই লক্ষ্যগুলো সফল হলে তবেই আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সার্থক হয়ে উঠবে। মাতৃভাষা হল মায়ের ভাষা। মা যেমন তার সন্তানকে স্নেহের বন্ধন আগলে রাখে তেমনি মাতৃভাষা ও একটি নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ইতিহাসের স্নিগ্ধ বন্ধনে জড়িয়ে রাখে। সেজন্যই মাতৃভাষা আমাদের সকলের কাছে পরম আবেগের নিজেদের এই আবেগ কে রক্ষা করার জন্য আমাদের অনতিবিলম্বে সচেতন হতে হবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ

আপনি যদি ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই পর্বে আমরা আলোকপাত করব ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ। মাতৃভাষা বলতে এমন একটি ভাষা কি বুঝায় যা একটি দেশের জনসাধারণ কর্তৃক তাদের ধারণা, চিন্তা, অনুভূতি এবং আবেগ প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। আমাদের মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকরা বাংলার পরিবর্তে আমাদের উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশের বীর সন্তানেরা এর প্রতিবাদ করে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি একটি মিছিল বের করেছিল এবং পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক সহ অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছিল।
এই কারণে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছর আমরা দিবসটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এই দিনে প্রত্যকে কালো চিহ্ন বিশেষ ধারণ করে এবং শহীদ মিনারে খালি পায়ে হেঁটে যায়। সবাই শহীদদের সম্মান প্রদর্শন করতে শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিতে সেখানে যায়। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক দল দিনটি উদযাপন করে। বাংলাদেশের বেতার এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটির জন্য আমরা গর্বিত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা

আপনি কি ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা।

ভাষা সে তো মায়ের বুলি
প্রাণের চেয়েও প্রিয় জানি
যে ভাষাতে প্রাণ জুড়ালো
সবার চোখের তৃষ্ণা মিটলো
এইতো মোদের মধুর ভাষা
মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা।
ভাষা সে তো স্লোগানমুখর যুবকের ভালোবাসা
যে ভাষাতে সদা থাকে জাগি
সে ভাষার কোন দশা আজি
তারা মানেনাতো বাধা ভঙ্গ করতে ধারা
হায়নার গর্জন লজ্ঞিয়ে চলে
হুংকার হয় ধনি পতি ধনি
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
বাংলা চাই
ভাষা সে তো রক্তে ভেজা একুশের দুপুর
রক্ত! সেতো নতুন সূর্যোদয়
যে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল বাঙালি জাতি
ত্যাগে বেজেছিলো সাম্যের গীতি
পৃথিবীর মানুষ অভাব রয়
বাংলা ভাষার হলো জয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ছোট কবিতা

আপনি যদি ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছোট কবিতা জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখন আমরা আলোকপাত করব ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছোট কবিতা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছোট কবিতা।

মনে পড়ে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি
লাখো বাঙ্গালীর কাতর চিত্তে করুন আজহারী
একুশ তুমি বাংলার মানুষের হৃদয় ভরা আশা
তোমার কারনে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা
রক্ত ঝরালো সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার
বায়ান্নর সেই করুন কাহিনী মনে পড়ে বারবার
স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সেই বিষন্ন দিনের কথা
যত ভাবি ততই যেন মনে পায় বড় ব্যথা
প্রতিবাদে মুখর দিনে মুখর দৃঢ় চিত্তে বাংলার দামাল ছেলে
আরো আছে কত শ্রমিক যুবক নারী কৃষক ও জেলে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা ও অনুচ্ছেদ পরে জানা যাবে একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস সম্পর্কে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা - ২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতবাদ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। @ 22882

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url