OrdinaryITPostAd

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf - স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ

প্রিয় বন্ধুরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। আমরা জানি যে প্রতিবছর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে থাকা উচিত। কারণ এটি বাংলাদেশের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। তাই এখন আমরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf - স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf - স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণঃ উপস্থাপনা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জানতে চান। বাংলাদেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইতিহাস এটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিল বাঙালির স্বাধীনতার অন্যতম মহানায়ক। তিনি যখন পাকিস্তান থেকে অর্থাৎ জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন সেদিনকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়।

এখানে আরো থাকবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কত তারিখ? স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ। উক্ত আলোচনা গুলো শুরু করা যাক।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কত তারিখ

আমরা সকলেই এটা জানি যে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছিল। এর আগে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাক হানাদার বাহিনীরা গ্রেপ্তার করেছিল। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্থানে কারাগারে রাখা হয়। সেখানে তার ওপর অনেক অত্যাচার এবং নির্যাতন করা হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস

এরপরে বাংলাদেশ যখন বিজয় অর্জন করে এবং বাংলাদেশে থাকা পাক হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায় বিশ্বব্যাপী। তখন বিভিন্ন দেশের চাপে পড়ে পাক হানাদার বাহিনীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লন্ডনে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ভারত হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাই এদিন থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf 

আমাদের সবার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জড়িত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে থাকা উচিত। কারণ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস গুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। নিচে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ এসেছিলেন সাধারণত তাই প্রতি বছর এই দিনটিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিনে বঙ্গবন্ধু কে বরণ করে নিতে লাখো জনতা ভিড় করেছিল। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ছিল অনিশিকার্য। বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করার পরে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায়।

দীর্ঘ নয় মাস বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীন করার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমরা জানি যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের উপর গণহত্যা চালাতে শুরু করে।

আরো পড়ুনঃ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস রচনা - ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস কবিতা

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রেখে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনা তৈরি করে। কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বারবার তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিলেন।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বলে যাওয়া পথে রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যান। দিন যত যেতে থাকে বাঙালিরা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বাঙ্গালীদের কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা আর পেরে উঠতে পারেনা। বাঙালি জাতির প্রতিরোধেরমুখে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল।

বিজয় অর্জনের পর বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায়। বাঙালির পাশাপাশি স্বাধীনতা ও শান্তিকামী মানুষের বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু চলে যান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মনের ভেতরে আরো বেশি ঢুকে যায়। তিনি বাঙ্গালীদের আরো কাছের মানুষ হয়ে ওঠে। কারণ একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এর পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাক হানাদার বাহিনীরা গ্রেপ্তার করেছিল।

এরপরে ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ এসেছিলেন। সেইদিন সারাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে লাখো জনতার ভিড় হয়েছিল। সেখান থেকে ভারত হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরত আসেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখার জন্য সারা দেশের মানুষ ছুটে আসে বিমানবন্দরে।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ

প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ সম্পর্কে আলোচনা করব। বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার পরে তাকে দেখতে আসা জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। আমরা এখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ সম্পর্কে আলোচনা করব। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ উল্লেখ করা হলো।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছি যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে বাংলাদেশে এসে পা দিয়েছিলেন তাই এই দিনটিকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে লন্ডন হয়ে এরপরে ভারত হয়ে বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ এসে বাঙালির কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখতে ঢাকায় ছুটে গিয়েছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে জান। সেখানে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশাল জনসভায় ভাষণে বলেন," বাংলার মানুষ আজ মুক্ত, স্বাধীন। কিন্তু আমাদের সামনে অসংখ্য সমস্যা আছে যেগুলোর এখন সমাধান প্রয়োজন। অনেক কাজ আছে যা করা জরুরি"

আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য - ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা

বঙ্গবন্ধু দেশের আনন্দ উচ্ছ্বসিত জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, আমাদের রাস্তাঘাট এবং সেতুর নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো মেরামত শুরু করুন।" তার ভাষণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ছিল সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগনকে শান্তি বজায় রাখতে নির্দেশ করেছিলেন তিনি বলেন, " তোমাদের অবশ্যই শান্তি বজায় রাখতে হবে। শান্তিপ্রিয় বাঙালি স্বাধীনতার জন্য অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। তারা শান্তি রক্ষা করতেও জানে সবার সাথে বন্ধুত্ব করো, কারো সাথে বৈরিতা নয়"।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf - স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণঃ শেষ কথা

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস pdf, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট করতে থাকুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url