OrdinaryITPostAd

থানকুনি পাতা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা - থানকুনি পাতার ৫টি অপকারিতা

পেয়ারা পাতা, তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা শেষে আজ আমরা জানব থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা। আমরা অনেকেই আছি যারা থানকুনি পাতা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি, আবার অনেকে আছি যারা থানকুনি পাতা কি তা জানি না বা চিনি না। আর তাই আজকে শুধুমাত্র তাদের জন্যই তৈরি করেছি আমাদের এই পোস্টটি। আজ আমরা আমাদের পোস্টে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা, থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম, থানকুনি পাতা চেনার উপায়, খালি পেটে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা, থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়, থানকুনি পাতা খেলে কি উপকার হয়, থানকুনি পাতা কোথায় পাওয়া যায়, থানকুনি পাতা চাষ পদ্ধতি নিয়ে আকোচনা করব।
চলুন আর দেরি না করে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা, থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম, থানকুনি পাতা চেনার উপায়, খালি পেটে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা, থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়, থানকুনি পাতা খেলে কি উপকার হয়, থানকুনি পাতা কোথায় পাওয়া যায়, থানকুনি পাতা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা

থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা | খালি পেটে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা | থানকুনি পাতা খেলে কি উপকার হয়

থানকুনি পাতা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। থানকুনির ল্যাটিন নাম হল- centella aciatica। থানকুনি পাতাতে আছে সকল ধরনের ঔষুধি গুনাগুন। থানকুনি পাতার বেশ কয়েকটি নাম আছে। বিভিন্ন ধরনের অঞ্চলে একে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। থানকুনির নাম গুলো হল- আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, থানকুনি, আদাগুনগুনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন ইত্যাদি। থানকুনি পাতার বেশ কিছু উপকারিতা আছে নিচে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত পয়েন্ট আকারে দেওয়া হল।
থানকুনি পাতা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে- থানকুনি পাতাতে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল যা ত্বকের ভিতরের সকল পুষ্টির ঘাটতি দূর করে ও ত্বকের বলিরেখা কমাতে বিশেষ ধরনের ভূমিকা পালন করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

থানকুনি পাতা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে- গবেষনায় দেখা গেছে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরের পুষ্টির সকল ঘাটতি দূর করে যার ফলে চুল পড়া কমে। চুল পড়ার মাত্রা অন্যভাবে কমাতে থানকুনি পাতা থেঁতো করে তার মধ্যে পরিমানমত তুলসী পাতা ও আমলা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেটা চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ১০ মিনিট পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২ বার চুলের পরিচর্যা করতে পারেন।

ক্ষতের চিকিৎসায় সাহায্য করে- থানকুনি পাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতে বেঁটে লাগিয়ে দিলে সেই ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। এছাড়াও থানকুনি পাতা শরীরের উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান এর জন্য খুবই ভালো কাজ করে।

শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করতে সাহায্য করে- আমাদের শরীরে রক্তে সারাদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের টক্সিক উপাদান প্রবেশ করে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের টক্সিক উপাদান যদি আমাদের শরীর থেকে বের না হয় তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। এই ধরনের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান আমাদের শরীর থেকে বের করতে আমাদের সাহায্য করে থানকুনি পাতা। আপনি যদি প্রতিদিন থানকুনি পাতার রসের সাথে ১ চামচ পরিমান মধু মিশিয়ে নিয়মিত খান তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করবে।

আমাশয়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে- আপনার যদি আমাশয়ের সমস্যা হয় তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতার রস টানা ৭ দিন পর্যন্ত খেতে হবে। তাহলেই আমাশয়ের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন। এছাড়াও আরেকভাবে থানকুনি পাতা খেতে পারেন থানকুনি পাতাকে বেঁটে রস বের করে নিন এবং সেই রসের মধ্যে কিছু পরিমান চিনি মিশিয়ে নিন আর এটি দিনে ২ বার করে খান দেখবেন সমস্যা দূর হবে।

গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে- থানকুনি পাতার রস গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে দারূন উপকারী। আপনি যদি গ্যাস্টিকের সমস্যায় ভুগেন তাহলে নিচের দেওয়া ঘরোয়া পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন। পদ্ধতিটি হল- ৫০০ গ্রাম বা ১/২ লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি ও অল্প পরিমান থানকুনি পাতার রস ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তারপর সেটা অল্প অল্প করে ৭ দিন ধরে সকালে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।

কাশি কমাতে সাহায্য করে- আপনার যদি প্রচুর পরিমান কাশির সমস্যা হয় তাহলে প্রতিদিন ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সাথে কিছু পরিমান চিনি মিশিয়ে পান করুন। এতে করে অতি দ্রুত আপনার কাশি কমে যাবে এবং আপনি চাইলে এই পদ্ধতিটি ৭ দিন পর্যন্ত করতে পারেন।

