OrdinaryITPostAd

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী কী

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? আজকের আর্টিকেলে এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? তা আপনাদের জানাবো।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? তা জেনে নেই।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী ভূমিকা

যত দিন পার হচ্ছে বিশ্বতত ডিজিটাল হচ্ছে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল কার্যক্রম এখন ডিজিটাল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সরকারের একটি লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে দ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরিত করা। সেই লক্ষ্যের দিকে খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? তা জেনে নিন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কী

ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে আসলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে গড়ে তোলা আধুনিক বাংলাদেশকে বুঝানো হয়েছে। বাংলাদেশ সকল কাজ যেন ডিজিটাল সম্পন্ন করা যায় এবং আগের তুলনায় খুব দ্রুত সম্পন্ন করা যায় সে ব্যবস্থাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো আজকের এই আর্টিকেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? তা জানব।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস কবে পালিত হয় - বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার সেগুলো হলো মানব সম্পদ উন্নয়ন, জনগণের সম্পৃক্ততা, সিভিল সার্ভিস এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। এগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ খুব দ্রুতই পরিণত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কী? আশা করি এই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করণীয়

একটি দেশ হুট করে কখনো ডিজিটাল হয়ে যায় না। বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। সেই বাস্তবায়নের বাংলাদেশ সরকার অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছে। এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করনীয় কি সে সম্পর্কে জানব।

  • শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবন চিন্তা বাড়ানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরো বেশী বাড়াতে হবে। তাহলে খুব দ্রুতই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারবেন।
  • কম খরচে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অফিস-আদালতে কাজের গতি ও কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার চালু করতে হবে।
  • কম্পিউটার সহ অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তি গুলো স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
  • তথ্য প্রযুক্তির সুফল যেন সকলেই পেতে পারে সেদিকে মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে।
  • জনগণকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন ও সম্ভাবনা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? এ সম্পর্কে জানার আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানছি। এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় শুরু করা যাক।

১। বর্তমানে ওয়েবসাইট অথবা ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। এটা কখনোই সম্ভব ছিল না।

২। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৮ হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন এবং ১ হাজার ৪৮৩ ইউনিয়নকে নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম সংযুক্ত করা হয়েছে।

 আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার - বিশ্ব শিশু দিবসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

৩। বাংলাদেশ এখন প্রায় অধিকাংশ মানুষই মোবাইল ব্যবহার করে। ফলে সরকার কোনো বিশেষ ঘোষণা দিতে চাইলে সকলের মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা অর্থাৎ মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়।

৪। বর্তমানে বাংলাদেশের 64 জেলা থেকেই অনলাইনে বিভিন্ন রকম আবেদন করতে পারবে এছাড়া জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম বিষয়টি সমাধান করতে পারবে।

৫। অনলাইনে বেচাকেনা ধারণা ব্যাপক বিস্তৃত কারণে গড়ে উঠেছে ই-কমার্স সাইট।

৬। সকল ধরনের বই আপনি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

৭। বাড়িতে বসে এখন আয় করদাতারা আয়করের হিসাব করতে পারেন।

৮। বর্তমানে বিদ্যুত বিল পানির বিল এবং গ্যাস বিল বাড়িতে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। আগের মত দীর্ঘ লাইন দরকার হয় না।

৯। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বাড়িতে বসেই জানতে পারবেন।

১০। জন্ম নিবন্ধন ভোটার আইডি কার্ড অথবা অন্যান্য কাজ গুলো বাড়িতে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ

আমরা জানি যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র মহানায়ক হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে পাক হানাদার বাহিনী থেকে মুক্তি দিয়েছিল। রাজনৈতিক সংগ্রামের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা এবং পদক্ষেপগুলোর দিকে তাকালে তার চিন্তাশক্তির প্রখরতা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।

১৯৬৯ সালে ইন্টারনেটের আবিষ্কারে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের গতি প্রভাবও ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথা স্মরণ করা যেতে পারে একটি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সদস্যপদ লাভের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো এবং অন্যটি হচ্ছে বেতবুনিয়া স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপন। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ডিজিটাল প্রযুক্তি।

বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালের ৫ বাংলাদেশ আইটিইউর সদস্যপদ লাভ করে। এর প্রায় ২১ মাস পর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বৃদ্ধি রচিত হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী

ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্তমানে একটি আলোচিত বিষয়। এর মূল লক্ষ্য হলো একুশ শতকের বাংলাদেশকে একটি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সবথেকে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘোষণা দিয়েছিল ২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস রচনা - বিশ্ব শিশু দিবস অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে তাদের কথার সাথে কাজের মিল রেখেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ পূরণ হয়েছে ইতিমধ্যে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ ৪ টি সেগুলো হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া, ই প্রশাসন ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা। এই চ্যালেঞ্জগুলো যদি সরকার কাটিয়ে উঠতে পারে তাহলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া খুব সহজ।

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক কে

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘোষণা দেন বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করবেন। এই বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই থেকে বলা যায় যে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কীঃ উপসংহার

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ কী? ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন এবং সম্ভাবনা সহ আরো অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url