পেটের রোগের সমস্যায় সাহায্য করে- থানকুনি পাতা পেটের রোগের সমস্যায় সাহায্য করে। কিছুটা থানকুনি পাতার সাথে অল্প পরিমান আম গাছের ছাল ও ১ টি আনারসের পাতা ও হলুদের রস মিশিয়ে ভালো করে বেঁটে মিশ্রনটি নিয়মিত খান। এতে করে আপনার পেটের রোগের সমস্যা দূর হবে এবং যদি কৃমির সমস্যা থাকে সেটাও ভালো হয়।

জ্বরের সমস্যায় সাহায্য করে- অনেকেরই সিজন চেঞ্জের সময় প্রচুর পরিমানে জ্বর হয়। সেই সময় জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। সকালে খালি পেটে ১ চামচ থানকুনি পাতার রসের সাথে ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি পান করলে অতি দ্রুত আপনি জ্বর থেকে মুক্তি পাবেন এবং শারীরিক দুর্বলতা কমে যাবে।

হজমে উন্নতি করতে সাহায্য করে- আপনার যদি হজমে সমস্যা হয় তাহলে থানকুনি পাতা আপনাকে সাহায্য করবে। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে থানকুনি পাতার রস খেতে হবে। কারণ থানকুনি পাতাতে আছে একাধিক উপকারী উপাদান যা হজমে সাহায্য করবে এবং অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে করে ঠীক মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখে। এছাড়াও থানকুনি পাতা বদ-হজম, গ্যাস-অম্বলের মত সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

থানকুনি পাতার অপকারিতা

সব কিছুরই যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অপকারিতা ও আছে। আমরা ইতোমধ্যে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আজ আমরা থানকুনি পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জানব। নিচে থানকুনি পাতার অপকারিতা দেওয়া হল-
  • প্রয়োজনের বেশী কোন খাবার খাওয়াই উচিত না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। থানকুনি পাতাও তার ব্যাতিক্রম নয়। থানকুনি পাতা প্রয়োজনের বেশী খেলে পেটের ব্যাথা বাড়তে পারে।
  • থানকুনি পাতা প্রয়োজনের থেকে বেশী খেলে মাথা ঘুরাসহ নানা রকমের সমস্যা হতে পারে।
  • লিভারের সমস্যা আছে যাদের তাদের কোনভাবেই থানকুনি পাতা খাওয়া ঠিক না। এতে করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
  • অপারেশনের রোগীদের থানকুনি পাতা একদমই না খাওয়া ভালো।
  • থানকুনির পাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের এ্যালার্জি, খোস পাচড়ার সমস্যা হতে পারে।

থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম

থানকুনি পাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় খুবই উপকারী। জ্বর থেকে শুরু করে, পেট ব্যাথা, চুল পড়া সহ সকল ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে থানকুনি পাতা। কিন্তু এই থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন তার নিয়ম আমরা জানি না। আর তাই আজ আমরা আপনাদের সাথে থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ-
  • থানকুনি পাতাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধী গুনাগুন। যা বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিকার করে। বিভিন্ন ধরনের উপায়ে থানকুনি পাতা খাওয়া যায়। থানকুনি পাতা খেতে হলে আপনাকে প্রথমে থানকুনি পাতাকে পরিষ্কার করে ধুয়ে বেঁটে বা ব্লিন্ডারে ব্লিন্ড করে নিয়ে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতার রস বের করে সেই রস খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা ছোট ছোট করে কেটে পানির সাথে খেতে পারেন।
  • থানকুনি পাতা বেঁটে বড়া বা পিয়াজু বানিয়ে খেতে পারেন।

থানকুনি পাতা চেনার উপায়

থানকুনি পাতা আমরা অনেকেই দেখেছি কিন্তু তার নাম না জানার কারণে ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা কোনটি থানকুনি পাতা। তাই আজ আমরা আপনাদের সুবিধার্থে আলোচনা করব থানকুনি পাতা চেনার উপায় নিয়ে। চলুন থানকুনি পাতা চেনার উপায় কি তা জেনে নেই।
  • থানকুনি পাতা দেখতে গোল গোল খাঁজকাটা।
  • থানকুনি পাতা একটা পয়সার থেকে কিছুটা বড়।
  • থানকুনি পাতার স্বাদ তেতো। 
  • থানকুনি পাতা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ও পুকুর পাড়ে বেশী জন্মায়। 

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়

থানকুনি পাতা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে থানকুনি পাতা। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সারাতে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে থানকুনি পাতা ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন রূপচর্চায় ও দারুন ভূমিকা পালন করছে থানকুনি পাতা। চলুন থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় সে সম্পর্কে জেনে নেই।
  • থানকুনি পাতা ত্বককে সতেজ রাখতে ব্যবহার করা হয়। থানকুনিতে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর উচ্চমানের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা ত্বককে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
  • মুখে ব্রণের দাগ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ও লোমকূপ বন্ধ হওয়ার জন্য ত্বকে ব্রণ উঠতে পারে। থানকুনির পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। 
  • ত্বকের ক্ষত ও জ্বালাপোড়া কমাতে থানকুনি পাতার ম্যাডেকাসসাইড খুবই উপকারী। এটি ব্যাবহারে ত্বকের তাপমাত্রা কমে ও ত্বককে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে।
  • থানকুনি পাতায় থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন ও ফাইটোক্যামিকেল ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় ও ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ফলে ত্বকের থেকে বয়সের ছাপ কমে যায়।
  • থানকুনি পাতাতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও সক্রিয় উপাদান ম্যাডেকাসসাইড থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও থানকুনি পাতা ত্বককে দূর্ষণ ও সূর্যের রশ্নির হাত থেকে রক্ষা করে। যাতে করে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। তাছাড়া থানকুনি পাতা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও রক্তে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় ফলে ত্বকের নমনীয়তা বাড়ে ও বলিরেখা দূর হয়।

থানকুনি পাতা কোথায় পাওয়া যায়

থানকুনি পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এটি একধরনের ঔষুধী গাছ। প্রায় সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করে এই গাছ। থানকুনি গাছ মূলত স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেশী জন্মে। গ্রামের বাড়ির আশেপাশে, পুকুর পাড়ে, জলাশয়ে, ক্ষেতের আইলে, রাস্তায় এই গাছ বেশী হয়। কিন্তু বর্তমানে শহরের বাজারে এই গাছ কিনতে পাওয়া যায়।

থানকুনি পাতা চাষ পদ্ধতি 

থানকুনি পাতা আমাদের সকলের কাছে পরিচিত একটি ঔষধি গাছ। গ্রামের সকল জায়গাতেই থানকুনি গাছ পাওয়া যায় আপনি চাইলে নিজের বাড়িতে থানকুনি গাছ চাষ করতে পারেন। আজ আমরা দেখব আপনি বাড়িতে কিভাবে থানকুনি পাতার চাষ করবেন।

থানকুনি চাষ প্রায় সব মাটিতেই করা যায় কিন্তু বেলে-দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি থানকুনি চাষের জন্য উপযোগী। ছোট কিংবা মাঝারি যেকোনো ধরনের পাত্র অথবা টবে থানকুনি চাষ করা যায়। আপনি আপনার বাসার ছাদে কিংবা উঠানে অথবা বারান্দাতে থানকুনি পাতা চাষ করতে পারেন। থানকুনি পাতা চাষের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না যেকোনো সময়ে অথবা সারা বছরই থানকুনি চাষ করা যায়। থানকুনি সাধারণত দুই ভাবে বংশবিস্তার করে বীজের মাধ্যমে অপরটি অঙ্গজ জনন। 
থানকুনি গাছের শিকড় বের হয় প্রতিটি গীট থেকে। থানকুনির শিকড় সহ লতা যে কোন টবে বা পাত্রে স্থাপন করলেই দেখবেন গাছ তৈরি হয়েছে। থানকুনি গাছ আদ্র মাটি পছন্দ করে তাই খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। থানকুনি গাছকে সবসময় সূর্যের আলো সঠিক নিয়মে দিতে হবে গাছে যেন বাতাসের সংস্পর্শে আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে গাছে নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। বেশি বড় হয়ে গেলে গাছ ছেঁটে দিতে হবে অথবা অন্য পাত্রে তুলে লাগাতে হবে। গাছের আশেপাশে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে গাছে শুকনো ও মরা পাতা ছেঁটে দিতে হবে।

শেষ কথাঃ থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা

বন্ধুরা, আজ আমরা থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা নিয়ে একটি পোস্ট তৈরি করেছি। আমাদের এই পোস্টে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা, থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম, থানকুনি পাতা চেনার উপায়, খালি পেটে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা, থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়, থানকুনি পাতা খেলে কি উপকার হয়, থানকুনি পাতা কোথায় পাওয়া যায়, থানকুনি পাতা চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আশাকরি আমাদের এই থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা, থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম, থানকুনি পাতা চেনার উপায়, খালি পেটে থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা, থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়, থানকুনি পাতা খেলে কি উপকার হয়, থানকুনি পাতা কোথায় পাওয়া যায়, থানকুনি পাতা চাষ পদ্ধতি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন। এই ধরনের আরও নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url